ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের আইনি জট। আগামী ৮ ডিসেম্বর হচ্ছে না আস্থা ভোট। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, চেয়ারম্যানকে অপসারণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ঝালদা পুরসভার চেয়ারপারসনের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। চেয়ারপারসন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ও ২ কংগ্রেস কাউন্সিলরের দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। পুরবোর্ড দখলের লড়াইয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই সরগরম পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা। যে ঘটনায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব । উল্লেখ্য, ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভায় বর্তমানে সমীকরণ রয়েছে তৃণমূল ১০ এবং কংগ্রেস ২। পুরপ্রধান পদে রয়েছেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদানকারী শীলা চট্টোপাধ্যায়। এমত অবস্থায় গত ২৩ নভেম্বর পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে পৃথক পৃথক ভাবে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ঝালদা পুরসভার ২ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলর।
সেই মামলাতেই ৩০ নভেম্বর বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আস্থা ভোট করাতে হবে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তার মাঝে পুরসভা যেমন চলছে, তেমনই চলবে। বুধবার এই নির্দেশ খারিজ করে দেয় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৮ ডিসেম্বর আস্থাভোট হচ্ছে না বলেই জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, বিগত পুর নির্বাচনে ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভায় কংগ্রেস ৫, তৃণমূল ৫ এবং নির্দল ২টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে। বোর্ড গঠনের ঠিক আগে ২০২২ সালের ১৩ মার্চ দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। তারপর থেকেই শুরু দীর্ঘসূত্রিতার আইনি জট।
ঝালদা পুরসভার কুরশি কার! কখনও তৃণমূলের, কখনও বা কংগ্রেসের। কিন্তু শেষমেশ এই কুর্শিতে কে বসবে সেটা ঠিক করতে হবে ৮ই ডিসেম্বরের মধ্যে, এমনটাই নির্দেশ হাইকোর্টের। বৃহস্পতিবার ঝালদা পুরসভার দুটি পৃথক মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিন জাস্টিস সিনহা নির্দেশ দেন, ৮ই ডিসেম্বরে মধ্যে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোট করতে হবে। এমনকি যাতে সাধারন মানুষের কোনও বিঘ্ন না ঘটে সেই জন্য বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ, এই আস্থা ভোট শেষ হবার আগে পুরসভা যেমন চলছে, তেমনই চলবে। এছাড়া তিনি আরও নির্দেশ দেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে অর্থাৎ ১২ই ডিসেম্বর আস্থা ভোট সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে জেলা শাসককে।
২০২২ সালে পুরভোট শেষ হলেও, ঝালদা রাজ্যের একমাত্র পুরসভা যেখানে কুর্শির দখল নিয়ে লড়াই এখনও চলছে। কখনও মন, কখনও মতি, ঠিক সেরকম ভাবেই দল বদলান ঝালদার কাউন্সিলরদের কেউ কেউ। ফলে পুরসভার নিয়ন্ত্রক শক্তিও বদলে যায় যখন তখন। মোট ১২টি আসন এই ঝালদা পুরসভায়। গত পুরভোটে তৃণমূল ও কংগ্রেস এখানে যথাক্রমে ৫টি করে আসনে জেতে। নির্দল পায় বাকি ২টো। এই নির্দলই বারবার খেলা ঘুরিয়েছে ঝালদার। বিশেষ করে শীলা চট্টোপাধ্যায় কখনও কংগ্রেসে সমর্থন দিয়েছেন, কখনও তৃণমূলে। হাইকোর্টের নির্দেশে গতবার আস্থা ভোটে এই শিলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে ৭-০তে জয় লাভ করে কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে। কিন্তু শিলা ফের তৃণমূলে যোগদান করলে কংগ্রেস অনাস্থা আনে।
শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু ও বিপ্লব কয়াল। এদিন কংগ্রেস কাউন্সিলরদের পক্ষে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলেন, 'ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের অপসারণ চেয়ে পাঁচজন তৃণমূল কাউন্সিলর ও দুই কংগ্রেস কাউন্সিলরের দু’টি পৃথক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality Row) নিয়ে হাইকোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যর। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান বদল। এবার রাজ্যের নিয়োগ করা কাউন্সিলরকে সরিয়ে আপাতত পূর্ণিমা কান্দুকে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করল আদালত (Calcutta High Court)। এই মুহূর্তে ঝালদা পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শুক্রবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আস্থা ভোটে জিতে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এসডিও-র বিজ্ঞপ্তিতেও আগামি শুনানি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ আদালতের। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, ১৮ জানুয়ারি ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করে সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদে বসায় রাজ্য। এই দুটি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস শিবির। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে কোর্ট জোড়া সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করেছে আদালত।
আদালতের প্রশ্ন, 'বারবার হেরে যাওয়া দলের লোককে কেন চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হচ্ছে।' এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। তিনি জানান, আমরা এই পর্যবেক্ষণে খুশি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, হাইকোর্টের এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশে কাউন্সিলর পদে বহাল থাকলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের তরফে নিয়োগ করা ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকার অপসারিত হয়েছেন।
২০২২-র পুর ভোটের পর থেকেই খবরে শিরোনামে পুরুলিয়ার এই শহর। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোটে জিতে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এই নিয়োগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দলবিরোধী আইনে তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করে রাজ্য।
দীর্ঘ জটিলতার পর অবশেষে ঝালদায় (Jhalda Municipality) বোর্ড গঠন কংগ্রেসের (Congress), চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। ৭-০ ভোটে জিতে বোর্ড গঠন করেছে হাত শিবির। কংগ্রেস এবং নির্দল কাউন্সিলররা শীলা দেবীর পক্ষেই ভোট দেন। সোমবার পৌরসভায় উপস্থিত থাকলেও আস্থা ভোটে অংশ নেয়নি তৃণমূল কাউন্সিলররা (TMC)। হাইকোর্টের নির্দেশে নির্ঘণ্ট মেনে ঝালদায় পৌরপ্রধান নির্বাচন হয় সোমবার। ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভা গত বছর থেকে খবরের শিরোনামে। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যার পর থেকে খবরের শিরোনামে পুরুলিয়ার এই শহর।
জানা গিয়েছে, যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশে এই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া, তাই মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। এদিকে, ঝালদা মহকুমার এসডিও রীতম ঝায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো।
তবে ঝালদা পৌরসভার অপসারিত পৌরপ্রধান সুরেশ আগারওয়াল এই প্রসঙ্গে বলেন, 'প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন হয়নি। তাই প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বেড়িয়ে এসেছেন ব্যালট নিয়ে। তারা পুরো বিষয়টি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।' উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে সোমবার অর্থাৎ পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভায় পৌরপ্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রবিবার থেকেই এলাকায় পুলিসি নিরাপত্তা জারি ছিল। ঝালদা পৌরসভার ২০০ মিটার জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। গোটা ঝালদা শহরজুড়ে মোতায়ন ছিল পুলিস বাহিনী।
ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) চেয়ারম্যান নিয়োগ প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে (Calutta High Court) বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের (Mamata Government)। আগামি ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার। ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতরের জারি বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের। পুরুলিয়ার জেলা শাসক আপাতত প্রশাসক হিসেবেই কাজ করবেন।
ঝালদা পুরসভায় আস্থা ভোটের পরেও রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছেন এক তৃণমূল কাউন্সিলর। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী কাউন্সিলররা। আজ দুপুর দুটোয় মামলার শুনানি হয়েছে। এদিকে, আস্থা ভোটে জিতে ঝালদা পুরসভার বিরোধী শিবির পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে শিলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
রাজ্য সরকার ২ ডিসেম্বর একটি নোটিফিকেশন করে তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে সেই জায়গায় নিযুক্ত করেন। এই পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার বহির্ভূত, হাইকোর্টে এমনটাই অভিযোগ মামলাকারীর আইনজীবীর।
এদিন শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হলো যে রাজ্য সরকারকে তড়িঘড়ি প্রশাসক বসাতে হলো? চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য ৭ দিনের সময়সীমা ছিল।
একটি পুরসভা (Municipality) কিন্তু দু'জন পুরপ্রধান। বর্তমানে এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality)। শুক্রবারই রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতর ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC) জবা মাছুয়াকে নিয়োগ করেছে। আর শনিবার কংগ্রেস (Congress) নতুন পুর বোর্ড গড়ে নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুর চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছে। এখন এই জটিলতার মধ্যে কোন চেয়ারম্যান বৈধ সেদিকে তাকিয়ে ঝালদাবাসী।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের পৌর আইনের ১৯৯৩ সালের ১৭/৪ ধারা মেনে জবা মাছুয়াকে নিয়োগ করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। যতক্ষণ না নতুনভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে, ততক্ষণ ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে সামলাবেন দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার জবা মাছুয়া। পুরও নগরোন্নয়ন দফতর এই বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জেলাশাসক-সহ ঝালদা পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জবা মাছুয়ার এর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, কংগ্রেসের তরফে নির্বাচিত পুর চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায় জানান, আমি ঝালদার মানুষকে স্বচ্ছ পুর পরিষেবা দেব। আমার সঙ্গে থাকার জন্য কংগ্রেসকে ধন্যবাদ।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য সম্প্রতি ঝালদা পৌরসভার তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালকে অনাস্থা প্রস্তাব এনে অপসারিত করা হয়েছে। পুরসভায় আয়োজিত আস্থা ভোটে চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোট পড়ে ৫ জনের, বিপক্ষে ভোট পড়ে ৭ জনের। স্পষ্টতই আস্থা ভোটে জিতে বোর্ড গঠনে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসের ঘোষিত সেই কর্মসূচির একদিন আগে অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরকে চেয়ারম্যান নিয়োগ রাজ্যের।