কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে (Minor) যৌন নিগ্রহ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি (Politics)। রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এবার কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিগত কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাবালিকা মৃত্যু নিয়ে একাধিক তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। প্রশাসনের দাবি, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভুয়ো বা প্ররোচনামূলক তথ্য ছড়াতে পারে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয় সেই জন্যই আগামী কয়েকদিন প্রশাসনের তরফে এই অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ফোন, এসএমএস বা খবরের কাগজ পৌঁছনো নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। কালিয়াগঞ্জের মানুষ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। খবরের কাগজও পৌঁছাবে। শুধু ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার দোষীদের শাস্তির দাবিতে ফের আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের গাড়ি, বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। মারধর করা হয় পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও। কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির ভূমিকা আছে বলে মনে করছেন। তাঁর দাবি, বিহার থেকে লোক এনে এই অশান্তি করা হয়েছিল। মহিলা পুলিশ কর্মীদের গায়ে হাত দিয়েছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিও নষ্ঠ করা হয়েছে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
হাওড়ার (Howrah) উত্তপ্ত শিবপুরে (Shibpur) শুক্রবার থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে ছিলেন হাওড়ার পুলিস কমিশনার (CP) প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি। দুপুরের পর ফের দুষ্কৃতীদের তান্ডবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিসকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি, তাতে আহত হয় বেশ কিছু পুলিসকর্মী ও সাংবাদিকরা। তারপরেই লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস। বিকেলে ১৪৪ ধারা জারি হলে, মাইকিং শুরু করে পুলিস। এরপরেই গোটা ঘটনা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করেন। এরপরেই রাজ্যপালের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, 'বাংলায় দুষ্কৃতীদের জোট মেনে নেওয়া হবে না, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।' এভাবেই কড়া ভাষায় সতর্কবার্তা দিয়েছে রাজভবন।
বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ শুরু করে রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন থেকে দেড় কিমি দূরে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটছে? কতটা সর্তক ছিল প্রশাসন, কেনই বা এমন ঘটনা শক্ত হাতে দমন করছে না রাজ্য? প্রশ্ন গুলো থাকছেই, এরই মধ্যে শুক্রবার বিকেলের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী জানিয়ে দেন, 'শনিবার মোট ৬৮টি পিনকোডে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। যার মধ্যে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট ছাড়াও রয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট ও আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেট।'
সূত্রের খবর, দুষ্কৃতী তান্ডবের ঘটনায় আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও এই ঘটনার তদন্তের ভার পড়েছে সিআইডির উপরে। সূত্রের খবর, ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুস্কৃতীদের গ্রেফতারি চালানো হবে বলে খবর। এই ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পূর্বেই মেনে নিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেইমতো গোটা ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে দোষারোপ করেছেন তিনি, যদিও পাল্টা তৃণমূলের আর পুলিসের চক্রান্তে এই হামলা হয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যর।
টলিপাড়ার (Tollywood) জুটিরা চিরকালই নেটিজেনদের চর্চিত বিষয়। সেই জুটিদের (Couple) মধ্যে একটি হল নীল-তৃণার জুটি। গত বছর যাদের বিয়ে নিয়ে মেতেছিল নেটপাড়া। তবে কিছুদিন যাবৎ টলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে তাঁদের। উপরন্তু জুড়ে বসল বিবাহবার্ষিকীতেও নাকি একসঙ্গে থাকছেন না তৃণা-নীল।
গুঞ্জনটা অনেকদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছে টলিদুনিয়া থেকে নেট দুনিয়ায়। যদিও এর পিছনে বহু কারণও উঠে এসেছে। ২১ জানুয়ারি তৃণা সাহার জন্মদিন ছিল। অভিনেত্রীর নতুন ধারাবাহিক ‘বালিঝড়’-এর সেটে উদযাপিত হয়েছিল জন্মদিন। সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি নীল ভট্টাচার্যকে। এদিন আবার শাহরুখ অনুরাগী স্ত্রীকে ছাড়াই পাঠান ছবি দেখতে চলে যান নীল। অভিনেতাকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান তৃণা অসুস্থ। এরপর বিবাহবার্ষিকীর প্রসঙ্গে তৃণা সাহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন বিবাহবার্ষিকীতেও আলাদা থাকছেন তাঁরা।
গত বছর তৃণা-নীল জুটি তাঁদের বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেছিলেন কলকাতা থেকে কিছুটা দূরে। সেখানে এবছর একসঙ্গেই থাকছেন না তাঁরা। পরপর এই ঘটনাগুলির বিষয়ে তৃণাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,‘আমার দু’জনেই কাজের বিষয়ে কোনও ঢিলেমি পছন্দ করি না। তাই এবার বিবাহবার্ষিকী আলাদা আলাদাই কাটবে, কিন্তু ভিডিও কলে আছে।’
নতুন সিরিয়াল ও কাজের কারণে বাইরে ব্যস্ত দুজনেই। নেটপাড়ায় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে এই জল্পনা নিয়ে তৃণার আরও সংযোগ, ‘না থাক না, লোকের যা বলছে বলুক। একটু রহস্য থাকা ভাল।’
দীপিকার পর কি এবার ক্যাটরিনা (Katrina Kaif)? ফের অভিনেত্রীদের সন্তানসম্ভবা (Pragnancy) হওয়ার খবর নিয়ে জল্পনা নেট দুনিয়ায়। ক্যাটরিনা শুক্রবার শ্বাশুড়ি ও স্বামী ভিকি কৌশলের (Vicky Kaushal) সঙ্গে সিদ্ধিবিনায়ক দর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানাই তাঁর সবুজ সালোয়ারে ভারতীয় লুকের ছবি ভাইরাল হতেই ছবিগুলি নেটিজেনদের মন কেড়ে নিয়েছে। যদিও পিছিয়ে ছিলেন না ভিকি, তাঁকেও দেখা গিয়েছে সাদা শার্টে।
শ্বাশুড়ির সঙ্গে ক্যাটরিনাকে প্রার্থনা করতে দেখে উচ্ছ্বসিত ভি-ক্যাটের অনুরাগীরা। মাস কয়েক যাবৎ একেবারেই ছিমছাম পোশাকে নজরে কেড়েছেন অভিনেত্রী। ক্যামেরা দেখলেই দ্রুত মুখও সরিয়ে নিচ্ছেন। তাতেই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল অনুরাগীদের মনে। এবার তাঁকে সিদ্ধিবিনায়কে দেখে জল্পনা আরও তুঙ্গে ওঠে। এমনকি ক্যাটরিনা ৬-মাসের সন্তানসম্ভবা বলেও দাবি করেছেন অনেকেই। বছর শেষেও দম্পতিকে একসঙ্গে দেখে এই একই জল্পনা উঠেছিল সামাজিক মাধ্যমে। যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ভি-ক্যাট। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দীপিকা পাড়ুকোনের সন্তানসম্ভবা হওয়ার কথাও সামনে এসেছে।
উল্লেক্ষ 'মেরি ক্রিসমাস' ছবির মাধ্যমে দক্ষিণী ছবিতে পা রাখতে চলেচেন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ।
শিক্ষা, ধর্ম এবং স্বাধীনতার মতো ইন্টারনেট পরিষেবাও (Internet Service) মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) নিয়ে একটি আবেদনের শুনানির সময় বছর খানেক আগে এমনই মন্তব্য করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে সম্প্রতি উলটো চিত্র ধরা পড়ল অসমে (Assam)। প্রায় ৪ ঘণ্টা বন্ধ (Close Internet)রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পরীক্ষায় নকল রুখতে এহেন উদ্যোগ।
জানা গিয়েছে, অসমে বিভিন্ন বিভাগে ২৭,০০০টি সরকারি পদপূরণের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় রাজ্য সরকার প্রার্থীদের নকল করা রুখতে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। প্রায় ১৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেন। সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, যে সমস্ত জেলায় পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে, সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাবে না। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ১৪৪ ধারাও জারি হয়েছে।
নিয়মের অংশ হিসাবে, পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি পরিদর্শকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট বহন করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ইনচার্জকে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিডিওগ্রাফ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, পরীক্ষা পরিচালনার সময় কোনও ঝামেলা বা অশান্তি যেন না হয়।