প্রসূন গুপ্তঃ আসন্ন ৭ জানুয়ারী ফের ব্রিগেডে সিপিএম সঙ্গে আমন্ত্রিত বাম দলগুলি। বেশ কিছুদিন ধরে জেলায় জেলায় দলের তরুণ নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যুব সিপিএম প্রচার সেরেছে দুই সরকারের বিরুদ্ধে এবং অবশেষে ব্রিগেডে হবে চূড়ান্ত অনুষ্ঠান ঠিক লোকসভা ভোটের মাস দুয়েক আগে। কিন্তু ফায়দা কি হবে, প্রশ্ন উঠেছে একেবারে বামমনস্ক মানুষের মধ্যে থেকে।
প্রশ্ন ১) বামেদের ক্ষমতায় আসার পিছনে নক্সালপন্থীদের যে ভূমিকা ছিল, তারা আজ কোথায়? ক্ষমতায় আসার বিষয়ে ওই নক্সালদের প্রশ্ন ছিল মার্কসবাদ লেলিনবাদের কোথায় লেখা রয়েছে সংসদীয় ভোটের রাস্তায় গিয়ে ক্ষমতা দখল করতে হবে? তারা আন্দোলন করেছিল, যার সুফল পেয়ে বামফ্রন্ট ৩৪ বছর রাজত্ব করেছে।
প্রশ্ন ২) রাজ্যের শিক্ষা থেকে ইংরেজি তুলে দেওয়ার কুফল কি সে সময়ের যুব মহলকে পিছিয়ে দেয় নি? অথচ বাম নেতাদের সন্তানরা ইংরেজি মাধ্যমে দিব্বি পড়াশুনা করেছে।
প্রশ্ন ৩) রাজ্যে কম্পিউটার আসতে বিলম্ব হলো ফলে হাজার হাজার যুব ছেলেমেয়েরা রাজ্যের বাইরে গিয়ে শিক্ষা নিলো এবং সাথে চাকরিও, এর ইনসাফ করবে কে?
প্রশ্ন ৪) দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে আরাম ও আয়েস এসে গিয়েছিলো বাম নেতাদের। একটা সময়ে এরাই আধপেটা থেকে লড়াই বা আন্দোলন করেছিল। দেখা গেলো এদেরই পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষমতার সুখ পেয়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠলো সুখী জীবনযাত্রার। আজকে মমতা বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে এরা সেই সুখ পেতে দুর্বল বাম ছেড়ে দলে দলে একেবারে উল্টো পন্থা অর্থাৎ বিজেপিকে খুঁজে নিলো। আজ এই রাজ্যের বাম ভোটের ৮০ শতাংশ বিজেপির বাক্সে ভোট দিচ্ছে। এর ইনসাফ কোথায়? ইনসাফ পাওয়ার আগে নিজেরাই সাফ হয়ে গিয়েছে।
কাজেই মীনাক্ষীকে মুখ করে হয়তো বা ব্রিগেডে এক বা দেড় লক্ষ লোক আনতে পারবে সিপিএম কিন্তু এই ভিড়ের ১০% মানুষ কি সিপিএমকে আসন্ন লোকসভায় ভোট দেবে? বিশ্লেষকরা কিন্তু মোটেই আশাবাদী নয়। তাদের ধারণা একটিও আসন পাবে না বাম বা সিপিএম। বাকি জনতার অভিমত!
সৌমেন সুর: রবীন্দ্রনাথ জীবনের অনেকটা সময় বাংলাদেশের শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে কাটিয়েছেন। এখানে তিনি বহু রচনা করেছেন- যেমন, কবিতা, গল্প এবং পত্রাবলী। কবির বহু রচনায় এই স্থানগুলোর বর্ণনা আমরা পাই। বাংলাদেশের এই জায়গাগুলোয় যেতে ভারত থেকে দুভাবে শিলাইদহ শাহজাদপুর ও পতিসরে যাওয়া যায়। প্রথমতঃ কলকাতা থেকে বেনাপোল যশোর হয়ে বাসে বা ট্রেনে কুষ্টিয়া। এই কুষ্টিয়ায় করুন রাত্রি যাপন। কুষ্টিয়ার ঠাকুরবাড়ি, লালনের আখড়া দেখে দিন। সকালবেলা অটোতে বা ছোট গাড়িতে করে শিলাইদহে কুঠিবাড়ি, কাছারি বাড়ি, পদ্মার ঘাটে ঘুরে আবার চলে আসুন কুষ্টিয়ায়।
কুষ্টিয়া (ভেড়ামারা) থেকে ট্রেনে নাটোর হয়ে সান্তাহারে নেমে পাশের নওগাঁ শহরে রাত্রিযাপন। নওগাঁ থেকে পরদিন সকালে অটো বা ছোট গাড়িতে করে রানিবাঁধ হয়ে পতিসর যাওয়া যায়। তারপর নওগাঁ থেকে বাসে বগুড়া হয়ে সিরাজগঞ্জ, সেখান থেকে আবার বাসে শাহজাদপুর। শাহজাদপুরে কুঠিবাড়ি ও মখদুম মসজিদ দেখে বাসে করে কুষ্টিয়ায় ফিরে আসা। আবার উল্টোদিকে কুষ্টিয়া থেকে বাসে প্রথমে শাহজাদপুর দেখে বগুড়ায় গিয়ে রাত্রিযাপন করতে পারেন। বগুড়া থেকে বাসে রানীবাঁধ গিয়ে ছোট গাড়িতে করে পতিসর দেখে নেওয়া। ফেরার পথে নওগাঁয় অবস্থান করলে পাহাড়পুর দেখে নিতে পারেন। তারপর নওগাঁ বা বগুড়া থেকে সরাসরি বাসে কুষ্টিয়া হয়ে যশোর।
এই জার্নিটা যারা রবীন্দ্রপ্রেমী, তাদের সুবিধার্থে লিখে জানালাম। একবার পৌঁছলে আপনার মনের দরজায় কবি কড়া নাড়বেই, এ আমি হলফ করে বলতে পারি। ভ্রমনপিপাসু যারা তাদের পক্ষে রবীন্দ্রনাথকে কাছে পাবেনই। শিলাইদহ, শাহজাদপুর ও পতিসরে রবীন্দ্রনাথের বহু সমৃতি জড়িয়ে আছে। এই স্থানে পৌঁছালেই আপনার কাছে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তথ্যঋণ-নিখিল দাস।
রাজ (Raj Chakraborty) ও শুভশ্রীর (Subhashree ganguly) পরিবারে এখন খুশির হাওয়া। এমনিই ছেলে ইউভানকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন তাঁরা। তারই মাঝে আরও আনন্দ নিয়ে আসছে তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান। কিছুদিন আগেই দম্পতি সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের সন্তান আসার খবর দিয়েছিলেন। মাতৃত্বকালীন সময় চুটিয়ে উপভোগ করছেন অভিনেত্রী। এবার তাঁর মতো অন্যান্য হবু মায়েদের জন্যও সামাজিক মাধ্যমে টিপস দিলেন।
নিজের ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে একটি ছোট্ট ভিডিও আপলোড করেছেন শুভশ্রী। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জিম করছেন হবু মা। অভিনেত্রী ক্যাপশনে লিখেছেন, ' আপনার গাইনোকোলজিস্ট যদি সম্মতি দেন, তাহলে প্রেগনেন্সির সময় প্রত্যেকদিন একটু করে শরীরচর্চা করুন। এই শরীরচর্চা আপনাকে শান্ত রাখবে, ইতিবাচক রাখবে, সক্রিয় এবং সুন্দর থাকতে সাহায্য করবে।'
শুভশ্রীর প্রথম সন্তান ইউভান জন্মানোর আগে ও পরের জার্নি দেখেছেন সকলে। সন্তান জন্মানোর সময় স্বাভাবিকভাবেই ওজন বেড়েছিল অভিনেত্রীর। যদিও ছেলে হওয়ার পরেই সেই মেদ ঝরিয়ে আবারও আগের চেহারায় ফিরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। দ্বিতীয়বার আবারও সেই একই জার্নির মধ্যে দিয়ে যেতে চলেছেন শুভশ্রী।