ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ থামার তো লক্ষণই নেই। এবার ইজরায়েলকে চরম হুঁশিয়ারি ইরানের। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। যা এর আগে কখনও ব্যবহার করেনি এবার সেরকম অস্ত্র প্রয়োগ করা হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে ইরান।
গত তিন দিন ধরে ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। প্যালেস্তাইনের উপর হামলা বন্ধ না করায় পাল্টা ইজরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ শুরু করেছে ইরান। গত কয়েক মাস ধরে প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলের উপরে প্রথমে আক্রমণ শুরু করে। তারপরেই পাল্টা প্যালেস্তাইনে অভিযান শুরু করে ইজরায়েল গাজা স্ট্রিপে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা এমনই অভিযোগ।
এদিকে ইজরায়েলকে বারবার যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমন কী রাষ্ট্রপুঞ্জও ইজরায়েলকে যুদ্ধ থেকে বিরত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু কিছুতেই প্যালেস্তাইনের উপর হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়নি তারা। গাজায় হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েলি সেনা। এবার তাই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান। গতকাল থেকে লাগাতার ইজরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। আমেরিকা ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ইজরায়েলের সেনা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে তারা ইরানের সব হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে প্রত্যাঘাতও আনতে পারেন তাঁরা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতকানিয়াহু আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এতে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে অশান্তি তৈরি হবে।
আশঙ্কা ছিল, হুমকিও ছিল হামলার। শনিবার গভীর রাতে সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে ইজরায়েলের বুকে হামলা চালালো ইরান। ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস জানিয়েছে, 'অপারেশন ট্রু প্রমিসে'র আওতায় ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ইজরায়েলের ওপর আছড়ে পড়ে একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র।
সূত্রের খবর, ১৮৫টি টি একমুখী "আত্মঘাতী" ড্রোন, ১১০টি মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩৬টি ল্যান্ড-অ্যাটাক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় ইরানের তরফে। তবে ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ সেই হামলা অনেকটাই প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি, ড্রোন নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে কাজ করছে মার্কিন সেনারাও। ইজরায়েলের বিভিন্ন জায়গায় সাইরেন বাজার শব্দ শোনা গিয়েছে। হামলার এই ঘটনায় ইজরায়েলের এক শিশু আহত হয়েছে বলে খবর।
এদিকে, ইরানের এই হামলার কড়া জবাব দিয়েছে ইজরায়েল। রবিবার ভারতীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ লেবানন স্থিত ইরানের সেনাঘাঁটিতে জোরদার হামলা চালায় ইজরায়েলের বায়ুসেনা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ লেবাননে ইরান সমর্থিত আল-হাজ রাদওয়ান ফোর্সের একটি সামরিক কম্পাউন্ডে বোমা হামলা চালায় ইজরায়েলের বায়ুসেনা। এই হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে খবর। ইজরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পরে IDF-এর তরফে এটাই প্রথম আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসের ইরানি দূতাবাসে ইজরায়েল একটি বিমান হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই হামলার জবাবেই ইরানের এই আক্রমণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এই যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইরানের ছোড়া মিসাইল ধ্বংস করতে সাহায্য করেছে মার্কিন সেনা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সমর্থন করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ইরান-ইজরায়েল সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আমরা অবিলম্বে শান্তি ফেরানো এবং হিংসা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি ও কূটনীতির পথে ফিরতে বলা হচ্ছে। আগামী দিনে ইরান-ইজরায়েলের এই সংঘর্ষ কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
পবিত্র রমজান শেষে খুশির ইদ। মুসলিম সম্প্রদায়ের সেই পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এরই মধ্যে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) ভোটাভুটি হয়। আর সেখানেই সোমবার এই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে জাতিসংঘে।
যা একেবারে নজিরবিহীন। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথম এমন পদক্ষেপ। মত বিশ্লেষকদের। যদিও আমেরিকা তথা ইউনাইটেড স্টেটস এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার সময় অনুপস্থিত ছিল। তবে এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরেই আমেরিকাকে টার্গেট ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু'র।
মার্কিন কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের সফর বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত প্রতিনিধিদের ওয়াশিংটন থেকে ফেরত আসার কথা বলা হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগে গাজায় সংঘর্ষ বিরতির পক্ষে সওয়াল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অন্যদিকে শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি নয়, একই সঙ্গে হামাস যাঁদের বন্দি করে রেখেছে, তাঁদের মুক্ত করার দাবিও রাখা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যে অতর্কিতে হামলা চালায়, সেই সময়েই পণবন্দি করা হয় বেশ কয়েকজনকে। শুরু হয়ে গিয়েছে রমজান। আগামী ৯ এপ্রিল শেষ হচ্ছে রমজান। তার মধ্যেই পদক্ষেপ করার দাবি জানানো হয়েছে জাতিসংঘে। সম্প্রতি আমেরিকা যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি প্রস্তাব এনেছে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
প্রস্তাবে কেন আমেরিকা অনুপস্থিত থাকল, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকার দাবি, প্রস্তাবে যা যা বলা হয়েছে, তার সবকটিতে তাদের সম্মতি নেই। এছাড়াও আমেরিকার দাবি, হামাসের জন্যই বারবার আটকে যাচ্ছে যুদ্ধবিরতি। আমেরিকা যা যা যোগ করতে চেয়েছে প্রস্তাবে, তা গুরুত্ব পায়নি বলেও উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘে কর্তব্যরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্টোনিও গুটেরেস এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, সোমবার যে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে তা কার্যকর করতে হবে, অন্যথায় ক্ষমা করা হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইজরায়েলের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। গাজা নিয়ে ইজরায়েলের কী পরিকল্পনা রয়েছে, তা নিয়েই কথা বলতে চেয়েছেন বাইডেন।
অবিলম্বে মানবিক স্বার্থে ইজরায়েল-হামাস সংঘাত থামানো হোক। রাষ্ট্রসঙ্ঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে এই রেজোলিউশন নিয়ে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘ যদিও তাঁদের বক্তব্যে হামাস গোষ্ঠীর হামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের ডেপুটি পার্মানেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ও অ্য়াম্বাসাডর যোজনা প্যাটেল গত ৭ অক্টোবর হামাস গোষ্ঠীর হামলা নিয়ে নিন্দা করেন। গাজা সংকটে ভারতের অবস্থান ফের জানান তিনি।
১২০টি দেশের ভোট পেয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে রেজোলিউশন পাস হয়ে যায়। ভারত ছাড়া ৪৫টি দেশ ভোট দেয়নি। তাদের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, জাপান, ইউক্রেন, ইউকে। ১৪টি দেশ এই প্রস্তাব সমর্থনই করেনি। তাদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ইজরায়েল।
হামাস জঙ্গিদের নিকেশ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইজরায়েলি সেনা। তারা এবার হুঙ্কার দিয়েছে গাজা দখল করার। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে আঁচ করে গাজা থেকে বাসিন্দাদের সরাতে শুরু করেছে আমেরিকা। গাজায় ইজরায়েলি সেনা কী করবে সেটা একেবারেই তাদের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
এদিকে্ গাজায় এক দিনে ৭০০-র বেশি নাগরিককে হত্যা করেছে ইজরায়েলি সেনা এমনই দাবি করেছেন গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। হামাস জঙ্গিরা কোথায় লুকিয়ে রয়েছে তা জানানোর জন্য গাজার বাসিন্দাদের উপরে চাপ তৈরি করছে ইজরায়েলি সেনা এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি।
ইজরােয়লি সেনার প্রধান জানিয়েছেন, তাঁর সেনা স্থলপথে গাজা দখলে প্রস্তুত। এবং সেই লক্ষ্যেই অবিচল রয়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে স্থলপথে গাজা দখলে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েেছ ইজরায়েলি সেনা। হামাস জঙ্গিদের নিকেশ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। গাজার নাগরিকদের উপর হামাস জঙ্গিদের গোপন ডেরার সন্ধান জানতে চাপ তৈরি করছে ইজরায়েলি সেনা।
ইতিমধ্যেই ৮ হিজবুল্লা যোদ্ধাকে নিকেশ করেছে ইজরায়েলি সেনা। এখনও পর্যন্ত ৩৯ জন হিজবুল্লা জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলি সেনার রকেট হামলায় ৩ প্যালেস্তানীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ইজরায়েলি সেনার গাজা দখলের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ বাইডেন। তিনি গাজা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপরে জোর দিয়েছেন। ইজরায়েলি সেনা হামলা শুরু করার আগে গাজা খালি করার উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।
১৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার এগারো দিনে পা রাখল ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel-Hamas War)। এই সংঘর্ষে রক্তাক্ত মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন চার হাজারের উপর মানুষ। গাজায় ঢুকে হামাস সন্ত্রাসীদের নিকেশ করছে ইহুদি দেশটির সেনা। আবার গাজা দখল করতেও তৎপর ইজরায়েল। কিন্তু এই পদক্ষেপ 'বড় ভুল' বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এমনটা বার্তা দেওয়ার পরই যুদ্ধবিধস্ত ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াতে ইজরায়েল যাচ্ছেন জো বাইডেন। সূত্রের খবর, বুধবার যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েলে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুদ্ধ বিধস্ত ইজরায়েলের তেল আভিভে রয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখান থেকেই তিনি ঘোষণা করলেন, বুধবার ইজরায়েলে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পর বাইডেনও নিজেই এক্স হ্যান্ডেল থেকে জানান, বুধবার তিনি ইজরায়েল আসছেন। জানা গিয়েছে, যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে ও ইজরায়েলের পরবর্তী পরিকল্পনা জানতেই এই সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ইজরায়েল সফরের পাশাপাশি বাইডেন জর্ডন যাবেন এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফদেহ-এল-সিসি ও প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও দেখা করবেন বাইডেন।
On Wednesday, I'll travel to Israel to stand in solidarity in the face of Hamas's brutal terrorist attack.
— President Biden (@POTUS) October 17, 2023
I'll then travel to Jordan to address dire humanitarian needs, meet with leaders, and make clear that Hamas does not stand for Palestinians' right to self-determination.
ইজরায়েল (Israel) যদি গাজা (Gaza) দখল করে তবে তা বড় ভুল হবে, এমনটাই প্রকাশ্যে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। এই প্রথম কোনও রাষ্ট্রনেতা ইজরায়েলি পদক্ষেপের বিরোধিতা করে মন্তব্য করলেন। আরও জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলের তেল আবিবেও যেতে পারেন তিনি। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আজ, সোমবার দশম দিন। রবিবারই গাজা ছেড়ে যেতে প্যালেস্তেনীয়দের বার্তা দেওয়া হয়। এর পরই আকাশ, স্থল, সমুদ্র পথে ব্যাপক আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছে ইজরায়েল সেনা। আর এই প্রেক্ষাপটে জো বাইডেনের এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্রের খবর, রবিবার এক সংবাদমাধ্য়মে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রকাশ্যে নেতানিয়াহু সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, 'গাজায় ইজরায়েলের দখলদারিত্ব একটি বড় ভুল হবে।' তিনি আরও জানান, সমস্ত প্যালেস্তেনীয়র প্রতিনিধিত্ব করছে না হামাস। তাই ইজরায়েল গাজা দখল করলে তা বড় ভুল হবে। এই প্রথম কোনও ইজরায়েলি পদক্ষেপের প্রকাশ্য বিরোধিতা করল মার্কিন মুলুক। সূত্রের খবর, ইজরায়েলকে বার্তা দিলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হয়ত যুদ্ধবিধ্বস্থ ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে তেল আবিবে যেতে পারেন বাইডেন। তবে হোয়াইট হাউসের তরফে খবর, এখনও সেই কর্মসূচি জানা যায়নি।
ইজরায়েলে আটকে থাকা ভারতীয়দের দিল্লিতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দিনকয়েক আগেই। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেওয়া হয়েছে 'অপারেশন অজয়' নামের এই উদ্যোগটি। রবিবার 'অপারেশন অজয়'-এর তৃতীয় বিমানটি দেশের মাটি স্পর্শ করল। দিল্লিতে নামলেন ১৯৭ জন ভারতীয়। ইতিমধ্যেই ইজরায়েল থেকে রওনা দিয়েছে 'অপারেশন অজয়'-এর চতুর্থ বিমানটিও। এর আগে, 'অপারেশন অজয়'-এর প্রথম ও দ্বিতীয় বিমানের মাধ্যমে ইজরায়েল থেকে যথাক্রমে ২১২ জন ও ২৩৫ জনকে দেশে ফেরানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতেই তেল আভিভ থেকে 'অপারেশন অজয়'-এর দ্বিতীয় বিমান ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয়। শনিবার সকালে দিল্লি নামে বিমানটি। ইজরায়েল ফেরৎ ভারতীয়দের স্বাগত জানাতে এয়ারপোর্টে বিদেশমন্ত্রকের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজকুমার রঞ্জন সিং।
দ্বিতীয় বিমানের কথা জানিয়ে এক্স মাধ্যমে ছবি পোস্ট করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সুস্থ ও নিরাপদেই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ওই দুই শিশু-সহ ২৩৫ জন ভারতীয়কে। 'অপারেশন অজয়'-এর অধীনে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে দেশে ফেরানো হচ্ছে আটকে পড়া ভারতীয়দের।
ইজরায়েলে আটকে থাকা বাঙালিদের ফিরিয়ে আনতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুখ্যসচিবকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাঁরা ইজরায়েলে আটকে আছেন, তাঁদের নিখরচায় দেশে ও রাজ্যে ফেরাতে সরকারি সহযোগিতা করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির বঙ্গভবন ও রাজ্যের সচিবালয়ে ইজরায়েলে আটকে পড়া বাঙালিদের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নয়াদিল্লির কন্ট্রোল রুম নম্বর- ০১১-২৩৭১-০৩৬২। নবান্নের কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬। মুখ্যমন্ত্রী জানান, শুক্রবার সকালে ইজরায়েল থেকে যারা দিল্লিতে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন বাংলার বাসিন্দা। তাঁদের রাজ্যে ফেরার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করে নবান্ন। ইজরায়েল থেকে বাংলার বাসিন্দারা দিল্লি ফিরলে, তাঁদের জন্য বঙ্গভবন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলে (Israel-Hamas War) আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয়। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে 'অপারেশন অজয়' (Operation Ajay) অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। এই অপারেশনের দৌলতেই শুক্রবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ২১২ জন ভারতীয়কে। এবারে শনিবার ২৩৫ জন ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হল। এদিন সকালেই দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বিশেষ বিমান।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালে দুই শিশু-সহ ২৩৫ জনকে নিয়ে নয়াদিল্লিতে অবতরণ করে কেন্দ্রের পাঠানো বিশেষ বিমান। ইজরায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর জন্য বিশেষ চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অজয়’। সূত্রের খবর, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ ইজরায়েলের তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দ থেকে ভারতের উদ্দেশে বিমানটি ছাড়ে। নয়াদিল্লি পৌঁছয় শনিবার সকালে। রাতেই এই দ্বিতীয় বিমানের কথা জানিয়ে এক্স মাধ্যমে ছবি পোস্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রবিবারও ইজরায়েলে বিমান পাঠানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আজ ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের (Israel Hamas War) সপ্তম দিন। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ইজরায়েলের অবস্থা। ৭ অক্টোবর সকাল সকাল হাজার হাজার রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসেছিল দক্ষিণ ইজরায়েলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অমানবিক তাণ্ডব চালায় তারা। সাধারণ মানুষকে বাড়িতে ঢুকে ঢুকে খুন করে হামাসের জঙ্গিরা। এখনও একই অবস্থা ইজরায়েলের। প্রত্যেক মুহূর্তে চলছে বোমাবর্ষণ-গোলাগুলি। এই পরিস্থিতিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮০০-এ।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের সপ্তম দিনে জেরুজালেমে পুলিস স্টেশনের কাছে চলল গোলাগুলি। হামাসের সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ডেরায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। ৬ হাজারেরও বেশি বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। গাজার বিভিন্ন জায়গায় চলছে টানা বোমাবর্ষণ। এরইমধ্যে হামাসের হাতে বন্দি ২৫০ জনকে উদ্ধার করেছে ইজরায়েল। হামাসের ৬০ জন জঙ্গিকে মেরে পণবন্দিদের উদ্ধার করে ইজরায়েল। আজ আবার পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস। ফলে সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ২৮০০ ছাড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইজরায়েলে কমপক্ষে ১,২০০ জন এবং গাজা উপত্যকায় ১৫০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে।
অবশেষে ইজরায়েলে (ISrael) আটকে পড়া কিছু ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হল। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে ২১২ জন ভারতীয়কে নিয়ে বিমানটি দিল্লিতে অবতরণ করে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১৪ মিনিটে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দ থেকে নয়া দিল্লির দিকে যাত্রা শুরু করেছিল বিমানটি। তাঁদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে পড়েছিলেন বহু ভারতীয়। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবারই ঘোষণা করা হয় 'অপারেশন অজয়'। বৃহস্পতিবার ইজরায়েলে উড়ে যায় প্রথম চার্টার উড়ানটি। এর পর শুক্রবার সকালে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছল ‘অপারেশন অজয়’-এর প্রথম চার্টার উড়ানটি। জানা গিয়েছে, প্রথম বিমানে যাঁরা দেশে ফিরেছেন, তাঁরাই ইজরায়েলে আটকে পড়া ৭ অক্টোবরের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যাত্রী। ওই দিন ভোরেই ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। যুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষিতে সেই বিমানটি তড়িঘড়ি বাতিল করে এয়ার ইন্ডিয়া।
বৃহস্পতিবার রাতে তেল আবিব থেকে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়ে বিমানটি নয়া দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিমান যাত্রীদের ছবি পোস্ট করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
#OperationAjay gets underway.
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) October 12, 2023
212 citizens onboard the flight are enroute New Delhi. pic.twitter.com/fGSAYiXbBA
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel-Hamas War) পরিস্থিতিতে ইজরায়েলে আটকে পড়েছেন ভারতীয়রা। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে কেন্দ্র সরকার। ফলে ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফেরাতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে 'অপারেশন অজয়'। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ভারতীয় নাগরিকদের সুবিধার্থে এই উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মতে, প্রথম ধাপে ইজরায়েল থেকে ২৩০ জন ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই তেল আবিব বিমান বন্দর থেকে চার্টার্ড উড়ানটি ভারতের উদ্দেশে রওনা দিতে পারে। সব ঠিক থাকলে শুক্রবার সকালের মধ্যে দেশে ফিরে আসতে পারেন ভারতীয়রা। প্রসঙ্গত, ক্রমশ তীব্রতর হয়ে উঠেছে হামাস ও ইজরায়েলের যুদ্ধ। সংঘর্ষের জেরে ইজরায়েলে আটকে পড়েছেন কয়েক হাজার ভারতীয়। তাঁদের দেশে ফেরাতে ‘অপারেশন অজয়’-এর কথা বুধবার ঘোষণা করে ভারত সরকার। ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পার হতে না হতেই শুরু হয়েছে এই অপারেশন।
বলিউড অভিনেত্রী নুসরাত বারুচা (Nusheeatt Bharuccha)। বেশ কিছু সিনেমা করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। ভারতীয় দর্শকদের কাছ থেকে অগুন্তি প্রশংসাও জুটেছে তাঁর ভাগ্যে। তবে সম্প্রতি যে অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে এসেছেন তিনি, সেই দিনগুলির কথা ভাবলে শিউরে উঠছেন অভিনেত্রী। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ইজরায়েল (Israeli) গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অপ্রত্যাশিত যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন সেখানে গিয়ে। যখন নিজের দেশে ফিরে এসেছিলেন, তখন অভিনেত্রীর চোখে জল। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে একটি কথাও বলতে পারেননি। শুধু কিছুদিন একা থাকতে চেয়েছিলেন। এবার নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে সেই ভয়ঙ্কর ৩৬ ঘন্টার কথা লিখলেন নিজের সামাজিক মাধ্যমে।
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব 'হাইফা'-তে নুসরাতের সিনেমা 'আকেলি'-এর বিশেষ স্ক্রিনিং হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই অংশ নিতে ইজরায়েল উড়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। পরিকল্পনা মাফিক তাঁর দিন যাপন হচ্ছিল সেখানে। ২ দিন ইজরায়েলের নানা দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেছেন অভিনেত্রী। ৬ অক্টোবর, শুক্রবার রাতে নিজের সহ- অভিনেতাদের সঙ্গে আড্ডা মারেন। তাঁদের কথা দেন, আবারও একসঙ্গে কাজ করবেন। কিন্তু শনিবার সকাল শুরু হয় অন্যভাবে। নুসরাতের ঘুম ভাঙে বোমা ও সাইরেনের আওয়াজে। সম্বিত ফিরলে বুঝতে পারেন, যুদ্ধ লেগেছে চারপাশে। দৌঁড়ে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন হোটেলের বেসমেন্টে।
দিশাহীন হয়ে নুসরাত ফোন করতে থাকেন এখানে ওখানে। ঠিক করেন, যেভাবেই হোক এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। ইজরায়েল সরকার এবং ভারত সরকার আশ্বাস দেন অভিনেত্রীকে। এক সহৃদয় ট্যাক্সি ড্রাইভার নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নুসরাতকে পৌঁছে দেন বিমানবন্দরে। সেখান থেকে বিমানে ভারত এসে পৌঁছান অভিনেত্রী। কিন্তু দুর্বিষহ সেই ৩৬ ঘন্টা ভুলতে পারছেন না তিনি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে ভারত সরকার ও ইজরায়েল সরকারের প্রতিও নিজের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন তাঁর শুভাকাঙ্খীদেরও।
ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের (Israel-Palestine War) মধ্যে শুরু হয়েছে মহাযুদ্ধ। ক্রমশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গাজায়। মৃতের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। এই কথা নিজেই টুইটে জানালেন মোদী। ইজরায়েলে হামাস গোষ্ঠী হামলা করার পর প্রথম থেকেই ইজরায়েলের পাশে রয়েছে ভারত। এদিনও ফের ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
I thank Prime Minister @netanyahu for his phone call and providing an update on the ongoing situation. People of India stand firmly with Israel in this difficult hour. India strongly and unequivocally condemns terrorism in all its forms and manifestations.
— Narendra Modi (@narendramodi) October 10, 2023
ইজরায়েলের সঙ্গে হামাস জঙ্গিদের যুদ্ধ যখন ৪ দিনে পড়ল, সেই সময় টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি জানান, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেন। এরপরই প্রধানমন্ত্রী জানান, এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভারত সব সময় ইজরায়েলের পাশে রয়েছে। ভারত দৃঢ়ভাবে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং নিন্দা করে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতের পরই ভারত নিরপেক্ষ অবস্থান করে। কিন্তু ইজরায়েলে হামাস গোষ্ঠীর হামলার পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের কী অবস্থান তা স্পষ্ট করেছেন। ফলে এমন পরিস্থিতিতে খোদ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন মোদীকে ফোন করলে তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।