Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Jadavpur

Ram Navami: রামনবমী পালনে 'না' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, অনুমতি দিয়ে প্রত্য়াহারের অভিযোগ

ফের খবরের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বিতর্কে রামনবমী উদযাপন করা নিয়ে। রামনবমীর অনুষ্ঠান প্রত্যাহার করতে বলা হল রেজিস্ট্রার-এর তরফে। এই মর্মে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। প্রথমে অনুষ্ঠান পালনের জন্য় অনুমতি দেওয়া হলেও পরে অনুমতি প্রত্যাহার করে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। 

গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রামনবমী উৎসব পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু নোটিশ দিয়ে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করল। তবে ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট করা অনুমতি বাতিল করা হল, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রারকে ফোন করলেও রেজিস্ট্রার ফোন ধরেনি বলে অভিযোগ। 

যদিও রাষ্ট্রবাদী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বদের দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো থেকে ইফতার পার্টি সবকিছুই সুপরিকল্পিতভাবে অনুষ্ঠিত হলেও কেন রামনবমী পালন করার অনুমতি দিতে দ্বিচারিতা? প্রশ্ন তুলছেন রাষ্ট্রবাদী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব। রাজ্য সরকারের তরফে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে রাম নবমীতে। তাহলে কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামনবমী পালন করা যাবেনা, যা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

4 weeks ago
Jadavpur: যাদবপুর এখন কার?

প্রসূন গুপ্তঃ স্বাধীনতা উত্তর যুগে যে কয়েকটি এলাকা লাল দুর্গ হিসাবে খ্যাত হয়েছিল তার অন্যতম যাদবপুর। এর কারণও ছিল। অঞ্চলের বিশাল স্থানে এসেছিলো উদ্বাস্তুরা এবং ইতিহাস বলে বাম বা সিপিএম বা নক্সালরা যেখানে সংগঠন পোক্ত করেছিল তার বেশির ভাগই উদ্বাস্তু এলাকা ছিল। কিন্তু এই মিথটি ভেঙে দিয়েছিলেন ১৯৮৪/৮৫ তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ফের এই লোকসভা সিপিএমের হাতে চলে যায় ১৯৮৯ তে। ফের তৃণমূল দল তৈরি হলে এই যাদবপুর থেকে জিতে আসেন কৃষ্ণা বসু। ফের ২০০৪-এ ফের সিপিএমের হাতে আসে এই লোকসভা। কিন্তু ২০০৯ থেকে এই লোকসভা ফের চলে আসে তৃণমূলের হাতে।

যাদবপুর লোকসভায় ৭টি বিধানসভা আছে। টালিগঞ্জ, যাদবপুর, সোনারপুর ১ ও ২, বারুইপুর ১ ও ২ এবং ভাঙ্গর। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ৭টির মধ্যে ৬টি বিধানসভা যেতে তৃণমূল। একমাত্র ভাঙ্গরে আইএসএফ এর প্রার্থী নৌশাদ সিদ্দিকী জেতেন। গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী বিজেপির অনুপম হাজরাকে প্রায় ৩ লক্ষ ভোটে পরাজিত করেন। এবারে কিন্তু মিমি আর লড়াইয়ে নেই, এসেছেন আর এক গ্ল্যামার দুনিয়ার অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। বিরুদ্ধে বিজেপির উচ্চ শিক্ষিত অনির্বান গাঙ্গুলি এবং সিপিএমের সৃজন ভট্টাচার্য।

লড়াইটা কেমন হবে উঠেছে প্রশ্ন? প্রথমত এবারে লড়াই তৃণমূল বনাম বিজেপি নাকি তৃণমূলের লড়াই সিপিএমের সঙ্গে? বাম প্রার্থী সৃজন নব্য যুবা। জনপ্রিয়তা আছে তাঁর। একই সাথে জানতে হবে যে গতবারে লড়াই কিন্তু ত্রিমুখী হয়েছিল এই যাদবপুরেই। একমাত্র সিপিএম প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য সারা বাংলায় নিজের জামানত রাখতে পেরেছিলেন। যদি সেই মোতাবেক ভোট হয় তবে সায়নীর বড়সড় ভোট জিতে আসাটা সমস্যার হবে না। কিন্তু যদি সৃজনকে খোদ সিপিএম ভোট না দিয়ে অনির্বাণকে দেয় তবে লড়াই জোরদার। আবার যদি সিপিএমের পুরাতন ভোট দলেই ফিরে আসে তবে লড়াই জোরদার তৃণমূলের সঙ্গে তাদের। সে যাই হোক না কেন কলকাতা, বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতা লাগোয়া যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র কিন্তু তৃণমূলের অন্যতম খাসতালুক ফলে অনেকটাই পা বাড়িয়ে খেলছেন সায়নী।

4 weeks ago
Student: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের পড়ুয়ার মৃত্যুতে শুরু বিতর্ক, আজই জরুরি বৈঠকের ডাক কর্তৃপক্ষের

ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুতে শুরু বিতর্ক। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও এক গবেষকের মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের ফলেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় জলপাইগুড়ির মালবাজারে। ওই ছাত্রীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক।

অভিযোগ, ওই ছাত্রীর বাবা গত ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের এক ছাত্র এবং বাংলা বিভাগের এক গবেষক মিলে তাঁর মেয়েকে শারীরিক, মানসিক অত্যাচার করত। যে কথা মৃত্যুর আগে পরিবারকে ওই ছাত্রী জানিয়েছিলেন বলেও দাবি। এমনকী জোর করে ওই ছাত্রীকে নেশা করানোর অভিযোগও উঠেছে।

এবার সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই জরুরি বৈঠকের ডাক দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ওই বৈঠকে থাকবেন রেজিস্ট্রার, ডিন অফ স্টুডেন্টস-সহ একাধিক আধিকারিকরা। ওই বৈঠকেই মৃত ছাত্রীর বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনা হওয়ার কথা।

যদিও এই ঘটনার পর সরব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র সংগঠন। মৃত ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি, এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে কর্তৃপক্ষকেও। ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ছাত্র সংগঠন এফএসডি-র তরফেও দৃষ্টিহীন ছাত্রীর মৃ্ত্যুতে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে।

4 months ago


JU: 'বাম বাধা'য় রাম কর্মসূচি, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে

ফের সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরে বাম বাধায় আটকে গেল রাম কর্মসূচি। অশান্তির গুঞ্জন ছিলই। সে কথা মাথায় রেখে রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। কিন্তু রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অশান্তি আটকানো গেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন শুরুর খানিকটা আগেই তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর ক্যাম্পাস।

রামমন্দির উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য প্রোজেক্টর-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই সময় অতিবাম সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাধা দেয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'পক্ষের সমর্থকেরা। চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও। ABVP শিবিরের দাবি, বামেরা তাদের উপর হামলাও চালিয়েছে।

যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আহত হয়েছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। সূত্রের খবর, মারমুখী ছাত্রদের মধ্যে পড়ে আহত হন তিনি।  এছাড়াও ABVP সূত্রে খবর, তাঁদের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে DSF, SFI সহ অন্যান্য বাম সংগঠনের ৪ জন সদস্য আহত। খবর পেয়ে অধ্যাপকদের অনেকে পৌঁছে যান ৩ নম্বর গেটের সামনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেট বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

4 months ago
JU: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ঘরের সামনে বিতর্কিত পোস্টার, ক্ষুব্ধ বুদ্ধদেব সাউ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ঘরের সামনে বিতর্কিত পোস্টার। পোস্টারে লেখা ভিসিকেই কটাক্ষ করে নানারকম কৌতুকমূলক লাইন। লেখা রয়েছে, 'তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার চেয়ার খানি চাই।' এমনকি তাতেই কার্টুনের মাধ্যমে এক ব্যক্তির চেয়ার আটকানোর ছবি ছাপিয়ে লেখা, 'আমায় ছেড়ে যাস না প্লিজ, আমায় ছেড়ে যাস না।' পাঁচিলে, দেওয়ালের বিভিন্ন জায়গায় এই ছবি ছাপিয়েছে কেউ বা কারা। আর তা নিয়েই ফের তৈরি হল বিতর্ক।

প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ভিসি কে? তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রীতিমত অচলাবস্থা চলছেই। গত বছর ডিসেম্বরের ২৮ তারিখেই জুটার তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি মারফত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে! এই চিঠির উত্তরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন, দুটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। একটি রাজ্যপালের ও একটি বিকাশ ভবনের। এরপর এখন কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং এখান থেকেই স্পষ্ট হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে সে বিষয়ে কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর রেজিস্ট্রারের কাছেও নেই। ঘটনাকে 'অভূতপূর্ব' বলেই মন্তব্য করেছিলেন জুটার সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম রায়। এবার ভিসির ঘরের সামনে পোস্টার বিতর্কে সেই অচলাবস্থাকেই টেনে আনলেন তিনি।

এদিকে যাকে নিয়ে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যখন রাজ্যপাল তাঁকে অপসারণ করেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের পদ থেকে। সেই বুদ্ধদেব সাউ এবার পোস্টার বিতর্কে সুর চড়ালেন। তিনি বললেন, যাঁরা এই কাজ করেছেন, এতে তাঁদের মনুষ্যত্ব, তাঁদের চরিত্র কেমন তা বোঝা যাচ্ছে।

তবে এর জেরে একমাত্র সমস্যার মুখে পড়তে হবে পড়ুয়াদেরই। উপাচার্য কে তা না জানা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু কাজও যেতে পারে আটকে। আর এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই এবার এই সব পোস্টার রহস্য। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

4 months ago


Jadavpur: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে! জানেই না কর্তৃপক্ষ, রেজিস্ট্রারকে চিঠি জুটার

মণি ভট্টাচার্যঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে! জানেই না কর্তৃপক্ষ। ফলত, সমাবর্তনের পর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার জুটার তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি মারফত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে? এই চিঠির উত্তরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন দুটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। একটি রাজ্যপালের ও একটি বিকাশ ভবনের, এরপর এখন কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। ফলে এটা স্পষ্ট যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে সে বিষয়ে কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর রেজিস্ট্রারের কাছে নেই। এছাড়া সিএনের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে রেজিস্ট্রারও একই উত্তর দেন।

এই রকম পরিস্থিতি এর আগে কখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি। তাই এই ঘটনাকে অভূতপূর্ব বলেই মনে করছেন জুটার সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম রায়। উপাচার্য কে তা জানতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কাজ আটকে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। পার্থপ্রতিম রায়ের সাফ কথা, ভিসি যেই থাকুন না কেন সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বা বুদ্ধদেব সাউকে পরিষ্কার করে জানাতে হবে।

রাজ্যের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের অচলাবস্থায় সমস্যার মুখে পড়তে পারেন এই বিশ্ববিদ্যালেয়ের পড়ুয়ারা। এমনকি সমাবর্তনের সার্টিফিকেট নিয়েও বাড়তে পারে অনিশ্চয়তা।

5 months ago
Jadavpur University: অপসারিত যাদবপুরের অন্তর্বর্তী ভিসি, আইন অনুযায়ী সঠিক কে?

মণি ভট্টাচার্যঃ যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল কর্তৃক অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে অপসারণের ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে আছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। ঘটনাক্রমে রবিবার সমাবর্তনের আগেই শনিবার রাজ্যপাল কর্তৃক অপসারণ করা হয় যাদবপুরের অন্তর্বর্তী ভিসি বুদ্ধদেব সাউকে। এরপর পাল্টা শনিবার মধ্যরাতে বিকাশ ভবনের তরফে যাদবপুরকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয় রাজ্যপালের ওই নির্দেশ বেআইনি। চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করে সুপারিশ করা হয় যে বুদ্ধদেব সাউই থাকবে যাদবপুরের উপাচার্য। এরপর অবশ্য রবিবার রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য ও যাদবপুর ACT অমান্য করার জন্যই বুদ্ধদেব সাউকে সরানো হয়েছে। এছাড়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রাজ্য শিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয় গুলির সায়ত্ব শাসনে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এখন প্রশ্ন, গোটা ঘটনায় আইন অনুযায়ী সঠিক কে? কী বলছে যাদবপুর ১৯৮১ ACT? তারই খোঁজ নিল সিএন।

১৯৮১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্য পরিচালনার জন্য একটি ACT গঠন করা হয়। যা ১৯৮৩ সালে পাশ হয় বিধানসভায়। তারপর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান, পরীক্ষা, সমাবর্তন, সহ সমস্ত প্রক্রিয়া সংঘটিত হয় এই ACT অনুযায়ী।জানা গেল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮১ ACT এর ৮ নম্বর রুলের ২,৩ ও ৯ নম্বর রুলের ১ নম্বর ধারা অনুযায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ করবেন কেবল আচার্য। যদিও ১৯৮১ এর সেই ACT খানিক পরিবর্তন করা হয় ২০১১ সালে। সেখানে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বা রাজ্যপালকে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ যদি শূন্য থাকে সেক্ষেত্রে আচার্য ওই পদে অন্তর্বর্তী ভিসি বা ভারপ্রাপ্ত ভিসিকে নিয়োগ করতে পারেন এবং তিনিই ওই নিয়োগ প্রত্যাহার করতে পারেন।

সুতরাং গোটা ঘটনায় যা স্পষ্ট হল, অন্তবর্তী ভিসি নিয়োগের অ্যাপয়েন্টমেন্ট অথরিটি কেবলমাত্র আচার্য বা রাজ্যপালের। সেখানে রাজ্যশিক্ষা দপ্তর, বিকাশ ভবন বা শিক্ষামন্ত্রী কেউই কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। তাহলে রাজ্যপাল কর্তৃক অপসারণ হতেই পারে, মত বিশেষজ্ঞদের। শুধু তাই না, রাজভবন সূত্রে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছেন বুদ্ধদেব সাউ। সুপ্রিম নির্দেশে তিনি অন্তর্বর্তী ভিসি হিসেবে থাকলেও, বুদ্ধদেব সাউ নিজেকে ভিসি বলেই দাবি করতেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি আইন অমান্য করেছেন বুদ্ধদেব সাউ। ফলে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যপাল কর্তৃক যাদবপুরের অন্তর্বর্তী ভিসি অপসারণে যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা।

5 months ago
JU: রাজ্যপালের অপসারণ-নির্দেশ অমান্য! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হাজির বুদ্ধদেব সাউ

রাজ্যপালের অপসারণ নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হাজির বুদ্ধদেব সাউ। আচার্যের অনুমতি ছাড়াই হচ্ছিল যাদবপুরে সমাবর্তন। তাই কি সরতে হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে! এই নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অপসারণ করেন বুদ্ধদেব সাউকে। ফলে সমাবর্ত নিয়ে জটের মধ্যেই অপসারিত হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। তবে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়ে মধ্যরাতে নির্দেশিকা দিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়ার কথা সমাবর্তন। তার আগের সন্ধ্যায় এই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন রাজ্যপাল।

রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, এই অপসারণ রাজ্যপাল করতে পারেন না। যেহেতু মামলা সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। এছাড়া যাদবপুরকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে এই অপসারণ অবৈধ। এছাড়া ওই চিঠিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাথমিক রায়ও উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজভবন থেকে শনিবার উপাচার্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁকে তাঁর কর্তব্য থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে, রবিবার কি আদৌ যাদবপুরে হবে সমাবর্তন? সে প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন সকলে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, অপসারণের খবর পেয়েই সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে রাতেই বৈঠকে বসেছেন ইসির সদস্যরা। রাজ্যপালকে আম্রন্ত্রণ জানানো নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।

অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অপসারনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে স্বেচ্ছাচারিতা বলেও মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।

5 months ago


Ragging: যাদবপুরে ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ! প্রথম বর্ষের ছাত্রকে ফোন করে দেওয়া হত হুমকি...

আরও একবার র‍্যাগিংয়ের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার প্রথম বর্ষের ছাত্রকে বিভিন্ন ভাবে হুমকির অভিযোগ। জানা গিয়েছে, প্রথম বর্ষের এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রকে দেওয়া হয়েছে হুমকি বলে অভিযোগ। যদিও তদন্তের জন্য ওই পড়ুয়ার নাম গোপন রাখা হয়েছে। 

অভিযোগ, প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি ওই ছাত্রকে ফোন করেও হুমকি দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, নিজের নাম প্রকাশ না করেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ওই ছাত্রকে হুমকির অভিযোগ দায়ের হয়েছে যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির চেয়ারম্যান সন্ময় কর্মকার, ইমন কল্যাণ লাহিড়ী, অনুপম দেবনাথ, তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেন। ইতিমধ্যে যে নম্বর গুলি থেকে ওই প্রথম বর্ষের ছাত্রকে হুমকি দেওয়া হয়েছে সেটা ট্রেস করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

গত সপ্তাহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে স্নাতকোত্তর বিভাগের এক পড়ুয়াকে র‍্যাগিং-এর অভিযোগ উঠেছিল। তারপর নিজের নাম গোপন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়ে হস্টেল ছেড়েছেন স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র। একের পর এক পড়ুয়াদের উপর র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে আসতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে হস্টেলে পড়তে আসা পড়ুয়াদের মধ্যে।

5 months ago
Ragging: 'নিজেকে নিরাপদ মনে করছি না', ফের র‍্যাগিং-এর অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

ফের র‍্যাগিং-এর অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। কয়েকমাস আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং-এর শিকার হয়ে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। আর এই নিয়েই তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। কিন্তু সেই ঘটনার পর ফের র‍্যাগিং-এর অভিযোগ উঠল, যার ফলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

র‍্যাগিং-এর শিকার হয়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর পর ফের একই অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই মেইন হোস্টেলেই র‍্যাগিং-এর শিকার হয়েছে এক পড়ুয়া। স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া নিজের পরিচয় গোপন রেখে ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'হোস্টেলে থাকতে নিজেকে নিরাপদ মনে করছি না। এই হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।' এমনই কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই পড়ুয়া।

6 months ago


JU: পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে অনশনে বসলেন যাদবপুরের অধ্যাপক ইমনকল্যান লাহিড়ী

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিন মাস।  মেলেনি কোনো সুবিচার।  বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আলাদা করে তদন্ত করা হলেও এখনও পর্যন্ত হয়নি কোনও সমাধান। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১২ জন পড়ুয়া এবং প্রাক্তনী জেলে থাকলেও রহস্য অধরাই থেকে গিয়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একাধিক বার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসি বৈঠক হলেও সেখানে এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার কোনও উল্লেখ নেই।  এই নিয়েই ফের সোচ্চার হয়েছেন সেখানকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী।

এর আগেও তিনি অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য  বুদ্ধদেব সাউকে চিঠি লিখেছেন। সেখানেও তিনি সুবিচার চেয়ে এমন দীর্ঘসূত্রীতার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি সেখানে দোষীদের আড়াল কেন করা হচ্ছে- এ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু তার কোনও সদুত্তর আসেনি বলেই দাবি করেছেন  ইমন কল্যাণ লাহিড়ী।  আর ঠিক এই কারণেই  সুবিচারের আশায় বসেছেন অনশনে। প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় এর ভূমিকা নিয়ে। বৃহস্পতিবার ফের রেজিস্ট্রার-এর কাছে ডেপুটেশন দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একাংশ। শুক্রবার রয়েছে ইসি বৈঠক। তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রশাসনিক ভবনে এক অধ্যাপকের এরকম একটি গুরুতর বিষয়ে  অনশনে বসা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। ছাত্র মৃত্যুর  ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অফিসারকে নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন । প্রশ্ন উঠেছিল ডিন অফ স্টুডেন্টস এর ভূমিকা নিয়েও । তিন মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ন্যায় বিচার না মেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফের উঠছে প্রশ্ন।

অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দাবি, দোষী সাব্যস্ত হওয়া সেই ১২ জনের সঙ্গে কথা বলা যায়নি, আদালতে  আমরা আবেদন করব যাতে তাদের সঙ্গেও কথা বলা যায়। একটা শাস্তি তাদের দেওয়া হয়েছে।  যত দিন আদালত তাদের নির্দোষ না বলবে, তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।  অন্যদিকে অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি ও স্কোয়াড সহ অভ্যন্তরীণ যে অন্তঃকমিটি তদন্ত করছিল, তাঁদের  ঘাড়েই দায় ঠেললেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ । এর আগেও না কি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেননি উপাচার্য। তবে অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী জানিয়েছেন, যতদিন না ন্যায়বিচার মিলবে ততদিন তিনি অনশন করে যাবেন।  তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই পড়ুয়া এবং অধ্যাপকের একাংশ। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কেটে গেছে তিন মাস। আর কত মাস পরে এই রহস্যমৃত্যুর সমাধান হয় বা আদৌ হয় কি না, সেটাই দেখার।

6 months ago
Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে এবার জমা পড়ল চার্জশিট

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে এবার জমা পড়ল চার্জশিট। বুধবার আদালতে এই চার্জশিট জমা দেয় কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, চার্জশিটে কলেজের ৬ জন বর্তমান পড়ুয়া এবং ৬ জন প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ এবং ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব়্যাগিং এবং পকসো ধারাতেও অভিযোগ এনেছে পুলিস।

উল্লেখ্য, অগাস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার বগুলার প্রথম বর্ষের ছাত্রের। ঘটনার পর থেকেই প্রতিবাদ, মিছিল, এককথায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাস। র‍্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার তা কার্যত স্বীকার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে একাধিক পড়ুয়াকে আটক করে পুলিস। তাদের বিরুদ্ধেই এদিন কলকাতা পুলিসের তরফে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।

7 months ago
Jadavpur: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'উলট পুরাণ'! রাতভর ধরনায় যাদবপুরের উপাচার্য-ডিন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur Universitry) এবারে একবারে উল্টো দৃশ্য। সাধারণত যাদবপুরে ধরনা বলতেই পড়ুয়াদের কথাই মাথায় আসে। কিন্তু এবারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরনায় বসলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিকরা। পড়ুয়া মৃত্যু ঘটনার জেরেই শিরোনামে উঠে এসেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিয়ে বারাবর পড়ুয়ারা কাঠগড়ায় তুলেছিল কর্তৃপক্ষদের। তবে এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'উলট পুরাণ'। বিক্ষোভে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিকরা। পড়ুয়াদের হাতে লাগাতার হেনস্থা ও অপমানের অভিযোগ তুলে এই ধরনা বলে দাবি শীর্ষ আধিকারিকদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের বাইরে বুধবার রাত থেকে অবস্থানে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ, সহ উপাচার্য অমিতাভ ভট্টাচার্য, রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সকালেও চলছে ধরনা অবস্থান।

বুধবার ইসি মিটিং চলাকালীন অবস্থান বিক্ষোভে বসার সিদ্ধান্ত নেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের দাবি, যতবারই ইসি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ততবারই তা বানচাল করার চেষ্টা করেছেন ছাত্ররা। বুধবার ইসি মিটিং চলাকালীন ভিতরে এসে স্লোগান দেন পড়ুয়ারা। তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চান, কেন তাঁদের এতক্ষণ ডাকা হয়নি? এও দাবি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা বোর্ডে রাখতে হবে স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টিভ। ফলে পড়ুয়াদের এরূপ বিক্ষোভের জেরেই তাঁরা ধরনায় বসেন বলে সূত্রের খবর।

এর আগে উপাচার্যের মুখে শোনা গিয়েছিল র‍্যাগিং-এর শিকার তিনি। এবার সহ উপাচার্যের মুখেও শোনা গেল একই কথা। তিনি বলেন দিনের পর অধ্যাপকদের সমস্ত কাজে বাধা দিয়ে তাঁদের র‍্যাগিং করা হচ্ছে। পড়ুয়া মৃত্যুর বিচার করতে দেওয়া হচ্ছে না, তাঁদের দাবি। সকলে বার্তা দিতে চাইছেন যে তাঁরা অসহায়। কাজ করতে পারছেন না তাঁরা। এদিন কার্যত মেজাজ হারিয়ে ফেলেন উপাচার্য। এত পড়ুয়ার উপস্থিতিতে পড়ুয়া মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটল। যেসব পড়ুয়ারা হস্টেলের দায়িত্বে ছিল তাঁরা কী করছিল। 'যাদের জন্য এত বড় ঘটনা ঘটল তারাই আজ তৈরি করবে নিয়ম?' প্রশ্ন উপাচার্যের। তিনি আরও বলেন কিছু পড়ুয়াদের জন্য কালিমালিপ্ত হচ্ছে বিশ্ববিদ্য়ালয়। ফলে সবকিছু ঘিরে ফের তপ্ত ক্যাম্পাস।

7 months ago


Jadavpur: ব়্যাগিং বিরোধী নিয়মাবলী মানা হয়নি কেন? প্রশ্ন তুলে যাদবপুরকে কড়া চিঠি ইউজিসির

যাদবপুর হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে। এবার যাদবপুরকে কড়া চিঠি দিল ইউজিসি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কেন ব়্যাগিং বিরোধী নিয়মাবলী মানেনি, তা নিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে। কৈফিয়েত দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিন সময়ও দিয়েছে ইউজিসি।

যাদবপুরের পাশাপাশি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরই কৈফিয়েত চেয়েছে ইউজিসি। যাদবপুরে পড়ুয়াদের উপর কেন হস্টেল সুপারদের নিয়ন্ত্রণ ছিল না, চিঠিতে তাও জানতে চেয়েছে ইউজিসি। প্রাক্তনীদের হোস্টেলে থাকা নিয়েও জবাব চাওয়া হয়েছে।

গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। ইউজিসি-এর নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন সিসি ক্যামেরা বসানো ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত শনিবার ক্যাম্পাসের মোট ২৬ জায়গায় ক্যামেরা বসানো হয়।ব়্যাগিং বিরোধী নিয়মাবলী মানা হয়নি কেন? প্রশ্ন তুলে যাদবপুরকে কড়া চিঠি ইউজিসির।

যাদবপুর হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে। এবার যাদবপুরকে কড়া চিঠি দিল ইউজিসি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কেন ব়্যাগিং বিরোধী নিয়মাবলী মানেনি, তা নিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে। কৈফিয়েত দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিন সময়ও দিয়েছে ইউজিসি। যাদবপুরের পাশাপাশি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরই কৈফিয়েত চেয়েছে ইউজিসি। যাদবপুরে পড়ুয়াদের উপর কেন হস্টেল সুপারদের নিয়ন্ত্রণ ছিল না, চিঠিতে তাও জানতে চেয়েছে ইউজিসি। প্রাক্তনীদের হোস্টেলে থাকা নিয়েও জবাব চাওয়া হয়েছে।

গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। ইউজিসি-এর নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন সিসি ক্যামেরা বসানো ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত শনিবার ক্যাম্পাসের মোট ২৬ জায়গায় ক্যামেরা বসানো হয়।

8 months ago
Jadavpur: ফের শিরোনামে যাদবপুর, নার্সিং পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ফের শিরোনামে যাদবপুর। পূর্ব যাদবপুরের গ্রিনপার্ক এলাকায় নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। সূত্রের খবর, গ্রিনপার্ক এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা বছর ২২-এর মল্লিকা দাস। সোমবার সকালে নিজের ঘর থেকেই নার্সিং-এর চতুর্থ বর্ষের ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে সহপাঠীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যাদবপুর থানার পুলিস। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল মল্লিকা।

কিন্তু এই মৃত্যুর কারণ কি? সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি মানিসিক অবসাদ নাকি মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিস। তবে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রাণোচ্ছল মেয়ে ছিল মল্লিকা। বন্ধুদের সাথে মিলে মিশে থাকত। কোনও ঝামেলা ছিলনা। ঠিক কী কারণে এই মৃ্ত্যু তা স্পষ্ট নয় তাদের কাছেও।

একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বাঁকুড়ার হাড়মাসড়া গ্রাম থেকে শহরে পড়তে এসেছিল মল্লিকা।ছিল জীবনে কিছু করার তাগিদ। এক লহমায় বদলে গেল বাস্তব ছবি। পরিবারের মায়া কাটিয়ে না ফেরা দেশে হারিয়ে গেল মল্লিকা। মল্লিকার অকাল প্রয়ানে শোকস্তব্ধ গোটা হাড়মাসড়া গ্রাম।

8 months ago