
ইসলামপুরের একটি বাড়ি থেকে জাল বিদেশি মদ কারখানার হদিশ পেল ইসলামপুর থানার পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ জাল বিদেশি মদ। কারখানাটি অবস্থিত ইসলামপুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুর রবীন্দ্রপল্লীর একটি বাড়িতে। বিদেশি মদের কারখানা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার গোডাউনের মালিক সহ মোট ১২ জন। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস।
ইসলামপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ইসলামপুর থানার পুলিস এবং রামগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার রবীন্দ্রপল্লী এলাকার একটি গোডাউনে হানা দেয়। তারপর গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় জাল বিদেশি মদ। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ২১৩৬ বোতল বিদেশি মদ। এছাড়াও বিদেশি মদ তৈরীর নানা সরঞ্জাম। যেমন ১২০০ লিটার স্পিরিট, খালি বোতল, বিভিন্ন ধরনের রঙ, বোতলের ছিপি, খালি পাউচ, বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানীর স্টিকার, বোতল সিল করার মেশিন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের (Hospital) চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে। সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা ভেবে অভিযোগ, বিক্ষোভ তোলেন রোগীর পরিজনেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ইসলামপুর থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা এক মহিলা সুস্থ হয়ে শনিবার ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু রবিবার শ্বাসকষ্টজনিত নানা সমস্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি করার পরিবর্তে কিছু ওষুধ লিখে দেয় এবং তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে নিয়ে গিয়ে রোগীকে দেখানোর প্রস্তাব দেয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রোগীর পরিজনেরা। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের পরিবর্তে ব্যক্তিগত চেম্বার করে সেখানে রোগী চিকিৎসার অনৈতিকতার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
যদিও পরে পুলিস হাসপাতালে এসে বিক্ষোভে সামিল হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে সরকারি চিকিৎসকদের অনৈতিকভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ পরিজনেরা।
স্বাধীনতা দিবসের দিন উত্তেজনা ইসলামপুরে। তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। আহত হয়েছেন প্রায় ২২ জন। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার কমলাগাও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের আতালডাঙ্গি হাট এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে, কারও শরীর ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে গুলি। আহতদের অনেকেই ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই হাট এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। দুই পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।
আবার অভিযোগ, বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে পিছন দিক থেকে গুলি করা হয়। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হকের নেতৃত্বেই এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। যদিও কয়েকজন আহত তৃণমূল কর্মী অভিযোগের আঙুল তুলেছে নির্দলদের দিকে।
ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে রেফার করা হচ্ছে বলে খবর। বাকিরা ইসলামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র (FireArms) সহ তিনজনকে গ্রেফতার (Arrest)। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর (Islampur) বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর দৌলতাবাদ থানার পীরতলা এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে দৌলতাবাদ থানার পুলিস (Police)। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল সহ গুলি। পুলিস ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে। ইতিমধ্যেই বহরমপুরে সিজেএম আদালতে পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতদের পেশ করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সারজু মণ্ডল, আলি রেজা মণ্ডল ও জুনাইদ মণ্ডল। এরমধ্যে আবার সারজু মণ্ডলের মা সিপিএমের পঞ্চায়েতের প্রার্থী। পুলিস আরও জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯ টা নাগাদ নাকা চেকিং চলছিল পীরতলা এলাকায়। সেই সময়ই ধৃতদের ওই এলাকায় দেখা যায়। তারপরেই সন্দেহের জেরে তাদের কাছে তল্লাশি চলানো হয়। এরপরেই ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ৭.৬৫ বোরের পিস্তল এবং তিন রাউন্ট গুলি। তারপরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ধৃতরা ওই এলাকায় অস্ত্র জোগান দেওয়ার কাজ করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ঋণ (Loan) দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুলিসকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। তবুও ফের পুলিসের দারস্থ হন প্রতারিতরা (Deceived)। জানা গিয়েছে, ইসলামপুর (Islampur) থানার কালানাগীন এলাকায় এসবিআই (SBI) ব্যাঙ্ক শাখার গ্রাহকরা প্রতারণার অভিযোগ তোলেন। বুধবার রাতে ইসলামপুর থানার পুলিসের দারস্থ হন তাঁরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস আগে এক প্রতারককের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অন্যদিকে ব্যাঙ্কের লোন শোধ করার জন্য গ্রাহকদের উপর চাপ দিচ্ছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার।
গ্রামবাসীরা আরও জানিয়েছেন, এলাকার মহম্মদ মুজাম্মিল নামে এক ব্যক্তি গ্রামবাসীদেরকে সরকারি প্রকল্পের টোপ দেখিয়ে লোন দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের কাছে ব্যাঙ্কের লোন শোধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকলে ঘটনাটি গ্রামবাসীদের নজর আসে। এরপরই হইচই শুরু হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের দাবি, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক।
ফের গাঁজাসহ গ্রেফতার এক ব্যক্তি। গ্রেফতার (Arrest) করল ইসলামপুর থানার পুলিস (Islampur Police Station)। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের (Accused) নাম দীনেশ চৌধুরী। বাড়ি জলঙ্গী থানার অন্তর্গত চুয়াপারা গ্রামে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইসলামপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বহরমপুর-জলঙ্গী গামী বেসরকারি একটি বাস থেকে দীনেশ চৌধুরী নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর কাছ থেকে ৮ কিলো গাঁজা উদ্ধার করে ইসলামপুর থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দীঘা থেকে জলঙ্গীর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে গাঁজা। তবে পাচারের আগেই হাতেনাতে ধরে ফেলে গাঁজাসহ অভিযুক্তকে।
জমি নিয়ে বিবাদের (Dispute) জেরে দুই ভাই ও বাবা কে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মারার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর (Islampur) থানার গচিগছ এলাকায়। ঘটনায় গুরুতর জখম (Injured) হন বাবা পানাবুল ও তার দুই ভাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইসলামপুর থানার পুলিস (Police)। পুলিস আহতদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছেলের নাম মনসুর।
জানা গিয়েছে, পানাবুল নামে এক ব্যক্তির তিন ছেলে সামাদ আলম, জাহির আলম ও মনসুর। তিন ছেলেকেই সমানভাগে জমিজমা ভাগ করে দেন বাবা পানাবুল। কিন্তু শনিবার সেই জমি ভাগাভাগি নিয়েই বিবাদ শুরু হয় বাবা সহ দুই ভাইয়ের সঙ্গে মনসুরের। সেই বিবাদ চলাকালীনই আচমকা মনসুর ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর বাবা ও দুই ভাইয়ের উপর চড়াও হয়। এরপর একের পর এক ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তিনজনকে, এমনটাই সূত্রের খবর।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে (Fire) পুড়ে গেল চারটি ঘর। ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর (Islampur) থানার কামাতবস্তি সোনাখোদা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বইসাগু নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। আগুনের শিখার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, মুহূর্তের মধ্যে চারটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া ইসলামপুর থানার পুলিস (Police) ও দমকল বাহিনীকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা পর্যন্ত চারটি ঘরের সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, রাস্তার পাশে ঘর থাকার কারণে কেউ হয়তো বিড়ি, সিগারেট খেয়ে শেষ অংশটুকু ফেলেছিল। সেখান থেকেই হয়তো কোনওভাবে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কোথা থেকে কীভাবে যে আগুন লাগলো তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।
রহস্যজনক মৃত্যু এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ইসলামপুর থানার পাহাড়পুর পাতুর মোড়ে। ঘটনাস্থলে ইসলামপুর থানার পুলিস (Islampur Police) এসে ওই ব্যক্তিকে প্রথমে ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে ওই ব্যক্তিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন। ডোমকল মহকুমা হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ইতিমধ্যেই দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। এমনকি এই ঘটনায় ছেলে, স্ত্রী ও জামাইসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম রেজা শেখ (৫৫)। শনিবার অনুমানিক রাত ১টা নাগাদ ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পান স্থানীয়রা। এরপর ছুটে তাঁর বাড়িতে যান। তখনই স্থানীয়রা তৎক্ষণাৎ ইসলামপুর থানায় খবর দেন।
ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইসলামপুর থানার পুলিস। তবে এটা খুন না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
এক প্রসূতির স্বামীকে (Husband) ঘরে আটকে মারধরের (Beaten) ঘটনায় উত্তেজনা এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল (Islampur Super Specialty Hospital) চত্বরে। অভিযোগের তির ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুরক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রসূতির আত্মীয় পরিজনরা ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উপস্থিত হয়। উত্তেজনার খবর পেয়ে ওই হাসপাতালে পৌঁছয় ইসলামপুর থানার পুলিস (Police)। দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ইসলামপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলীনগরের বাসিন্দা মহম্মদ উমর আলম, তাঁর স্ত্রী সীমা বেগম। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, 'সীমার মঙ্গলবার বিকালে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রমজান মাসে রোজা রাখার কারণে প্রসূতির কাছে কোনও মহিলা আত্মীয় ছিলেন না। তাই উমর নিজেই স্ত্রীকে কাপড়-সহ কিছু সামগ্রী দিয়ে আসতে চান। কিন্তু গেট পাস থাকা সত্ত্বেও সুরক্ষাকর্মীরা মহম্মদ উমরকে ভিতরে যেতে বাধা দেন।'
এনিয়ে বচসা বাধলে মদ্যপ অবস্থায় থাকা সুরক্ষাকর্মীরা উমর আলমকে ধরে নিয়ে একটা ঘরে বন্ধ করে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সাদিকুল ইসলাম হাসপাতালে হাজির হন। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ইতিপূর্বেও সুরক্ষাকর্মীদের দাদাগিরির বিরুদ্ধে সরব হয়ে ধরনায় বসেছিল কংগ্রেস। অন্যদিকে, অভিযুক্ত সুরক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবে বলে জানিয়েছেন প্রসূতির স্বামী মহম্মদ উমর আলম।
অন্তঃস্বত্ত্বা বধূর শরীরে ফুটন্ত কড়াইয়ের জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মালদহের (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইসলামপুর(Islampur) গ্রামের ঘটনা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। এই নির্যাতনের জেরে অভিযুক্তর উপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। বধূর আর্ত চিত্কারে ছুটে এসে স্থানীয়রাই তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানা গিয়েছে, পারিবারিক অশান্তি জেরে হামেশাই বধূর উপর নির্যাতন(Torture) করতেন অভিযুক্ত। পুলিস জানায়, ধৃতের নাম দুলাল সাহা। দুলালের এই অমানবিক কাণ্ডে ক্ষুব্ধ পাড়া-প্রতিবেশী-সহ তাঁর আত্মীয়রাও। এদিন এই ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন স্বামী। কিন্তু ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা তাড়া করে তাঁকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। গ্রেফতারের পরও দুলালের সঙ্গে থানায় কেউই দেখা করতে যায়নি। এমনকি নির্যাতিতা বধূ না চাইলে জামিন পাওয়ার পরেও গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না দুলালকে, জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইসলামপুর গ্রামে দুলালের সঙ্গে বিয়ে হয় বিহারের আমদাবাদের বাসিন্দা টুম্পার। তাঁদের দুই শিশুপুত্র রয়েছে। এছাড়া তিন মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা টুম্পা। বিয়ের পর থেকেই টুম্পাকে তার শাশুড়ি ও স্বামী কারণে-অকারণে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।
গত কয়েকদিন ধরে নির্যাতন আরও চরমে উঠেছিল। এদিন টুম্পার শাশুড়ি একটি পাত্রে জল রেখেছিলেন। সেই জল উল্টে দেয় টুম্পা-দুলালের ছেলে। এরপর সেই পাত্রটিকে টুম্পা খাটের তলায় রেখে দেয়। কিন্তু টুম্পার শাশুড়ি ছেলে দুলালের কাছে নালিশ করে টুম্পা পাত্রটি নিজের বাক্সে লুকিয়ে রেখেছে। তখন টুম্পা খাটের তলায় পাত্রটি রেখেছে বলে জানায়। কিন্তু মা-ছেলের কথার মাঝে টুম্পা কেন কথা বলেছে তা নিয়ে টুম্পাকে শাসাতে থাকে দুলাল। এরপরেই ফুটন্ত কড়াইয়ের জল পিছন থেকে টুম্পার শরীরে ঢেলে দেওয়া হয়, এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীর।
এই বিষয়ে টুম্পা বলেন, ‘আমি কড়াইয়ে আলু সেদ্ধ করছিলাম। পাশে দুই ছেলেকে নিয়ে মটরশুটি ছাড়াচ্ছিলাম। সেই সময়ই ফুটন্ত জল আমার পিছন থেকে আচমকা ঢেলে দেওয়া হয়। যে এমন অমানবিক আচরণ করতে পারে আমি তাঁর সঙ্গে আর সংসার করতে চাই না।'
তৃণমূলের(TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে চলল গুলি-বোমা। বোমার আঘাতে মৃত্যু(Death) এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। উত্তর দিনাজপুরের(North Dinajpur) ইসলামপুর থানার দক্ষিণ মাটিকুন্ডা এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইসলামপুর থানার পুলিস। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। খবর পেয়ে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ছুটে আসেন স্থানীয় বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই সাহানাবাজ আলম ও মেহেবুব আলমের মধ্যে রাজনৈতিক বিবাদ। মেহেবুব আলম মাটিকুন্ডা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। বুধবার রাতে সাহানাবাজের বাড়িতে মেহেবুব আলম ও তার লোকেরা আগ্নেয়াস্ত্র-বোমা নিয়ে হামলা চালায়। আর তখনই বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় সাহানাবাজের ভাই সাকিব আখতারের।
ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমের সামনে পুলিস ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। শুধু তাই নয় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারির পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকালে থানা ঘেরাও করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মৃতের আত্মীয়দের দাবি, রাজনৈতিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই এলাকায় রাজনৈতিক বিবাদ লেগে আছে। সামনেই ভোট, তাই ভোটে যাতে সাহানাবাজ আলম নমিনেশন জমা দিতে না পারে তাই এমন হামলা।
তবে এই বিষয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি সুরজিত্ সেন বলেন, 'গোটা রাজ্যে যেভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে খুনোখুনি হচ্ছে তাতে ইসলামপুর মহকুমাও ব্যতিক্রম নয়। কয়েকদিন আগেও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে গুলি চলেছে পুলিসের সামনেই। ইসলামপুরের রাজনীতিতে দুজন ব্যক্তি আছেন, তাঁরা হল আব্দুল করিম চৌধুরি বিধায়ক এবং জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল। শুরু থেকেই এঁরা দুটি গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে আছে। যার ফলে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে ও হামলা-হানাহানিও হয়েছে। এটা পুরোটাই একটা ক্ষমতার লড়াই। এই এলাকায় বিরোধীদের তো বসতেই দেওয়া হয় না এমনকি শাসক দলেরও যদি কেউ কথা বলে তাদের উপরেও এভাবে হামলা হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন,'তৃণমূলের এই দুই নেতা যতদিন ইসলামপুরে থাকবে ততদিন শান্তি ফিরে আসবে না।'
এমনও হতে পারে! প্রাইমারি স্কুলের অফিস (Primary School Office) থেকেই উধাও লক্ষ লক্ষ টাকার পাঠ্যপুস্তক। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর (Islampur) মহকুমার প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের। এই দফতরের গোডাউন থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার পাঠ্য বই (book) উধাও। খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জেলা জুড়ে। এদিকে ঘটনার পর ইসলামপুর অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের পক্ষ থেকে অস্থায়ী ষ্টোর কিপারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিস (police) সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ষ্টোর কিপার ভীম মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার বিকেল থেকেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনুসারে নতুন বই দেওয়া হয়। এর জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতর নির্দিষ্ট ছাপাখানায় বই ছাপিয়ে বিভিন্ন অবর পরিদর্শকদের বিদ্যালয় অফিসে বই পাঠায়। অবর বিদ্যালয় থেকে বইগুলি বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ হাতে দেওয়া হয়। স্কুল থেকেই পড়ুয়াদের বই বিলি করা হয় গোটা ডিসেম্বর মাস এই প্রক্রিয়া চলে। স্কুলগুলিতে বই দেওয়ার দিনক্ষণ স্থির হয়ে গিয়েছিল শুক্রবার ইসলামপুর প্রাইমারি স্কুল দফতরের। কিন্তু শুক্রবার আধিকারিকরা গোডাউন ঢুকে দেখেন সেখানে বই নেই অথচ কাগজ-কলমে বই গোডাউনে মজুদ আছে।
তাহলে এই বই গেল কোথায়? এই প্রশ্ন উঠতেই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভঙ্কর নন্দী ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস। তবে অভিযুক্ত ভীম মণ্ডল এসআই শুভঙ্কর নন্দীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন এবং তাঁকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন। এই ঘটনা সাধারণ চুরি নয়, এর পেছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে বলে অনুমান পুলিসের।
সাত সকালেই বড়সড় সাফল্য পেল ইসলামপুর থানার পুলিস (police)। বুধবার সকালেই ৮০ বোতল ফেনসিডিল সহ ইসলামপুর (Islampur) বাস স্ট্যান্ড থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (arrest) করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, বহরমপুর থেকে জলঙ্গি গামী বেসরকারি বাসে তল্লাশি চালায় পুলিস। সেই বেসরকারি বাঁশের ভেতর থেকে একটি ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ফেনসিডিল। এরপরই আলমঙ্গির সেখ নামে ধৃত ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৮০ বোতল উদ্ধার হয়। ধৃতের বাড়ি রাণীনগরের থানার নন্দিভিটা এলাকায়।
জানা যায়, ধৃত ওই ব্যক্তিকে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবারই তাকে জেলা আদালতে পাঠানো হবে। এপর পাঁচদিনে পুলিসি হেফাজতের আবেদন করা হবে। কোথায় থেকে নিয়ে আসছিল এই ফেনসিডিলগুলি, এবং কোথায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সমস্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস।
ফের বাড়ল এলাকায় বাঘের (tiger) আতঙ্ক উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর (Islampur) থানার কালানাগিন এলাকায়। ইতিমধ্যেই একের পর এক গরু, ছাগল এবং শুয়োরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে কালানাগিন এলাকা থেকে। তবে সোমবার ফের একটি গরুর মৃতদেহ (dead body) উদ্ধার হয়। ১৭ দিন কেটে গিয়েছে বাঘের আতঙ্কে রাতের পর রাত বনদফতরের কর্মীরা এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছেন। তবে বাঘের আতঙ্ক যেন এবার মানুষকে ঘরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এই এলাকার মানুষ রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন। এবার গ্রামবাসীরা সরাসরি জানাচ্ছে প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এলাকা থেকে একের পর এক গরুর মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। সবমিলে প্রশাসনকে দায়ী করছেন এই গ্রামবাসীর এলাকার মানুষ।
এদিকে, বাঘে ভয়ে মৃতদেহ শ্মশানে দাহ করতে নিয়ে যেতেও ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় কালনাগিনি গ্রামে এক বৃদ্ধার বয়স্কজনিত কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের লোকেরা যখন শোকে বিহ্বল, সেই সুযোগে এলাকায় একটি বাঘ এসে বাড়ির এক গবাদি পশুকে টেনে নিয়ে নিয়ে যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রাম জুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা মৃতদেহ দাহ করতে সেই বাড়িতে এলেও এই খবর পেয়ে একে একে সকলেই নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। বাঘ তাঁদের বাড়িতেও গবাদি পশু, ছোট ছোট শিশুদের উপর আক্রমন করতে পারে এই আশঙ্কায় প্রতিবেশীরা কেউ রাতে শ্মশানে যেতে রাজি হননি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সকাল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কেউ শ্মশানে যেতে পারবেন না। লোকের অভাবে মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে ছিল সোমবার।