গতসপ্তাহে জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ গোটা রাজ্যে। তৃণমূল নেতা খুনের পর তাঁর অনুগামীরা প্রতিশোধ স্পৃহায় অভিযোগ এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করে। পাশাপাশি ওই অভিযুক্তের এলাকায় বাড়ি-ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সেসময় বিশাল পুলিশ বাহিনীর সাহায্যে কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ৩টি মামলা শুরু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার তিন দিন পর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন নস্করকে খুনে অভিযুক্ত হিসেবে নাম থাকা সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান লস্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে সিপিআইএম সমর্থক পরিবারের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পুলিশের হাতে তিন। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে আমানুল্লাহ জামাদার, নজরুল মন্ডল ও আকবর ঢালি নামে এই তিন ব্যক্তিকে দোলুয়াখাকি গ্রামে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
গত সোমবার দিওয়ালির দিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বামনগাছি পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর। সেসময় তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি চালান দুষ্কৃতীরা। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছাড়াও এলাকার সংগঠনের অন্যতম শক্তিশালী নেতা ছিলেন সইফুদ্দিন। তাঁর স্ত্রী এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে দুজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় একজনের। অন্য অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা খুনে সিপিআইএম প্রার্থী জড়িয়ে থাকার বিষয়টি সামনে আসতেই প্রতিহিংসায় দুষ্কৃতীরা দোলুইখাঁকি গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দলুইখাঁকি গ্রামে মূলত সিপিআইএম সমর্থকদের বাস। খুনের ঘটনায় এই নিয়ে দুজন গ্রেফতার হলেও বাড়িতে আগুন ও গ্রামে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় গতকাল অবধি দোষীদের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। এবার অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৩।
জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, সইফুদ্দিন খুনে জড়িত রয়েছেন তাঁদের বাড়ির কয়েকজন সদস্য। যদিও পুলিশের তরফে সরাসরি এখনও কিছু জানানো হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নেতা খুনে শাহরুল, আনিসুর ও কামালউদ্দিন ছাড়াও আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। পুরো পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে অন্তত ১০ থেকে ১২ জন। তাঁদের মধ্যে বর্তমানে শুধুমাত্র ৩ জনকে ধরতে পেরেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জয়নগরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার মোট পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছে মূল অভিযুক্ত আনিসুর লস্কর। নদিয়ার হরিণঘাটা থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আনিসুরই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার ভোরে খুনের ঘটনা ঘটে। তারপর তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে এসেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত শাহরুল ওই এলাকারই বাসিন্দা মোতালেক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া ছিল। ঘটনার পর থেকে পলাতক তিনি। ঘটনার প্রথম দিন থেকেই পুলিশ জানিয়েছিল, খুনের ঘটনায় পাকা মাথা রয়েছে। যদিও ওই পাকা মাথা কে সেবিষয়ে মুখ খোলেনি তারা। শুধু একদিনের পরিকল্পনায় যে খুন করা হয়নি সইফুদ্দিনকে তা পরিষ্কার ছিল পুলিশের কাছে।
পোড়া কাঠামো নিয়ে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দলুয়াখাকি গ্রাম। অবশেষে স্থানীয় বামপন্থী নেতাদের তত্ত্বাবধানে গ্রামে ঢুকেছেন ক্ষতিগ্রস্থ মহিলারা। সোমবারের তাণ্ডব, তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের খুন, অতঃপর গ্রামে বামপন্থী পরিবারদের উপরে হিংসার সর্বনাশা আগুন, ক্ষত এখনও দগদগে। দু'দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁদের বাড়ি ফেরানোর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাঁদের ঘর ফেরাতে দু'দিন লেগে গেল কেন, এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তবে অভিযোগ, গ্রামবাসীরা ঘরে ফিরলেও বামপন্থী নেতাদের এদিন বাধা দিয়েছে পুলিস। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাঁদের গ্রামে ফিরলেও ঘর ফিরবে কি? সেই প্রশ্নই উঠছে।
সোমবার জয়নগরের তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের খুনের পর বদলার আগুনে জ্বলে ওঠে ৫ কিলোমিটার দূরের বামপন্থী গ্রাম দলুয়াখাকি। এক কাপড়ে, শুধু প্রাণটুকু আগলে দক্ষিণ বারাসতে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন পোড়া গ্রামের মহিলারা। এর পর মঙ্গলবার গ্রামবাসীদের ভিটেয় ফেরাতে চেষ্টা করে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন বাম প্রতিনিধি দল। কিন্তু কাঁটার মতো পথ আটকায় পুলিস। তবে বুধবার গ্রামে ঢোকার রাস্তায় পুলিসের বাধা সত্ত্বেও দলীয় নেতৃত্বদের পিছনে ফেলে ত্রাণ সামগ্রী আগলে দলুয়াখাকিতে প্রবেশ করেন মহিলারা।
তৃণমূল নেতা খুন এরপর আক্রোশে পাল্টা খুনে এখনও বুধবার সকাল থেকে থমথমে রয়েছে দলুয়াখাকি এলাকা। কেউ ঘর ছাড়া, কেউ আবার পুড়ে যাওয়া ভিটে আগলে পড়ে রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বামনগাছির দোলুয়াখাকি গ্রামে ঘর ছাড়া সকলে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ বারাসতের সিপিআইএমের কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে আছে দলুয়াখাকি গ্রামের আক্রান্ত সিপিআইএমের ২৫ টি পরিবারের মহিলা সদস্যরা। সেই সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু বাচ্চা।
সোমবার নামাজ পড়তে যাওয়ার পথেই খুন হন জয়নগরের তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্কর। তারপর নিমেষে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দলুয়াখাকি গ্রাম। সিপিএমদের অভিযোগ, একের পর এক সিপিএম সমর্থদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এবং গ্রামবাসীদের বেধড়ক মারধর পর্যন্ত করা হয়। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
অভিযোগ, ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও দলুয়াখাকি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ায়নি প্রশাসন। ঘটনার পর দলুয়াখাকি গ্রামে দেখা যায় আগুনে পুড়ে গিয়েছে বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র। আর সেই পুড়ে যাওয়া ঘরে শীতের রাতে থাকতে হচ্ছে কিছু মহিলাদের। এখনো পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত দলুয়াখাকি গ্রামের মানুষ। যদিও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস।
যদিও গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কান্তী গাঙ্গুলী ও সুজন চক্রবর্তীরা এই ঘটনায় আক্রান্ত মহিলাদের নিয়ে গ্রামে ফেরাতে গেলে পুলিস তাঁদেরকে বাধা দেয়। পরবর্তীতে জয়নগর থানায় গিয়ে তাঁরা অভিযোগ জানায়। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পোশাক ও খাবার নিয়ে গ্রামে আসছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁকেও আটকে দেয় পুলিস। গ্রামে প্রবেশ করতে না পেরে পুলিসের হাতে সেই খাবার গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তুলে দেয় নওশাদ। সেই খাবার এখনও পৌঁছায়নি গ্রামে।
ঘরের মধ্যে ঢুকেই ঘুমন্ত যুবককে গুলি। যুবকের আর্তনাদে ছুটে আসে পরিবারের লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাত দুটো নাগাদ হঠাৎই গুলির শব্দ পান তাঁরা। তারপরেই বাড়ির ছেলে জাহির লস্করের আর্তনাদ শুনে ছুটে যান। ঘরে গিয়ে পরিবারের লোকজন দেখেন, জাহিরের ডান দিকের বুকের পাঁজরে গুলি লেগেছে। ঘুমন্ত জাহিরকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা।
অভিযোগ, প্রতিবেশী আলাউদ্দিন লস্করের সঙ্গে তাঁর বিবাদ ছিল। আলাউদ্দিন লস্করের স্ত্রীর সঙ্গে জাহির লস্করের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই কারণে সে খুনের হুমকি দিয়েছিল। যদিও পরিবারের লোকজন বসে দুই পক্ষের মধ্যে মিটমাট করে দেয়। গত তিন দিন আগে জাহির কেরল থেকে বাড়িতে ফিরেছিলেন। জাহির লস্কর ও আলাউদ্দিন লস্কর দুজনেই কেরলে শ্রমিকের কাজ করেন। জাহিরের পরিবারের লোকের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আলাউদ্দিন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জয়নগর থানার পুলিস। জয়নগরের ঢোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগচী গোবিন্দপুরের ঘটনা।
৯টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল-সহ চোর(Mobile Thief) গ্রেফতার। গ্রেফতার করল জয়নগর থানার(Jaynagar Police) পুলিস। ধৃতকে সোমবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম আজিজুল মোল্লা। আজিজুল জয়নগর থানার চালতাবেড়িয়ার এলাকার বাসিন্দা।
রবিবার রাতে দক্ষিণ বারাসাত রেলগেট সংলগ্ন এলাকা থেকে আজিজুল মোল্লাকে গ্রেফতার করে জয়নগর থানার পুলিস। ধৃত থেকে উদ্ধার হয় নয়টি মোবাইল ফোন। ধৃতকে সোমবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে বসা মেলায় গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার ফেটে (Cylinder Blast) মৃত ৪। আহত অন্তত ১০ জন। জানা গিয়েছে, জয়নগরের (Jaynagar Incident) রাজাপুর-করাবেগ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাটরা গ্রামে রবিবার রাতে বসেছিল একটি অনুষ্ঠানের আসর। আর সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাস্তার ধারে বসেছিল হরেক রকম দোকান। তেমনি গ্যাস বেলুনের (Gas Baloon) সিলিন্ডার নিয়ে বসেন বেলুন বিক্রেতা মুচিরাম হালদার। সাড়ে ন'টা নাগাদ সেই গ্যাস বেলুন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত হন অন্তত দশ জন। এই বিস্ফোরণে মুচিরাম-সহ ৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, যারা মৃত এবং আহত, এঁদের অনেকেই ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষে জমায়েত হয়েছিলেন। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত চারজন কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় জয়নগর থানার আইসি রাকেশ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী। ঘটনাস্থলে যায় লাগোয়া বকুলতলা থানার পুলিসও।
জানা গিয়েছে, যেখানে মেলা বসেছিল, সেই এলাকার কিছুটা বকুলতলা থানার অংশ। স্থানীয়রা জানান, 'জলসার অনুষ্ঠান চলাকালীন গ্যাস বেলুন সিলিন্ডার ফাটে। সিলিন্ডার থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে অন্যরা বেলুন বিক্রেতাকে সতর্ক করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি।' এই বিস্ফোরণ-কাণ্ডে স্থানীয় এক মাদ্রাসা সদস্য বলেন, 'দুর্ঘটনার খবর কানে আসতেই আমরা জখমদের চিকিৎসাধীন করি। স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সাহায্য করেছে। তবে এই জলসা চলছিল অনুমতি ছাড়া। মাদ্রাসা কমিটির অনুমতি ছাড়াই জলসা চলছিল।' এদিকে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় সোমবার সকালেও এলাকায় শোকের ছায়া।
সাত সকালেই খুন (murder), তাও প্রকাশ্য দিবালোকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য জয়নগরে (Jaynagar)। আতঙ্কিত (panic) পরিবার সহ এলাকাবাসী। জানা যায়, সোমবার সাত সকালে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যক্তিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে অন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে (hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে চিকিত্সকরা ওই যুবককে মৃত (dead) বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম হজরত গাজী, বয়স ৪০ বছর। পেশায় ছিলেন একজন দর্জি। জয়নগর থানার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা তিনি। তবে কেন এই নির্মম হত্যা তা জানে না পরিবার।
ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক জায়গায় কোপানোর অভিযোগ ওঠে। খুন করে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সইদুল গাজী। পুলিস সইদুলকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে। তবে কী কারণে এই খুনের ঘটনা তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জয়নগর থানার পুলিস।