ফের উপত্যকায় জঙ্গি-নিধন অভিযানে সেনাবাহিনী। এবার গুলির লড়াইয়ে কাঁপল কাশ্মীরের (Kashmir) শোপিয়ান অঞ্চল। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে (Encounter) মৃত্যু হয় ২ জঙ্গির। সেনা সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গিরা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
কাশ্মীর পুলিস সূত্রে খবর, জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর গোপন সূত্রে পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানের জেলার আলশিপোরা অঞ্চলে অভিযান চালায় সেনা ও পুলিসের যৌথ বাহিনী। জঙ্গিদের নিকেশ করতে শুরু হয় এনকাউন্টার। তাতেই মিলল সাফল্য। মঙ্গলবার যৌথবাহিনীর গুলিতে খতম দুই লস্কর জঙ্গি। নিহতদের নাম মরিফাত মকবুল, জাজিম ফারুক ওরফে আব্রার।
কাশ্মীরের এক শীর্ষ পুলিস কর্তা বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মৃত আব্রার কাশ্মীরি পণ্ডিত সঞ্জয় শর্মা খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় নিজের বাড়ির সামনে খুন হন সঞ্জয়। গত মাস থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরের ৩ জেলার ৭টি অঞ্চলে এই খুনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।
ফের ভূমিধস ভূস্বর্গে (Jammu & Kashmir)। এবারে জম্মু-কাশ্মীরের জাতীয় সড়কে ধস (Landslide) নামে। আর যার জেরে রাস্তা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হল চারজনের। সূত্রের খবর, ধস নামার ফলে বড় পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি ট্রাক। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪ জনের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলার বানিহালে (Banihal)।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বানিহালের শের বিবির কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আচমকা ধস নামার ফলে পাহাড়ের গা বেয়ে গড়িয়ে আসে একটি বড় আকারের পাথর। আর সেই পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে গিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় ট্রাকটি। ট্রাকটিতে চালক-সহ মোট ৪ জন ছিলেন। ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামবানের ডেপুটি কমিশনার। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিস ও উদ্ধারকারী দল। তারাই ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলি বানিহাল হাসপাতালে পাঠায়।
ভূমিধস ও এই দুর্ঘটনার জেরে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট হয়েছে। যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিস। ফলে জাতীয় সড়কের মাঝে আটকে পড়েছে একাধিক গাড়ি। এর ফলেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরই জাতীয় সড়ক খোলা হবে বলে পুলিস জানিয়েছে। ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, 'বানিহালে ভূমিধসের কারণে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হয়েছে। দুই দিকেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকেদের ট্রাফিক কন্ট্রোল ইউনিট থেকে নিশ্চিতকরণ ছাড়া জাতীয় সড়ক ৪৪-এ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।'
ভূস্বর্গের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে শ্রীনগরের (Srinagar) টিউলিপ গার্ডেন (Tulip Garden)। এবারে এই বিশালাকৃতির গার্ডেনই জায়গা করে নিল ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে (লন্ডন) (World Book of Records)। শ্রীনগরের এই টিউলিপ গার্ডেন ডাল লেক ও জাবারওয়ান পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত। এটিই এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগান। এমন সৌন্দর্যে ভরা টিউলিপ গার্ডেন বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায় না। ফলে এই বাগান জায়গা করে নিয়েছে ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ডসে।
শ্রীনগরের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন প্রায় ৩০ হেক্টর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এই বাগানে প্রায় ৬৮ টি প্রজাতির টিউলিপ রয়েছে ও প্রায় ১.৫ মিলিয়ন টিউলিপ রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদ্বীপ সিং পুরি। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বাগান দেখতে প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষের মত পর্যটক আসেন। এই টিউলিপ গার্ডেন এই বিশেষ সম্মান দেওয়ার জন্য ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ডসের টিমকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই টিউলিপ গার্ডেন হলেও এখানে আরও বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করা হয়। হায়াসিন্থস, ড্যাফোডিলস, মাসকারি, সাইক্লেমেনস নামের ফুলগুলি এই বাগানের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ফলে নানা রংয়ের ফুল, এগুলোর সুগন্ধে ভরে ওঠে এই টিউলিপ গার্ডেন। এছাড়াও প্রতি বছর বসন্তের সময় এই এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগানে টিউলিপ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। আর এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে ভূস্বর্গের পর্যটন ব্যবসার পক্ষেও তা উপকারী হয়।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু'বার সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। কুপওয়ারার পর এবারে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুঞ্চে ফের এক জঙ্গিকে (Terrorist) নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের (Poonch) কাছে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দেয় সেনা। এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। অবশেষে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় এক জঙ্গি ও আহত হয়েছে অন্য এক জঙ্গি। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রাইফেল, ম্যাগাজিন, পিস্তল ইত্যাদি।
সেনা সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চের দেগওয়ার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিদের একটি দল। যার ইঙ্গিত পেতেই সেনা জওয়ানরা তল্লাশি শুরু করে গোটা এলাকা ঘিরে। এরপরই পাক জঙ্গিদের দেখতে পেয়ে তাদের বাধা দেয়। কিন্তু জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে এরপর সেনা জওয়ানরাও তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর গুলির লড়াইতে নিহত হয় এক জঙ্গি। অন্য একজন আহত হয়। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা বাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীরের যৌথ অভিযানে জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছে। ওই এলাকায় আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে জোর খোঁজ শুরু করেছে সেনা বাহিনী।
সূত্রের খবর, নিহত জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হলেও অন্য এক জঙ্গিকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে গুলি করার পরেই সে নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে পালাতে থাকে। আরও জান গিয়েছে, নিহত জঙ্গির কাছ একে ৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড একে ৪৭ গুলি, ৫টি ৯ এমএম পিস্তল, ১টি ১৫ এমএমের পিস্তল ও প্রচুর বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য,স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারতে এক বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করছে পাক সংগঠনের জঙ্গিরা, এমনটাই সূত্রের খবর। ফলে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) কাঠুয়ায় দেখা মিলল একটি বিমানের (Plane) আকারের বেলুন। শনিবার সকালে দেখতে পান স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, সাদা এবং কালো রঙের ওই বেলুনে পাকিস্তান বিমান সংস্থার ‘পিআইএ’-র (PIA) নাম লেখা। স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হীরানগরে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে বেলুনটি উদ্ধার করে। কোথা থেকে বিমানটি এল তা খতিয়ে দেখছে তারা। প্রাথমিক ভাবে পুলিসের অনুমান, পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে উড়ে এসে পড়েছে বেলুনটি।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এমন ‘রহস্যময়’ বেলুন উড়ে এসে পড়েছিল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শিমলায় আপেলের একটি বাগান থেকেও এরকমই বিমানের আকৃতির সাদা-কালো বেলুন দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। তাতে ঠিক একই রকমভাবে পাকিস্তান বিমান সংস্থার নাম লেখা ছিল। এছাড়াও গত বছর অক্টোবর মাসে ‘আই লাভ পাকিস্তান’ লেখা একটি হলুদ রঙের বেলুন কাঠুয়া থেকেই উদ্ধার করেছিল পুলিস। সেখানে অবশ্য় ইংরাজি এবং উর্দু দু’ভাষাতেই লেখা ছিল।
২৬শে জানুয়ারীর আগে জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপল জম্মু। প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) প্রস্তুতির পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’—উভয় কারণে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার মধ্যেও শনিবার জম্মুর নারওয়াল এলাকায় ঘটে এই দুই বিস্ফোরণ। জানা গিয়েছে, আহতের সংখ্যা অন্তত ৯ জন।
পুলিস জানিয়েছে, শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বলে পরিচিত নারওয়ালের এই এলাকা। পাশাপাশি গাড়ি মেরামতির ও গাড়ির যন্ত্রাংশের অসংখ্য দোকান রয়েছে এলাকায়। ফলে দিনভর ব্যস্তই থাকে নারওয়াল বাজার। তাই বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফরেন্সিক এবং বোমা বিশেষজ্ঞেরা। জম্মু পুলিসের অতিরিক্ত ডিজি মুকেশ সিং বলেন, ‘‘নারওয়ালের ট্রান্সপোর্ট নগরের ৭ নম্বর ইয়ার্ডে দু’টি গাড়ির মধ্যে বিস্ফোরণ হয়েছে। কীভাবে বিস্ফোরণ হল, তা খতিয়ে দেখছি আমরা।’’ বর্তমানে এলাকাটি ঘিরে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে এলাকার একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের সুপার নরেন্দ্র ভাটিয়ালি বলেন, ‘‘আহতদের মধ্যে এক জনের পেটে স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।’’ এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধির ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কতখানি সুরক্ষিত সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
পুঞ্চের বালাকোট (Balakot) সেক্টরে রাতব্যাপী অভিযানে নিহত (Death) হয়েছেন দুই জঙ্গি (Terrorist)। শনিবার সন্ধ্যায় একজন প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, সৈন্যরা বালাকোট সেক্টরে এলওসি বরাবর একটি সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন এবং সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বুধতে পেরে গুলি চালান। বেগতিক বুঝে পাল্টা সেনা কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। সেনাদের গুলিতে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সীমান্তের ওপার থেকে এপারের জেহাদি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার উদ্দেশ্যে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছিল তারা। কিন্তু সেনার নজরে পড়ে যাওয়ায় সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সেনা সূত্রের খবর, ওই গোটা এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। এক সেনাকর্তা জানিয়েছেন, আরও কোনো জঙ্গির উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা জানার জন্য তল্লাশি চলছে।
উল্লেখ্য, বছরের প্রথম দিন যখন সকলে আনন্দে মেতে ঠিক সেই সময়েই জঙ্গিদের গুলিতে এবং বিস্ফোরণে কাশ্মীরে হিন্দুদের মৃত্যু হয়। প্রথম হামলাটি হয় শ্রীনগরে। সেখানে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিবাহিনী। এর পরপরই রাজৌরির ডাঙরি গ্রামে ভয়াবহ হামলা চলে। জোড়া হামলায় মোট ৭ জন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ২ জন শিশুও ছিল। সেই হামলার পর কেন্দ্র জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে প্রায় ২ হাজার আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ অভিযান চলছে জোর কদমে। প্রতিটি সন্দেহজনক এলাকায় চলছে তল্লাশি।
মোহভঙ্গ না রাজনৈতিক পরিসরে ভেসে থাকার চেষ্টা? ৫ মাস পর ফের পুরনো দল কংগ্রেসে (Congress) ফিরতে পারেন গুলাম নবী আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। গত অগাস্টে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) তোপ দেগে দলত্যাগ করেন আজাদ। তাঁর স্রোতে গা মিলিয়ে জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেস (Congress) থেকে একে একে ইস্তফা দেন আজাদ ঘনিষ্ঠরা। তাঁরা যোগ দেন আজাদ গঠিত ডিএপি বা ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টিতে। কিন্তু পাঁচ মাসেই উলটপুরাণ! খানিকটা মোহভঙ্গ হওয়ায় এঁদের অনেকেই আবার কংগ্রেসে ফিরছেন তাঁরা। তাহলে কি উলটো স্রোতে ভেসে পুরনো দলের পতাকাই ফের হাতে তুলবেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) একদা মুখ্যমন্ত্রী? এমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, জানুয়ারিতেই জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছবে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। তার আগে কংগ্রেসে ফিরবেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদ-সহ একঝাঁক নেতা। পিরজাদা মহম্মদ সঈদ, মুজফ্ফর পেরারে, বলবান সিংহের মতো প্রভাবশালী প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারাও হাতে তুলে নিতে পারেন 'হাত'।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য চলতি বছরেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চল এককভাবে দখলে মরিয়া বিজেপি। লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই পিডিপি-এনসি-সহ আরও কয়েকটি দলের সম্মিলিত গুপকার জোট। কোনওভাবে গুপকার জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিধানসভা ভোটে লড়তে এখন কোমর বাঁধছে কংগ্রেস।
এই কৌশল বাস্তবায়নের আগে জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেসে আজাদ ফিরলে, তাঁর অভিজ্ঞতা শতাব্দীপ্রাচীন দল কাজে লাগাবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) কাঠুয়া জেলার হীরানগর এলাকায় রহস্যজনক পরিস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) (BJP Leader) এক নেতার মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। গাছ থেকে ঝুলন্ত (hanging) অবস্থায় পাওয়া যায় সোম রাজের (Som Raj) দেহ। গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই নেতা। তাঁর পরিবার ও বিজেপির অন্য নেতাদের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে।
এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, হীরানগর শহরের এক গ্রামবাসী সকালে বিজেপি নেতার দেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শরীরে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান। ইতিমধ্যে পুলিস মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
সোম রাজের পরিবারের অভিযোগ, তিনি আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। একই সঙ্গে সোম রাজের বাড়িতে পৌঁছে বহু বিজেপি নেতা তাঁর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন।
বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের! বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) হৃদেশ কুমার (Hirdesh Kumar) ঘোষণা করেছেন, কর্মচারী, ছাত্র, শ্রমিক বা বাইরে থেকে আসা যে কেউ, যাঁরা সাধারণভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে বসবাস করছেন, কিন্তু স্থানীয় নন (Non-locals), তাঁরা ভোটার তালিকায় (voting list) নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রতিবাদে সরব হয়েছে উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি।
তিনি আরও বলেছেন, বহিরাগতদের ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত করার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের কোথাও নিজ আবাসন থাকার প্রয়োজন নেই। অন্যান্য রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরাও, যাঁরা বিভিন্ন সীমান্তে, বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং রয়েছেন, তাঁরাও ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করতে পারেন। তিনি আরও জানান, এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন নাম ভোটার তালিকায় ঢুকতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথমবার নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। পুরো কাজ সম্পন্ন হলে চলতি বছরের শেষের দিকে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এই বছর সম্ভবত নির্বাচন হচ্ছে না কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে।
বছরের শেষে জম্মু কাশ্মীরে (Jammu Kashmir Vote) ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে। নির্বাচন প্রচার কমিটির সভাপতি পদ ছাড়লেন গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad)। মঙ্গলবার প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সাংসদকে এই পদে নিয়োগ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইস্তফা দিলেন আজাদ। আর আজাদের এই পদক্ষেপের পরেই ইস্তফার হিড়িক জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে। আজাদ অনুগামী হিসেবে উপত্যকায় পরিচিত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমেদ মীর, প্রাক্তন বিধায়ক হাজি আব্দুল রশিদ দারের মতো নেতারা বিভিন্ন কমিটি থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন।
চলতি বছরের শেষে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। এই সম্ভাবনা উসকে দিয়ে আসন পুনর্বিন্যাস চলছে উপত্যকায়। আর জম্মু-কাশ্মীরের একদা শাসক দল কংগ্রেস সেখানে নতুন করে সংগঠন সাজাতে চাইছে। সেই উদ্দেশে সাত বছর প্রদেশ সভাপতির পদে থাকা মীর জুলাইয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সোমবার তাঁর জায়গার ভিকর রসুল ওয়ানিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করেছেন সোনিয়া গান্ধী। আর জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবিকে দেওয়া হয় নির্বাচনী প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।
এদিকে, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য গুলাম নবি আজাদ। বহুবার সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের আবেদন করেছেন আজাদ। সেই আবেদন পত্রে সই ছিল বাকি বিক্ষুব্ধ নেতাদের। একটা সময় গুঞ্জন রটেছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গুলাম নবি আজাদকে প্রার্থী করতে পারে এনডিএ শিবির।
কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থীপদ এবং জয়লাভ।
জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ভারতীয় সেনা জওয়ানদের একটি বাস। মঙ্গলবার ওই যাত্রীবাহী বাসে ৩৭ জন আইটিবিপি জওয়ান ও দুই পুলিসকর্মী ছিলেন। চন্দনওয়াড়ি থেকে পহেলগাঁওয়ের দিকে যাচ্ছিল সেনা বোঝাই বাসটি। রাস্তা থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে নদীর ধারে গড়িয়ে পড়ে বাসটি। দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ছয়, জখম বহু বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর।
সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের ফ্রিসলানে ব্রেক ফেল হয় বাসের। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে রওনা দেয় ১৯টি অ্যাম্বুল্যান্স। সূত্রের খবর, জওয়ানরা অমরনাথ যাত্রায় কর্তব্যরত ছিলেন। সেই ডিউটি সেরে চন্দনওয়ারি থেকে পহেলগাঁওয়ে ফিরছিল বাসটি। সে সময়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্রিসলানে রাস্তার ধারে নদীতে গিয়ে পড়ে বাসটি। মৃত জওয়ানদের দেহ পহেলগাঁও সিভিল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় সামান্য আহত তিনজনের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে পহেলগাঁওয়ের মহকুমা হাসপাতালে। বাকি জখমদের শ্রীনগরে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
কাশ্মীর জোন পুলিসের পক্ষ থেকে টুইটারে জানানো হয়েছে, পহেলগাঁওয়ে চন্দনওয়ারির কাছে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে। ছয় আইটিবিপি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের শ্রীনগরে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) চন্দ্রভাগা নদীর (Chenab River) উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু (world's highest railway bridge)। এই সেতুর সোনালি জয়েন্ট (golden joint) উদ্বোধন করা হয়েছে শনিবার। ইস্পাতের তৈরি এই রেলসেতুটি তৈরি করছেন ভারতের প্রকৌশলীরা। ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ৩৫ মিটার উঁচু এই রেলসেতু। ভারতীয় রেলের এক কর্মকর্তা জানান, ৩৫৯ মিটার বা ১ হাজার ১৭৭ ফুট উঁচু এবং এক হাজার ৩১৫ কিমি লম্বা এই রেলসেতু দিয়ে জম্মু থেকে বারমুল্লা যেতে সময় লাগবে সাড়ে ছয় ঘণ্টা।
জানা গিয়েছে, ২৪ হাজার টন বা তারও বেশি ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতু তৈরি করতে। ১,৩১৫ কিমি দীর্ঘ এই সেতু এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে সবরকম প্রতিকূল আবহাওয়াতে টিকে থাকতে পারে। হিমাঙ্কের নীচে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা ঘণ্টায় ২৬০ কিমি বেগে ঝড় হলেও, সেতুর কোনও ক্ষতি হবে না।
২০০২ সালে এই রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেতুর উচ্চতম স্থানে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০০৮ সালে আবার নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।
আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়েই কাশ্মীরে রেল চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ওই সেতু তৈরি হলে যে কোনও আবহাওয়াতেই বাইরের রাজ্যগুলির সঙ্গে কাশ্মীরের যোগাযোগ চালু থাকবে।
ভূতত্ত্ব, কঠোর ভূখণ্ড এবং প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবিলা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের। Afcons-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিরিধর রাজাগোপালান বলেন, "আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, গোল্ডেন জয়েন্টের কাজ শেষ হওয়ার পরে সেতুটি প্রায় ৯৮ শতাংশ সম্পূর্ণ হবে।"