প্রথম দফায় শুরু ভোট পর্ব। তার মধ্য়েই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে কোচবিহার। শুক্রবার সকালে ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন ১২ জনকে ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটার তালিকায় তাঁদের মৃত বলে উল্লেখ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির ঝাড়আলতা অঞ্চলের উত্তর কাঠুলিয়া গ্রামের ৬০ নম্বর বুথে।
অভিযোগ, ধূপগুড়ির ওই বুথে ভোট দিতে গেলে ভোট কর্মীরা জানান, ভোটার তালিকায় মৃত বলে নাম রয়েছে। তাই তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে এসে মোট ১২ জন জলজ্য়ান্ত মানুষকে মৃত বলে জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি ভোট দিতে পারলেন না ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, সরকারি কাগজে তিনি মৃত। সমস্তরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ধূপগুড়ির সাত নম্বর ওয়ার্ডের বৃদ্ধা বাসন্তী দাস। এদিন সকালে বৈরাতীগুড়ি হাইস্কুলে ভোট দিতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি কারণ জানতে গেলে তাঁকে জানানো হয় কাগজ-কলমে তিনি মৃত। জেলাশাসক দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে মৃত বলে জানানো হয় বলে অভিযোগ।
শুরু হয়ে গেল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। তৃণমূল ও বিজপির সংঘর্ষ নিয়ে উত্তেজনা ছবি দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়ির একাধিক জায়গাতে। এদিন, শুক্রবার সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য় লাইন পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বুথে বুথে। লোকসভা নির্বাচনী উপলক্ষ্য়ে জালপাইগুড়ির কোথায়, কেমন পরিস্থিতি জানুন...
ভোট শুরু হতে না হতেই বিকল ইভিএম মেশিন। ইতিমধ্য়ে জলপাইগুড়ির তিন নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের ১৭/৯৩ নম্বর বুথে শুরু হয়েছে ভোট দান প্রক্রিয়া। তার মধ্য়েই হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে ইভিএম মেশিন। ইভিএম বিকল হয়ে যাওয়ায় বুথের সামনে পড়ে যায় ভোটারদের লম্বা লাইন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভিএসটি অফিসাররা এসে ইভিএমটি ঠিক করেন। তারপর আবার ভোট দান প্রক্রিয়া শুরু হয়।
জলপাইগুড়ির রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের বুথে তৃণমূল নেতার অবস্থান ঘিরে উত্তেজনা। এই স্কুলে চারটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ১৭/ ১০৬, ১৭/১০৭, ১৭/১০৮, ১৭/১০৯। এদিন ভোট চলাকালীন সেখানে আসেন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। আগে থেকেই সেখানে ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। জয়ন্ত বাবুর অভিযোগ, সৈকত চট্টোপাধ্যায় নির্বাচনী বিধি ভেঙ্গে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ৫০ মিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান প্রার্থী জয়ন্ত রায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিস এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা চলে আসেন এবং স্কুল চত্বর থেকে সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেন। যদিও সৈকতের দাবি, তিনি কোনও নিয়মভঙ্গ করেননি, ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি।
অন্য়দিকে ভোট দিতে পারলেন না ষাটোর্ধ্ব। জানা গিয়েছে, সরকারি কাগজে তিনি মৃত। সমস্তরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ধূপগুড়ির সাত নম্বর ওয়ার্ডের বৃদ্ধা বাসন্তী দাস। এদিন সকালে বৈরাতীগুড়ি হাইস্কুলে ভোট দিতে গেলে তাঁকে ভোট না দিতে দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি কারন জানতে গেলে তাঁকে জানানো হয় কাগজ-কলমে তিনি মৃত। জেলাশাসক দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে মৃত বলে জানানো হয় বলে অভিযোগ।
হাসপাতালের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল এক অজ্ঞাত ব্য়ক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সুপার হাসপাতালে। এখনও পর্যন্ত মৃত ওই ব্য়ক্তির কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হাসপাতালের চারতলার শৌচাগারে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। ঘটনায় পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, উদ্ধার হওয়া মৃত দেহটি তিন থেকে চার দিন ওখানেই ছিল। যদিও এখনও মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত ব্যক্তি রোগী নাকি বহিরাগত তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে। হাসপাতালের ভিতরে এত নিরাপত্তারক্ষী, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মীদের চোখ এড়িয়ে এতবড় ঘটনা কীভাবে ঘটল? যা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়। আর তাতেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। তছনছ হয়ে গেল বহু মানুষের সাজানো ঘর-বাড়ি। প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। প্রিয়জনকে হারিয়ে সর্বহারা হয়েছেন জলাপাইগুড়ির এক অংশের মানুষ। ঝড়ে উড়েছে চাল, ভেঙেছে বহু ঘর। এখনও চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ।
রবিবার রাতে খবর পেয়ে বিশেষ বিমানে উত্তরবঙ্গে পৌঁছন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। রাতেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সকালে ঝড়ে পরিস্থিতি দেখতে জলপাইগুড়ি যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
সূত্রের খবর, রবিবার ঝড়ের পর ১৬৬ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। যদিও অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্য়ে দুজন শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বর্তমান সমাজে যেখানে মানুষে মানুষে চলছে লড়াই, প্রায়ই শোনা যায় খুনের ঘটনা। সেখানে একটি পথ কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক পুলিস আধিকারিকের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। জানা গিয়েছে, মৃত সাব ইন্সপেক্টর-এর নাম করুণাকান্তি রায়। বাড়ি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের টোটাগছ এলাকায়। তিনি জলপাইগুড়ি পুলিসের মনিটরিং সেলের অফিসার ইনচার্জ-এর দায়িত্বে ছিলেন।
জানা গিয়েছে, এদিন করুণাকান্তি রায় তাঁর বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে জলপাইগুড়ির পুলিস লাইনে যাচ্ছিলেন প্যারেড রাউণ্ডে যোগ দিতে। সেই সময় জলপাইগুড়ির হাসপাতাল পাড়ায় একটি পথকুকুর তাঁর বাইকের সামনে চলে আসে। সেই পথ কুকুরটিকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এর ফলে গুরুতর জখম হন তিনি।
এরপর স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পাওয়া মাত্রই কোতোয়ালি থানার পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ইন্সপেক্টরকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুলিস মহলে।
বার্কিং ডিয়ারের খুলি এবং শিং সহ গ্রেফতার তিনজন পাচারকারী। বনদফতরের আমবাড়ি রেঞ্জের বনকর্মীদের জালে ধরা পড়েন পাচারকারীরা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। ওই তিনজন ধৃতকে জেরা করে আরও একটি পাচার চক্রের বিষয়ে তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। তারপর থেকেই চলছে কড়া নজরদারি।
বুধবার সন্ধ্য়ায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমবাড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হকের নেতৃত্বে বনকর্মীরা ক্রেতা সেজে অভিযানে নামেন। এরপর অভিযানে নেমে ফাটাপুকুর এলাকায় ৩১নং জাতীয় সড়ক থেকে সন্দেহভাজন একটি স্কুটি আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। আর তাতেই দুটি বার্কিং ডিয়ারের শিং সহ খুলি উদ্ধার হয়। তিনজনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি স্কুটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে বনদফতরের তরফে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বনাধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িতে হাতবদল হয়ে নেপাল পাচার হচ্ছিল বার্কিং ডিয়ারের মাথার খুলি সহ শিংগুলি। এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে তা বিক্রির ছক করেছিল ধৃতরা।
এ যেন ঠিক মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। একদিকে নদী ভাঙনে জেরবার এলাকার মানুষ। অন্যদিকে দিনের আলোতেই দেদারে চলছে নদীর পাড়ের বালি লুঠ। নিজেদের সর্বনাশ চোখের সামনে দেখেও যেন কিছু করতে পারছেন না জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ডুডুয়া নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
অভিযোগ, ভাঙনের জেরে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি গ্রাস করেছে ডুডুয়া নদী। পাশাপাশি প্রকাশ্য দিবালোকে বালি মাফিয়ারা একের পর এক ট্রাক্টরে করে বালি পাচার করে চলেছে। কিন্তু প্রতিবাদ করবে কে? বালি মাফিয়াদের ভয়ে মুখে একপ্রকার কুলুপ এঁটেছেন এলাকাবাসী। সবকিছু দেখেও নীরব প্রশাসন। ক্ষোভ এলাকাবাসীর।
এইভাবে বালি পাচারের ফলে ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি। ক্ষতি হচ্ছে চাষের জমির। কিন্তু প্রশাসনের হুঁশ ফিরছে কই? নদী ভাঙন রোধের জন্য স্থানীয়রা দাবি করেছিলেন বাঁধের। সেই বাঁধই বা হল কই? বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস শাসক শিবিরের। পাল্টা সরব হয়েছে বিজেপি।
কখনও ভুটান সীমান্ত লাগোয়া চামুর্চি নদী তো কখনও ধূপগুড়ির নেপালি বস্তির একাধিক নদী থেকে চলছে অবাধে বালি পাচার। কিছুই কি দেখেছে না প্রশাসন? নাকি প্রশাসনের মদতেই চলছে বেআইনি কাজ?
দশ চাকার লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পথচারীর। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি মরঙ্গা চৌপতি সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত লরির চালক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাজুড়ে। জানা গিয়েছে মৃতের নাম মোজাম্মেল হক (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, এদিন দুপুরে মোজাম্মেল হক নামের ওই ব্যক্তি রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় দ্রুতগামী একটি দশ চাকার লরি প্রথমে এসে ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। এরপর লরির ধাক্কায় ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায় ওই ব্যক্তি। তৎক্ষণাৎ ঘাতক দশ চাকার লরিটি ঘটনাস্থলে ছেড়ে পালিয়ে যাবার সময় ওই ব্য়ক্তিকে পিষে দিয়ে চম্পট দেয়। স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিস এবং দমকলকে
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ধুপগুড়ি থানার ট্রাফিক ওসি ও ধুপগুড়ি থানার পুলিস। পরবর্তীতে দমকল ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে উদ্ধার হল দম্পতির জোড়া ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ভুটকি হাট এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রমেশ মাহাতো (২৫) ও কাকলি বিশ্বাস (২২)। ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় বছর আগে রমেশ ও কাকলি প্রেম করে বিয়ে করেন। রমেশ ভুটকি হাটে এক কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। একই বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকেন তাঁর দাদা।মৃতের দাদা রাজেশ মাহাতো বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী এক বিয়ে বাড়িতে যাবে বলে তাঁরা তৈরি হচ্ছিলেন। স্ত্রীকে সাজতে বলে রমেশ পাশের বাজারে যান উপহার আনতে। ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। এরপর দুই ভাই মিলে দরজা ভেঙে দেখেন রমেশের স্ত্রীর দেহ ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর পরেই রমেশ বেপাত্তা হয়ে যান। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাছ থেকে উদ্ধার তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তবে ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তৈরী হয়েছে রহস্য়। দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিস।
ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধ দম্পতির জোড়া ঝুলন্ত মৃতদেহ। খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃত দম্পতির পুত্রবধু। অভিযোগের তীর মৃত দম্পতির ছোট জামাই-এর বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নাথুয়ার চর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কোতোয়ালি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় জলপাইগুড়ি হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই দুই বৃদ্ধ দম্পতির নাম বেচারাম দাস (৭০) এবং রাধারানী দাস (৬২)। বাড়িতে দুজনেই থাকতেন। দম্পতির এক ছেলে এবং তিন মেয়ে। তাঁরা সকলেই বিবাহিত। ছেলে কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন এবং সেখানেই থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ওই দম্পতির বাড়িতে কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে ভিতরে গিয়ে দেখেন ওই দম্পতির ঝুলন্ত মৃতদেহ। এরপর স্থানীয়রাই খবর দেয় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই দম্পতির পুত্রবধূ চায়না দাস ঘটনাস্থলে যায়। তিনি দাবি করেন শ্বশুর ও শাশুড়িকে খুন করা হয়েছে এবং এই খুনের ঘটনার সঙ্গে ওই দম্পতির ছোট মেয়ের স্বামী যুক্ত বলে অভিযোগ তাঁর। যদিও প্রতিবেশীরাও ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷
সবুজ দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সোমবার গভীর রাতে ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ির সামনে মোটর বাইকের আওয়াজ পাওয়া যায়। চিৎকার, চেঁচামেচিও শুনতে পাওয়া গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে কোতোয়ালি থানার পুলিস ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ষষ্ঠ শ্রেণির নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশী। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ভোরের আলো থানা এলাকায়। অভিযোগ, খাবারের লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করা হয়। ইতিমধ্য়ে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ওই নাবালিকার পরিবার।
জানা গিয়েছে, ১২ বছরের ওই নাবালিকা তর ঠাকুরদার বাড়িতেই থাকত। অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধ কার্তিক রায় (৬৫) ওই এলাকারই বাসিন্দা। নাবালিকা ওই অভিযুক্ত বৃদ্ধকে দাদু বলে ডাকত। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধ টাকা এবং খাবারের লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ফাঁকা জমিতে নিয়ে যায় নাবালিকাকে। সেখানে একটি খড়ের গাদার আড়ালে নাবালিকার উপর যৌন নিগ্রহ শুরু করে।
তখন নাবালিকার আর্তনাদ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার জেরে ভীষণভাবে ভেঙ্গে পড়েন নাবালিকার ঠাকুরদা। সোমবার স্থানীয় মিলনপল্লী ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার ঠাকুরদা। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত এবং বৃদ্ধের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হল এক মহিলার। জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম নূরজাহান বেগম। বাড়ি মেটেলি ব্লকের বামনী বনবস্তিতে। জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে ওই মহিলা লাটাগুড়ির জঙ্গলের বড়দিঘি বিটে গিয়েছিলেন। সেই সময় জঙ্গলে একটি বুনো হাতি ঢুকে পড়ে। সেই বুনো হাতির আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনদফতরের কর্মী এবং মেটেলি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
পাশাপাশি, স্থানীয়দের অভিযোগ, জমির ফসল সাবাড় করতে হাতির হানা অব্যাহত রয়েছে ডুয়ার্সের একাধিক এলাকায়। গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন উত্তর ধূপঝোড়ায় তিনটি বুনোহাতি চলে আসে। মূলত জমির ধান সহ অন্যান্য ফসল খেতেই হাতিগুলি হানা দেয়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে হাতিগুলি তাড়ানোর চেষ্টা করে। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। এরপর খবর পেয়ে বনদফতরের খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা এসে ওই হাতিগুলিকে তাড়িয়ে জঙ্গলে ফেরায়। তবে হাতি হানাতে মৃত্য়ুর ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
সন্তান প্রসবের সময় দেখাই মিলল না নার্স, চিকিৎসকদের। হাসপাতালের জেনারেল বেডেই সদ্য পৃথিবীর আলো দেখেই প্রাণ হারালো নবজাতক। কাঠগড়ায় জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল। হাসপাতালের লেবার রুমে নয়, সন্তান প্রসব করেছিলেন হাসপাতালের সাধারণ বেডেই। অভিযোগ, নার্সদের দেখা তো পাওয়া যায়নি। প্রসবের পরেও অবহেলা, গাফিলতিতে প্রাণটাই চলে যায় সদ্য পৃথিবীর আলো দেখতে পাওয়া শিশুটির। প্রশ্ন উঠছে, মায়ের প্রসব যন্ত্রণার কান্না কি পৌঁছয়নি কর্মকর্তাদের কানে?
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন ভেমটিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরিনা পারভিন। প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসক তো দুরস্ত, নার্সদেরও দেখা মেলেনি। অগত্যা যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে হাসপাতালেই এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন নুরিনা। পরিবারের ছোটাছুটি চিৎকার- চেঁচামেচির প্রায় দীর্ঘ সময় পর ছুটে আসেন সকলে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। অভিযোগ, সেই সময় বাইরে দাঁড়িয়ে আলাপ আলোচনা, চা পানে ব্যস্ত ছিলেন কর্তব্যরত নার্সরা। হাসপাতালের বেডেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন প্রসূতি। বেডেই নোংরার মধ্যে পড়ে থাকে সদ্যোজাত। শুরু হয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই মৃত্যু হয় নবজাতকের। ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার বিএমওএইচের।
রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে ৬ মাস ধরে আটকে ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা।অভিযোগ, সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানালেও মেলেনি চিকিৎসার টাকা। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে বছর ২৬-এর কৌশিক বর্মন নামে এক যুবক ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ধূপগুড়ির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। আর্থিক অবস্থা খুব বেশি সচ্ছল নয়। দরিদ্র পরিবারে মা বাবা ও দুই দাদাকে নিয়ে থাকতেন সে। কিন্তু এক বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকায় আরও বিপদে পড়ে যায় ওই পরিবার। এরপর জলপাইগুড়িতে চিকিৎসা না হওয়ায়, ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ান প্রতিবেশীরা। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা-পয়সা দিয়ে চিকিৎসা জন্য বেঙ্গালুরু পাঠায় ওই ক্যান্সার আক্রান্ত যুবককে।
এরপর জলপাইগুড়িতে ফিরে বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হয় ওই ক্যান্সার আক্রান্ত যুবকের কেমো থেরাপি। অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ২ টো কেমোর সাহায্য পেলেও কিন্তু আরও কেমো দেওয়ার জন্য আবারও প্রতিবেশীদের কাছে টাকা চাইতে হয় ওই পরিবারকে। ক্যান্সার আক্রান্ত হবার পর থেকে চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এরপর হাসপাতাল থেকে জানানো হয় ফের অপারেশন করতে হবে ওই ক্যান্সার আক্রান্ত যুবককে।
পরিবারের অভিযোগ, প্রায় ছয় মাস আগে চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইতে মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু আবেদন করার ছয় মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সাহায্য পায়নি ওই পরিবার। যারফলে এখন পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ক্যান্সারে আক্রান্ত বছর ছাব্বিশের কৌশিক বর্মনের চিকিৎসা। কবে মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডের টাকা তাঁরা পাবে এবং কবে অপারেশন হবে সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার।
মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ছেলের। এ ঘটনায় মহিলা এবং তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটনাটি জলপাইগুড়িতে। শর্ট সার্কিটের জেরেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত দুজনের নাম ননীবালা রায় এবং টিঙ্কু রায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে হঠাৎই ননীবালাদেবীর চিৎকার শুনতে পান টিঙ্কু। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান ছেলে। সেসময় দুজনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ননীবালাদেবীর বাড়িতে। সেসময় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের খবর দেওয়া হলে তাঁরা দ্রুত মেরামত করে দেন। অভিযোগ, সেসময় গোটা বাড়ি শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। সেকারণেই রবিবার সকালে দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়ির ওয়ারিংয়ে সমস্যা ছিল। সেকারণেই দুর্ঘটনা ঘটে।