
জামিন পেয়েও হল না স্বস্তি। মঙ্গলবারই ফের গ্রেফতার হলেন প্রাক্তন পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এদিনই তোষাখানা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবারে সাইফার মামলায় (Cypher Case) গ্রেফতার করা হল তাঁকে। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার, ৩০ আগস্ট তাঁকে আদালতে তোলা হবে। তোষাখানা মামলায় তাঁর ৩ বছরের কারাদণ্ডের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে জামিন দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (Islamabad High court)। কিন্তু তার আগেই ইমরান খানের গ্রেফতারি নিয়ে ফের এল নয়া মোড়।
জানা গিয়েছে, ইমরানের অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে আমেরিকার। আর সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়ে তিনি একটি নথি প্রকাশ্যে আনেন। জনসভায় তা প্রদর্শনও করেন। সেই নিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেন তিনি সাইফার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অপব্যবহার করেছেন সেই বিরুদ্ধেই অভিযোগ। কেন তিনি সেটা প্রকাশ্য জনসভায় প্রদর্শন করলেন, সে ব্যাপারে গোয়েন্দাদের জবাব দিতে পারেননি ইমরান। এমনকি, গোয়েন্দারা ওই ডকুমেন্টটি চাইলে ইমরান বলেন, সেটি কোথায় রেখেছেন তাঁর মনে নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এবার ইমরানকে গ্রেফতার করল পাক পুলিস।
তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার ইসলামাবাদের একটি নিম্ন আদালত তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান দুর্নীতির অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ইমরানকে। সেই সঙ্গে আগামী পাঁচ বছর কোনও নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ‘কাপ্তান’ ইমরান। পাশাপাশি তাঁকে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তোশাখানা মামলায় প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠছিল ইমরান খানের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান সরকার যে উপহার পেয়েছে, সেগুলি ইমরান খান নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। দাবি করা হচ্ছিল, তা সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী এবং পাকিস্তানের পক্ষেও সম্মানহানিকর। এবার সেই মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আদালত প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। তোশাখানা উপহারের বিবরণ গোপন করার জন্য পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি ফৌজদারি অভিযোগে ১০ মে এই মামলায় ইমরান খানকে অভিযুক্ত করে। বিচারের সময় ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে ভুয়ো বিবরণ জমা দিয়েছেন এবং দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সেদেশের ১৭৪ ইলেকশন অ্যাক্টে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইমরান খান।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ুন দিলাওয়ার রায় দেন যে, এই মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে৷ ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে জাল বিবরণ জমা দিয়েছেন এবং দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ইমরান খানের বাড়ির বাইরে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে এবং জামান পার্ক সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও জমায়েত এবং বিক্ষোভকারীদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য আদেশের একটি অনুলিপি ইসলামাবাদের পুলিস প্রধানের কাছে পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন দিলওয়ার।
ভারত পাকিস্তানে একসময় প্রবল জল্পনা চলেছে মুনমুন সেন (Moon Moon Sen) এবং ইমরান খানের (Imran Khan) সম্পর্ক নিয়ে। টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমরান খানের সম্পর্কের জল নাকি অনেকদূর গড়িয়েছিল। যদিও দু'জনেই বিয়ে করেছেন, সংসার করেছেন ভিন্নভাবে। তবু তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা চলেছে অনেক। সম্প্রতি মুনমুন কন্যা রাইমা সেনের (Raima Sen) শেয়ার করা ছবি আবারও জল্পনার আগুনে ঘি ঢেলেছে।
অভিনেত্রী রাইমা সেন সম্প্রতি নিজের ট্যুইটার একাউন্ট থেকে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, রাইমার ছোটবেলার মুহূর্ত। ছবিতে তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছে, বোন রিয়াকে। তবে নজর যায় রিয়া রাইমার পাশে বসে থাকা মুনমুন সেন এবং তৎকালীন পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমরান খানের দিকে। দুই তারকার ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ করে ছবিটি। তবে ছোটবেলার রিয়া এবং রাইমাকেও দেখার মতো।
রাইমার সামাজিক মাধ্যম দেখলেই বোঝা যায়, তিনি মাঝেমধ্যে ছোটবেলার স্মৃতি হাতড়ে দেখতে ভালোবাসেন। অভিনেত্রী এর আগে আরও কয়েকটি ছোটবেলার ছবি শেয়ার করেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে মা ও বোনের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন। রাইমা তখন একদিকে সুচিত্রা কন্যা, রাজ পরিবারের পুত্রবধূ, অন্যদিকে আবার অভিনেত্রী। রাইমার সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁর ১৪ মাসের ছোট বোন রিয়াকে। যারা পরবর্তীকালে নিজেদের অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
আরও বিপাকে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। তিনি নাকি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন, এমনটাই দাবি করেছেন পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল কাদির পাটেল (Abdul Qadir Patel)। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইমরানের শারীরিক পরীক্ষায় বেরিয়েছে, তিনি কোকেন নেন। এমনকি তাঁর শরীরে অ্যালকোহলেরও চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ইমরানকে গ্রেফতার করার পর থেকেই সেদেশে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও তাঁর জামিন হয়েছে। তবে এবারে তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্যে হইহই পড়ে গিয়েছে।
শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল কাদির পাটেল জানিয়েছেন, ইমরানের গ্রেফতারির পর পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স-এর ৫ জন চিকিৎসকের দল তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিল। তাঁর প্রস্রাবের স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছিল। এরপর রিপোর্ট আসার পরই জানা গিয়েছিল, তাঁর শরীরে বিষাক্ত রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে। আর সেগুলো কোকেন ও অ্যালকোহল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'ইনি আপনাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, যাঁর মানসিক স্থিতি প্রশ্নের মুখে। তাঁর অঙ্গ-ভঙ্গিও অন্যরকমের ছিল।'
আব্দুল কাদির আরও জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময়ও দেখা গিয়েছে, তাঁকে সুস্থ বলে মনে হচ্ছে না। ইমরানের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে। একেতেই ইমরান খান একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। এবারে তাঁর শরীরে অ্যালকোহল ও কোকেনের উপস্থিতি আরও বিপদে ফেলতে পারে তাঁকে। অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনার পরই তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর তরফে বলা হয়েছে, ইমরানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) গ্রেফতার (Arrested) করা হল। মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের ( Islamabad High Court) নির্দেশে পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে।
Rangers abducted PTI Chairman Imran Khan, these are the visuals. Pakistan’s brave people must come out and defend their country. pic.twitter.com/hJwG42hsE4
— PTI (@PTIofficial) May 9, 2023
গ্রেফতারের পর ইমরানকে রেঞ্জার্স বাহিনীর জওয়ানরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় গুরুতর জখম ইমরান খানের নিজস্ব আইনজীবী।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এবারে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবিকে (Bushra Bibi) নিয়ে এক বিতর্কিত মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, ইমরান খানের সঙ্গে বুশরা বিবির বিবাহ ইসলামিক শরিয়া আইন (Islamic Sharia Law) মেনে হয়নি। ফলে ইসলাম ধর্ম মেনে তাঁদের বিয়ে হয়নি বলে আদালতে এক পিটিশন দায়ের করেছিলেন মহম্মদ হানিফ নামের এক ব্যক্তি। এরপরেই মৌলবি মুফতি সঈদ আদালতে এই বিষয়ে সত্যতা প্রকাশ্যে আনেন। ইনিই ইমরান ও বুশরার নিকাহ করিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, মুফতি দাবি করেছেন, ইমরান ও বুশরার নিকাহ ইসলামিক শরিয়া আইন মেনে হয়নি, কারণ তাঁদের বিয়ে 'ইদ্দত' সময়ের মধ্যে হয়েছিল। উল্লেখ্য, যখন কোনও মুসলিম মহিলার আগের পক্ষের স্বামীর মৃত্যু বা বিচ্ছেদ হয়ে গেলে একটা নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হয়। সেই সময়টাকেই 'ইদ্দত' বলা হচ্ছে। এই 'ইদ্দত'-এর তিনমাস সময়ের মধ্যে সাধারণত নিকাহ করা যায় না। কিন্তু মৌলবি দাবি করেছেন, ইমরান ও বুশরা এই ইদ্দত সময়ের মধ্যেই বিয়ে করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইমরান বুশরা এই বিষয়টি জানতেন কিন্তু তবুও তাঁরা নিকাহ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বুশরার প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেকার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে আর ইমরানের সঙ্গে তাঁর নিকাহ হয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। মৌলবি মুফতি সঈদের এমন দাবি শুনে আদালত এই মামলার শুনানিতে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ এপ্রিলের পরেই হবে।
বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। তবে পায়ে গুলি লেগেছে তাঁর। ঘটনাস্থল থেকে তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লাহোরের এক হাসপাতালে। পাকিস্তানের (Pakistan) সংবাদমাধ্যমসূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ ওয়াজিরাবাদের গুরজনওয়ালার আলওয়ালা চকে ইমরান, সমর্থকদের লং মার্চে যোগদানের আবেদন জানাচ্ছিলেন। সেখানেই এলোপাথাড়ি গুলি চলতে থাকে বলে খবর। শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান বেঁচে গেলেও পায়ে গুলি লেগেছে ইমরানের। অন্তত ৩-৪টি গুলি লেগেছে ইমরানের। এমনটাই দাবি করেছে তাঁর দল পিটিআই। এই ঘটনায় ইমরান খান, তাঁর ম্যানেজার-সহ গুলিবিদ্ধ ৫, প্রত্যেকেই চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, ইমরান খান এবং উপস্থিত সভ্য-সমর্থকদের লক্ষ্য করে ছয় রাউন্ড গুলি চালিয়েছে আততায়ী। মৃত এক, এমনটাই সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।
পাকিস্তানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে শুক্রবার লাহোর থেকে ইসলামাবাদ পৰ্যন্ত লং মার্চের আয়োজন করা হয়েছিল, যার নেতৃত্বে থাকার কথা ছিল ইমরান। সেই সঙ্গে লাহোরের লিবাটি চকে সম্মেলনও ছিল। কিন্তু তার আগেই এই বিপত্তিতে এখন তোলপাড় গোটা পাকিস্তান। সেই উপলক্ষেই দিন ওয়াজিরাবাদে দলীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি, সেখানেই তাঁর উপরে চলে এই দুষ্কৃতী হামলা। তবে এরপর হামলাকারীকে অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে একটি সূত্র বলেছে, গুলি করে মারা হয়েছে আততায়ীকে। কিন্তু গুলি চালনার পর নাকি জনতা আততায়ীকে ধরে বেদম প্রহারও দিয়েছে।
উল্লেখ্য এটাই প্রথম নয়, এর আগেও পাকিস্তানে একাধিক নেতৃত্ব প্রাণনাশী হামলার শিকার হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান জনসভায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন। এছাড়াও ২০০৭ সালে হামলায় নিহত হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। তবে এদিন ইমরানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার ফলে সেই দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কোনদিকে জল গড়ায় সেটাই এখন দেখার।
যে কোনও সময় গ্রেফতার (Arrest) হতে পারেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। পুলিস এবং বিচার ব্যবস্থাকে হুমকি দেওয়া এবং সন্ত্রস্ত করে রাখার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিস। আজ আগাম জামিনের (Anticipatory Bail) আবেদন জানাতে আদালতে যেতে পারেন ইমরান। কিন্তু তার আগেই তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছেন সমর্থকরা (Supporters)। ইমরানের গ্রেফতারি আটকাতে তাঁরা আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছেন।
গত ২০ অগাস্ট, শনিবার ইসলামাবাদের একটি মিছিল থেকে ইমরান খান প্রশাসনের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন পুলিসের একজন আধিকারিক এবং একজন মহিলা বিচারক। প্রশাসন মনে করছে, এভাবে ইমরান খান এটাই নিশ্চিত করতে চাইছেন, ভবিষ্যতে তাঁর দল পিটিআই-এর বিরুদ্ধে পুলিস-প্রশাসন যেন কোনও পদক্ষেপ না করে। তাছাড়া তাঁর ওই হুমকি-ভাষণের পর পুলিস, প্রশাসনের কর্মীদের মধ্যে ভীতিরও সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই রয়েছেন চরম আতঙ্কে।
অন্যদিকে, তাঁর সম্ভাব্য গ্রেফতারি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার-বিরোধী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ইমরান-ভক্তরা। তাঁরা ট্যুইটারে ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন 'ইমরান খান হামারি রেড লাইন'। দলের পক্ষ থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রাস্তায় নামারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদে ইমরানের হিল টপ বাড়ির সামনে সমর্থকরা যাতে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেন, তার জন্যও নির্দেশ গিয়েছে দলের তরফে। দলেরই এক নেতা হুমকি দিয়েছেন, পুলিস যেন এই রাজনৈতিক যুদ্ধের অংশীদার না হয়। সরকার যদি ইমরানকে গ্রেফতার করে, তাহলে তাঁরা ইসলামাবাদ দখল করে নেবেন।
পাকিস্তান (Pakistan) তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) (PTI)-এর সিনিয়র নেতা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)চিফ অফ স্টাফ (Chief of Staff) ডঃ শাহবাজ গিলকে (Shahbaz Gill) ইসলামাবাদ থেকে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শাহবাজ গিল পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে বানি গালায় যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শাহবাজ গিলের বিরুদ্ধে বানিগালা থানায় রাজদ্রোহের (Treason Case) অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে রাজনীতিবিদ ফাওয়াদ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন যে, শাহবাজকে সিভিল পোশাকে থাকা পুলিসকর্মীরা হেফাজতে নিয়েছিল এবং বানি গালা চকে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহের ডাক দেওয়ার একদিন পরেই গিলকে গ্রেফতার করা হয়। গিল তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কিছু আদেশ অমান্য করার জন্য পাক সেনা কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই রাজদ্রোহের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
উল্লেখ্য, গিলকে গত মাসে পঞ্জাব প্রদেশের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় অস্ত্র বহন করার অভিযোগে মুজাফফরগড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জনসভা ও মিছিলের সময় প্রাণঘাতী অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও বহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়।