গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car Accident) মৃত্যু হল ৯ সেনা জওয়ানের (Indian Army)। একাধিক সেনা জওয়ান এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। ঘটনাটি লাদাখের (Ladakh)। সূত্রের খবর, শনিবার লাদাখের নিয়মা জেলার কিয়ারি নামক শহরে ঘটনাটি ঘটেছে। বেস ক্যাম্পে যাওয়ার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় বলে অনুমান। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় রাস্তার ধারে গভীর খাদে। এর জেরে ৯ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জানা গিয়েছে, লে থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে কিয়ারিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিয়ারিতে ঢোকার ৭ কিলোমিটার আগে পিচ্ছিল রাস্তা থেকে পিছলে খাদে গিয়ে পড়ে যায় বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। সেনার ওই গাড়িতে মোট ১০ জন জওয়ান ছিলেন। তার মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু হয়েছে এবং এক জন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
তবে নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়ি ও জওয়ানদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা। সেনার চোখে পড়ায় দু'পক্ষের মধ্যে টানা গুলিবর্ষণ চলে। সেনার গুলিতে নিহত ১। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের শাহপুর সেক্টরে এই ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ভোরে একদল জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল।
কিন্ত জঙ্গিদের প্রবেশে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাদের প্রবেশে বাধা দিতেই দু'পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়। সেনার গুলিতে মারা যায় এক জঙ্গি। শেষমেশ কোনও রকমে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে পালায় জঙ্গিরা। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সীমান্তে পাহারায় থাকা জওয়ানদের নজরে আসে কারা যেন সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সতর্ক হয়ে যান। তারপরই জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।
জওয়ানদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। এর পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। তারপর দু'পক্ষের মধ্যে অনবরত গুলিবর্ষণ চলতে থাকে। গুলির লড়াই চলাকালীন জঙ্গিরা তাদের প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তার খোঁজে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
দু’জন মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগ উঠল ভারতীয় সেনায় কর্মরত জওয়ানদের (Indian Army) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ঝাঁসি এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জন জওয়ানকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়। তবে আর এক জওয়ান এখনও পলাতক। অভিযোগ, প্রথমে তিন জওয়ান ওই দুই মহিলাকে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের জওয়ানদের কামরায় নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁদের ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ১২০ বি-সহ একাধিক ধারায় ধর্ষণ এবং ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এমনকি এই বিষয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতাদের বয়ানও রেকর্ড করে নিয়েছে পুলিস।
রেল পুলিসের সুপারিন্টেনডেন্ট মহম্মদ মুস্তাক জানিয়েছেন, ধৃত জওয়ানদের মধ্যে এক জনের বাড়ি বিহারের সিওয়ানে এবং অন্য জন থাকেন উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে। এছাড়াও পঞ্জাবের আরও এক জওয়ানের বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে তিনি এখনও পলাতক।
ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার (Helicopter)। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) মান্ডালায় ভেঙে পড়ল বিমান। মহড়া চলাকালীনই হঠাত্ ভেঙে পড়ে কপ্টারটি। ঘটনা জেরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং মেজর পদমর্যাদার দুই পাইলট নিখোঁজ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ আচমকাই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC)-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হেলিকপ্টারটির। তারপরই ঘটেছে এমন দুর্ঘটনা। সেনা সূত্রে দাবি, বমডিলার পশ্চিমে মান্ডালা পাহাড়ে ভেঙেছে চিতা।
সেনার পিআরও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত বলেন, 'বমডিলায় মহড়া চলছিল ওই হেলিকপ্টারের। সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারটি মান্ডালায় ভেঙেছে। হেলিকপ্টারের খোঁজে ওই এলাকায় উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হয়েছে।'
ফের মাঝ আকাশে দুর্ঘটনার (Accident) কবলে বায়ুসেনার চপার (Navy Chopper)। হোলির দিনই মুম্বইয়ের উপকূলবর্তী এলাকায় বিপদের মুখে পড়ে ভারতীয় নৌসেনার অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার। তড়িঘড়ি সেটির জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) করানো হয় আরব সাগরের (Arabian sea) জলে। জানা গিয়েছে, ওই চপারে তিন ক্রু সদস্য ছিলেন। তিনজনকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ভারতীয় নৌসেনার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সেনার অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টারটির নাম ‘ধ্রুব। রুটিন টহলদারিতে বেরিয়েছিল কপ্টারটি। তারপর সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং মুম্বইয়ের উপকূলে আরব সাগরের মধ্যে সেটিকে এমারজেন্সি ল্যান্ডিং করানো হয়। তারপরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ওই সময়ে উপকূলের ধারে নৌসেনার যে কর্মীরা নজরদারির কাজে নিযুক্ত ছিলেন, তাঁরাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তিন নৌসেনা সদস্যকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে হেলিকপ্টারে কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছিল। যার ফলে জরুরি অবতরণ করা হয়। তবে কী ঘটেছিল? কী যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা গিয়েছিল সেই সব তথ্য খতিয়ে দেখার জন্য নৌসেনার তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপত্যকায় ফের বড়সড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর। নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে (Encounter) খতম এক জঙ্গি। কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় যুক্ত ছিল মৃত সন্ত্রাসবাদী। এমনটাই সেনা সূত্রে খবর। মঙ্গলবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) অবন্তিপোরা এলাকার এই ঘটনায় গোপন সূত্রে খবর পায় সেনাবাহিনী। একটি বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, এরপরই তল্লাশি অভিযান চালায় বাহিনী। জওয়ানদের দেখে জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে থাকে অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদী। পালটা জবাব দেন জওয়ানরাও।
টানা গোলাগুলির লড়াইয়ের শেষে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতেই নিকেশ হয় ওই জঙ্গি। পাল্টা আহত হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর দুই জওয়ান। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে একটি হাসপাতালে। গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ওই এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে যে, রবিবার কাশ্মীরি পন্ডিত সঞ্জয় শর্মাকে হত্যার জন্য দায়ী সন্ত্রাসীকে মঙ্গলবার সকালে আওয়ান্তিপোরা এনকাউন্টারে নিকেশ করা হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসীকে পুলওয়ামার আকিব মুস্তাক ভাট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে প্রথমে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের হয়ে কাজ করত। কিন্তু বর্তমানে সে TRF-এর সঙ্গে ছিল।
উল্লেখ্য, গত বছর সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের উপর প্রায় ৩০টি হামলা চালিয়েছিল। তিনজন কাশ্মীরি পন্ডিত, রাজস্থানের একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, জম্মুর একজন মহিলা শিক্ষক এবং আটজন পরিযায়ী শ্রমিক-সহ ১৮ জন নিহত হয়েছিল বলে খবর।
টহলদারিতে বেরিয়ে খাদে পড়ে মৃত্যু তিন সেনা জওয়ানের (India Army)। জওয়ানদের গাড়ি পিছলে গভীর খাদে গিয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা (Road Accident)। ঘটনা জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি। গত বছরেও ডিসেম্বরে সিকিমে জওয়ানদের গাড়ি গভীর খাদে পড়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার জম্মু-কাশ্মীরে। সেনা সূত্রে খবর, বুধবার সকালে চিনার কোরের এক জন জুনিয়র কমিশনড অফিসার এবং দুই জওয়ান মাছিল সেক্টরের ফরোয়ার্ড এলাকায় গাড়িতে টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই আচমকাই জওয়ানদের গাড়ি পিছলে গভীর খাদে পড়ে এই দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তিন জওয়ানের।
সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বুধবারই তিন জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।ইতিমধ্যেই কুপওয়াড়াতে তুষারপাত শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান, বরফঢাকা পথে গাড়ির চাকা পিছলে যাওয়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পারিবারিক অশান্তির (Domestic dispute) জেরে স্ত্রীকে খুন ভারতীয় সেনার লেফটানেন্ট কর্নেলের (Army Officer)। পরে নিজেও আত্মঘাতী (Suicide) হন ওই সেনাকর্তা। রবিবার রাতের এই ঘটনা পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের। সোমবার ভারতীয় সেনা সূত্রে জানিয়েছে এই মর্মান্তিক খবর। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্জাবের ফিরোজপুরে কর্মরত ছিলেন ভারতীয় সেনার লেফটানেন্ট কর্নেল। বিয়ের পর থেকে প্রায়শই ওই দম্পতির মধ্যে বচসা লেগে থাকতো। এমনকি এই কারণের জন্য নাকি দম্পতি নিয়মিত কাউন্সেলিং করাতেন। রবিবার রাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এরপরই অশান্তির জেরে নিজের স্ত্রীকে খুন করেন সেনা আধিকারিক। পরে গুলি চালিয়ে নিজেও আত্মঘাতী হন বলেই অনুমান করছে পুলিস।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস ও ভারতীয় সেনা লেফটেনেন্ট কর্নেলের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। ওই নোটে স্ত্রীকে খুনের কথা উল্লেখ করেছেন ভারতীয় সেনার লেফটেনেন্ট কর্ণেল। উদ্ধার করা হয়েছে দম্পতির দেহ। যদিও মৃত সেনা আধিকারিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন (Siachen), মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার এই ক্ষেত্র রক্ষার দায়িত্বে ক্যাপ্টেন শিবা চৌহান (Captain Shiva)। প্রথম মহিলা সেনাকর্মী (Woman Army) হিসেবে এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টিং পান শিবা। তাঁর নিয়োগের খবর প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই খবর সিলমোহর বসান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
জানা গিয়েছে, সিয়াচেনে মোতায়েন হওয়ার আগে অন্য সেনা অফিসারদের মতো শিবাকেও কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার সঙ্গে যুঝতে তাঁকে রাখা হয়েছিল সিয়াচেন ব্যাটল স্কুলে। সেই প্রশিক্ষণের মধ্যে বরফ প্রাচীরে ওঠা, তুষারপাতের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালানো এবং কঠিন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার মতো প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত।
শিবাকে সিয়াচেনে নিয়োগ প্রসঙ্গে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও ক্যাপ্টেন শিবা সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন এবং সিয়াচেন সামলানোর জন্য প্রস্তুত।' জানা গিয়েছে, চলতি মাসের দুই তারিখ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ৬০০ ফুট উপরে থাকা সিয়াচেনের কুমার পোস্টে, শিবাকে মোতায়েন করা হয়েছে। এই অঞ্চলের তাপমাত্রা গড়ে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি। এবার স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে কে এই বীরাঙ্গনা? জানা গিয়েছে, শিবা চৌহান রাজস্থান উদয়পুরের বাসিন্দা। ১১ বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হয়েছেন। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিবা উদয়পুরের এক স্কুল পড়াশোনা করেন। পরে উদয়পুরেরই এক কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং করেন। শৈশব থেকেই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন শিবা।
পূর্ব লাদাখের গালওয়ানের পর এবার অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চিনা সেনারা। এর ফলে সংঘর্ষ বাঁধে ভারতীয় এবং চিন সেনার। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের সেনা আহত হয়েছেন। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনারা ৩০০ চিনা সেনাকে রুখতে সফল হয়েছেন। চিনা সেনারা একটি পিকের শীর্ষে উঠে ভারতীয় সেনার একটি পোস্ট সরাতে চেয়েছিলেন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ৯ ডিসেম্বর শুক্রবার। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি তাওয়াংয়ের এলএসি-তে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। ভারতীয় সেনারা চিনা সেনাদের বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হয়। এ সংঘর্ষে উভয় দেশের সেনাবাহিনীর কয়েকজন জওয়ান আহত হয়েছেন। তবে, এলএসি-তে পৌঁছানোর চেষ্টা করা চিনা বাহিনীকে ভারতের সৈন্যরা পিছনে ঠেলে দেয়।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় ৩০০ জনেরও বেশি চিন সৈন্য একটি চূড়ার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের এই উদ্দেশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছেন ভারতীয় সেনারা। এই চূড়াটি এখনও বরফে ঢাকা। এই সংঘর্ষে ভারতের চেয়ে বেশি চিনা সেনা আহত হয়েছেন। চিনা সেনাদের পাথর নিক্ষেপে ভারতীয় সেনারা বেশি আহত হয়েছে।
সূত্রের খবর, চীনা সেনাদের সঙ্গে এই সংঘর্ষে অন্তত ৬ ভারতীয় সেনা আহত হয়েছেন। এই জওয়ানদের চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটিতে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত সেনাদের গুয়াহাটির ১৫১ বেস হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
গোটা দেশ যখন আলোর উৎসবে মশগুল, তখন জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করল সেনা (Indian Army)। সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু এক জঙ্গির। ঘটনাটি উপত্যকার কুপওয়াড়া জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার, নিয়ন্ত্রণ রেখা (LOC) বরাবর কারনাহ সেক্টরে সেনার চোখে ধুলো দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে বাধা দেয় সেনা। দু তরফে শুরু হয় তুমুল গুলির লড়াই। সেনার গুলিতে এক জঙ্গির (Terrorist) মৃত্যু হয়েছে। গত মাসেই কুপওয়াড়াতে সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সে বারও একইভাবে নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। সেদিন গুলির লড়াই থামার পর সেনা তল্লাশিতে পিস্তল, গ্রেনেড উদ্ধার হয় মৃতদের থেকে।
বছর ঘুরলেই সম্ভবত জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন। তাই জনমানসকে আতঙ্কে রাখতে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করতে এখন থেকেই জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা পড়শি দেশের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর। আর তাঁদের এই কু চক্রান্ত ব্যর্থ করতে বারবার সফল দেশের সেনাবাহিনী। এমনটাই জানিয়েছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা।
ফের অরুণাচলে (Arunachal Pradesh) সেনা কপ্টার (ALH Copter Crash) দুর্ঘটনা। আপার সিয়াং জেলার চিংগিং গ্রামে পাইলট-সহ ৫ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ে Advance Light Helicopter। যেহেতু দুর্ঘটনাস্থলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই, তাই উদ্ধারকাজে অসুবিধার মধ্যে পড়ে সেনাবাহিনী (Indian Army)। এএনআই সূত্রে খবর, সাময়িক প্রতিকূলতা কাটিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিখোঁজ ৫ জনের তল্লাশি শুরু হলেও, দু'জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে।
একটি ঝুলন্ত ব্রিজ ছাড়া লোকালয় থেকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌছতে কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। তাই দুটি হেলিকপ্টারে পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকারীদের। স্থানীয়রাও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজেজু ট্যুইটে জানান, অরুণাচল প্রদেশের আপার সিয়াং জেলায় ভারতীয় সেনার Advance Light Helicopter ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত।
অরুণাচল প্রদেশে চলতি বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সেনা কপ্টার ভেঙে পড়ার ঘটনা। চলতি মাসের প্রথমেই তাওয়াং জেলায় চিতা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি আহত একাধিক।
পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে (ISI) ভারতীয় সেনার গোপন নথি পাচারের অভিযোগ। রাজ্য পুলিসের এসটিএফ-র (STF)) হাতে গ্রেফতার সন্দেহভাজন ব্যক্তি। কালিম্পংয়ের (Kalimpong) মুরগীহট্ট থেকে পীর মহম্মদ ওরফে সমীর দা-কে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। তাঁর মোবাইল এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, টাকার বিনিময়ে ভারতীয় সেনার গোপন নথি পাক গুপ্তচরদের পাচার করতো পীর মহম্মদ। ২০২০ সালে নেপালে গিয়েছিল সে। তখন আইএসআইয়ের একজন তাঁকে টাকার বিনিময়ে ভারতীয় সেনার গোপন নথি পাচারের প্রস্তাব দেয়।
ধৃতের মোবাইল ঘেঁটে জানা গিয়েছে, হোয়াটস অ্যাপ কলের মাধ্যমে অভিযুক্ত পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। এমনকি, কালিম্পং এবং উত্তরবঙ্গের সেনাঘাঁটি, সেনা সক্রিয়তা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য সে পাক গুপ্তচরদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। ধৃতের ইলেকট্রনিক সামগ্রির দোকান আছে। বিশেষ সূত্র মারফৎ খাওবর পেয়েই পুজোর দিন সাতেক আগে এই গ্রেফতারি। তার গতিবিধি নজরে রেখে এবং সায়েন্টিফিক সূত্র জুড়ে পীর মহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনটাই রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর।
তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে,গোপন নথি পাচারের বিনিময়ে ২ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও টাকাই সে পায়নি। এমনটাই গোয়েন্দাদের জানিয়েছে অভিযুক্ত।
হলিউড ছবি ফরেস্ট গাম্পের বলিউড সংস্করণ লাল সিং চাড্ডা। মুক্তির পর থেকে এই ছবির বক্স অফিস সংগ্রহে খুব একটা মুখের হাসি চওড়া হচ্ছে না নির্মাতাদের। অনেক প্রেক্ষাগৃহে ন্যূনতম দর্শক অনুপস্থিতির কারণে বাতিল হচ্ছে শো। এই পরিস্থিতিতে এবার বড়সড় আইনি জটে পড়ল লাল সিং চাড্ডা। ভারতীয় সেনা এবইং হিন্দু আবেগকে আঘাত করার দায়ে অভিযোগ দায়ের এই ছবির বিরুদ্ধে। শুধু প্রযোজক-পরিচালকের বিরুদ্ধে নয়, ছবি নির্মাণে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ফলে স্বাধীনতার ৭৫-এ সময় একদমই ভালো যাচ্ছে না মিস্টার পারফেকশনিস্টের। এই ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র অর্থাৎ আমির খান অভিনীত লাল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী। তার ক্রিয়াকলাপ দেশের আইনের চোখে ‘অসঙ্গত’ বলে অভিযোগ বিনীত জিন্দাল নামে দিল্লির এক আইনজীবীর। এই দাবিতে পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সশস্ত্র বাহিনীকে ‘অসম্মান’ করেছে এই ছবি। মূলত এমনটাই অভিযোগ ওই আইনজীবীর। পাশাপাশি দাঙ্গা বাঁধানোর উদ্দেশে ইন্ধন, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করা, কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মতো ধারায় এফএইআর দায়ের করেন তিনি।
লাল সিং চাড্ডা ছবির প্রযোজক প্যারামাউন্ট পিকচার্স, আমির, পরিচালক অদ্বৈত চন্দনের নামও উল্লেখ হয়েছে এফআইআর-এ। মামলাকারীর অভিযোগ, 'ছবি নির্মাতারা এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে কার্গিল যুদ্ধে পাঠিয়েছেন। যেটা অবাস্তব। এই মানসিক অবস্থা নিয়ে লালকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার অনুমতি কী ভাবে দেওয়া হল? সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, কঠোর প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ সীমান্তে যেতে পারেন না। অতএব, নির্মাতারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বদনাম করছেন।’
এই ছবির একটি দৃশ্যে পাকিস্তানি কর্মী লাল সিং চড্ডাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, 'আমি নামাজ পড়ি এবং প্রার্থনা করি, লাল, আপনি কেন তা করেন না?' সেখানে লালের উত্তর, 'মা বলেছেন, পুজোপাঠ ম্যালেরিয়া। এতে দাঙ্গা হয়।' আইনজীবীর বক্তব্য, এটা হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে মানহানিকর বিবৃতি। এতেই আরও দাঙ্গার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।