পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীর হাতে খুন হল স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। শুক্রবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরের হরিনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নলিকাটার মোড় এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর মৃত মহিলার নাম অপর্ণা বৈদ্য (৩২) এবং অভিযুক্তের নাম পরিমল বৈদ্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জয়নগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মগরাহাট এলাকার বাসিন্দা অপর্ণা বৈদ্য। তাঁর সঙ্গে ১৭ বছর আগে বিয়ে হয় পরিমল বৈদ্যর। পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন পরিমল বৈদ্য। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল বানাতেন অপর্ণা। তাই তাঁর বেশকিছু বন্ধুবান্ধবও ছিল। তার জেরেই প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এমনকি কিছুদিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও গিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। ছেলেটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে ও মেয়েটি নার্সারিতে পড়ে।
ছেলে অয়ন বৈদ্য জানায়, প্রায়ই বাবা ও মায়ের মধ্যে ঝামেলা হত। এমনকি বাবা মাকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিত৷ তারপর এদিন সকালে টিউশন থেকে বাড়ি ফিরে দেখে তার মা রক্তাক্ত অবস্থায় রান্না ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। এরপর স্থানীয়রা খবর দেন পুলিসকে। তবে শুধুই কি পারিবারিক অশান্তি নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিস। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
টেবিলে পর পর সাজানো ওয়ান শাটার গান, লং মেশিন গান থেকে শুরু করে বন্দুকের বাঁট, ড্রিল মেশিন, ডাইস, ফাইল, করাত সহ অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। দেখে মনে হতে পারে অস্ত্র তৈরির কোনও কর্মশালা। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কোথায় ছিল জানেন? দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর কাশিপুরের কামারিয়ায় একটি নুঁইয়ে পড়া মাটির বাড়িতে। এই বাড়ির ঘরেই লোকচক্ষুর আড়ালে এতদিন ধরে গড়ে উঠেছিল আস্ত অস্ত্রাগার, অবৈধ অস্ত্রের কারখানা। অভিযান চালিয়ে এই বিপুল অস্ত্র সহ অস্ত্রাগারের মালিক রহমাতুল্লা শেখকে পাকড়াও করে বারুইপুর পুলিস জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও জয়নগর থানার পুলিস।
বহুদিন তক্কে তক্কে ছিল বারুইপুর পুলিস। মঙ্গলবার অভিযান চালাতে গিয়ে ওই মাটির বাড়ির অন্দরমহল দেখে পুলিসের চক্ষু কপালে ওঠে। গোপন অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামের পাশাপাশি উদ্ধার ৮ টি ওয়ান সাটার গান এবং ২ টি লং মেশিন গান।
সূত্রের খবর, ধৃতের বাড়ির পাশের পুকুরেও নাকি অস্ত্র ডুবিয়ে রাখা ছিল। ধৃতের স্ত্রীর কথায়, মুজিবর, সাইফুল, সাজমল নামে কয়েকজন ব্যক্তি বাড়িতে অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম রেখে গিয়েছিল। তবে কি এই বাড়ি থেকেই অস্ত্র, সরঞ্জাম আমদানি-রপ্তানিও চলত?
থামানো যাচ্ছে না অস্ত্রের আস্ফালন। প্রশ্ন উঠছে বারবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাই কেন বন্দুকের নলে? এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ভয়ঙ্করতার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। বোমা, বন্দুকের দাপটে রক্তক্ষয়ী ভোটে শিউরে উঠেছে গণতন্ত্র।