
প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে, নিজের মন পছন্দের চাকরি (Job) করার। তবে কারোর যদি স্বপ্ন থাকে মৎসকন্যা বা মারমেইড (Mermaid) হওয়ার। আশ্চর্য হচ্ছেন তো? তবে এটাই সত্যি। এমন এক তরুণী রয়েছেন যিনি তাঁর শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে মৎসকন্যা হয়েছেন। ঘটনাটি ইটালির (Italy)।
জানা গিয়েছে, ৩৩ বছরের তরুণীর নাম মস গ্রিন (Moss Green)। তিনি এতদিন ইংরেজির শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি আগে ইংল্যান্ডেই থাকতেন কিন্তু পরে তাঁর শিক্ষকতার জন্যই তিনি ইটালিতে চলে আসেন। তবে তিনি সেই চাকরিতে তেমন খুশি ছিলেন না। ফলে তিনি এমন কাজ খুঁজছিলেন, যেটা করে তিনি খুশি হবেন। এরপর তিনি এক মৎস্যকন্যা হওয়ার কথা মনস্থির করে নেন। তিনি জানিয়েছেন, একবার তিনি এক 'ম্যাজিক্যাল মারমেন'-কে দেখে এই সিদ্ধান্ত নেন। তারপর থেকেই মসও ঠিক করে নেন, তিনি মৎস্যকন্যাই হবেন। এরপর তিনি মৎস্যকন্যা হয়ে এক চাকরিও পেয়েছেন। ফলে তিনি কৃত্রিম লেজ লাগিয়ে সেজে থাকেন মৎস্যকন্যা।
মস এও জানিয়েছেন যে, তিনি এই কাজ পেয়ে খুব খুশি। এটাই তাঁর জন্য এক্কেবারে উপযুক্ত চাকরি। জানা গিয়েছে, এই চাকরি পাওয়ার পর তাঁকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। কীভাবে জলের গভীরে গিয়ে শ্বাসরোধ করে রাখা যায়, কীভাবে জলের গভীরে সাঁতার কাটা যায়, সেসব বিষয়ে তিনি প্রশিক্ষণ নেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি আগের মতো উপার্জন করতে না পারলেও এতেই তিনি খুশি।
ভয়াবহ বিস্ফোরণ ইতালিতে। বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনাটি ঘটেছে ইতালির (Italy) মিলানে। বিস্ফোরণের জেরে পাশে থাকা গাড়ি গুলিতেও আগুন লেগে যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চার পাশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে পুলিস (Police) ও দমকল বাহিনী। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, সিলিন্ডার বোঝাই গাড়িতে আগুন লাগার ফলেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচটি গাড়ি এবং চারটি বাইক সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এমনকি কয়েকটি গাড়ির ক্ষতিও হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে পুলিস ওই গোটা এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।
Several vehicles are in flames in the center of Milan in northern Italy after an explosion, possibly coming from a van full of oxygen bottles #Milano#Italy #BreakingNEWS pic.twitter.com/h01NOJ9uKH
— D® Phil (@philabouzeid) May 11, 2023
জানা গিয়েছে, আচমকাই মিলানের পোর্তা রোমানার একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিলিন্ডারের গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে বেশ খানিকটা উড়ে যায় গাড়িটি। আশপাশে পার্ক করে রাখা গাড়ি এবং বাইকেও আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণস্থলের পাশেই রয়েছে একটি স্কুল এবং একটি নার্সিংহোম। বিস্ফোরণের পরেই সেখান থেকে পড়ুয়া এবং রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
'সেলফি' (Selfie) বর্তমান যুগে যেন প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। সেলফি ছাড়া যেন কোনও কিছুই সম্পূর্ণ হয় না। কোথাও বেড়াতে গেলেও সেলফি, কারো সঙ্গে দেখা করলেও সেলফি, এককথায় সেলফি ছাড়া মানুষ যেন এখন অসম্পূর্ণ। কিন্তু এই সেলফি তোলায় যদি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বা সেলফি তুললেই যদি ভালো অঙ্কের জরিমানা (Fine) দিতে হয়, তবে কেমন হয় বিষয়টা, ভাবতে পারছেন? হ্যাঁ, এমনই এক জায়গা আছে, যেখানে সেলফি তুললেই দিতে হবে জরিমানা। ইতালির পোর্তোফিনো (Portofino) নামক শহরে পর্যটকদের জন্য এই নিয়ম। তবে কেন এই নিয়ম জেনে নিন।
ইতালির পোর্তোফিনোর অপরূপ দৃশ্য, মনোরম আবহাওয়া সমস্ত কিছুই পর্যটকদের মুগ্ধ করে। কিন্তু সেলফিপ্রেমীদের জন্য এই শহর একেবারেই উপযুক্ত নয়। পোর্তোফিনোর মেয়র জানিয়েছেন, পর্যটকদের সেলফি তোলার কারণে চারিদিকে অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। পর্যটকরা রাস্তা বন্ধ করে ভিড় করে সেলফি তুলতে থাকেন। ফলে এতে যানজটের সমস্যা দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ।
জানা গিয়েছে, এই সেলফি তোলার নিষেধাজ্ঞা সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জারি থাকে। অক্টোবর পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে সেখানে। এই সময়ের মধ্যে কাউকে সেলফি তুলতে দেখলেই তাঁর থেকে ৩০৩ ডলার বা ভারতীয় অর্থে প্রায় ২৫ হাজার টাকা ধার্য করা হবে।
কাতার বিশ্বকাপ অর্জুন পদকপ্রাপ্ত সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে। কী লিখছেন তিনি
অসাধারণ খেলেও অভিজ্ঞতার অভাবে ফ্রান্সের স্ট্র্যাটেজির কাছে হার মানলো মরোক্কোর এক ঝাঁক বাচ্চা ছেলের লড়াই। কি খেলাটাই না খেললো! আমার মনে পড়ছে ২০০২-এর দক্ষিণ কোরিয়ার খেলা। অসাধারণ খেলে পর্তুগাল, স্পেন, ইতালির মতো ইউরোপ সেরা দলগুলোকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত জার্মানির পাওয়ার ফুটবলের কাছে হেরে গিয়েছিলো। বুধবার রাতের খেলা শেষে আমার ওই দিনটির কথা মনে পড়ছিলো। মরোক্কোকে কখনোই আমি ধর্তব্যের মধ্যে রাখিনি। কিন্তু যত খেলা এগিয়েছে আমি অবাক হয়ে এই তরুণ ব্রিগেডের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। স্পেন থেকে পর্তুগাল হয়ে একের পর কঠিন বাধা পেরিয়ে তারা সেমিফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু তাদের চিরায়ত আলট্রা ডিফেসিভ খেলা ছেড়ে হঠাৎ কেন প্রথম থেকেই আক্রমণে গেল বুঝতে পারলাম না।
ফ্রান্সের কোচ ধুরন্ধর দেশ আগের খেলা দেখে স্ট্র্যাটেজি পাল্টে ফেলেছিলেন। নিজেদের অর্ধে বারবার মরোক্কোকে আহ্বান করেছে ফ্রান্স। কোচ জানতেন, মরোক্কো কাউন্টার আক্রমণে ভয়ঙ্কর। অন্যদিকে এমবাপেকে বাঁদিকে না খেলিয়ে মধ্যভাগ দিয়ে আক্রমণ করানোর চেষ্টায় ছিলেন তিনি। মরোক্কো অবশ্যই এমবাপেকে আটকাতে বাঁ প্রান্তে খেলোয়াড় প্রস্তুত রেখেছিল, কিন্তু পরিবর্তনেই ঘাবড়ে গেল তারা। মরোক্কোর কোচ গ্রিজমান বা জিরুডকে লক্ষ্য করেননি। লেফট ব্যাক হার্নান্দেজ এসে গোল করলেন অনেকটাই এমবাপের গোলমুখী শট ডিফ্লেকট হয়ে বাঁদিকে যাওয়ার জন্য। ওখানে ৫ মিনিটের মধ্যে অসাধারণ বাঁ পায়ের সাইড ভলিতে গোল খেল তারা। এরপর মরোক্কো প্রচুর আক্রমণ করেছে। ইংলিশ লিগের সেরা গোলকিপার লরিস ছিলেন অদম্য, ভাগ্যও সঙ্গে ছিল তাঁর।
দ্বিতীয় গোলটিও এমবাপের গোলমুখী শট ধাক্কা খেয়ে ডান দিকে চলে গেলে মুয়ানি গোল করে যান। এমবাপের খেলা কিন্তু আগামীর সেরার ভবিষ্যৎ। যাই হোক দুই সেরা বিশ্বকাপ প্রাপক দল রবিবারে মুখোমুখি। ধনী দেশ ফ্রান্স কোটি-কোটি টাকা খরচ করে ফুটবলের পিছনে। এমব্যাপে পিএসজি দল ছেড়ে বিদেশে পা রাখতে গিয়েছিলেন, কিন্তু দেশের প্রেসিডেন্টের অনুরোধে ফ্রান্স ছাড়া হননি। এই একই দলে খেলেন লিও মেসি। একটাই তফাৎ খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, তিনি বিশ্বসেরা মেসি। দেখো দু ধরণের খেলোয়াড় হয় প্রথমটি রোনাল্ডো, নেইমার বা কিছুটা এমবাপের মতো ইন্ডিভিজুয়াল স্কিলের ফুটবলার, যাঁরা নিজের খেলাটাই খেলেন। অন্যটি টিম প্লেয়ার। এতদিন আর যাই হোক আজকের মেসি কিন্তু টিম লিডার। তিনি শত বাধা পেরিয়ে প্রায় একক প্রয়াসে দলকে ফাইনালে তুলেছেন। এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ, তাই সেরা খেলাটি খেলছেন। বিপক্ষের অন্তত ৪ জন খেলোয়াড় তাঁকে জোনাল মার্কিং করছেন, কিন্তু সেই ফাঁক দিয়ে তিনি নিজে ৫টি গোল করেছেন এবং দলের অন্য খেলোয়াড়কে দিয়েও গোল করিয়েছেন। মারাদোনা, জিদানের পর এই একক শক্তিকে দেখছে বিশ্বও, যে দলকে টেনে তুলছেন। আমি তাই চাই দুরন্ত ফাইনাল হোক এবং কাপ উঠুক মেসির হাতে।
পেলে মারাদোনার পর বিশ্বসেরাদের তালিকায় একটাই নাম লিওনেল মেসি। ১৪০ কোটির দেশ ভারতে এখনও পর্যন্ত একটা ফুটবল টিম তৈরি হল না, তাঁর দায় কে নেবে? আমাদের দেশে অনেক ভালো ফুটবলার রয়েছে। তাঁদের ভালো খাবার, ভালো প্রতিনিধিত্ব দিলে একটা সেরা ফুটবল টিম তৈরি করা যেতই। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের পর ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ। এবারও ফুটবল মাঠে দেখা যাবে না নীল জার্সির দাপট। হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন কাতার বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না ইতালি। চার বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন উত্তর ম্যাসিডনিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছে। ফলে আসন্ন বিশ্বকাপে আজুরিদের অল আউট ডিফেন্সিভ ফুটবল থেকে বঞ্চিত থাকবে ফুটবল বিশ্ব।
১৯৫৮-র পর ২০১৮, প্রায় ৬ দশক পর বিশ্বকাপ ফুটবলে ইতালির দাপট দেখা যায়নি। ইউরোপীয় ফুটবলের এই জায়ান্টের অনুপস্থিতিতে বেশ মন খারাপ ছিল আজুরি ভক্তদের। কিন্তু ২০২০ ইউরো কাপ জয়ী দেশের এই ব্যর্থতা ফের হতাশ ফুটবল প্রেমীরা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে উত্তর ম্যাসিডনিয়ার বিরুদ্ধে যোগ্যতা অর্জন পর্বের সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচে আলেকসান্দার ত্রাজকভস্কির গোলে হেরেছে ইতালি।
যদিও দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছিল আজুরিরা গোটা ম্যাচে ৩২ বার আক্রমণে ওঠে মানসিনির দল। পাঁচটি গোলমুখী শটও নেয় তারা, কিন্তু বল জালে জড়ায়নি।
গত বছর ইতালিকে ইউরো কাপ দেওয়া কোচ মানচিনি ম্যাচের শেষে বলেন, 'আমি এতটাই হতাশ যে ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। ফুটবলারদের জন্য কষ্ট হচ্ছে। মানুষ হিসেবে এই ম্যাচের পর ওদের জন্য আমার বেশি করে খারাপ লাগছে। আমার কেরিয়ারের সব চেয়ে ভাল মুহূর্ত ছিল ইউরো কাপ জয়। আজকের দিনটা সব চেয়ে হতাশার।'