বরাবর তিরিক্ষি মেজাজ নিয়ে চলেন জয়া বচ্চন (Jaya Bacchan)। সম্প্রতি পামেলা চোপড়ার (Pamela Chopra Death) শেষ যাত্রার অনুষ্ঠানেও মেজাজ হারালেন প্রবীণ অভিনেত্রী। সাদা পোশাকে পরে মাস্ক ঢাকা মুখে চোপড়া বাংলোয় পৌছনো মাত্র তাঁকে ঘিরে ধরে ক্যামেরা। কিন্তু স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হাত তোলেন জয়া বচ্চন। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন মেয়ে শ্বেতা বচ্চন। তিনি ক্যামেরার দিকে তাকালেও একরাশ বিরক্তি মুখে জয়া চিত্র সাংবাদিকদের আঙুল দেখিয়ে বলেন দূরে যেতে। তাঁর এই আচরণ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই মন্তব্য ভেসে আসে, 'পরিস্থিতি যা-ই হোক, জয়ার মেজাজ সেই একই!' একজন আবার বলেছেন, 'স্বামী-স্ত্রীর ব্যবহারে কত ফারাক।'
এদিকে, পরিচালক-প্রযোজক যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলা চোপড়ার প্রয়াণের খবর পেয়ে শোকাহত অমিতাভ বচ্চন। পামেলার আকস্মিক মৃত্যুসংবাদে অমিতাভের মনে হয়েছিল, 'জীবন যেন থমকে গিয়েছে।' বৃহস্পতিবার অর্থাত্ ২০ এপ্রিল, মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পামেলা চোপড়া। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মেনেছেন রানি মুখোপাধ্যায়ের শাশুড়ি।
৮০-তে পা দিলেন বলিউড (Bollywood) শাহেনশাহ। বিগ-বি-র জন্মদিন (Birthday) বলে কথা। আসমুদ্র হিমাচল থেকে তাঁর জন্য শুভেচ্ছা বার্তা আসবে এটাই স্বাভাবিক। ১১ অক্টোবর জন্মদিনে লাখ লাখ নেটিজেন ও তারকারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদিন একটি ভিডিও খুব ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) জন্মদিন উপলক্ষে 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে একটি স্পেশাল এপিসোডের আয়োজন করা হয়। যেখানে হট সিটে দেখা যায় জুনিয়র বচ্চন অর্থাৎ অভিষেক বচ্চন এবং পাশে রয়েছেন অমিতাভ-জায়া জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। আর মা ও ছেলের প্রশ্নের মুখে পড়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা অমিতাভের।
তার কারণ? জয়া এদিন বললেন, তিনি শুনেছেন কারোর কাজ যদি অমিতাভের পছন্দ হয়, তাহলে সেই শিল্পীকে ফুল এবং নিজের হাতে লেখা চিঠি উপহার দেন। পাশাপাশি এও বলেন, এগুলো সবই শুনেই এসছেন জয়া। কোনওদিন এরকম কিছু তিনি পাননি। স্ত্রীর এই গুরুতর অভিযোগ শুনে কিছুটা অপ্রস্তুতে পড়েন বিগ বি। বলেন, “এটা ঠিক হচ্ছে না।”
অভিষেকও মায়ের সমর্থনে বলেন, “না এ সব বললে চলবে না, দেখো না আর কী কী ফাঁস হয়!” এদিন অনুষ্ঠানে অমিতাভকে আবেগপ্রবণ হতেও দেখা যাবে।
প্রসূন গুপ্ত: কলকাতা বা অন্য প্রান্ত থেকে বহু বাঙালি সেলিব্রেটিরা নাম করেছেন বলিউডে। নায়িকা যাঁরা এই রাজ্য থেকে মুম্বইতে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শর্মিলা ঠাকুর, ঠাকুর পরিবারের কন্যা। কার্যত তাঁদের আদি বাড়ি ওপার বাংলায়। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের পূর্ব পুরুষরাও ওপর বাংলা থেকে এসেছেন। কিন্তু ক'জন জানেন জয়া বচ্চন বা জয়া ভাদুড়ির আদি বাড়িও ছিল ওপার বাংলায়। ফলে অমিতাভ যতই নানা অনুষ্ঠানে বলুন না কেন তিনি কলকাতার জামাই, তা আদতে ভুল। তাঁর শ্বশুরবাড়ি ছিল ওপর বাংলার নেত্রকোনায়।
ঢাকা শহর থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দূরে নেত্রকোনার পূর্বধলায়। এটি আদতে একটি গ্রাম। এই গ্রামেই জন্ম হয়েছিল জয়ার বাবা প্রখ্যাত সাংবাদিক তরুণ ভাদুড়ির। দেশ ভাগের পর ১৯৪৭-এ তাঁরা প্রথমে কলকাতায় পরে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বসবাস শুরু করেন।শোনা যায় সবাই চলে এলেও জয়ার দাদা সুধীর ভাদুড়ি নাকি এ বাংলায় আসেননি। তিনি চলে যান ময়মনসিংহতে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু।
আপাতত নেত্রকোনার বাড়িটি ভঙ্গুর হয় গেলেও দখল হয়নি। একতলা সাদা বড়-বড় পিলার দেওয়া বাড়ি। সামনে মস্ত বাগান, সেখানে আম, জাম, নারকেল বা লিচুর গাছ আছে। আজও ফলন হয়। ওই বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করে একটি হিন্দু পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, কেউ দাবিদার নেই। মাঝে মধ্যে ভাদুড়িদের কোনও আত্মীয় এলে এদের বাড়িতেই খাওয়া দাওয়া করেন। তাদের আক্ষেপ বাংলাদেশ সরকার, ভারতের বিখ্যাত বচ্চন পরিবারের সঙ্গে যুক্ত বাড়িটি হেরিটেজ করে রেখেছে। কিন্তু কখনও জয়া বা অমিতাভ বচ্চন আসেননি। তাদের বক্তব্য, জয়ার এখন বয়স হয়েছে, কে কবে আছে কে চলে যায় কে জানে। কিন্তু পৈতৃক ভিটে দেখার আগ্রহ তো মানুষের থাকা উচিত। বাংলাদেশে জয়া এসেছেন কয়েকবার কিন্তু নেত্রকোনায় আসার প্রয়োজন বোধ করেননি। হয়তো আসবে, এই আশায় বসে ওই বাঙালি পরিবার।