
বাংলা ধারাবাহিক জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা হানি বাফনা (Honey Bafna)। বর্তমানে অভিনয় করছেন 'শ্যামা' (Shyama) ধারাবাহিকে। ইতিমধ্যেই দর্শকেরা তাঁকে আপন করে নিয়েছেন। অভিনেতার জীবনে এখন বিপর্যয়। শোনা যাচ্ছে, গুরুতর অসুস্থ তিনি। ধারাবাহিকের সেটেই নাকি চোট পেয়েছেন হাতে। আঘাত এতটাই গুরুত্ত যে দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে বলেছেন চিকিৎসক। এই মুহূর্তে হানির ভক্তরা তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কী হয়েছে অভিনেতার? জানা গিয়েছে, হাতে কাঁচ ঢুকে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। একমাত্র অস্ত্রোপচারেই সেই ক্ষত নিরাময় হওয়া সম্ভব। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি অভিনেতাকে আর ধারাবাহিকে দেখা যাবে না? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা নেই। তবে যদি হানি সত্যিই ধারাবাহিক থেকে বিরতি নেন, তাহলে টিআরপিতে প্রভাব পড়তে পারে।
শ্যামা ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় টুম্পা ঘোষের বিপরীতে দেখা যাচ্ছে হানি বাফনাকে। ১১ সেপ্টেম্বর থেকেই সম্প্রচারিত হচ্ছে ধারাবাহিকটি। হানি ও টুম্পার পাশাপাশি বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, ভরত কল, অনুরাধা রায়ের মতো অভিনেতাদের দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিকে। এই মুহূর্তে দর্শক একেবারেই হানিকে চোখের আড়াল হতে দিতে চাইছেন না।
বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সিলিং ফ্যান খুলে বিপত্তি। হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুর কালিতলা বাজার এলাকার গোপেন্দ্র স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। জানা গিয়েছে, স্কুলে ক্লাস চালকালীন একটি সিলিং ফ্যান (Ceiling Fan) হঠাৎ-ই খুলে পড়ে। ঘটনায় আহত হয় প্রথম শ্রেণীর ২ পড়ুয়া। একজনের মাথায় গুরুতর চোট লাগে, আর অপরজনের চোখে এবং মাথায় আঘাত লাগে। দু'জনকেই স্থানীয় জগৎবল্লভপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিটি স্ক্যানের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলের বাকি পড়ুয়াদের মধ্যে।
আহত পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা বলেন, স্কুলের পরিচর্যা সঠিকভাবে হচ্ছে না। সেকারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর স্কুলের শিক্ষকেরা ঘটনাটি কাউকে না জানানোর কথা বলেন। এমনকি চিকিৎসার যাবতীয় খরচ দিয়ে দেবেনও বলেন। কিন্তু ভবিষ্যতে আরও বড় কোনও দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। সেকারণে এখনই স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক হতে হবে বলে মনে করছেন আহত পড়ুয়ার অভিভাবকেরা।
স্কুলেও নিরাপদ নয় শিশুরা? স্কুলের ঠিকমতো পরিচর্যার অভাবে জখম হচ্ছে পড়ুয়া? যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে বেঞ্চ থেকে পড়ে চোট পেয়েছে। ফ্যান খুলে গিয়ে আহত হওয়ার অভিযোগ মিথ্যে।
একদিকে যখন বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নিয়ে উঠছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। ঠিক তখনই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনা আরও একবার প্রশ্ন তুলছে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে।
বজ্রপাতে জখম একই স্কুলের (Student) সাতজন পড়ুয়া। আহত এক মহিলা রাঁধুনিও। ঘটনার পর আহতদের নিয়ে আসা হয়েছে দুর্গাপুরের (Durgapur) লাউদোহা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এই ঘটনার জেরে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহার জামগড়া প্রাথমিক স্কুলে। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছুটে আসে লাউদোহা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, এদিন দুপুর একটা পনেরো নাগাদ টানা বৃষ্টির মধ্য়েও চলছিল লাউদোহা জামগড়া প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস। তখন আচমকাই বিদ্যুতের গতিতে ছুটে আসা আলোর ঝটকায় প্রথমে দুই পড়ুয়া আহত হয়। আর সেই সময় স্কুলের রান্নাঘরে রান্না করছিল রাঁধুনি। তার হাতেও গিয়ে লাগে ঝটকা। কারোর হাতে কারো পায়ে আবার কেউ বা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। সাত পড়ুয়া আর এক মহিলা রাঁধুনিকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ লাউদোহা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
আপাতত আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও বজ্রপাতে আতঙ্কের ছাপটা স্পষ্ট সবার চোখে মুখে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলো সাত স্কুল পড়ুয়া সহ আট জন।
ধারালো অস্ত্র (Weapons) দিয়ে ভুটভুটি চালককে খুনের চেষ্টা (Attack) করার অভিযোগ উঠল কিছু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিহাট (Alipurduar) থানার অন্তর্গত নয়মাইলের হলং এলাকায়। এই ঘটনায় ওই ভুটভুটি চালক গুরুতরভাবে জখম হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত (Injured) অবস্থায় ওই চালককে উদ্ধার করে মাদারিহাট হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং সেখান থেকে তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
আহতর পরিবার সূত্রে খবর, আহত ওই ভুটভুটি চালকের নাম জব্বার মিঞা। তিনি মাদারিহাট নয়মাইলের বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, নয়মাইল থেকে হলং যাওয়ার পথে কিছু দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ করে। তারপরেই গুরুতর ভাবে আহত হয়ে পড়েন তিনি। আর এই ঘটনার পরেই স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কে বা কারা এই আক্রমণ করেছে তা এখনও জানা যায়নি।
সকালে পুজোর ফুল কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ (Shootout) হল এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াপাড়া (Noyapara) থানার অন্তর্গত ২১ নম্বর রেলগেটের সামনে। গুরুতর আহত (Injured) অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুরেরে বিএন হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুরের বিএন হাসপাতালে থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নোয়াপাডা় ও বাসুদেবপুর থানার পুলিস (Police) বাহিনী। ঘটনাস্থলে থাকা বাকি দোকানদের কাছ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানায়, ঘটনায় আহত ওই ব্যক্তির নাম রবিন দাস। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ২১ নম্বর রেলগেটের সামেনে ফুল কিনতে যায়। ঠিক তখনই দুইজন দুষ্কৃতী বাজারে আসে এবং ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে দুই রাউণ্ড গুলি করে। প্রথম গুলিটি না লাগলেও দ্বিতীয় নম্বর গুলিটি রবিন দাসের পিঠে লাগে। তারপরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই দুই দুষ্কৃতী। পুলিসের দাবি, ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে ঘটনার সময়কার ফুটেজ গুলি সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি ওই ফুটেজে দুই অভিযুক্তকেও দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই দুই অভিযুক্তর খোঁজে তাল্লাশিও করা হচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটিতে ধাক্কা (Accident) মেরে উল্টে গেল পিকআপ ভ্যান। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) চাঁচলের ভাগভাদো এলাকায় ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসে। ঘটনার জেরে মৃত্যু (Death) হয়েছে স্কুটির চালক তথা এক দমকল কর্মীর। এই ঘটনায় ওই পিকআপ ভ্যানের মধ্যে থাকা ৭ জন শ্রমিক গুরুতর আহত (Injured) হয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃত ওই ব্যক্তিকে ও আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতরা বর্তমানে সামসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং মৃতের দেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই স্কুটির চালক তাথা দমকল কর্মীর নাম মৈনাক ঘোষ(৫৭)। তিনি চাঁচল দমকল কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সূ্ত্রে খবর, মঙ্গলবার স্কুটিতে করে চাঁচলের দিকে আসছিলেন ওই ব্যক্তি। হরিশ্চন্দ্রপুরের তালসুর থেকে মাখনা শ্রমিকদের নিয়ে শ্রীপুরের দিকে যাচ্ছিল পিকআপ ভ্যানটি। পিকআপ ভ্যানটি দ্রুত গতিতে থাকার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাগভাদো এলাকায় ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসে এসে একটি স্কুটিতে ধাক্কা মারে। তারপরেই স্কুটিটি দুমড়ে মুচড়ে পড়ে যায় এবং পিকআপ ভ্যানটিও উল্টে যায়। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পরেই তাঁরা তড়িঘড়ি এসে আহতদের উদ্ধার করে। তবে ওই ঘটনাস্থলেই মারা যায় স্কুটির চালক, এমনটাই দাবি তাঁদের।
বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতরভাবে জখম (Ijured) এক ন'বছরের শিশু। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের জেরে ডান হাতটি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) নলকোড়া গোলবাগান এলাকায়। বোমকে বল ভেবে খলতে গিয়েই ঘটে বিস্ফোরণ। ঘটনার পরেই স্থানীয়রা ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরেই খবর পেয়ে ওই ভাটাতে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিস (Police)। বাকি বোমা গুলিও উদ্ধার করে পুলিস। এমনকি কে বা কারা এই ধরনের বোমা মজুত করে রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, আহত ওই শিশুটির নাম ইউসুফ মণ্ডল (৯)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোলবাগান এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রতিবেশীরা ইউসুফকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ওই শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জ্ঞান ফিরেছে ইউসুফের। একটু একটু করে কথাও বলছে সে। তবে ওই শিশুটির ডান হাতের কবজি থেকে বাকিটা বাদ দিতে হয়েছে। পরিবারের দাবি, যে বা যারা এই বোমাগুলি মজুত করছিল পুলিস তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দিক।
যদিও এই ঘটনায় ভাটার মালিক হাজী মোহাম্মদ মসিবর বৈদ্য বলেন, "ভাটাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। কে বা কারা এসে বোমাগুলি রেখেছে তা জানা যায়নি। তবে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।"
আচমকা বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম (Injured) এক নাবালক। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) মানিকচক থানার নারায়ণপুর চর এলাকায়। বোমা বিস্ফোরণের জেরে আহত নাবালক বর্তমানে মালদহের মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবারই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)। এমনকি ঘটনাস্থলটি ঝাড়খন্ড সংলগ্ন হওয়ায় পৃথকভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিসও। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ওই এলাকায়।
এই বিষয়ে আহত নাবালক বলে, রবিবার মহিষ চরাতে মাঠে গিয়েছিল সে। তারপর কিছুক্ষণ মাঠে খেলাধুলোও করে। এরপরেই প্রচণ্ড রোদের কারণে সামনে থাকা একটি বাঁশ বাগানে গিয়ে বসে আরাম করে জল খায়। তারপরেই বাঁশ বাগানের মধ্যে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। ওই নাবালকের দাবি, সে বাঁশ বাগান থেকে ব্যাগটি তুলে দেখে তার মধ্যে একটি বোমা। তারপরেই ভয়ে সে ব্যাগটিকে মাটিতে ফেলে দেয়। আর তারপরেই ঘটে ওই বিস্ফোরণ। আহতর পরিবারের দাবি, যে বা যারা এলাকার মধ্যে বোমা মজুত করছে, যার জেরে বারবার বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে, পুলিস তাদের গ্রেফতার করে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেট্রো স্টেশনের পিলারে ধাক্কা (Accident) মারলো বাস। ঘটনায় কোন হতাহত না হলেও আহত (Injured) হয়েছেন মোট ৫ জন যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেক (Saltlake) বিকাশ ভবনের সামনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস এবং বিধাননগর ট্রাফিক গার্ডের পুলিস (Police) আধিকারিকেরা। পুলিস আহতদের উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে চিকিৎসার জন্য। যদিও এই ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে পুলিস। এমনকি ঠিক কি কারণে এই ঘটনাটি ঘটলো তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত বাসের বাকি যাত্রীরা।
সূত্রের খবর, রবিবার লেকটাউন বাঙ্গুর থেকে নিউটাউনের দিকে যাচ্ছিল কেবি ১৬ রুটের একটি বাস। ঠিক সেই সময় বিকাশ ভবনের সামনে মেট্রো স্টেশনের পিলারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে বাসটি। বাসের মধ্যে ছিল মোট ২০ জন যাত্রী, তার মধ্যে ৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
অভিনেতা রুবেল দাস (Rubel Das) টলিউড অভিনয় জগতের পরিচিত মুখ। বর্তমানে অভিনয় করছেন 'নিম ফুলের মধু' (Neem Phuler Modhu) ধারাবাহিকে। তবে বাড়িতে বসেই। কারণ দিন কয়েক আগেই শ্যুটিংয়ের সেটে গুরুতর আহত হন রুবেল। চলতি ধারাবাহিকের জন্য বাস থেকে লাফ দেওয়ার একটি দৃশ্যের শ্যুটিং হয়েছিল। সেই সময়ই অভিনেতার দুই পায়েরই গোড়ালি ভেঙে যায়। বর্তমানে তিনি বাড়িতেই শয্যাশায়ী।
রুবেলের অসুস্থতার খবর জানতে পেরেই অনেকে ভেবেছিলেন, তাঁর পরিবর্তে বোধহয় অন্য কোনও অভিনেতা আসবেন। যদিও তা হয়নি। ধারাবাহিকের লেখক বর্তমানে গল্পের মোড় ঘুরিয়েছেন মহিলা চরিত্রদের দিকে। তাঁদেরকেই এখন বেশিরভাগ সময় পর্দায় দেখা যাচ্ছে। ফলে রুবেল বিশ্রাম পাচ্ছেন। তবে মাঝে মধ্যে বিছানায় বসে বসে শ্যুটও করছেন অভিনেতা।
আগামী মাসেই রুবেলের পায়ের প্লাস্টার কাটা হবে। বর্তমানে ধারাবাহিকে তাঁর সহ অভিনেতা অভিনেত্রীরা রুবেলের অপেক্ষায় রয়েছেন। অন্যদিকে তাঁর প্রেমিকা শ্বেতা ভট্টাচার্য বেশ চিন্তিত। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে মাঝেমধ্যেই বারাসতে রুবেলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে দেখে আসছেন শ্বেতা। সামাজিক মাধ্যমেও রুবেলের দিনযাপনের ছবি শেয়ার করছেন অভিনেত্রী।
নিকো পার্কে (Nicco Park) রাইড চড়াকে কেন্দ্র করে বচসা। আর তার ফলেই নিকো পার্কের অপারেশন ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র অফিসারকে মারধর (Beaten)। গুরুতর আহত (Injured) অবস্থায় সেই অফিসারকে ভর্তি করা হয়েছে বিধান নগর সাব ডিভিশনাল হাসপাতালে। এই ঘটনায় পাঁচজন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস (Police)। রবিবার ধৃতদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, পার্কের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের নাম মুক্তার আলম, মোহাম্মদ শাহজাদ আলম, আফরোজ আলম, মোহাম্মদ ফিরোজ আলম এবং মোহাম্মদ সেলিম।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শনিবার পাঁচজন যুবক নিকো পার্কে রাইড চড়তে যাওয়ার সময় লাইনে দাঁড়াতে অস্বীকার করে। সেই সময়ই নিকো পার্কের অপারেশন ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র অফিসার মলয় চ্যাটার্জি তাদের বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় ওই পাঁচজন যুবক মলয় চ্যাটার্জিকে বেধড়ক মারধর করে। যার ফলে গুরুতরভাবে জখম হয় মলয় চ্যাটার্জী। তারপরেই তাঁকে আহত অবস্থায় বিধান নগর সাব ডিভিশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এমনটাই জানা গিয়েছে।
হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর দেব কিশোর পাঠকের ওপর দুষ্কৃতী হামলা (Attack)। ঘটনায় গুরুতর আহত (Injured) হন তিনি। এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) লিলুয়া ফ্লাইওভারের উপরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস আসা মাত্রই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কিত প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর পরিবার।
প্রাক্তন কাউন্সিলর দেব কিশোর পাঠক জানিয়েছেন, শনিবার একটি নিমন্ত্রিত বাড়ি থেকে ফেরার সময় আচমকাই তাঁর ওপর এই হামলা হয়। সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হামলা করে তাঁর মাথা ও কোমরে রড দিয়ে মারে। যার ফলে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে পড়েন প্রাক্তন কাউন্সিলর দেব কিশোর। এরপর এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা চালায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়ে চার থেকে পাঁচ জন মতো দুষ্কৃতীদের মধ্যে দু'জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম হল হারি তেওয়ারি ও ছোট তেওয়ারি। সম্পর্কে তারা কাকা ভাইপো। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রজু হয়েছিল।
লরির ধাক্কায় মৃত্যু (Death) হল এক মহিলার। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক যুবক। শনিবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের বাগডাঙ্গা মজুমদার পাড়া এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম আনসুরা বিবি (৩২) এবং আহতের নাম পিন্টু শেখ (২৬)। দু'জনের বাড়ি বাগডাঙ্গা এলাকাতে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠায়। এই ঘটনায় ব্য়পক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন দুুপুর বেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় উঠেছিল পিন্টু। সেই সময় হঠাৎ ডোমকল থেকে কুশাবাড়িয়াগামী একটি লরি দ্রুতগতিতে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। ওই লরিটি পিন্টু শেখকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা পারাপার করছিলেন আনসুরা বিবি। তাঁকেও ধাক্কা মারে লরিটি। আনসুরা বিবি রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন এবং গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা দুর্ঘটনার আওয়াজ শুনে ছুটে গিয়ে আনসুরা বিবিকে উদ্ধার করে ডোমকল সুপার ষ্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্য়ে পুলিস ঘাতক লরিটিকে আটক করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুরানো বাড়ি সারাতে গিয়েই ঘটল বড়সড় বিপত্তি। প্রবল বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ে বাড়ির সানসেড। আর তারই আঘাতে মৃত্যু (Dead) হলো এক রাজমিস্ত্রীর। এই ঘটনায় গুরুতর (Injured) জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক যুবক। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবারের (Daimond Harbour) লালবাটি এলাকায়। আচমকা ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় শোকাস্তব্ধ গোটা গ্রাম। সূ্ত্রের খবর, মৃত ব্যক্তির নাম হৃদয় হালদার। অন্যদিকে গুরুতর জখম হয়েছে দেবনাথ দলুই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লালবাটির বাসিন্দা রবীন ঘড়ুয়ের পুরানো বাড়ি সারাই করার কাজ চলছিল। শনিবার সকালে সেই কাজই করছিলেন প্রায় পাঁচ ছজন কর্মী। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির ফলে আচমকা ওই পুরানো বাড়ির সানসেডটি ওপর থেকে ভেঙে পড়ে। সেই সময় নীচে হৃদয় ও দেবনাথ নামে দুই শ্রমিক কাজ করছিলেন। নীচে থাকার ফলে সানসেডটি ভেঙে তাঁদের মাথার উপরেই পড়ে। যার ফলে তাঁরা গুরুতরভাবে জখম হয়।
স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি ওই দুজনকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হৃদয় হালদারকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। অন্যদিকে দেবনাথের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
জনপ্রিয় নাচের রিয়েলিটি শো থেকে উত্থান হয়েছিল রুবেল দাসের (Rubel Das)। এরপর বহু ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি এখন অভিনেতা হিসেবেই জনপ্রিয়। বর্তমানে তিনি অভিনয় করছেন 'নিম ফুলের মধু' ধারাবাহিকে। সেই ধারাবাহিকের শ্যুটিং করতে গিয়েই গুরুতর আহত হলেন রুবেল। ধারাবাহিকে একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিং ছিল। দৃশ্যটিতে বাসের মাথা থেকে লাফাতে হয়েছে অভিনেতাকে। এই স্টান্ট করতে গিয়েই দু পায়ের গোড়ালিতে গুরুতর চোট পেয়েছেন অভিনেতা।
এমন অবস্থায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন রুবেলের প্রেমিকা, অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। সামাজিক মাধ্যমেই রুবেলের অসুস্থতায়, নিজের মনের কথা লিখলেন অভিনেত্রী। শ্বেতা লিখেছেন, 'খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠ আমার চ্যাম্পিয়ান। তুমি খুব সাহসী ছেলে। আমার বিশ্বাস তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে খুব তাড়াতাড়ি। তুমি ভালো তাই তোমার সাথে কোনও খারাপ হতে পারে না। শুধু কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। আমি তোমাকে ভালোবাসি বাবাই। সবসময় তোমার সঙ্গে আছি।'
রুবেলের দু'পায়েই চোট গুরুতর। আগামী ৬ মাস তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন চিকিৎসক। রুবেলের অনুপস্থিতিতে শ্যুটিং করে রাখা ব্যাঙ্ক থেকেই চলছে ধারাবাহিকের সম্প্রচার। তবে অভিনেতা ৬ মাস শ্যুটিং করতে না পারলে ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় তৈরী হবে। এই মুহূর্তে রুবেলের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন দর্শকেরাও। সকলেই তাঁর সুস্থতা প্রার্থনা করছেন।