
রাস্তার চারিদিকে এখন শুধু খাবারের (Food) দোকান। আর যেদিকেই তাকানো যায় শুধুই দেখা যায় লম্বা লাইন। কখনও কখনও তো আবার এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার কিনতে হয়। তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই এই স্ট্রিট ফুডের দোকান গুলির বিরুদ্ধে নষ্ট খাবার বিক্রি করার অভিযোগ উঠছে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার খাদ্য সুরক্ষা (Food Inspector) অধিকারিকরা অভিযান চালিয়েছে দোকানগুলিতে। সারাদিন রীতিমতো খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়ে চোখ যেন কপালে উঠল খাদ্য সুরক্ষা অধিকারিকদের।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Purbo Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভা এলাকায়। শুক্রবার দিনভর চন্দ্রকোনা শহরের একাধিক রেস্টুরেন্ট, হোটেল, চপ মুড়ির দোকান, মিষ্টির দোকানে অভিযান চালান খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার। দোকানগুলিতে তৈরি খাবারের গুনমান দেখে এবং নিজে সেই খাবার খেয়ে যেন একপ্রকার রণমূর্তি ধারন করলেন তিনি। ঝা-চকচকে দোকানের আড়ালেই খাদ্য রসিক মানুষদের দীর্ঘদিন ধরে খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি পচা খাবার। তাই বিভিন্ন খাবারের দোকানে হানা দিয়ে বাসি-পচা খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছেন তিনি। এমনকি রীতিমতো নিজে হাতে একাধিক দোকানদারকে নোটিশ দিয়ে কড়া আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিলেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার।
এবিষয়ে চন্দ্রকোনার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার জানান, সমস্ত দোকানদারকে ডেকে ট্রেনিং সমেত একাধিক নিয়মাবলি সম্পর্কে আগে সচেতন করা হলেও অনেকেই খাদ্য সুরক্ষার বিষয়ে নজর দিচ্ছিল না। তাই অভিযান চালিয়ে বাসি খাবার থেকে পচা মাংস ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনেক দোকানদারই এখনও বিনা লাইসেন্সে দোকান চালাচ্ছেন তাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বিনা লাইসেন্সে চন্দ্রকোনা শহরে দিনদিন বেড়ে চলেছে খাবারের দোকান, খাবারের গুনগত মান নিয়েও উঠছিল একাধিক অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগই রাস্তায় নামলো খাদ্য সুরক্ষা দফতর, খাবারের গুনগত মান বজায় রাখতে আগামী দিনেও এই অভিযান বজায় থাকবে বলে খাদ্য সুরক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। তবে খাদ্য সুরক্ষা দফতরের এহেন অভিযানে খুশি ক্রেতা থেকে চন্দ্রকোনাবাসী।
ফুড ইন্সপেক্টর (Food Inspector) পদে নিয়োগ নিয়ে এবার হাইকোর্টে (High Court) ধমকির মুখে রাজ্য সরকার। 'বেআইনি নিয়োগ হলে বরদাস্ত নয়’, এবার ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগ মামলায় হুঁশিয়ারি আদালতের। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তাহলে আদালত নিয়োগ বাতিল করবে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। ২০১৮ সালে ফুড সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষা হয়। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নেয়। সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২১ সালে প্রায় ১০০ জনের নিয়োগ হয়েছিল।
ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্যানেল প্রকাশ হয়। তাতে ৯৫৭ জনের নাম ছিল। ১০০ জন চাকরিও পান। তবে সেই নিয়োগে স্বচ্ছতা নেই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রায় ৮০ জন আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ করেন, পরীক্ষায় একাধিক অনিয়ম রয়েছে। এই নিয়োগে সংরক্ষণ-সহ ইন্টারভিউ এমনকী ভুল প্রশ্নের অভিযোগও তোলা হয়। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন শনিবার এই মামলায় বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দেন।
যদিও এদিন মামলার শুরুতে রাজ্য জানায়, মাত্র ৩০ জনকে মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। বাকিদের মামলায় যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। নাহলে নিয়োগের ক্ষেত্রে রায়ে তাদের উপর প্রভাব পড়তে পারে। রাজ্যের আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার জানান, প্রার্থীরা যাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হলে সমস্যা হবে।
এরপরই শনিবার আর মামলা শোনেনি বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৫ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রাক্তন পুলিস ইন্সপেক্টরকে (Police Inspector) ঘুষের অপরাধে তিন বছরের জেলের সাজা এবং ৮ হাজার টাকা জরিমানা শোনাল আদালত। এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের (Gujarat) রাজকোটে।
রাজকোটের জেলা পঞ্চায়েতের সার্কল ইন্সপেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন প্রাক্তন পুলিস ইন্সপেক্টর জয়সুখ ভরদ। ১৯ বছর আগে জমির চরিত্র বদলের পরামর্শ দিয়ে জনৈক অর্জন খিমানিয়া নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক হাজার টাকা ঘুষ নেন তিনি। খিমানিয়া ঘুষ দেওয়ার ঘটনা আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিলেন দুর্নীতি দমন শাখায়। ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে যান জয়সুখ। কিন্তু এর পরেও জয়সুখের দাবি তিনি মোটেও ঘুষ নেননি। খিমানিয়ার কাছে তাঁর এক পরিচিত এক হাজার টাকা পেতেন। সেই টাকাই জয়সুখের মাধ্যমে শোধ করেছেন তিনি।
আদালত খিমানিয়ার বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হবে না, তা জানতে চায়। সেই মামলা চলছিল। দীর্ঘ ১৯ বছর পর সেই মামলায় রায় দিয়েছে রাজকোটের বিশেষ আদালত। তত দিন চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করে বর্তমানে বাড়িতেই দিন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন জয়সুখ। এমন সময় তিনি জানতে পারলেন, আদালত সেই মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। আগামী ৩ বছর জেলে থাকতে হবে তাঁকে এবং একই সঙ্গে ৮ হাজার জরিমানাও দিতে হবে তাঁর।
অভিযুক্তকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে তাঁর থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার (Arrested) করা হয় মুম্বই (Mumbai) পুলিসের এক ইনস্পেক্টরকে (Inspector)। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ইনস্পেক্টর ধারাভি থানায় কর্মরত। বয়স ৫৩ বছর।
আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্তের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নামে ১ লক্ষ টাকা কিংবা আইফোন চেয়েছিলেন ওই ইনস্পেক্টর। তবে দর নিয়ে কষাকষি হওয়ায় ১ লক্ষ থেকে তা ৪০ হাজার টাকায় গিয়ে পৌঁছয়। সেই ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই ইনস্পেক্টর।
খবর, শুক্রবার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মুম্বই পুলিসের ওই ইনস্পেক্টরকে। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জালিয়াতি এবং আর্থিক প্রতারণার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশ্য পরে জামিন পেয়ে যান তিনি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলায় করা হয়। সেখান থেকে মুক্ত করার প্রস্তাব দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন ওই ইনস্পেক্টর। তবে সাহায্যের বিনিময়ে ১ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বোনের সাফল্য, আনন্দে আত্মহারা দুই দাদা। গ্রামের বেড়াজাল টপকে গ্রামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন রাজস্থানের (Rajasthan) বাড়মের জেলার ছোট গ্রাম সরণুর বাসিন্দা হেমলতা জাখড়। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন কৃষকের মেয়েটি। বর্তমানে তিনি সাব-ইনস্পেক্টর (Sub Inspector)। গ্রামবাসী গর্বিত হেমলতার সাফল্যে। গ্রামের অন্য মেয়েদের জন্য নজির সৃষ্টি করলেন বলে গ্রামবাসীরা জানান।
পুলিস আধিকারিক হয়ে গ্রামে পা রাখতেই ফুল ছড়িয়ে স্বাগত জানান গ্রামবাসীরা। এমনকি হেমলতার দুই দাদা বোনকে কাঁধে তুলে নিয়ে গোটা গ্রাম ঘুরে বেড়ান। গ্রামের মেয়েরা এখনো গ্রামের মধ্যেই আবদ্ধ। মনে বাসনা থাকলেও সেই গণ্ডি টপকানোর সাহস কেউ দেখায়নি। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে উচ্চশিক্ষার জন্য গ্রামের বাইরে পা রেখেছিলেন হেমলতা। নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে তা পূরণ করে তবেই ফিরলেন গ্রামে।
এক সাক্ষাৎকারে হেমলতা বলেন, “গ্রামেরই একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। তার পর নবম-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার জন্য গ্রামের বাইরের একটি স্কুলে ভর্তি হতে হয়েছিল। রোজ ১৪ কিলোমিটার হেঁটে যেতাম সেখানে।” অভাবের সংসারে কোনওভাবে চলত তাঁদের। বাবা চাষ করেন। ছোটবেলা থেকেই কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখতেন হেমলতা। তিনি বলেন, “ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল পুলিস হব। ওই উর্দিটা আমাকে আকৃষ্ট করত। আর সেই উর্দি গায়ে তোলার জন্য দিনরাত এক করে কেটেছি।”
হেমলতা আরও জানিয়েছেন,গ্রামের মধ্যে তিনিই প্রথম সাব-ইনস্পেক্টর। এর আগে কোনও পুরুষ বা মহিলা সাব-ইনস্পেক্টর হননি। পুলিসেও চাকরি পাননি। হেমলতার বাবা বলেন, “মেয়ে পুলিসের চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে শুনে গ্রামবাসীরা নিত্যদিন হাসি-ঠাট্টা করতেন। কিন্তু মেয়ের প্রতি আমার ভরসা ছিল একদিন ও পুলিস অফিসার হবে এবং পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে।”
ফুড ইন্সপেক্টর (Food Inspector) নিয়োগে বেনিয়মের মামলা এক যুগ পরে ফের বিচারের জন্য ফিরল স্যাটে (SAT)। ওই নিয়োগে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি (Corruption) হয়েছে কি না, আগামী দু মাসের মধ্যে তা খতিয়ে দেখে রায় দিতে হবে স্যাটকে।
এর আগে ২০১০ সালে ৬৫০ জন ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালে স্যাট মামলায় কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দেয়। হাইকোর্টে মামলা এলে ডিভিশন বেঞ্চ স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় স্যাটকে। সেই মামলায় গত বছর স্যাট আগের নিয়োগ তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়। ফের মামলা আসে হাইকোর্টে। আজ বিচারপতি ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির বিচার করতে হবে স্যাটকে।
উল্লেখ্য, এর আগে ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চরম অস্বচ্ছতা, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কাট অফ মার্কস না প্রকাশ করা, রিজার্ভেশন নীতি প্রয়োগ না করা ইত্যাদি কারণের জন্য এই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে ট্রাইবুনাল।
৯৫৭ টি শূন্য পদে ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে দেয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। ওই নির্দেশের ফলে ৯৫৭ জনের চাকরি নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
পাথর পাচার রুখতে গিয়ে মাফিয়াদের রোষের বলি ডিএসপি পদমর্যাদার এক পুলিস অফিসার সুরেন্দ্র সিং। তাঁকে পিষে দিয়েছিল পাথরবোঝাই ডাম্পার। মঙ্গলবারে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বুধবার ভোরে মাফিয়াদের হাতে খুন মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর।
বুধবার ভোরবেলা, ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে যানবাহন চেকিংয়ের সময় একটি পিকআপ ভ্যান চালক সন্ধ্যা টপনো নামে ওই মহিলা সাব-ইন্সপেক্টরকে পিষে দিয়ে খুন করে। ঘটনাটি ঘটেছে টুপুদানা এলাকায়।
রাঁচির এসএসপি কৌশল কুমার বলেন, "গাড়ি চেক করার সময় সন্ধ্যা টপনো নামে এক মহিলা সাব-ইন্সপেক্টরকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি টুপুদানা ওপির ইনচার্জ হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা গবাদি পশু পাচারকারীদের চলাচলের বিষয়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন। তাই চেকপোস্ট থেকে যাওয়া প্রত্যেকটি গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছিল। ওই অভিযুক্ত পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ধরা পড়ার আগে সাব ইন্সপেক্টরকে পিষে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
প্রসঙ্গত, পাচারকারীদের হাতে একের পর এক উচ্চপদস্থ পুলিস অফিসারের হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে।
বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা সহ সোনা-রূপো বাজেয়াপ্ত হল খোদ একজন ড্রাগ ইন্সপেক্টরের বাড়ি থেকেই। ভাবতে অবাক করলেও এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল বিহারের পাটনাবাসী।
একটি সম্পদের মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে মাদক পরিদর্শক জিতেন্দ্র কুমারের বাড়িতে অভিযান চালায় ভিজিল্যান্স বিভাগের আধিকারিকরা। এরপর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় এই বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা, যা গুনতেই লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা। ১০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে সমস্ত মূল্যের নোটই উদ্ধার হয়। বান্ডিলের পর বান্ডিল টেবিলে স্তূপ করে রাখা হয়। তবে বেশ পরিশ্রমের সঙ্গেই অফিসাররা সেগুলি গুনে ফেলেন। নগদ টাকা ছাড়াও অফিসাররা অনেক সম্পত্তির নথি এবং বিপুল পরিমাণ সোনা ও রূপোর হদিশ মেলে। চারটি বিলাসবহুল গাড়িও জব্দ করা হয়েছে, সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, পাটনা সহ মোট চারটি জায়গায় অভিযান চালান অফিসাররা।
প্রায় ১০ বছর ঘরবন্দি থাকার পর পুলিসের তৎপরতায় উদ্ধার সত্তরোর্ধ্ব জ্ঞানজ্যোতি (Old Woman Rescue)। এই ঘটনায় মা-কে আটকে রাখার অভিযোগে বৃদ্ধার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্তর একজন সন্মুগাসুন্দরম তামিলনাড়ু পুলিসের ইনস্পেক্টর (Police SI), অপরজন বেঙ্কটেশন দূরদর্শনের উচ্চপদে কর্মরত। অভিভাবক এবং প্রবীণ নাগরিক আইনের ২৪ ধারায় এই দু'জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস (Tamilnadu Police)।
যদিও গোটা ঘটনার দায় ভাইয়ের ঘাড়ে চাপিয়েছেন পুলিসের সাব ইনস্পেক্টর সন্মুগাসুন্দরম। তাঁর অভিযোগ, 'মায়ের পেনশনের ৩০ হাজার টাকা পুরোটাই পেতেন বেঙ্কটেশন। তাই মায়ের দেখভালের দায়িত্ব ছিল ভাইয়ের কাঁধেই।'
জানা গিয়েছে, রাজ্য সামাজিক কল্যাণ বিভাগ পুলিসের সাহায্যে ওই বৃদ্ধাকে বদ্ধ ঘর ভেঙে উদ্ধার করে। সেই সময় জ্ঞানজ্যোতি দেবী নগ্ন এবং শীর্ণ ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি ভাইরাল এক ভিডিও সমাজ কল্যাণ দফতরে পাঠিয়ে জ্ঞানজ্যোতি দেবীর অবস্থা সম্বন্ধে প্রশাসনকে অবগত করেন।
থাঞ্জাভুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে সুস্থ করে তুলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। এমনটাই জানান জেলাশাসক। যদিও পড়শিরা জানান, ছেলেরা যেহেতু অন্যত্র থাকতেন তাই মায়ের জন্য পর্যাপ্ত খাবার রেখে যেতেন। তারপরেও খাবার কমে গেলে কিংবা বেশি খিদে পেলে জ্ঞানজ্যোতি দেবী অ্যালার্ম বাজালে পড়শিরা বাইরে থেকে শুকনো খাবার ঘরের ভিতরে ছুঁড়ে দিতেন। কারণ বাইরে থেকে তালা ঝুলতো সেই বাড়িতে।
ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চরম অস্বচ্ছতা, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কাট অফ মার্কস না প্রকাশ করা, রিজার্ভেশন নীতি প্রয়োগ না করা ইত্যাদি কারণের জন্য এই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করল ট্রাইবুনাল।
৯৫৭ টি শূন্য পদে ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল।
এদিনের এই নির্দেশের ফলে ওই ৯৫৭ জনের চাকরি নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে গেল।
পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার এসআই আমিনুল ইসলামের ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে একাধিক আর্থিক প্রতারণা। অভিযোগ দায়ের এসআই-এর। সেই সঙ্গে তিনি সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে সকল মানুষকে প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পা না দেওযার জন্য সতর্ক করেছেন।
আর্থিক প্রতারণার শিকার নন্দকুমারের এক ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, ময়না থানার সাব ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলামের ছবি ব্যবহার করে ওই প্রতারকের ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক পরিচিত লোকের কাছে মেসেজ আসে। সেই মেসেজে মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। প্রতারণার ফাঁদে পা দেন নন্দকুমারের এক ব্যবসায়ী। আর এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকা খুইয়ে ফেলেন ওই ব্যবসায়ী। বিষয়টি আমিনুল ইসলামের নজরে আসার পর তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে ফেক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে মানুষকে অবগত করেন। এছাড়া একাধিক ব্যক্তির কাছে আমিনুল ইসলামের বন্ধু বলে পরিচয দেয় ওই প্রতারক। শুধু তাই নয়, প্রতারক সিআইএসএফ-এ চাকরি করেন বলেও দাবি করেন। গোটা বিষয়টি জানালেন সাব ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম।
কিছু দামি জিনিসপত্র কম দামে বিক্রি করবেন বলে বায়না বাবদ টাকা চাওয়া হয় ওই ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে। একটি চক্র এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত বলে জানান পুলিস আধিকারিক।
আমিনুল ইসলাম ময়না থানায় ফেক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। নন্দকুমারের প্রতারিত ওই ব্যবসায়ীর তরফেও জেলা সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অবশেষে হদিশ মিলল ভূটান সীমান্তবর্তী জয়গাঁ থানার নিখোঁজ ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর রতন করের। বুধবার থেকে নিখোঁজ থাকার পর আজ রবিবার সকালে হাসিমারা দশ নম্বর এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ের পাশে চা বাগান লাগোয়া ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। তাঁর বাইকটিও মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জেলার পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর মোবাইল সিগন্যাল ট্র্যাক করে সর্বশেষ লোকেশন জলদাপাড়ার হলং জঙ্গলে পাওয়া যায়। সেখানেও বনকর্মীদের নিয়ে কুনকি হাতি দিয়ে সার্চ অপারেশন চালানো হয়েছিল। কিন্তু কিছুই মেলেনি। তারপর রবিবার সকালে হাসিমারা দশ নম্বর এলাকায় মেলে তাঁর মৃতদেহ।
কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তাঁকে কেউ খুন করেছে কিনা, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে এলাকায়। যদি খুন হয়ে থাকেন, তাহলে কী কারণে খুন হলেন, সেটাও এখন বড় প্রশ্ন। তদন্তে স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি শুরু হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে জানান, ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর বিষয়টি পরিষ্কার হবে। আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি।
রতন করের বাড়ি কোচবিহার শহর সংলগ্ন ব্যাংকযাত্রা রোডের ভাতৃসংঘ এলাকায়। এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর তাঁর পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে, এক ছেলে ও এক মেয়ে। খবর পেয়ে বাড়িতে ভিড় করেন আত্মীয়-স্বজনরাও। ঘটনায় তাঁর স্ত্রী শ্বেতা কর ও বড় দাদা অজিত করের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, কিভাবে ডিউটিরত অবস্থায় একজন অফিসার উধাও হয়ে গেলেন এবং তারপর তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গেল। মুখ্যমন্ত্রী যেন সঠিক তদন্ত করে এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেন। পাশাপাশি বাড়িতে কোনওরকম অশান্তি ছিল না বলেও তাঁরা জানান। নিখোঁজের দিন স্ত্রীর সাথে কথাও হয়েছিল তাঁর।