১৫ অগাস্ট সারা দেশজুড়ে উদযাপন করা হয়েছে স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। কিন্তু এরই মধ্যে এক ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, পতাকা উত্তোলন করে তার সামনেই উদ্দাম নেচে চলেছেন পুলিস আধিকারিকরা। অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা স্বাধীনতা দিবসের দিন এক ভোজপুরী গানে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গিতে নেচেছেন। আর সেই ভিডিও নজরে পড়তেই ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি বিহারের (Bihar) বক্সারের এক ফায়ার স্টেশনের।
অভিযোগ, ১৫ অগাস্ট, মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের দিন বিহারের এক ফায়ার ব্রিগেড স্টেশনে ভোজপুরী চটুল গানে নেচেছেন ফায়ার ব্রিগেডে পুলিস আধিকারিকরা। সেই নাচের ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও দেশাত্মবোধক গান না চালিয়ে, নাচ করা হচ্ছে ভোজপুরী গানে। গায়ে পুলিসের ইউনিফর্ম পরেই চটুল গানে উদ্দাম নেচে চলেছেন পুরুষ ও মহিলা আধিকারিকরা। আর এই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্যমে দিতেই তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। ধেয়ে আসে কটাক্ষ।
এই ভিডিওকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই বিষয়টিকে নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এও জানানো হয়েছে যে, এই ঘটনাটি কতটা সত্যি, তার উপর ভিত্তি করেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শান্তি ফিরেছে মণিপুরে। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মণিপুর হিংসা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তাল দেশ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। এই ইস্যুতে উত্তাল হয় সংসদও। মণিপুরের হিংসা নিয়ে আগেও মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। আজ, ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে আবারও তাঁর বক্তৃতায় উঠে এল মণিপুর প্রসঙ্গ।
এদিন লালকেল্লা থেকে মণিপুর হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দেশের উত্তরপূর্ব, বিশেষ করে মণিপুরে বিগত কয়েক দিন ধরে হিংসা হয়েছে। সেখানে মা-বোনদের সম্মানহানি ঘটেছে। তবে কয়েকদিন হল সেখানে শান্তি ফিরেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার শান্তি বজায় রাখার জন্য এবং সেখানকার সমস্যা মেটাতে একসঙ্গে কাজ করবে। দেশবাসী মণিপুরের পাশে রয়েছে।"
এদিন, ২০১৪ থেকে ২০২৩ এই সময়ের মধ্যে তাঁর সরকার কী করছে, তা লালকেল্লা থেকে ফের একবার দেশবাসীর সামনে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। গ্যারান্টি দিয়ে নিজের আগামী পাঁচ বছরের সরকারের রূপরেখাও তৈরি করে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। দাবি করলেন, আগামী পাঁচ বছরে ভারত অর্থনীতিতে বিশ্বের তিন নম্বরে উঠে আসবে।
এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে এল মধ্যবিত্তদের কথাও। তাঁর কথায়, লক্ষ্য দেশের স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন। আর তার ভিত তৈরি করবেন এই দেশের মধ্যবিত্তরাই
মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের দিন দুই লক্ষ টাকার জালনোট সহ গ্রেফতার (Arrest) হল এক যুবক। সামশেরগঞ্জ থানার ধূলিয়ান রেল স্টেশন এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই যুবকের নাম মাসুদ শেখ (২০)। বাড়ি সামশেরগঞ্জের ধূলিয়ান পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের লালপুরে। তল্লাশি চালিয়ে ধৃত ওই যুবকের কাছ মোট ৪০০ পিস ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার করেছে পুলিস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সামশেরগঞ্জ থানা প্রাঙ্গনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ফরাক্কার এসডিপিও রাসপ্রীত সিং। তিনি জানিয়েছেন, জাল নোটগুলো মালদার বৈষ্ণবনগরের দিক থেকে ধূলিয়ানের দিকে নিয়ে আসছিল ওই যুবক। তবে কাকে দেওয়ার জন্য এবং ঠিক কি উদ্দেশ্যে জালনোট গুলো নিয়ে এসেছিল ওই যুবক তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বুধবার সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠাবে পুলিস।
স্বাধীনতা দিবসের দিন এ এক অন্য ভারতের চিত্র প্রকাশ্যে। মিশনের অনুষ্ঠানে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে ভারতের জাতীয় পতাকাকে (Nationalflag) ছুড়ে ফেলার অভিযোগ। রবিবার অর্থাৎ ১৩ অগাস্ট উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার সংগ্রামপুর এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় স্থানীয়দের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকার অবমাননা সহ ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে বসিরহাট (Basirhat) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বসিরহাট আনন্দলোক মিশন কতৃপক্ষ।
সম্প্রতি সোশ্যাল মাধ্যমে জাতীয় পতাকার অবমাননার এই ভিডিও ভাইরাল হয়। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে বসিরহাট আনন্দলোক মিশন কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিএন। এরপরই জানা যায়, রবিবার ওই মিশনের একটি অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানেই বসিরহাট আনন্দলোক মিশনের একটি খালি জমি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। সেসময় আচমকা স্থানীয়রা ওই মিশনের উপর চড়াও হয়, এবং মিশনে ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ সে সময়ে স্থানীয়দেরই প্ররোচনায় এক যুবক মিশনের ছাদে উঠে জাতীয় পতাকা ছুড়ে ফেলে।
ওই মিশনের তরফে এক সদস্য বলেন, 'মিশনের জমি জোর করে স্থানীয়রা দখল করার চেষ্টা করছিল, বাধা দিলে মিশনের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি বারবার বারণ করা সত্ত্বেও জাতীয় পতাকা ছুড়ে ফেলে দেয় অভিযুক্ত।' এ বিষয়ে বসিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুরিন্দ্রর সিং বলেন, 'জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনা নজরে আসতেই একটা আলাদা করে মামলা রুজু করা হয়েছে, তাঁর তদন্তও চলছে। দোষীদের উপযুক্ত সাজার ব্যাবস্থা করা হবে।'
সারা দেশজুড়ে যখন ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence day 2023) পালন করা হচ্ছে, সেই সময় ঘটে গেল এক অপ্রীতিকর ঘটনা। স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন মধ্যপ্রদেশের (MadhyaPradesh) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকার। এই জোড়া ঘটনা ভিন্ন সময়ে পৃথক জায়গায় ঘটেছে। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের মউগঞ্জে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের সময় মঞ্চেই পড়ে যান বিধানসভার স্পিকার গিরিশ গৌতম। আবার রাইসেনের এক অনুষ্ঠানে অসুস্থ হয়ে পড়েন মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. প্রভুরাম চৌধুরী।
সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের মউগঞ্জে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হচ্ছিল। পতাকাল উত্তোলনের পর তিনি মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। আর সেসময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিধানসভার স্পিকার গিরিশ গৌতম। সেখানে উপস্থিত আধিকারিকরা তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অন্যদিকে রাইসেনে পতাকা উত্তোলনের পর প্যারেড শুরু হয়েছে। আর সেসময় মঞ্চে চেয়ারে বসেছিলেন স্বাস্থ্য়মন্ত্রী ড. প্রভুরাম চৌধুরী। কিন্তু তখনই হঠাৎ চেয়ার থেকে পড়ে যান। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে তাঁদের অসুস্থ হওয়ার পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু জানা গিয়েছে, স্পিকার গিরিশ গৌতম স্থিতিশীল রয়েছেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খারাপ কেন হয়ে যায়, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সৌমেন সুর: গৌরী কর্মকার। একটা নাম, একটা আবেগ। একটা নক্ষত্র। এত প্রতিভার মানুষ খুব কমই দেখা যায়। গৌরী ক্লাস সেভেনে পড়ে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নাম ছড়িয়ে পড়েছে। সুবারর্বন অঞ্চলে গৌরী থাকে। বিধবা মা ছাড়া সংসারের ওর আর কেউ নেই। কিছু কিছু মানুষ প্রতিভা নিয়েই জন্ম নেয় এই পৃথিবীতে। গৌরী তাদের মধ্যে একজন। যেমন লেখাপড়ায় তেমনি আঁকায় তেমনি কবিতা লেখায়। গৌরী এরমধ্যে শ'দুয়েক ছবি এঁকে ফেলেছে। তার আঁকা দেখে মনে হবে এই ছবি যেন কোন এক বিখ্যাত শিল্পীর আঁকা। অঞ্চলের এক শুভানুধ্যায়ীর সাহায্যে ওর ছবি ক্যালিফর্নিয়ায় প্রদর্শিত হয়। সেখান থেকে খবর আসে ওর ছবি দর্শকদের ভালো লাগছে। এত কম বয়সে এত ট্যালেন্ট এটা দেখে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রদর্শনী কর্তৃপক্ষ একটা প্রশংসা পত্র পাঠায়। গৌরীর মা সেটা যত্ন করে বাঁধিয়ে রাখেন ঘরে। পাড়া-প্রতিবেশী, বাইরের লোক সবাই গৌরীকে স্নেহ করে, ভালবাসে।
গৌরী প্রতিবছর ১৫ ই অগাস্ট একটা সাদামাটা অনুষ্ঠান করে। এই অনুষ্ঠানে দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের বই-খাতা, পেন বিতরণ করে। গৌরী ও তার বন্ধুরা কোনরকম চাঁদা না তুলে, প্রত্যেকে টিফিনের টাকা জমিয়ে- সেই টাকায় অনুষ্ঠান করে। এবার কেউ যদি স্বেচ্ছায় ডোনেট করে সেটা গ্রহণ করে। গৌরীরা চার বন্ধু। এরা চারজনই মেধাবী, কর্মঠ। গৌরী এদের লিডার। দেখতে দেখতে ১৪ ই অগাস্ট এসে যায়। গৌরী ও চার বন্ধু মিলে ১৫ ই আগস্ট এর জন্য ফ্ল্যাগ কিনতে বেরোয়। সকাল সকাল চলে আসে, বড় রাস্তার দোকানে। একটা স্লিকের ফ্ল্যাগ কেনে। ফ্ল্যাগ কেনার পর গৌরী তিন বন্ধুকে বলে লজেন্স আর চকলেট কিনে মাঠে চলে আসতে। সবাই স্থান ত্যাগ করে।
গৌরী এক বুক আনন্দ নিয়ে ফ্ল্যাগটা ডান্ডায় ঢুকিয়ে হাঁটতে থাকে ফ্ল্যাগের দিকে তাকিয়ে। স্বাধীনতার পতাকাটা হাওয়ায় পত পত করে উড়তে থাকে। কিছুটা এগোতেই একটা বাইক অসাবধানতাবশত গৌরীকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। গৌরী ছিটকে লুটিয়ে পড়ে। ও দেখছে- উঁচু থেকে পতাকাটা নীচে নামছে। যন্ত্রণার কথা চিন্তা না করে, এক অদম্য শক্তিতে উঠে দাঁড়িয়ে ফ্ল্যাগটা হাতে ধরে ফেলে। মাটির নোংরা স্পর্শ করতে পারেনা পবিত্র পতাকাকে। এ দৃশ্য দেখে জড়ো হওয়া সব মানুষ গৌরীকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়। গৌরীর শুকনো মুখে কষ্টার্জিত হাসি ফুটে ওঠে। এমন সময় দূর থেকে মাইকে ভেসে ওঠে দেশাত্ববোধক গান- "হও ধরমেতে ধীর হও করমেতে বীর, হও উন্নত শির নাহি ভয়....।"
স্বাধীনতার মান রক্ষার দায়-দায়িত্ব সমস্ত নাগরিকের। স্বাধীনতার ৭৬ বছরে কি পেলাম আর কি পেলাম না- সেই হিসাবে না গিয়ে, আসুন আমরা সবাই মিলে ১৫ ই অগাস্ট শপথ করি, আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবো।
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ৭৭ তম দেশের স্বাধীনতা দিবস (Independence Day 2023)। সারা দেশজুড়ে উদযাপন করা হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। আপনারা তো এই দিনে সারা দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখে থাকেন। তবে আপনারা কি জানেন, ভারতের জাতীয় পতাকা কারা তৈরি করে ও কোন কাপড়েরই বা তৈরি করা হয় এই পতাকা। জানা গিয়েছে, ভারতের জাতীয় পতাকা তৈরি করার লাইসেন্স দেশের একটি মাত্র সংস্থারই রয়েছে। আর সেই সংস্থাটিকে ভারত সরকারের বিআইএস (BIS) সার্টিফায়েড অর্থাৎ 'ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস'-এর তরফে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কোন সংস্থা তৈরি করে জাতীয় পতাকা?
সংস্থাটির নাম হল 'কর্নাটক খাদি গ্রামোদ্যোগ সমযুক্ত সংঘ'। ১৯৪৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল এই সংস্থাটি। আর এই সংস্থারই ভারত সরকার স্বীকৃত জাতীয় পতাকা তৈরির একমাত্র অনুমতি রয়েছে। সরকারের তরফে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থাটি কর্নাটকের হুব্বালি জেলার বেঙ্গারিতে অবস্থিত। সূত্রের খবর, এই সংস্থার তৈরি পতাকাই লালকেল্লা, সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রতিরক্ষা দফতর সহ প্রতিটি মন্ত্রকে উত্তোলন করা হয়। আরও জানা গিয়েছে, এই সংস্থায় মহিলা কর্মীদের সংখ্যাই বেশি। প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ মহিলারাই করে থাকেন।
সংস্থার পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ২০২৩ সালের ১৫ অগাস্টের মধ্যে শুধুমাত্র জাতীয় পতাকা তৈরি করেই ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যবসা করার পরিকল্পনা নিয়েছে এই সংস্থা। জানা গিয়েছে, গত বছর স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার 'হর ঘর তিরঙ্গা' প্রচারাভিযান ঘোষণা করার পর এটি টানা দ্বিতীয় বছর ধরে ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকারও বেশি উপার্জন করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে 'হর ঘর তিরঙ্গা' কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের কারণেই তাদের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে।
কোন কাপড়ে তৈরি করা উচিত দেশের পতাকা?
জানা গিয়েছে, দেশের জাতীয় পতাকাটি হাতে কাটা তুলোর সুতো, সিল্ক বা খাদি দিয়ে তৈরি করা উচিত। পতাকার আকৃতি আয়তাকার হওয়া উচিত। এর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাত ৩:২ হওয়া উচিত।
স্বাধীনতা দিবসের সকালে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধারে নয়ানজুলি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও দমদম থানার পুলিস। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে নয়ানজুলিতে দেহ দেখতে পান। তারপরেই তাঁরা স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, পাশে একটি পানশালা রয়েছে সেখানে নিত্যদিন অশান্তি হয়। সোমবার সেখানে মারধরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। যার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া যুবকের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উদ্ধার হওয়া যুবকের এখনও নাম পরিচয় জানা যায়নি। তারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পানশালার এক কর্মীকে আটক করেছে দমদম থানার পুলিস।
আজ ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবস (Independence day 2023)। সারা দেশজুড়ে আজ ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে। ফলে এদিন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ লাল কেল্লায় পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এরপর ঠিক সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পতাকা উত্তোলন করলেন তিনি। পতাকা উত্তোলনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীকে লালকেল্লায় 'গার্ড অফ অনার'ও দেওয়া হয়। এরপর পতাকা উত্তোলনের পরই প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। তাঁর এই বক্তৃতায় উঠে এসেছে মণিপুর থেকে শুরু করে দুর্নীতি, তুষ্টিকরণ, পরিবারবাদের প্রসঙ্গ।
স্বাধীনতা দিবসের দিন লাল কেল্লায় দাঁড়িয়ে তিনি জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ভাষণে প্রথমেই উঠে এসেছে মণিপুরের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মণিপুর উত্তপ্ত। মা-বোনেদের সম্মান নষ্ট হয়েছে। তবে মণিপুরে শান্তি বজায় রাখতে কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথভাবে প্রয়াস চালিয়েছে। ধীরে-ধীরে মণিপুর শান্ত হচ্ছে। এখন মণিপুরে শান্তি রয়েছে। গোটা দেশ মণিপুরের পাশে রয়েছে। এরপরই তিনি দেশের নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য বক্তৃতা দিয়েছেন। মহিলাদের আরও বেশী করে স্বাধীনতা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত দেশে পরিণত হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এখানেই থেমে নেই, প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবস উদযাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই তোপ দাগেন দুর্নীতি, পরিবারবাদ ও তুষ্টীকরণের বিরুদ্ধে। ভারতের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করতে পরিবারবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে বলে নাম না করে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ভারতের অর্থনীতিকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সেটাই লক্ষ্য বলে তিনি জানিয়েছেন।
১৪০ কোটি দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণ করে ২০৪৭ সালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় ভারতকে বিশ্বভারত করে তোলার বার্তা দিয়ে ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বক্তব্যের শেষে 'ভারতমাতা কি জয়', 'বন্দে ভারত' বলে শ্লোগানও দেন তিনি।
সৌমেন সুর: বাংলার সুদীর্ঘকালের ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, বাংলাতেই শুরু হয়েছিল ভারতের নবজাগরণ। রাজা রামমোহন রায় প্রথম নবচেতনার উদ্বোধন করেছিলেন। ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র 'বন্দেমাতরম' মন্ত্র দিয়ে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এরমধ্যে সিপাহী বিদ্রোহ, নীলচাষ বিদ্রোহ, স্বাধীনতার আকুতিকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে বাঙালি সেদিন পরাধীনতার জ্বালাকে প্রকাশ করেছিল।
১৯০৫ সাল। লর্ড কার্জন বাংলা ভাগ করতে চাইলেন। বাঙালি প্রতিবাদ জানালো। সভা, সমিতি, মিটিং, মিছিলের প্রতিবাদ আরও গর্জে উঠল। এখান থেকে বাংলার মুক্তি সংগ্রাম শুরু। কবিরা কবিতা রচনা করলেন, ও দেশাত্মবোধের গান। অন্যদিকে স্বদেশী আন্দোলনের সময় থেকেই রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছিলেন জননায়ক। বহু মানুষকে তিনি স্বদেশী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে তিনি 'রাখি' পরিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৩০ সাল থেকে ১৯৪২-৪৩ সাল পর্যন্ত বাংলার মুক্তি সংগ্রামের দ্বিতীয় ধাপ। মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলন, লবণ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন বাঙালি দেশ প্রেমিকের সহযোগিতায় এক অন্য মাত্রা নেয়। ১৯৩০ সালে অবিভক্ত বাংলায় চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে শুরু হয় সশস্ত্র সংগ্রাম। তৈরি হয় স্বদেশী সরকার। ১৯৩৯ শে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু। গান্ধীজীর সঙ্গে নেতাজির মতের অমিল হয় নেতাজি দেশ ছাড়েন। ছাড়লেন কংগ্রেস। ১৯৪২ এর ৯ই অগাস্ট গান্ধীজী 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের ডাক দিলেন। পরের দিনই মহাত্মা গান্ধী সহ অনেক নেতার কারাবরণ হয়। শুরু হয় দেশ জুড়ে গণ বিপ্লব। তমলুকে মাতঙ্গিনী হাজরা ব্রিটিশ পুলিসের গুলিতে নিহত হন। প্রথম শহীদ হন ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী। ওদিকে দেশের পূর্ব সীমান্তে নেতাজীর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের অভিযান। একেবারে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণ।
স্বাধীনতা লাভের জন্য বাঘা যতীন, বিনয়-বাদল- দীনেশ, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, মাতঙ্গিনী, রাজবিহারী বসু, চারুচন্দ্র বসু,কল্পনা দত্ত, সুশীল সেনগুপ্ত, বসন্ত বিশ্বাস, এমনকি আরও কত বিপ্লবী বাঙালি নিজের প্রাণকে আহুতি দিয়েছিলেন তার অন্ত নেই। ১৯৪৭ সাল স্বাধীনতা এলো। তবে এই স্বাধীনতার অন্যতম দুই শরিক বাংলা ও পাঞ্জাবকে ভাগ করে দিল চতুর ইংরেজ। এ এক নজির বিহীন অপমানিত ইতিহাস। অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে বলতে হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য বাঙালির অবদান অনস্বীকার্য। এবং এই স্বাধীনতা সংগ্রামের সিংহভাগই বাঙালি।
তৃণমূল নেতার নাচের ভিডিও ভাইরাল (viral video)। কিন্তু এ যেমন তেমন নাচ (dance) না, একেবারে দেদার টাকা (money) উড়িয়ে চলছে চটুল নাচের আসর। উপলক্ষ্য স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে এই অশ্লীল নাচের আসরে মঞ্চে ছিলেন খোদ অঞ্চল সভাপতি নিজেও। রাজ্যে আর্থিক দুর্নীতির দায়ে একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা যখন জেল হেফাজতে, ঠিক তখনই মালদহের (Maldaha) শোভানগরের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল। যা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিতর্ক, উঠছে নিন্দার ঝড়।
দেশ স্বাধীন হওয়াকে উপলক্ষ করে এই অশ্লীল নাচের আসর বসান শাসকদলের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি আনোয়ারুল হক বলে অভিযোগ। মঞ্চে যখন নর্তকীরা নেচে চলেছেন অশ্লীল গানের তালে, ঠিক তখনই মঞ্চে কোমর দোলাচ্ছেন পঞ্চায়েত সভাপতি আনোয়ারুল হক। শুধু কোমর দোলানোই নয়, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা নর্তকীর ওপর লুটিয়ে দিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। আর এই দৃশ্য উপভোগ করছেন মঞ্চের নিচে থাকা কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মূহূর্তের মধ্যে এই ভিডিও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও এই ঘটনার পর থেকেই সভাপতি আনোয়ারুল হক নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছেন।
অন্যদিকে, এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানান, "এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। স্বাধীনতা দিবস আনন্দের দিন। এই দিনে এই ধরনের চটুল নাচের আসর বসানো মেনে নেওয়া যায় না। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি।" পাশাপাশি জেলা সভাপতিকে এই ঘটনা সম্পর্কে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
পাশাপাশি সুর চড়িয়েছেন বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন রাজ্যের সংস্কৃতি বাঁচাতে হবে। আর তাঁরই দলের সভাপতিরা চটুল নাচের আসর বসাচ্ছে। এটা তাঁদের কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্নীতিতে জর্জরিত তৃণমূল নেতারা বুঝে উঠতে পারছে না তাঁদের অসাধু উপায়ে কামানো টাকা কীভাবে খরচা করবেন।
আহা, পুলিস (police) বলে কি নাচতে (dance) নেই? চাকরি (service) করেন বলেই কি সব শখ একেবারে জলাঞ্জলি দিতে হবে? এমন তো কেউ মাথার দিব্যি দেয়নি। তাই একটু নাচলে ক্ষতি কী? তাই স্বাধীনতা দিবসে (independence day) থানার মধ্যেই ‘নাগিন ডান্স’(nagin dance)! ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কোতোয়ালি জেলার একটি থানার।
ঠিক কী হয়েছিল? সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের আয়োজন করা হয়েছিল থানায়। উদযাপনের পাশাপাশি নাচ করে শাস্তির মুখে পড়লেন দুই পুলিসকর্মী। দুই পুলিসকর্মীর নাচের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় উপরমহলে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক পুলিসকর্মী ভেঁপুতে নাগিন-এর তালে মত্ত। বাজাতে বাজাতে তিনি ঘুরছেন। আর অন্য পুলিসকর্মী মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে নাগিন ডান্স করছেন। দু’জনের নাচের সময় তাঁদের এই নাচের মজা নিচ্ছিলেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সহকর্মীরা। তালে তালে তাঁরা হাততালিও দিচ্ছিলেন। ভিডিওটি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে পুলিসের উপর মহল। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
जब दारोगा जी बने सपेरा, नागिन कांस्टेबल को अपनी बीन पर नचाया।😂 pic.twitter.com/eVHCx3hJgo
— Jaiky Yadav (@JaikyYadav16) August 16, 2022
তবে শাস্তির মুখে সাব-ইনস্পেক্টর ও কনস্টেবল। তাঁদের দু’জনকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
শ্যামনগরের কাউগাছি এলাকায় গড় শ্যামনগর জুনিয়র বেসিক স্কুল, স্কিম-টু এর এক শিক্ষককে (Teacher) বেদম মারধর করার অভিযোগ উঠল পাশেরই হাইস্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বিরুদ্ধে। রানা চৌধুরী নামে ওই শিক্ষককে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর (Beaten) করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই শিক্ষকের স্কুলে ব্যান্ড বাজিয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান (Independence Day Programme) চলছিল। তা নিয়ে পাশের বিবেকানন্দ হাইস্কুল থেকে আপত্তি জানানো হয়। সেই বিষয়েই কথা বলতে ওই শিক্ষক গিয়েছিলেন পাশের স্কুলে। তখনই ওই তৃণমূল নেতা নাকি নিজের ক্ষমতা জাহির করে তাঁর কথা না শুনে তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন। ঘটনার কথা শুনুন আহত ওই শিক্ষকের মুখ থেকেই।
এ ব্যাপারে ওই শিক্ষকের সহকর্মীরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, বিবেকানন্দের নামে যে স্কুল, সেখানে এমন বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে কীভাবে? তাঁরা দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি যে তৃণমূলেরই কর্মী, সেকথা স্বীকার করেছেন কাউগাছি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি স্বপন মণ্ডল। তিনি জানান, বিষয়টি ঠিক হয়নি। উপর মহলে তিনি বারবার জানিয়েছেন। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
স্বাধীনতার (Independence Day) ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এবং ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। এই উৎসব উপলক্ষে এদিন বীরভূমের (Birbhum) কীর্ণাহারে একটি ১৫০ ফুটের পতাকা সহযোগে তেরঙ্গা যাত্রা করা হয়। একটি ক্লাবের তরফ থেকে এই তেরঙ্গা যাত্রার আয়োজন করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
ওই ক্লাবের এক সদস্য জানান, এবছর করোনা (COVID-19) মহামারী কাটিয়ে উৎসবের মেজাজে ভারতবর্ষবাসী। সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। কিন্তু এখানকার এবছরের ভাবনা নজর কেড়েছে বহু মানুষের। এবছর তাঁরা ১৫০ ফুটের পতাকার আয়োজন করেছেন। যা এখনও অবধি বঙ্গের একাধিক জায়গার জাতীয় পতাকা উত্তোলন হলেও এখানকার মতে, এত বড় জাতীয় পতাকা আর কোনও জায়গায় হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দের মেজাজ বীরভূমবাসীদের মনে।
১৪ ই অগাস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নতুন রাষ্ট্রপতি (President) দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। পাশাপাশি ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) লালকেল্লায় (Red Fort) নবমবারের জন্য জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি তুলে ধরেন দুর্নীতি ও পরিবর্তনের কথা। তারপরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। অন্যদিকে কলকাতার রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
আজ ১৫ই অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। দেশ জুড়ে স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদ্যাপন করা হচ্ছে। আর এই দিনেই ঘটে গেল বিপত্তি। সাত সকালে পতাকা টাঙাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু (death) হল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের (Engineering student)। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা যায়, উত্তর আসানসোলের (North Asansol) হাউসিং এলাকায় পতাকা লাগাতে গিয়ে মৃত্যু হয় ইঞ্জিনিয়ার এক ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম সৌমিক দত্ত। ওই এলাকায় বাড়ি ঘেঁষে গিয়েছে বিদ্যুতের তার। আজ পতাকা টাঙাতে গিয়ে বাড়ির ছাদ থেকে কোনওমতে সংযোগ হয় বৈদ্যুতিক তারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্য হয় ওই ছাত্রের। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকায় বাড়ির গা ঘেঁষে গিয়েছে বিদ্যুতের লাইন। আবার কিছু মানুষ নিয়ম না মেনেই বাড়ির সামনের অংশ বাড়িয়ে নিয়েছে। যে কারণে বাড়ির কাছাকাছি বিদ্যুতের তার হয়ে গিয়েছে।
এলাকার কাউন্সিলর অনিমেষ দাস জানিয়েছেন, মানুষ বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন নিয়ম না মেনেই। তবে পতাকা লাগাতে গিয়ে জিআই তার ব্যবহার করা উচিত ছিল না। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা টাঙাতে গিয়ে ইঙ্গিয়ারিং পড়ুয়ার মৃত্যতে শোকাহত গোটা এলাকা।