কোয়েম্বাতুর বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) গাইতে না পেরে অভিবাসন দফতরের (Immigration Department) হাতে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে ভুয়ো পাসপোর্ট (Fake Passport) বানিয়ে পরিচয় গোপন করে ভারতে থাকছিল সে। কিন্তু জাতীয়তাবোধের পরীক্ষায় উতরোতে না পেরে ফেঁসে গেলেন এক বাংলাদেশি নাগরিক। জানা গিয়েছে, শারজা থেকে এক বিমানে কোয়েম্বাত্তূরে নামে ওই বাংলাদেশি। তখনও নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসাবে দাবি করে সে। তার পাসপোর্ট এবং জন্ম শংসাপত্র দেখতে চাওয়ায় সেই নথিও পেশ করে অভিযুক্ত। ভারত সরকারের নামাঙ্কিত পরিচয়পত্রে কোনও গোলমাল ধরতে পারেননি অভিবাসন দফতরের দুঁদে কর্তারা। কিন্তু তারপরও সন্দেহ না যাওয়ায় তাঁকে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন তাঁরা।
বাংলাদেশের নাগরিকের ভারতেরর জাতীয় সঙ্গীত জানার কথা নয়। এই ফাঁদে পা দিয়েই ফেঁসে যান ওই বাংলাদেশি। পড়শি দেশের ওই নাগরিক গানটি গাইতে না পারায় তাঁর বিরুদ্ধে জাল পাসপোর্ট সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় থানায়।
কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) সোনা পাচারের অভিযোগে আটক দুই যাত্রী। অন্তর্বাসের ভিতরে অভিনব কৌশলে লুকিয়ে সোনার পেস্ট(Gold Paste) পাচারের চেষ্টা। তাদের মধ্যে এক যাত্রীর নাম খালিল আব্দুল। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, দুবাইয়ের বিমান FZ459 করে ভারতীয় যাত্রী খালিল দুবাই থেকে কলকাতায় (Dubai to Kolkata) আসেন।
ইমিগ্রেশনের তথ্য যাচাইয়ের পর গ্রিন চ্যানেল পেরোনোর সময় শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা খালিলকে প্রথমে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালান। এরপর জামা-কাপড়ে তল্লাশির সময় সন্দেহজনকভাবে নিজেকে আড়ালের চেষ্টা চালান খালিল। আরও কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর ওই যাত্রীর অন্তর্বাসের ভিতরে কাগজের মোড়কে যত্ন করে লুকিয়ে রাখা সোনার পেস্ট উদ্ধার হয়। বাজেয়াপ্ত সোনার পরিমাণ ৫২৬ গ্রাম। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৩০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
এর পাশাপাশি ব্যাংকক থেকে কলকাতাগামী স্পাইসজেটের বিমান SG46-এ কলকাতায় আসা অপর এক ভারতীয় যাত্রী আবু বাক্কার সিদ্দিকিকে বিমানবন্দরে একইভাবে তল্লাশি চালান আধিকারিকেরা। তার ব্যাগের থেকেও ৫৫৩ গ্রাম সোনার পেস্ট উদ্ধার করে এয়ার ইন্টেলিজেন্সের আধিকারিকেরা। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।
জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই দুই যাত্রীকে আপাতত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে শুল্ক দফতর সূত্রে খবর। এই জোড়া ঘটনার পর বিমানবন্দরের সুরক্ষা ও সতর্কতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বিমানবন্দর মাদক চোরাচালানের ঘটনা একাধিকবার সামনে এসেছে। এছাড়াও সোনা, বিদেশী মুদ্রা পাচারের চেষ্টা বারবার হয়েছে। তবে এবার খানিকটা অন্যরকম ঘটনা প্রকাশ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার চেন্নাই বিমানবন্দরে (Chennai Airport)। একটি ব্যাগ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল বিমানবন্দরে, আর তা খুলতেই চক্ষুচড়কগাছ অভিবাসন দফতরের। কী ছিল ওই ব্যাগে?
ব্যাগের মধ্যে কোনও সোনা বা টাকা নয়, ছিল ৪৫টি ছোট অজগর। তিনটি মারমোসেট বাঁদর, তিনটি কচ্ছপ, আটটি কর্ন সাপ, যাদের বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। বিমানবন্দরে মালপত্র যেখানে চেক হয়, সেখানেই ব্যাগটি পড়ে ছিল। সন্দেহজনক লাগায় অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা ব্যাগটি খোলেন। তখনই উদ্ধারে হয় অজগর, বাঁদর, কচ্ছপ।
অভিবাসন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, এই প্রাণীগুলি ব্যাঙ্কক থেকে আনা হয়েছিল। উদ্ধার করে সেখানেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর আগেও চেন্নাই বিমানবন্দরে বিরল প্রজাতির প্রাণী উদ্ধার হয়েছে। পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল তা স্পষ্ট। কারা এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ইডির বিরুদ্ধে অভিষেকের শ্যালিকা মানেকা গম্ভীরের (Maneka Gambhir) দায়ের করা আদালত অবমাননার (Contempt of Court) মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার (ED) থেকেই রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের। পাশাপাশি কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন (Immigration) দফতরকেও জানাতে হবে বক্তব্য। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন হলফনামা দিয়ে অবস্থান জানাবে ইডি এবং ইমিগ্রেশন। এদিন শুনানির বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানায়, মানেকা গম্ভীরকে বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে অবগত ছিল না আদালত।
ইডির আইনজীবী জানান, আদালতের নির্দেশ কঠোর পদক্ষেপ নয়। আমরা কোনও কঠোর পদক্ষেপ করিনি। তবে আদালতের নির্দেশে কোথাও বলা ছিলো না, তাঁকে বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া যাবে না। এই যুক্তির প্রেক্ষিতে মানেকা গম্ভীরের আইনজীবী বলেন, 'আমার মক্কেল এই মামলায় অভিযুক্ত নয়। কোনও লুকআউট নোটিশ ছিল না। তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছিল। মানেকা গম্ভীরের মা অসুস্থ থাকায় বিদেশে যেতে হতো। দেশ ছেড়ে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। ইমিগ্রেশন অফিসারদের কাছে, ওকে আটক করার কোনও কারণ ছিল না। ওর কাছে ফেরার টিকিটও ছিল।'
পাল্টা ইডি আইনজীবী জানান, লুকআউট নোটিস জারি করলে সেটা সেই ব্যক্তিকে জানাতে হবে এমন কোনও মানে নেই। দু'পক্ষের এই সওয়াল-জবাবের মধ্যে বিচারপতির মানেকা গম্ভীরের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন, 'আপনার আবেদনটা ঠিক কী? আপনি কী চান? অভিষেকের শ্যালিকার আইনজীবী জানান, মানেকা গম্ভীর বিদেশে যেতে চাইলে, তাঁকে আবার বাধা দেওয়া হবে। গ্রেফতার না করা হলেও আটক করা হবে। আমারা আগামীকাল জানাতে চাই।
দু'পক্ষের এই সওয়াল-জবাব শেষে ইডি-ইমিগ্রেশনকে হলফনামা দিতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। পাশাপাশি আগামিকাল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে।