
অভিনেতা জীতু কমলের (Jeetu Kamal) জীবনে যেন বিচ্ছেদের সময়। মাস কয়েক আগেই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতার স্ত্রী নবনীতা দাস বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন। জীবন সঙ্গীকে ছুটি দিয়ে, এবার আরও এক সঙ্গীকে ছুটি দিলেন জীতু কমল। নবনীতার সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে মুখ খোলেননি অভিনেতা। তবে এই সঙ্গীকে হারিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মনের দুঃখ প্রকাশ করে ফেললেন জীতু।
জীতু এবার তাঁর অর্থ দিয়ে কেনা প্রথম গাড়িটিকে বিদায় জানালেন। সামাজিক মাধ্যমে প্রিয় লাল গাড়িটির কয়েকটি ছবি আপলোড করেছেন অভিনেতা। ভালোবেসে গাড়িটির নাম দিয়েছিলেন, 'লাল ষাঁড়'। ছবিগুলি দিয়ে জীতু ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমার আরেক প্রিয়’র ছুটি হলো। অনেক উঠা-পড়ার সাক্ষী ছিলো এই লাল ষাঁড়। বহু রাতের আশ্রয়ও ছিল আমার ৭২৭২... আজ মিলিয়ে যাওয়ার সময় সত্যিই চোখটা চিক-চিক করে উঠেছিল। কেন! তা লিখে বা বলে বোঝাতে অক্ষম বন্ধু। ছোট্ট ছিলো, কিন্তু বড্ড আপন ছিলো।'
ছোট পর্দা দিয়ে অভিনয় জগতে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেতা। 'অপরাজিত' সিনেমায় কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। এরপরেই একাধিক সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। জীতুর পরবর্তী সিনেমায় আরও একটি চমক থাকবে। ভিন্ন ধারার, একেবারে নতুন একটি গোয়েন্দা চরিত্র নিয়ে হাজির হবেন অভিনেতা।
টলিউড ধারাবাহিক জগতের জনপ্রিয় মুখ জিতু কমল (jeetu Kamal) এবং নবনীতা দাস (Nabanita Das)। অভিনেতা -অভিনেত্রী হিসেবে, দম্পতি হিসেবে, তাঁদের খুব পছন্দ করেন দর্শকেরা। যদিও কিছুমাস আগে নবনীতা জানিয়েছেন, জীবনের পথে তিনি আর জিতুর সঙ্গে হাঁটছেন না। তাঁদের পথ আলাদা হয়েছে, সংসার আলাদা হয়েছে। জানা গিয়েছিল, বেশ কিছু মাস ধরেই আলাদা থাকছিলেন দুজনে। কিন্তু বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে ভিন্ন সুরে গান গেয়েছিলেন জিতু। সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতা, নবনীতার উদ্দেশে লিখেছিলেন, 'বাচ্চা বউ, আগেও সামলেছি, পরেও সামলাব।'
এরপর আসে নবনীতার জন্মদিন। বউয়ের জন্মদিনের পুরোনো একটি ভিডিও আপলোড করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু ২৮ অগাস্ট, জিতুর জন্মদিনের সকাল থেকে শুভেচ্ছা জনাতে দেখা যায়নি নবনীতাকে। সকলে যখন আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখনই পোস্ট করেন নবনীতা। জিতুর একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে নবনীতা লেখেন, 'শুভ জন্মদিন'।
এই পোস্টের পর থেকেই নেট দুনিয়ায় আবারও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিচ্ছেদের পরও একে অপরের প্রতি এই তারকা দম্পতিরা যেভাবে সম্মান প্রদর্শন করছেন, তাতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন নেটিজেনরা। তাঁরা প্রার্থনা করছেন, জিতু ও নবনীতা যেন সব মিটিয়ে নিয়ে আবারও এক হন।'
টলিউড অভিনেত্রী নবনীতা দাসের (Nabanita Das) জন্মদিন ৩ অগাস্ট। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর ভক্তরা বুধবার রাত থেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি অভিনেত্রীর স্বামী জীতু কমলও (Jeetu Kamal)। সামাজিক মাধ্যমে একটি বিশেষ পোস্ট দিয়েছেন জীতু। একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন নবনীতার জন্মদিনের। মাঝ রাতে নবনীতাকে দিয়ে কেক কাটিয়েছিলেন জীতু। কেকের উপর জ্বলজ্বল করছে, 'শুভ জন্মদিন বউ'। যদিও সেই ভিডিও নতুন নয়, ২০২০ সালের।
সেই বছর জন্মদিনের পোস্ট শেয়ার করে জীতু লিখেছিলেন, 'শুভ জন্মদিন বউ। কে পাশে থাকবে, কে কাছে, কে ছিল, তাতে আমার কিচ্ছু এসে যায় না।' তবে তিন বছরে তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে গিয়েছে অনেকটা। কিছুদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমে নবনীতা, জীতুর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন। যদিও জীতু এরপরই প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, 'আমার বাচ্চা বউকে আমি আগলে যাব।' তবে নবনীতা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিন মাস ধরেই তাঁরা আলাদা থাকছেন। ভিডিওটি একই থাকলেও, সেই স্মৃতি শেয়ার করে জীতু লিখেছেন, 'খুব খুব ভালো থেকো'।
বিচ্ছেদ ঘোষণার পরেও জীতুর প্রতি সম্মান বজায় রাখতে চাইছেন নবনীতা। অন্যদিকে জীতুও বলেছেন, 'আমার বউ সম্পর্কে কোনও নিন্দা শুনব না।' তাঁদের সম্পর্কের রূপরেখা আপাতত কোনদিকে যাবে তা একমাত্র তারকারাই জানেন। তবে জীতুর এই পোস্ট দেখে দর্শকেরা আবারও তাঁদের প্রিয় জুটির প্রেমে পড়েছেন। অনেকেই এই পোস্টের নিচে জীতুকে লিখেছেন, 'আবারও প্লিজ নবনীতার সঙ্গে আগের মতো হয়ে যান।'
চলতি বছরের ২৯ জুন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নবনীতা দাস (Nabanita Das) আচমকাই ঘোষণা করেন তাঁর ও স্বামী জিতু কমলের (Jeetu Kamal) সম্পর্কে ভাঙন এসেছে। তাঁদের খুব শীঘ্রই বিচ্ছেদ (Divorce) হতে চলেছে। এরপরই তাঁদের অনুরাগীদের মন ভেঙে যায়। তবে জিতু বিচ্ছেদ নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেও তিনি একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করেছেন। যা দেখে বোঝাই যায় তাঁর মনের অবস্থা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারও এমনই এক পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করলেন, যা দেখার পর চিন্তায় তাঁর অনুরাগীরা।
জিতু বৃহস্পতিবার ফেসবুকে কিছু লাইন লিখে শেয়ার করেছেন। অনুরাগীদের একাংশের দাবি, তাঁদের এই বিচ্ছেদ হওয়ার পিছনে জিতুর কোনও দোষ নেই। জিতু লেখেন, 'আমি ভাবুক, ইচ্ছুক নই/ আমি প্রেমিক, বিকৃত নই/ আমি চিন্তন, চিরন্তন নই/ আমি সৃষ্টিশীল, সৃষ্টিকর্তা নই/ আমি দোষারোপ, দোষী নই।।।' আর এই লেখা পোস্ট করার পরই জিতুর মানসিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় তাঁর ভক্তরা। এই লাইনগুলোর মাধ্যেমে তিনি আসলে কী বার্তা দিতে চােয়েছেন, সেই নিয়েই ধন্দে রয়েছেন নেটিজেনরা। তবে তাঁর অনুরাগীদের একটাই আশা, জিতু ও নবনীতার এই সম্পর্ক যাতে না ভাঙে।
টলিউড ধারাবাহিক জগৎ থেকে উত্তরণ হয়েছিল অভিনেতা জীতু কমল (Jeetu Kamal) এবং অভিনেত্রী নবনীতা দাসের (Nabanita Das)। তাঁদের রিল জীবনের রোম্যান্স গড়িয়েছিল রিয়েল লাইফেও। বিয়ে করে সুখে সংসার করছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁদের বিচ্ছেদের আগুন যেন দাবানল ছড়িয়েছে ভক্তদের মনে। এই বিয়েতে আর থাকতে চাইছেন না নবনীতা। তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে অভিনেতা জীতু 'বাচ্চা বৌ' (নবনীতাকে) আগলে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছেন।
সুন্দর সম্পর্কে কেন হঠাৎ বিচ্ছেদ এলো, এই নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে বিগত দিনগুলি ধরে। কেউ বলছেন, ছোট পর্দা থেকে জীতুর বড় পর্দায় যাওয়া কাল হয়েছে সম্পর্কের জন্য। আবার অনেকে বলছেন, জীতু জড়িয়ে পড়েছেন তাঁর সিনেমার অভিনেত্রীর সঙ্গে। 'অপরাজিত' সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে সফল ডেবিউ করে জীতু এবার বেশ কয়েকটি চরিত্রের জন্য তৈরি হচ্ছেন। শ্রাবন্তীর সঙ্গে তাঁর সিনেমা মুক্তি পাবে কিছু দিনে। অন্যদিকে ঋতাভরীর সঙ্গেও নতুন সিনেমায় দেখা যাবে তাঁকে।
নতুন জল্পনা, জীতুকে বড় পর্দায় চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরী হচ্ছেন নবনীতা। মঙ্গলবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে প্রযোজক রানা সরকারের সঙ্গে একটি নিজস্বী পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। সেই থেকেই টলি পাড়ায় গুঞ্জন, অভিনেত্রী এবার সিনেমায় আসবেন কী? পরিচালক সামাজিক মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি নবনীতাকে নিয়ে ছবি বানাতে চান। নতুন পরিচালকের হাতেই নাকি দায়িত্ব দেবেন। ভালো সিনেমার কাজ পেলে, নবনীতা ধারাবাহিকে অভিনয় করা কমিয়ে দেবেন, বলেও জানিয়েছেন রানা।
বেশ কয়েকদিন ধরেই টলিপাড়ায় চর্চায় রয়েছেন জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও নবনীতা দাস (Nabanita Das)। দু'জনের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইহই পড়ে যায় টলিপাড়ার অন্দরে। তাঁদের অনুরাগীদেরও মন ভেঙে যায়। তবে তাঁদের বিচ্ছেদের খবর নবনীতা নিজে মুখে প্রকাশ করলেও জিতু এখনও এই কথা প্রকাশ্যে বলেননি। কিন্তু তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টের মধ্যেই বুঝতে পারা যায়, এই সম্পর্কের বিচ্ছেদ নিয়ে তেমন কিছুই বলতে চান না তিনি । কিন্তু এবারে ফের এক পোস্ট শেয়ার করেছেন জিতু। ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, 'আমাকে ঘেন্না করলেও এড়িয়ে যেতে পারবে না।'
জিতুর এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের দিকে একমনে তাকিয়ে রয়েছে জিতু। আর ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমাকে ঘেন্না করলেও এড়িয়ে যেতে পারবে না।' এই পোস্ট দেখেই ফের শুরু হয়েছে জল্পনা। কার উদ্দেশে এই পোস্ট, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অনুরাগীদের মনে।
এর আগেও নবনীতাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে, যেগুলো দেখে বোঝাই গিয়েছে তাঁর মনের অবস্থা। মনোবিদের যাওয়ার থেকে কোন কাজ করলে তাঁর মন ভালো থাকবে, তাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। ফলে এবারে ফের জিতুর নতুন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যে, তবে কি জোড়া লাগতে পারে তাঁদের সম্পর্ক?
টলি পাড়ার জনপ্রিয় দম্পতি ছিলেন জিতু কমল ও নবনীতা দাস। কিছুদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমে একটি সুদীর্ঘ পোস্ট দিয়ে অভিনেত্রী নবনীতা (Nabanita Das), জিতুর (Jeetu Kamal) সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই বিচ্ছেদের খবর এখনও পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছেন না নেটিজেনরা। এদিকে জিতু বলেছেন, তাঁর বাচ্চা বৌকে আগে যেভাবে সামলেছেন, আগামীতেও সেভাবে সামলাবেন। কিন্তু নবনীতা এখনও নিজের সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছেন। বিচ্ছেদ ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে আরও কিছু পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানেই তিনি বলেছেন বিচ্ছেদের (Seperation) শোক সামলাতে মনোবিদের বদলে তিনি কাকে বেছে নিয়েছেন।
অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন। ছবিগুলি যে কোনও ট্রায়াল রুমে তোলা, তা একেবারে স্পষ্ট। বেশ কিছু ফ্রক এবং টপ পরে দেখেছেন তিনি। সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে নবনীতা লিখেছেন, 'শপিং করা মনোবিদের কাছে যাওয়ার থেকেও সস্তা।' অর্থাৎ নবনীতা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন জিতুর থেকে আলাদা থাকলেও তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি। বরং মজা করেই নিজের দিন কাটাচ্ছেন।
জিতুর সঙ্গে নবনীতা বিচ্ছেদ ঘোষণা করতেই সামাজিক মাধ্যমে চর্চা শুরু হয়েছিল তৃতীয় ব্যক্তি নিয়ে। উঠে এসেছিল অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের নাম। এই চর্চার মাঝেই নবনীতা ফেসবুক লাইভ এসে জানিয়েছিলেন, কোনও তৃতীয় ব্যক্তির জন্য তাঁদের সম্পর্ক ভাঙেনি। তাঁদের একান্ত সিদ্ধান্তেই বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছেন। সম্পর্কের এই পর্যায়ে এসে, জিতুর জন্য সম্মান বজায় রাখতে চাইছেন তিনি। মনে রাখতে চাইছেন না কোনও তিক্ততা।
টলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি ছিলেন অভিনেতা জিতু কমল (Jeetu Kamal) এবং অভিনেত্রী নবনীতা দাস (Nabanita Das)। জিতু 'অপরাজিত' সিনেমার জন্য যখন শ্যুটিং করছিলেন, তখনই তাঁদের সম্পর্কের গুঞ্জনে ছয়লাপ হয়েছিল নেট দুনিয়া। শোনা গিয়েছিল, অভিনেতা নাকি আলাদা থাকছিলেন। যদিও পরবর্তীকালে জিতু বলেন, কেবল অভিনয়ের কারণেই আলাদা থাকছিলেন। যদিও সম্পর্কের ভাঙন আটকানো যায়নি শেষ পর্যন্ত। দিন কয়েক আগেই জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন নবনীতা।
সামাজিক মাধ্যমে নবনীতা বিচ্ছেদ ঘোষণা করার পর থেকেই নেটিজেনরা তাঁদের নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন। কেউ দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাঁদের পছন্দের তারকা দম্পতির বিচ্ছেদে, কেউ আবার বাজে কথা বলতে ছাড়েননি। জিতু অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'আমি আমার মতো' সিনেমায় অভিনয় করবেন বলে জানিয়েছিলেন আগেই। শ্রাবন্তীর সঙ্গে জিতুর ছবি দেখে অনেকে মনে করছেন হয়তো শ্রাবন্তীর প্রেমে পড়েছেন অভিনেতা, আর সেই কারণেই সম্পর্ক ভেঙেছে নবনীতার সঙ্গে। এবার নবনীতা নিজেই মুখ খুললেন প্রাক্তন স্বামী সম্পর্কে।
নবনীতা মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলায় একটি লাইভ করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। তিনি বলেছেন, বিবাহ বিচ্ছেদ একেবারেই তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তাঁদের জীবনে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি আসেনি। বা জিতু সিনেমায় নাম কমিয়ে আগের থেকে বদলে গিয়েছেন, এমনটাও নয়। তবে সামাজিক মাধ্যমে জিতুর দিকে নেটিজেনরা যেভাবে কাদা ছুড়েছেন, তা একেবারেই পছন্দ নয় নবনীতার। তাই নেটিজেনদের এইরকম কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
গত দু'দিন ধরে টলিপাড়ায় জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও নবনীতাকে (Nabanita Das) নিয়ে চলছে জোর চর্চা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবনীতার একটি পোস্টেই শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। তিনি ফেসবুকে জানিয়েছেন, তাঁর জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদ হতে চলেছে। কারণ তাঁরা একসঙ্গে ভালো নেই। কিন্তু অপরদিকে জিতুকে দেখা যায় একেবারে বিপরীত স্রোতে হাঁটতে। তিনি উল্টে নবনীতাকে সারাজীবন আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর শনিবারও ফের এক পোস্ট শেয়ার করলেন জিতু। যা দেখেও নেটপাড়ায় তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ (Divorce) নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
বিচ্ছেদ নিয়ে ঘোষণার পরই জিতু ফেসবুকে পর পর দু'দিন পোস্ট করেছেন। আর আজ তিনি একটি ছবি শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। না, এই ছবিতে তিনি একা নন, তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর স্ত্রী নবনীতা দাস। হাত জোড় করে প্রার্থনা করছেন দু'জনেই। আর ক্যাপশনে লেখা 'Nam Myo ho renge kyo'। আর এই ছবি দেখতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন ভক্তরা। তিনদিন ধরে তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে এক ধোঁয়াশা থাকায় তাঁদের অনুরাগীদের মনও খারাপ। তবে তাঁরা শেষে এটাই চাইছেন যে, যাই হোক না কেন, তাঁদের যেন এই বিচ্ছেদ না হয়। ভক্তদের একটা বড় অংশ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে লিখেছেন, এই ফ্রেমটা বারবার দেখতে চান। এভাবেই যেন তাঁরা সারাজীবন একসঙ্গে সুখে থাকেন। তবে নবনীতার সঙ্গে সম্পর্ক কোন দিকে এগোবে, তা নিয়ে এই পোস্টে কোনও ইঙ্গিত দেননি জিতু।
টলিপাড়ায় (Tollywood) ফের ভাঙনের সুর! বৃহস্পতিবার থেকে টলিউডে জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও নবনীতা দাসের (Nabanita Das) বিবাহ-বিচ্ছেদ (Divorce) নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। গতকাল দুপুর নাগাদ হঠাৎ ফেসবুকে পোস্ট করেন নবনীতা। তারপরেই হইচই পড়ে যায় টলিপাড়ায়। এই খবর শুনে তাঁদের অনুরাগীদের মনও ভেঙে যায়। তবে নবনীতার সেই পোস্টের পর জিতুও তাঁকে আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক পোস্ট করেছিলেন। যা দেখে তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে এখন ধোঁয়াশায় প্রত্যেকেই। কিন্তু এবারে ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ফের এক পোস্ট জিতুর। তবে কার উদ্দেশে লেখা তা নিয়েই ফের শুরু জল্পনা।
শুক্রবার জিতু কমল ফেসবুকে একটি মহাদেবের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশানে লিখেছেন, 'গোপনীয়তা বজায় রাখো। ঘুরে বেড়াও কিন্তু কাউকে বলো না। একজন সঙ্গী খুঁজে নাও, কিন্তু কাউকে বলো না, সুখে থাকো কিন্তু কাউকে বলো না। মানুষ সুন্দর জিনিসগুলিকে ধ্বংস করে দেয়।' তবে এই পোস্টে উল্লেখ নেই তাঁর 'বাচ্চা বউ'-এর। কিন্তু নেটিজেনরাও বুঝতে ভুল করেননি যে, এই পোস্ট আর কেউ নয়, নবনীতার জন্যই।
নবনীতা তাঁর বিচ্ছেদ সম্পর্কে মুখ খুললেও এই কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন জিতু। বরং তিনি আরও নবনীতাকে সারাজীবন আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে তাঁদের মধ্য়ে আদৌ বিচ্ছেদ হচ্ছে কিনা তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো নাগাদ হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট পর্দার অভিনেত্রী নবনীতা দাসের (Nabanita Das) পোস্ট। আর সেই দেখেই শুরু জল্পনা। নবনীতা ও জিতুর (Jeetu Kamal) বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce) হতে চলেছে। এমনটাই জানালেন নবনীতা। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁদের অনুরাগীদের মন একেবারে ভেঙে পড়েছে। টলিপাড়ার এক 'কিউট' ও 'পাওয়ার কাপল'-দের মধ্যে অন্যতম হল জিতু ও নবনীতার জুটি। বেশ কয়েক মাস আগেই তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে নানা গুঞ্জন রটেছিল। তবে কি এবারে সত্যি তাঁদের ছাড়াছাড়ি হতে চলেছে। একাধিক প্রশ্ন নেটিজেনদের মনে।
২০১৯ সালের মে মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জিতু ও নবনীতা। নবনীতাই প্রথম বিয়ের প্রস্তাব দিলেও পরে জিতুও প্রেমে পড়ে যান। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবেই একে অপরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তাঁরা। গত মাসেই তাঁদের বিয়ের চার বছরও পূর্ণ হয়েছে। বিবাহ-বার্ষিকী উদযাপন করতে দু'জনেই উড়ে গিয়েছিলেন লন্ডন। কিন্তু তার একমাসের মধ্যে কী এমন হল তা নিয়েই চিন্তিত তাঁর অনুরাগীরা।
নবনীতা এদিন ফেসবুকে লিখেছেন, 'টেবিলে আর দুটো করে প্লেট থাকবেনা... একজনের জন্য বানানো Green tea আর দুজনে মিলে ভাগ করে খাওয়া হবেনা... Towel শেয়ার হবেনা, Sun screen ভাগাভাগি হবেনা.... কিছুই আর একসাথে হবেনা... প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক...ভালো থাকো Jeetu Kamal।'
অন্যদিকে জিতুও নিজের ফেসবুকে নবনীতাকে 'বাচ্চা বউ' বলে সম্বোধন করে লিখেছেন, 'তোমায় শুরুতেও আগলেছি, আজও আগলাবো।' ফলে এবারে তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল। তাঁদের আদৌ বিচ্ছেদ হচ্ছে কিনা, নাকি পুরোটাই ভুল বোঝাবুঝি, তাই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন আসছে নেটিজেনদের মনে।
টলিউড সিনেমা জগতে এবার আসতে চলেছে নতুন জুটি। একদিকে থাকবেন ঋতাভরী (Ritabhari Chakraborty)। অন্যদিকে অভিনেতা জিতু কমল (jeetu kamal)। এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রীর মধ্যে বেশ মিল রয়েছে। দু'জনের উত্তরণ ছোট পর্দা থেকে। তবে নিজেদের প্রমাণ করে তাঁরা বড় পর্দায় পা রেখেছেন। জিতুকে শেষ দেখা গিয়েছিল, 'অপরাজিত' সিনেমায়। সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে তাঁর অভিনয় মুগ্দ্ধ হয়ে দেখেছে দর্শক। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছিলেন জিতু। অন্যদিকে মুক্তির অপেক্ষায় ঋতাভরীর 'ফাটাফাটি'। এবার এই দুই জুটি নতুন গল্প নিয়ে আসতে চলেছে।
ঋতাভরী এবং জিতুকে দেখা যাবে 'আপনজন' ছবিতে। এই ছবি দুই সিঙ্গেল পেরেন্টের গল্প বলবে। ঋতাভরী সিঙ্গেল মাদার অন্যদিকে জিতুও সিঙ্গেল ফাদার। এই দুই চরিত্রের এক হওয়াতেই গল্প পরিপূর্ণতা পাবে? এর আগে 'বাবা ও বেবি' সিনেমাতেও সিঙ্গেল ফাদারের গল্প দেখানো হয়েছিল। আবারও সেই একই গল্প অন্য মোড়কে আসতে চলেছে। চিত্রনাট্যে প্রেমে পড়বে দুই চরিত্র। সন্তানের অভিভাবকত্ব নাকি ভালোবাসা কোনটা বেছে নেবে এই দুই চরিত্র? নাকি সব সামলে একসঙ্গে শুরু করবেন নতুন জীবন?
ঋতাভরী এর আগে 'ফাটাফাটি' সিনেমায় অভিনয় করার জন্য অনেকটা ওজন বাড়িয়েছিলেন। এরপর নতুন চরিত্রের জন্য আবারও ১৭ কেজি ওজন কমিয়েছেন ঋতাভরী। ১৫ মে লন্ডনে শুরু হবে সিনেমার শ্যুটিং। নতুন ছবিতে ঋতাভরী ও জিতুর রসায়ন কতটা জমে তা দেখার জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।