টাকা নিয়ে প্রশ্ন কাণ্ডের জের! একের পর এক বিপদে পড়েই চলেছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবারে তাঁর প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও সিবিআইয়ের কাছে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, মহুয়া তাঁর উপর অবৈধভাবে নজরদারি করছেন। এমনকি বাংলার পুলিসের পদস্থ কর্তাদের কাজে লাগিয়ে তিনি এসব করছেন বলে অভিযোগ করেছেন জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। শুধু তাই নয়, তিনি দাবি করেছেন যে, এর আগেও মহুয়ার আরও এক প্রাক্তন বন্ধুর উপরও এভাবেই নজর রাখতেন প্রাক্তন সাংসদ।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সিবিআইয়ের কাছে জমা পড়া অভিযোগপত্রে দেহাদ্রাই দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিসের সাহায্য নিয়ে মহুয়া মৈত্র তাঁর ফোনের সমস্ত ডিটেলস পাচ্ছেন ও লোকেশন ট্র্যাক করছেন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) অ্যাডভোকেট জয় অনন্ত অভিযোগ করেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) নেতা মহুয়া মৈত্র পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের সহযোগিতায় তাঁর উপর অবৈধ নজরদারি চালাচ্ছেন। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ডিরেক্টর প্রবীন সুদ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আরও লিখেছেন যে, একাধিক সময় তিনি অনুভব করেছেন তাঁর গাড়িটিকে ফলো করা হচ্ছে।
এছাড়াও জয় অনন্ত তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মহুয়ার ওপর এক প্রাক্তন বন্ধু সোহান মুখার্জির কথা। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন মহুয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকাকালীন তিনি একাধিকবার দেখেছেন সোহান মুখার্জি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, এই সমস্ত বিষয়গুলি মহুয়া ট্র্যাক করতেন। এবং এই কাজে তাঁকে সাহায্য করতেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের উচ্চপদস্থ কয়েকজন আধিকারিক। মহুয়াও একাধিকবার এই বিষয়ে তাঁকে জানিয়েছেন এবং এই সমস্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন জয় অনন্ত দেহাদ্রাই।
'টাকা নিয়ে প্রশ্ন' কাণ্ডে যখন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দায়ের করলেন তাঁর প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাই। ফলে জয় অনন্ত সরাসরি ছুটলেন পুলিস থানায়। অভিযোগ, মহুয়া জোর করে তাঁর বাড়িতে ঢুকছে, যাকে এককথায় 'অনুপ্রবেশ' বলে। তাঁকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য নিয়েই মহুয়ার অনুপ্রবেশ, এমনটাই অভিযোগ জয় অনন্তের।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে লেখা রয়েছে, '৫ নভেম্বর সকাল ১১ টার দিকে ও ৬ নভেম্বর সকাল ৯ টার দিকে বিনা অনুমতিতেই আমার বাড়িতে আসেন। এভানে না জানিয়ে আমার বাড়িতে আসা দেখে মনে হচ্ছে, তিনি আমার নামে কোনও ভুয়ো প্রতারণামূলক অভিযোগ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।' ফলে তিনি পুলিসের কাছে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, মহুয়া তাঁকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য নিয়েই এমনটাই করছেন। জয়ের আরও সংযোজন, 'মহুয়া মৈত্রের প্রতারণামূলক ও মিথ্যে অভিযোগ সম্পর্কে আমি আগেই দিল্লির পুলিস কমিশনারকে জানিয়েছি। আর তাঁর বারবার আসা উদ্বেগজনক।'