কলকাতা-বাসন্তী ঝা চকচকে স্টেট এক্সপ্রেসওয়েতে (Basanti Highway) গতির খেলায় বারেবারে দুর্ঘটনা (Road Accident) এবং ঝরে যাওয়া তরতাজা প্রাণ। গত ৫ বছরে এমন চারটি ঘটনা শিউরে ওঠার মতো। যে তালিকায় নবতম সংযোজন মঙ্গলবারের পথদুর্ঘটনা। মসৃণ রাস্তায় হালে বসেছে স্পিড লিমিটার। ট্রাফিকের এই নিয়ম কেউ মানেন, কেউ আবার তোয়াক্কা করেন না। তাই বারেবারে মৃত্যু (Death) বাসন্তী হাইওয়েতে।
বামনঘাটা বাজার থেকে চৌবাগা আসার পথে রাস্তায় একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক কার্যত দেখতেই পায়নি রেস বা গতি প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠা দুটি বাইকের চালক। একটি বাইক তাও শেষ মুহূর্তে খেয়াল করে ব্রেক কষার চেষ্টা করে, অপরটি তাও করতে পারেনি। দুটি বাইক দুমড়ে মুচড়ে তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বাইক দুটির গতিবেগ কমপক্ষে ৮০ কিলোমিটার ছিল বলে পুলিস সুত্রে খবর। গতির এই নেশায় অকালে ঝরে গেল তিনটে তরতাজা প্রাণ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইক রেষারেষির জেরেই বকডোবা এলাকার এই দুর্ঘটনা। প্রচণ্ড বেগে সায়েন্স সিটির দিকে যাওয়ার পথে একটি লরির পিছনে ধাক্কা মারলে দুটি বাইকের তিন জন সওয়ারির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিস এসে মৃতদেহ-সহ বাইক গুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম ১৯ বছরের রাকেশ দাস, ১৭ বছরের জয় গায়েন এবং ১৭ বছরের রাহুল নস্কর, এঁরা বামনঘাটার বাসিন্দা। তবে দ্বিতীয় বাইকে রাইডারের পিছনে বসা সওয়ারি (এখনও নাম জানা যায়নি) গুরুতর আহত অবস্থায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩ এপ্রিল ২০২২ এবং ২৭ মে ২০২২; বাসন্তী হাইওয়েতে গতির বলি তরতাজা প্রাণ।
মেলায় ‘জয়রাইড’ ভেঙে (joyride broke down) ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident)। শিশু ও মহিলা-সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি রবিবার সন্ধ্যার পঞ্জাবের (Punjab) মোহালির ফেজ-৪ এলাকার দশেরা মাঠে (Dussehra ground)। একটি উঁচু স্পিনিং জয়রাইড ভেঙে রাত ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। আহতদের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে মোহালির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় প্রচুর ভিড় হয়েছিল। দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। যা দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা।
ডিএসপি হরসিমরন সিং বলেছেন, 'অনুমতি নিয়ে উদ্যোক্তারা মেলার আয়োজন করেছিলেন। কোনও গাফিলতি থাকলে বরদাস্ত করা হবে না। আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ করা হবে।'
উল্লেখ্য, প্রথমে ৪ সেপ্টেম্বর অবধি মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে তা ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে মেলা প্রাঙ্গণে নোটিস টাঙানো হয়েছে। অভিযোগ, মেলা প্রাঙ্গণে কোনও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা ছিল না। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।