বিএসএফ এর গুলিতে মৃত্যু হল এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। বুধবার নদিয়ার ভীমপুর থানার অন্তর্গত রাঙিয়া পোতা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও মৃতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। বিএসএফ মৃতদেহটি কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সূত্রের খবর, বুধবার মাঝরাতে একদল বাংলাদেশি ভারতের ভীমপুর থানার রানিয়াপোতা বি ও পি অধীনস্থ এলাকা দিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তখন ওই এলাকায় কর্মরত এক বিএসএফ কর্মী বাধা দিতে গেলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালাতে যায়। এরপর ওই বিএসএফ কর্মী গুলি চালাতে শুরু করে। সেই সময় পালাতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে জখম হয় একজন।
এরপর আরও বিএসএফ কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ওই এলাকার তল্লাশি চালায়। তখন সেই সময় একটি ঝোপের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে বিএসএফ কর্মীরা এবং তল্লাশি চালাতের উদ্ধার হয় এক বস্তা নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। তারপর মৃতদেহ পুলিসমর্গে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। বিএসএফের পক্ষ থেকে ভীমপুর থানায় সীমান্ত দিয়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচারকারী হিসেবে একটি মামলা রজু করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিচয় কী এবং নিষিদ্ধ সিরাপ পাচারচক্রে আর কারা কারা ছিল সমস্তটা জানার চেষ্টা করছে ভীমপুর থানা পুলিস।
ভারত-বাংলাদেশ (IndiaBangladesh) সীমান্তে (Border) গরু ও নিষিদ্ধ ফেনসিডাইল পাচারের আগে উদ্ধার করল বিএসএফ। রবিবার মধ্য়রাতে সীমান্ত দিয়ে পাচারের (Trafficking) ছক কষেছিল কয়েকজন পাচারকারী। তবে বিএসএফ জওয়ানদের কড়া নজরদারিতে সাফল্য় পায়নি তাদের পরিকল্পনা। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি গরু সহ ১২১ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডাইল (Phencidyl)।
বিএসএফ সূত্রে আরও খবর, পাচারকারীরা সীমান্তের ১৪১ নং বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন জলঙ্গি পিকনিক স্পটের পদ্মা নদীর মাধ্য়মে গরু ও ফেনসিডাইল পাচার করছিল। সেই সময় কর্তব্য়রত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরে আসে বিষয়টি। এরপর তল্লাশি করতে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা।
তবে এই পাচারের ঘটনায় কারা কারা যুক্ত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বিএসএফ। সীমান্তে প্রায়শই মাদকজাত, গরু পাচার, নিষিদ্ধ ওষুধ পাচারের ঘটনা প্রকাশ্য়ে এসেছে বারংবার। কারণ সমস্তরকম বেআইনি কারবারের পথ হিসেবে সীমানাকে ব্য়বহার করা হয়ে থাকে। এরফলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা সর্বদা সতর্ক থাকে।
বসিরহাটের (Basirhat) ঘোজাডাঙা সীমান্তে বাংলাদেশে (Bangladesh) পাচারের মুহূর্তে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি টাকা-সহ এক ব্যক্তিকে আটক করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত টাকার পরিমাণ প্রায় ৬ লক্ষ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিএসএফ-র ১৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা ৬ লক্ষ বাংলাদেশী টাকা-সহ ওই পাচারকারীকে আটক করেন। ধৃত পাচারকারীর নাম সফিকুল গাজী (৩৭), ঘোজাডাঙ্গা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। ওই ধৃত ব্যক্তি এই টাকা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, এই টাকা তাকে দমদমের বাসিন্দা সন্দীপ সরকার বসিরহাটে এসে দিয়েছিল। সে আরও জানায়, তার আরেক বন্ধু উত্তরপাড়ার বাসিন্দা খঞ্জন মণ্ডলের সহায়তায় সে সীমান্তে এসেছিল। আর এই টাকা সে তার কোমরের বেল্টের মধ্যে এবং জুতার নিচে লুকিয়ে রেখে অভিনবভাবে পাচারের চেষ্টা করছিল।
জানা গিয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ টাকা সীমান্তের ওপারে আনারুলের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল। এই কাজের জন্য সে ৬ হাজার টাকা পেত। পাচারকারীকে ঘোজাডাঙ্গা শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, এর সঙ্গে কত বড় পাচার চক্রের যোগ আছে, সেটাও খতিয়ে দেখছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।