নিয়োগ চাই মাননীয়া। চাই বঞ্চনার অবসান। এই দাবি যেন আজ শহরের খুব পরিচিত আন্দোলনের ভাষা। প্রায় রোজই প্রাপ্য চাকরি আদায়ের দাবিতে গর্জে উঠছে চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু মিলছে না কোনও সুরাহা। চোখ বুজিয়ে সিংহাসন আগলে বসে সরকার। আর জীবন বাজি রেখে রাজপথে দিন গুজরান হবু শিক্ষক-শিক্ষিকার। সরকারের হুঁশ ফেরাতে তাই বাধ্য হয়ে কয়েক মাস আগেই মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ২০১৬ এসএলএসটি উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। আবারও যেন সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখল বাংলা। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের ৫০০ তম দিনে মুখে কালি মেখে প্রতিবাদ ২০১৪ প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু বাস্তবে এই কালি কি সত্যিই তাদের প্রাপ্য? নাকি আজ এই কালি দুর্নীতির প্রতীক,সরকারের অক্ষমতার প্রতি যে কালি জানায় ধিক্কার?
তবে যে রাজ্যের সরকার দাবি করে, এগিয়ে বাংলা সেই রাজ্যে নিয়োগের দাবিতে রাজপথে প্রতিবাদ জানাতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের। আর অন্যদিকে নিয়োগ দিয়ে জনগণের মুখে হাসি ফোটায় বিহার। 'এগিয়ে থাকা বাংলা' কেন পিছিয়ে বিহারের থেকেও? জবাব চান চাকরিপ্রার্থীরা।
কারোর সংসারে একমাত্র আশার আলো ছেলে, আজ চাকরির দাবিতে পড়ে রয়েছে রাজপথে। কারোর আবার ছোট্ট ছেলেটাকে বাড়িতে রেখে দিনের পর দিন পথেই কাটাতে হচ্ছে দিন। নিয়োগযন্ত্রনার কাছে আজ যেন সব কিছুই ফিকে। তাই নিয়োগের জন্য লড়াইতে সামিল হয়েছেন অভিভাবকরাও। সন্তান কোলে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন এক চাকরিপ্রার্থী মাও।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটবাক্স ভরাতে আবারও সরকারের তরফে মিলবে ভুরি প্রতিশ্রুতি আর কিছু গালভরা আশ্বাস। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা সেসবে ভুলতে নারাজ। তাদের সাফ জবাব আশ্বাস-প্রতিশ্রুতি নয়, চাই নিয়োগ। নিজেদের গায়ে চাবুক মেরে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের।
বড়দিনে জোর ধাক্কা রাজ্যের। জামিন পেলেন চার চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগের (Recruitment) দাবিতে প্রতিবাদ করায় ইন্টারভিউ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের হয়েছিল হাজতবাস। আদালতের রায়ে মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের অন্তর্বতী জামিন হওয়ার পর অবশেষে জামিন পেলেন পুরুষ চাকরিপ্রার্থীরাও। দু'হাজার টাকার বন্ডে শর্তশাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। তবে সহযোদ্ধা হলেও সেদিন তাঁরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।
নিয়োগের দাবিতে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ইন্টারভিউ বঞ্চিত ২০১৪ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু প্রতিবাদ শুরু হতেই চাকরিপ্রার্থীদের দিকে ধেয়ে আসে পুলিসি বাধা। গ্রেফতার করা হয় ৫৯ জন চাকরিপ্রার্থীকে।তবে শনিবারই অন্তর্বর্তী জামিন পান ৫৫ জন মহিলা চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু জামিন মেলেনি পুরুষ চাকরিপ্রার্থীদের। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা ঝুলছিল তাঁদের উপর। এরপর আজ সোমবার তাঁদের জামিন দিল আলিপুর আদালত। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় বিক্ষোভ দেখানোর ফলে তাঁদের ফের পুলিসি হেফাজতে আবেদন করে রাজ্য পুলিস। কিন্তু এদিন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী জানান, 'কোনও ডেভেলপমেন্ট নেই। জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও আবেদন পুলিসের নেই। তাই আমরা জামিন চাইছি।' এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, 'বিভিন্ন স্কুলে শূন্য পদ পরে রয়েছে। ইন্টারভিউয়ের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়েছিল। মূলত এটা মহিলা চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ছিল। যে চারজন আছে জেলে। এদের দু'জনকে চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে এসেছে পুলিস। সিকিউরিটি ভাঙার কোনও বিষয় ছিল না। কিছুই রিকভারি হয়নি নতুন করে। আগের দিন ৫৫ জন জামিন পেয়েছেন। তাহলে এদের চার জনের কেন হবে না?' এরপরই তাঁদের ওই চার চাকরিপ্রার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় পৌঁছে গেলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি কালীঘাটে। শুক্রবার চাকরির দাবিতে আন্দোলন এবার কার্যত পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়। অন্তত আধঘণ্টা পুলিস-চাকরীপ্রার্থীর টানাপোড়েনে শীতের শহরের উত্তাপ বাড়ল। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রতিবাদ ইন্টারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরেই চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করতেই পুলিস সক্রিয় হয়ে ওঠে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির নিচে অবস্থানে থাকা চাকরীপ্রার্থীদের টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তোলা হয়। এতেই পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে ওঠে।
দীর্ঘ ৫৫৫ দিন ধরে অবস্থানে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। ইন্টারভিউতে পাশ করার পরেও এখনও নিয়োগ অধরা। দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা নিয়ে মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়োগ করতে হবে। এরই পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হোক। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু নিয়োগ করা হচ্ছে না কেন? এই দাবিতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরতেই এই বিক্ষোভ।
আবার বিক্ষোভস্থলে পুলিস বাধা দিলে চাকরিপ্রার্থীরা পুলিসের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরই চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে টেনে-হিঁচড়ে সরানো হয় রাস্তা থেকে, তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী আহত হন। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েন তাঁরা।
এবারে ইডির তলব বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদবকে। তেজস্বী যাদব বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, জমি দিয়ে রেলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বুধবার তলব করেছে আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর দ্বিতীয় পুত্র তেজস্বীকে।
এই মামলায় এর আগেই বাবা ও ছেলেকে জেরা করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় বেআইনি পথে অর্থ লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। জানা গিয়েছে, লালু প্রসাদকে শুক্রবার অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর এবং তেজস্বীকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর দিল্লির ইডি অফিসে যেতে বলা হয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুই নেতাকে গ্রেফতার করতে পারে তদন্তকারী সংস্থাটি। বর্তমানে পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় লালুপ্রসাদ জামিনে মুক্ত। তাঁর জামিন খারিজ করে ফের জেলে পাঠাতে তৎপর সিবিআই। তারা দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে। এরই মাঝে ফের বিপাকে আরজেডি সুপ্রিমো ও তাঁর ছেলে।
বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফের লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল শহর কলকাতায়। চাকরি দেওয়ার ফাঁদ পেতে প্রতারণার করার অভিযোগে এবারে গ্রেফতার এই চক্রের মূল পান্ডাকে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি সল্টলেকের। জানা গিয়েছে, এই চক্রের মূল পান্ডার নাম সুশান্ত নায়েক, রানাঘাটের বাসিন্দা।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ২২ মে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-এর বন্ধন ব্যাঙ্কের হেড অফিসের ফ্রড কন্টাইনমেন্ট এন্ড মনিটরিং ডিপার্টমেন্টের হেড মেহুল হাসমুখ লাল ঠাক্কার বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, তাঁদের ব্যাঙ্কের এক কাস্টমার ইপ্সিতা ভট্টাচার্য ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারের নম্বরে একটি অভিযোগ করেন। যেখানে ঈপ্সিতা ভট্টাচার্য দাবি করেন, তিনি shine.com নামের একটি ওয়েবসাইটে চাকরির সন্ধান পান। এর পর সেখানে তাঁর সিভি জমা করেন এবং তার কিছুদিন পরেই সেই ওয়েবসাইটের তরফ থেকে তাঁকে মেইল মারফত জানানো হয় বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরির বিষয়ে। সেই চাকরির জন্য তাঁকে যোগাযোগ করতে বলা হয় একটি নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে। তিনি সেই মোতাবেক সেই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তাঁকে বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হয় এবং তাঁর কাছে বিভিন্ন খাতে টাকা চাওয়া হয়। তাদের কথায় বিশ্বাস করেন ও বন্ধন ব্যাঙ্কে চাকরির আশ্বাস পেয়ে ওই চাকরিপ্রার্থী এক লক্ষ বাইশ হাজার টাকা সেই প্রতারকদের হাতে তুলে দেন। তার পরিবর্তে প্রতারক দল তাকে ফেক অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার এবং ফেক অফার লেটার পর্যন্ত দেয়।
বন্ধন ব্যাঙ্কের তরফ থেকে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানো হয়, শুধু অফার লেটার বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ভুয়ো নয় তারা যে মেইল আইডি ব্যবহার করে মেইল করছে সেটিও ভুয়ো। এর পর পুলিস তদন্তে নামে ও এর আগেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। তারপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মূল পান্ডার খোঁজ পায় পুলিস। তার পরেই মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাকে বিধান নগর কোর্টে তোলা হবে এবং পাঁচ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানানো হবে।
আজ, বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বসেছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে দ্রুতই ১২ হাজার পুলিস কনস্টেবল নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে পুজোর আগে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে কি তবে হাসি ফুটবে?
স্পেন সফর সেরে ফেরার পর পায়ে আঘাতের কারণে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের বদলে তাঁর বাড়ি থেকেই সারছেন প্রশাসনিক কাজকর্ম। ১২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতেই হয় মন্ত্রীসভার বৈঠক। সেই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১২ হাজার পুলিস কনস্টেবল, যার মধ্যে ৮৪০০ পুরুষ ৩৬০০ মহিলা নিয়োগ করা হবে। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে এবার প্রকাশও করা হবে বিজ্ঞপ্তি। এমনটাই সূত্রের খবর। আবার পাশাপাশি অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের কথাও ঘোষণা করা হয় এদিন।
এর আগেও নবান্ন থেকে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, যা এখনও প্রতিশ্রুতি হয়ে রয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে ফের একবার প্রতিশ্রুতি, যা কী সত্যিই হাসি ফোটাবে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে, নাকি অন্যান্য বারের মত দুস্বপ্ন হয়েই রয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার।
পুজো আসে, পুজো যায়। কিন্তু অধরাই থাকে নিয়োগ। ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) পরীক্ষার পর কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। কিন্তু তার পরেও হয়নি নিয়োগ। ফলে নিয়োগের দাবিতে বুধবার থেকে রাতভর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। পুজোর আগে দাবি পূরণ না হলে পুজো মণ্ডপগুলিতে গিয়ে সরব হবেন নিয়োগের দাবিতে, হুঁশিয়ারি চাকরিপ্রার্থীদের।
সময়কাল ২০০৯ থেকে ২০২৩। দীর্ঘ ১৪ বছর তাঁদের মেলেনি নিয়োগ। চরম বঞ্চনা নিয়েই দিন গুজরান ২০০৯ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের। কখনও বাণিজ্যিক সম্মেলনে বিদেশে পাড়ি, আবার কখনও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজ্য সরকার পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চনা নিয়ে ভাবার ফুরসত হয়নি তাঁদের। ফলে বাধ্য হয়েই নিয়োগের দাবিতে বুধবার থেকে রাতভোর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলছে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। পরিস্থিতি খতিয়ে বুধবার রাতেই বিক্ষোভ স্থল ঘুরে দেখলেন ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের মামলা করার কোনও ইচ্ছা নেই। তাঁরা শুধু যোগ্যতার মূল্য ফিরে পেতে চান। বিক্রি হয়ে যাওয়া চাকরি ফিরে পেতে চান তাঁরা পুজোর আগেই। দাবি পূরণ না হলে অব্যাহত থাকবে আন্দোলন। আগামী দিনে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতিকেও জমা দেবেন ডেপুটেশন। আপাতত ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায় মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে কোন বার্তা নিয়ে আসে সেদিকেই তাকিয়ে ২০০৯ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা।
পুজোর আগেই আপার প্রাইমারিতে (Upper Primary) নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) আন্দোলনে উত্তপ্ত করুণাময়ী চত্বর। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন তাঁদের নিয়োগের দাবিতে। এদিনও কিছু ব্যতিক্রম হল না। বুধবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন করেন। কিন্তু এই বিক্ষোভের সময়ই পুলিসি বাধার মুখে পড়ে চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিসের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কার্যত তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের হুঁশিয়ারি, পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। নইলে এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে। শুধুমাত্র করুণাময়ীতে নয়, কালীঘাটেও বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা।
২০১৫ সালে আপার প্রাইমারির পরীক্ষা হলেও নিয়োগ এখনও অধরা। নিয়োগের দাবিতে করুণাময়ীতে প্রতিবাদে সরব চাকরির প্রার্থীরা। সূত্রের খবর, বুধবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে বের হতেই তাঁদের পুলিসি বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পুলিসের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কিছু চাকরিপ্রার্থীদের টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তাঁদের হাতে ঘট ও গঙ্গাজল নিয়ে এক অভিনব উপায়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা থেকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেও তাঁদের নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘদিন তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করেও সুরাহা হয়নি। তাই তাঁদের হুঁশিয়ারি, পুজোর আগে নিয়োগ-কাউন্সিলিং-এর নোটিস দিতে হবে, নইলে এই আন্দোলন বৃহত্তর আকার নেবে। তবে এদিন তাঁদের পুলিসি বাধার সম্মুখীন হতে হলেও তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
করুণাময়ীর পাশাপাশি এদিন কালীঘাটেও বিক্ষোভ দেখান আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই পুলিসি বাধার মুখে পড়ে তাঁরা। কালীঘাট থানার পুলিসের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর পর তাঁদেরও টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
সরকারি চাকরি (Government Jobs) ক্ষেত্রে এবারে মহিলাদের ৩৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করার ঘোষণা করা হল। তবে এই রাজ্যে নয়, ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) এমনটা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই মধ্য়প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) হতে চলেছে। আর তার আগেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সে রাজ্যের মহিলাদের জন্য এক খুশির খবর দিলেন। বুধবার এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, এবার থেকে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করা হবে মহিলাদের জন্য।
সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশ সিভিল সার্ভিসেস রুলস, ১৯৯৭-এর অনুযায়ী, একমাত্র বন দফতর ছাড়া অন্য সরকারি ক্ষেত্রগুলিতে মহিলাদের জন্য ৩৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমস্ত বর্ণের মহিলাদের এই সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। নারীদের ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বী করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিল পাশ করানো হতে পারে বলে শাসকদল সূত্রের খবর।
নির্বাচনের আগে বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের মহিলাদের মন জয় করতেই এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবরাজ সরকারের, এমনটাই অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে নবান্নে বসে ৬০ হাজার গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর ২০১৭ সালের ২০ মে ১৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেন। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন মাত্র ১৮ হাজার জন। ইন্টারভিউয়ের চূড়ান্ত প্যানেলে ৫ হাজার ৪২২ জনের নাম এলেও বাকিদের ওয়েটিং লিস্ট আজও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। আর তারপর ১০০ দিন নয়, ২০০ দিন নয়, ৪০০ দিন। ৪০০ দিন ধরে তারা বসে রয়েছেন মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে। কিন্তু তাদের মঞ্চে একবারও যাওয়ার সময় হয়নি শিক্ষামন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর। অথচ তাদের দফতর মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব দফতর এবং সেখানে নেই কোনও আইনি জটিলতা, এমনটাই দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।
এর আগেও তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে ১৯ জুলাই শহীদ মিনার থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত তারা মিছিল করেছেন শহরের রাজপথে। ফের দ্বিতীয়বার হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে থেকেই মিছিলে সামিল হলেন রাজ্য গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, ভুতুড়ে এসএমএসের মাধ্যমে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের হয়েছে নিয়োগ। যোগ্য মেধার দাম চাই, পুজোর আগে অবিলম্বে নিয়োগ চাই।
মিছিল সামাল দিতে বুধবার রাস্তায় দেখা গেল হাজার হাজার পুলিসকর্মীকে। বুধবার ক্যামাক স্ট্রিট এবং থিয়েটার রোড সংলগ্ন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকেই মিছিলে হাঁটতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়ে মিছিল যাওয়ার জন্য ক্যামাক স্ট্রিটের রাস্তায় ছ'ফুটের জায়গা দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। খালি গায়ে স্লোগান লিখে ধুনো জ্বালিয়ে হাতে মশাল নিয়ে মিছিলে সামিল হতে দেখা যায় চাকরিপ্রার্থীদের।
শুধু চাকরিপ্রার্থীরাই নন, মিছিলে শামিল হন তাদের অভিভাবকেরাও। তাদের স্পষ্ট দাবি, লক্ষীর ভান্ডার তাদের চাই না, বরং তার পরিবর্তে চাকরি দেওয়া হোক গ্রুপ ডি যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। এদিনের মিছিল থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের I.N.D.I.A জোটকেও কার্যত কটাক্ষ করলেন রাজ্য গ্রুপ ডি মহিলা চাকরিপ্রার্থীরা। এক বিশেষ ধরনের ব্যানার সম্বলিত পোশাকে ব্যারিকেড করে একসঙ্গে তারা মিছিলে সামিল হন।
তাদের আরও দাবি, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিল আনছে সেখানে রাজ্যের মহিলা চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ দুর্নীতির কারণে চাকরি থেকে বঞ্চিত। এদিনে রাজ্য গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে সামিল হন কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। নিজাম প্যালেস এবং এক্সাইড মোড় ঘুরে মিছিল এসে শেষ হয় হাজরা মোড়ে। চাকরিপ্রার্থীদের এই মিছিলের পদধ্বনি এবং স্লোগান কি আদৌ পৌঁছল রাজ্য প্রশাসনের কানে? রাজ্য প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে যে বৃহত্তর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, তা যেন ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন রাজ্য গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা।
রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষার্থে এক কড়া পদক্ষেপ নিল রাজস্থান সরকার (Rajasthan Government)। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ঘোষণা করেন, রাজ্যে যারা যৌন নির্যাতন, অশ্লীলতার মত অপরাধে অভিযুক্ত, তাদের সরকারি চাকরি (Government Jobs) থেকে বঞ্চিত রাখা হবে। অর্থাৎ যৌন নির্যাতনে অপরাধী, অভিযুক্তরা সরকারি চাকরি করতে পারবে না। এমনটাই মঙ্গলবার ঘোষণা করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
গত কয়েক বছরে রাজস্থানে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েই চলেছে। যৌন নিগ্রহ, যৌন নির্যাতন, হেনস্থা, অশ্লীল আচরণের মত ঘটনা বেড়েই চলেছে। ফলে অপরাধী বা অভিযুক্তদের 'শাস্তি' দিতে এমন সিদ্ধান্ত রাজস্থান সরকারের। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেসকে একাধিকবার কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এরপরই আসন্ন ভোটের আগেই এমন পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল।
অশোক গেহলট মঙ্গলবার টুইট করে লিখেছেন, 'রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যৌন নির্যাতন, হেনস্থা এইসব অপরাধে অভিযুক্তদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না।' তিনি আরও জানিয়েছেন, এসব অপরাধীদের নথিও রাখা হবে থানায়। এমনকি রাজ্য সরকার ও পুলিসের তরফে যে তাদের চরিত্রের যে শংসাপত্র দেওয়া থাকবে, সেখানে অপরাধগুলোর বিষয় উল্লেখ থাকবে।
দুবাইতে (Dubai) কাজে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৪৫ জন বাঙালি (Bengali)। বাড়ি ফিরতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ (Social Media) মাধ্যমে তাঁরা করুণ আর্তি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) সেই ভিডিও। জানা গিয়েছে, ওই ৪৫ জনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া সহ বিভিন্ন জেলায়। সোমবার সিএন এই খবর সম্প্রচার করে। সেই খবর দেখে বুধবার সকালে মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর প্রতারিতদের পরিবারের লোকজনকে ডেকে পাঠালেন। আর দুবাইতে আটকে পড়া সকলকে ফেরাবে বলে তাদের আশ্বস্ত করলেন তিনি।
আটক ওই বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি, নদিয়ার একজন এজেন্ট নাজমুল তাঁদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নেয় দুবাই শহরে কাজ দেবে বলে। গত একমাস আগে তাঁদেরকে দুবাইতে নিয়ে গিয়ে একটি হোটেলে রেখে পাসপোর্ট কেড়ে নেয়। কোনও রকম কাজও দেয় না বলে অভিযোগ। বর্তমানে অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। এরফলে বাড়ি ফেরার কাতর আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা। দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবার পরিজনেরা।
দেশের যুব তরুণদের কর্মসংস্থান দিতে কেন্দ্র সরকারের এক বড় পদক্ষেপ হল রোজগার মেলা (Rozgar Mela)। ১৬ মে,মঙ্গলবার ফের রোজগার মেলা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৭১ হাজার চাকরিপ্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আজ, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন ও বক্তৃতা রাখলেন। দেশের মোট ৪৫ টি জায়গায় রোজগার মেলা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
২০২২ সালে কেন্দ্র সরকারের তরফে এই রোজগার মেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এরপর ধাপে ধাপে দেশের যোগ্য ছেলে-মেয়েদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। দেশের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ও তাঁদের কর্মসংস্থানের জন্য নরেন্দ্র মোদী এই রোজগার মেলার উদ্বোধন করেছিলেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি মতই চাকরিপ্রার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নিয়োগপত্র। আর এবারে ৭১ হাজার পুরুষ-নারীদের হাতে এই নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। এই নিয়ে মোট ৫ বার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, এই উদ্যোগকে সমর্থন করে, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিভিন্ন বিভাগগুলিতে নিয়োগ করা হচ্ছে।