ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) পর এবার নিউজিল্যান্ডে (New Zealand) ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake)। সোমবার ভোর ৬টা ১১ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। সঙ্গে সঙ্গে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। নিউজিল্যান্ডের কারডেক দ্বীপে এই তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।
সোমবার ভোর ৬টা ১১ মিনিট নাগাদ অনুভূত হয় কম্পন। কারমাডেক দ্বীপের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎস্যস্থল। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সে কারণে নিউজিল্যান্ড সহ কারমাডিক দ্বীপের বাসিন্দাদের সমুদ্রের পাড়ে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে ইন্দোনেশিয়ায় তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১। আতঙ্কিত হয়েছিলেন বাসিন্দারা। যদিও হতাহতের তেমন খবর পাওয়া যায়নি। সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি। তবে ভূমিকম্পের তীব্রতায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। ঠিক তার পরের দিন আবার নিউজিল্যান্ডে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প অনুভূত হল।
এদিকে, ভারতের মেঘালয়ের দক্ষিণ গারো পাহাড়ে অনুভূত হয়েছে মৃদু কম্পন। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৫। সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ অনুভূত হয় কম্পন। গত কয়েক মাস ধরেই এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে ভূমিকম্প হয়ে চলেছে।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় ৩টে বেজে ২৫ মিনিটে জাভার উত্তর উপকূলে এই ভূমিকম্প হয়। উৎস ছিল তুবান (Tuban) শহর থেকে ৯৬ কিলোমিটার উত্তরে, সাগরের নীচে। সমুদ্রের নীচে ভূমিকম্প হলে সাধারণত সুনামির আশঙ্কা থাকে।
তবে, ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানিয়েছে, সমুদ্রের নীচে প্রায় ৫৯৪ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎস। তাই এই ক্ষেত্রে সুনামি আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। সেই দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার মুখপাত্র এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সুরাবায়া, তুবান, ডেনপাসার এবং সেমারাং অঞ্চলে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ওই মুখপাত্র বলেন, “ভূমিকম্পটি খুব গভীরে সৃষ্ট হওয়ায় এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। মনে হয় না বড়মাপের কোনও ক্ষতি হবে। তবে আমরা এখনও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।”
ফের কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। মঙ্গলবার ভোরে ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয় পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার স্বল্প জনবহুল অঞ্চল তানিম্বায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরা। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের তুয়াল এলাকা। ২ হাজার কিলোমিটার দূরে অস্ট্রেলিয়াতেও (Australia) কম্পন অনুভূত হয়।
জানা গিয়েছে, তানিম্বার দ্বীপপুঞ্জে দুটি স্কুল ভবন এবং ১৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে একটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তিনটি অল্পস্বল্প ক্ষতিগ্রস্ত। শুধুমাত্র একজন আহত বাসিন্দার খবর পাওয়া গেছে। জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ এজেন্সির মুখপাত্র আবদুল মুহারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “স্থানীয় বাসিন্দারা তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের জন্য শক্তিশালী কম্পন অনুভব করেন। ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল বাসিন্দাদের মধ্যে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েন।"
ইন্দোনেশিয়ার মেটিওরোলজি, ক্লাইমাটোলজি এবং জিওফিজিক্যাল এজেন্সি সুনামির সতর্কতা জারি করেছে যা তিন ঘণ্টা পরে তুলে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য,গত নভেম্বরেই ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছিল ইন্দোনেশিয়া। সে বার ৩১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। ভারতীয় সময় সোমবার সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে প্রধান দ্বীপ জাভা (Java)। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পে (Earthquake)। আহত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ। কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরতায় পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। কম্পনের কারণে বহু মানুষ ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। খালি করে দেওয়া হয় অফিস। ভূমিকম্পে কয়েকশো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া কয়েকটি স্কুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘরবাড়ি ভেঙে চাপা পড়ে আহত হওয়া সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুধু জাভা নয়, রাজধানী জাকার্তাতেও কম্পণ অনুভূত হয়েছে। প্রথমে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে সেখানকার সরকার৷ কিন্তু তারপর থেকে মৃত্যুর খবর আরও বাড়তে থাকে৷
ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়তে শুরু করে৷ উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে বাড়ি চাপা পড়ে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ম্যাচ শেষে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল মাঠে দুই ক্লাবের সমর্থকদের সংঘর্ষ, পুলিসের কাঁদানে গ্যাসে প্রাণ কাড়ল ১৭৪ জনের। এই ঘটনার যে ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তা গা শিউরে ওঠার মতো। জানা গিয়েছে, দুই ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে প্রাথমিক হাতাহাতির জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়। ফলে হুড়োহুড়ি, পদপৃষ্ঠের ঘটনায় তৎক্ষণাৎ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু কিংবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু। ইস্ট জাভা পুলিসের এক শীর্ষ কর্তা এই কথা জানিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়া সরকার এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। সে দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, 'ঠিক যখন সমর্থকরা আবার মাঠে গিয়ে খেলা দেখা শুরু করেছেন, ঠিক তখনই এই ঘটনা। এর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের দেশের ফুটবল আহত হল।'
ভবিষ্যতে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করার সম্ভাবনার কথাও জানান তিনি। তিনি জানিয়েছেন, 'ম্যাচ আয়োজনের যাবতীয় ব্যাপার আমরা খুঁটিয়ে দেখব। এমনকী এরপর মাঠে দর্শক ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে। হয়তো ভবিষ্যতে ফাঁকা স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করতে হবে।'
জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল লিগে শনিবার আরেমা এবং পার্সিবায়া সুরাবায়ার মধ্যে খেলা ছিল। পূর্ব জাভার মালাং রিজেন্সির এই ম্যাচে আরেমা ২-৩ ব্যবধানে পরাজিত। এরপরেই দু’দলের সমর্থকরা কার্যত দাঙ্গায় জড়ান।
আরেমা হেরে যাওয়ায় তাদের সমর্থকরা হুড়মুড়িয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন। তখনই ঝামেলা শুরু হয়। দু'দলের ফুটবলাররা বিপদ বুঝে সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু কয়েকজন মাঠে থেকে যাওয়ায় তাঁদের উপরও হামলা হয়। সমস্যা বাড়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে, স্টেডিয়ামের ভিড়ে ঠাসা গ্যালারিতে আতঙ্ক ছড়ায়। স্টেডিয়াম থেকে বেরোনোর জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে এবং শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।