Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Idol

Ram Mandir: রামলালার মূর্তি চূড়ান্ত! কোন শিল্পীর তৈরি মূর্তি স্থাপিত হবে অযোধ্যার মন্দিরে, দেখুন ছবি

আর মাত্র হাতে গোনা দিন। খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরেই রামরাজ্যে সাজো সাজো রব। ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হল রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার কোন মূর্তি স্থাপন করা হবে। জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের বাসিন্দা বিখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের তৈরি রামলালার মূর্তিই রাম মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হবে।


মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, "যেখানে রাম, সেখানেই হনুমান। অযোধ্যায় ভগবান রামের প্রাণ প্রতিস্থাপনের জন্য মূর্তি নির্বাচন চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমাদের দেশের প্রখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের খোদাই করা ভগবান রামের মূর্তিটি অযোধ্যায় স্থাপন করা হবে।" ফলে অরুণ যোগীরাজের তৈরি করা প্রভু রাম, লক্ষণ, সীতা এবং হনুমানজির মূর্তি যুগ যুগ ধরে শোভা পাবে অযোধ্যার রাম মন্দিরে।


এই বিষয়ে যোগীরাজের মা সরস্বতী বলেন, "এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। যখন ওঁকে প্রতিমা তৈরি করতে দেখি তখন সেই মূর্তি একবার দেখতে চেয়েছিলাম। তখন ছেলে বলেছিল পরে আমাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়েই দেখাবে তার আগে নয়। আমি প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন অযোধ্যায় যাব। প্রায় ৬ মাস হল ও অযোধ্যায় আছে। আমার ছেলের উন্নতি ও সাফল্য দেখে আমি খুশি।"

4 months ago
Mamata Banerjee: বিদেশ সফরের আগেই প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর 'শিল্পীসত্তা', লাল রং-এ রাঙালেন মা দুর্গার মূর্তি

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বিদেশ সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার সকালে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিলেন তিনি। সেখান থেকে স্পেন (Spain) হয়ে বার্সেলোনায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই সফর শুরু করার আগেই তাঁকে মা দুর্গার মূর্তি রং করতে দেখা গেল। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে বিমানবন্দরের বিশ্ববাংলার (Biswa Bangla) স্টলে চলে যান তিনি। সফরের আগে সেখানেই বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। তখনই বিশ্ববাংলার স্টলের দুর্গার একটি মূর্তিতে রং করতে দেখা যায় তাঁকে। সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্য়মে ছড়িয়ে পড়তেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল।

পুজোর আর বেশি দেরি নেই। ফলে এদিন পুজোর মেজাজেই দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। আবার তাঁর শিল্পীসত্তা নিয়ে প্রায় সবারই কম-বেশি জানা রয়েছে। এদিন বিদেশ সফরের আগে তাঁর সেই শিল্পী রূপই যেন ফের প্রকাশ্যে এল। দেখা গিয়েছে, বিশ্ববাংলার স্টলের দুর্গার একটি মূর্তিতে কোনও রং ছিল না। ফলে তিনি হাতে তুলে নেন লাল রং লাগানো তুলি। সেটি দিয়েই আঁকলেন মা দুর্গার চোখ ও আবার সেই রং-ই দিয়ে দিলেন মা দুর্গার ঠোঁটেও। লাল রং দিয়েই তিনি যেন ছোট্ট দুর্গার মূর্তিটিকে সাজিয়ে তোলেন।

তবে শুধু মা দুর্গার মূর্তিকে সাজানো নয়, এদিন বিশ্ববাংলার গোটা স্টলটিই ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। শাড়ি এবং অন্যান্য জামাকাপড়ের কালেকশন দেখেন। স্টলে রাখা একটি শঙ্খ হাতে তুলে নিয়ে তাতে ফুঁ দিতেও দেখা যায় তাঁকে।


8 months ago
Bishnupur: হাজার বছর পুরনো, ওজন প্রায় ১২ কেজি! প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার বিষ্ণপুর থেকে

হাজার বছরের পুরোনো মূর্তি উদ্ধার। বিষ্ণুপুর (Bishnupur) ব্লকের উলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিহর গ্রামে একটি ভগ্নপ্রায় বিষ্ণু মূর্তি (Bishnu) উদ্ধার করল বিষ্ণুপুরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ডিহর গ্রামের এক বাসিন্দা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দারকেশ্বর নদে একটি ভগ্নপ্রায় বিষ্ণু মূর্তি দেখতে পান। তারপর সেটি তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। 

এই ঘটনা গোপন সূত্রে জানতে পারেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক। এরপরেই সঙ্গে সঙ্গে মূর্তি উদ্ধারকারী ওই ব্যক্তির বাড়িতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক সৌমি দাস, বিষ্ণুপুর মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। 

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মূর্তিটি একটি ভগ্নপ্রায় পূর্ণ বিষ্ণু মূর্তি। এটি সম্ভবত পাল ও সেন যুগের অর্থাৎ একাদশ দ্বাদশ শতকের মূর্তি। মূর্তিটির বয়স আনুমানিক ১০০০ বছর। ওজন ১০ থেকে ১২ কেজি। বিষেশজ্ঞদের অনুমান, এই প্রস্তর ভাস্কর্যটি ক্লোরাইড পাথরের। বর্তমানে এই মূর্তিটি রাখা হবে বিষ্ণুপুর যোগেশ চন্দ্র পুরাকৃতি ভবনে। 

12 months ago


Show: 'ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ পুরোই স্ক্রিপ্টেড', বিস্ফোরক শোয়ের একদা সঞ্চালক

অনেক বছর ধরেই রমরমিয়ে চলছে গানের রিয়ালিটি শো 'ইন্ডিয়ান আইডল' (Indian Idol)। রিয়ালিটি শো বলতে ধরে নেওয়াই হয় যে, যা-যা টিভির পর্দায় দেখানো হয়, তা সবই সত্যি। তবে মিনি মাথুর (Mini Mathur) ইন্ডিয়ান আইডল রিয়ালিটি শো নিয়ে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা। মিনি মাথুর ইন্ডিয়ান আইডল রিয়ালিটি শোয়ে প্রায় ৬ বছর সঞ্চালক ছিলেন। তাঁর সঞ্চালনা করার সময়ে তিনি বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। কিন্তু তিনি নিজেই ইন্ডিয়ান আইডলের সঞ্চালক হয়ে এই শো-এর সত্যি সামনে আনতে এমন কী বললেন?

সম্প্রতি সাইরাস ব্রোচার (Cyrus Broacha) সঙ্গে পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে মিনি মাথুর বলেন, 'এখন সত্যি বলে কোনও কিছুই নেই। সবই ক্যামেরার জন্য তৈরি করা।' তিনি আরও উদাহরণ দিয়ে বলেন, 'যখন কোনও পার্টিসিপেন্টের বাড়ির কেউ আসার কথা থাকে, সেসব পার্টিসিপেন্ট আগের থেকেই জানেন। তবুও বলা হয়, বাড়ির কেউ আসলে ক্যামেরার সামনে অবাক হওয়ার নাটক করতে।'

এছাড়াও মিনি নিজের এক অভিজ্ঞাতা শেয়ার করে বলেন, একবার ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর মধ্যে মোমেন্ট ক্রিয়েট করতে বলা হয়েছিল। এরপরেই তাঁর মনে হয়েছিল, এসবের কোনও দরকারই নেই। শেষপর্যন্ত তিনি ঠিক করেন যে, ইন্ডিয়ান আইডলের সঞ্চালকের জায়গা থেকে সরে আসবেন। কারণ এখন শুধু টাকা অর্জন করা ছাড়া আর কিছুই নেই শো-তে। তাই তিনি ইন্ডিয়ান আইডলের সঞ্চালকের কাজ ছেড়ে দিয়েছেন।

মিনি মাথুরের বিস্ফোরক মন্তব্যের পর ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে শুরু হয়েছে কানাঘুষো। তবে কি সব রিয়্যালিটি শোয়েরই একই অবস্থা? প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ইন্ডিয়ান আইডলের ১৩ সিজন শেষ হয়েছে, যার সঞ্চালক ছিলেন আদিত্য নারায়ণ।


one year ago
Indian Idol: স্টেশনে রাত কাটিয়ে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ, ফার্স্ট রানার আপ বনগাঁর দেবস্মিতা

বনগাঁয় জন্ম, বনগাঁয় বেড়ে ওঠা। ছোট থেকেই গানের প্রতি প্রবল আকর্ষণ। বাবার কাছে গানে হাতেখড়ি। তারপর গানের সুরে নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়া। গানে গানেই বেড়ে উঠেছেন দেবস্মিতা রায় (Deboshmita Roy)। পড়াশোনা করেছেন বনগাঁর কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। উচ্চশিক্ষা, দমদমের সরোজিনী নাইডু কলেজে। দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা রেওয়াজ করেছেন, এছাড়া যখনই ইচ্ছে হয়েছে সুর তুলেছেন গলায়। তাঁর বাবা একদিন এসে খবর দিলেন, 'ইন্ডিয়ান আইডলের (Indian Idol) অডিশন হবে দমদমে'। ২২ বছরের মেয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু।

বনগাঁ থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টার জার্নি করে পৌঁছন দমদমে। গিয়ে দেখেন, মাথা গোনা যাচ্ছে না অডিশন দিতে আসা গাইয়েদের। যেন রাজ্য ভেঙে পড়েছে ইন্ডিয়ান আইডলের অডিশনে। তবে নিজের উপর বিশ্বাস অটুট ছিল দেবস্মিতার। প্রায় ৮ থেকে ৯ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে তবেই অডিশনের মূল কক্ষে প্রবেশ করার সুযোগ পান। প্রথম রাউন্ডে নির্বাচিত হন। তবে পরীক্ষা তখনও বাকি ছিল। কলকাতাতেই প্রায় ৪ রাউন্ড অডিশন হয় ইন্ডিয়ান আইডলের। তারপরেই ডাক পান মুম্বই থেকে।


হাওড়া স্টেশন থেকে মুম্বইয়ের ট্রেন। স্টেশনে পৌঁছে দেখতে পান ট্রেন নেই। স্টেশনেই অনিদ্রায় রাত কাটে দেবস্মিতার। পরদিন সকালে ট্রেন ধরে মুম্বই পৌঁছন। সেখানে আরও এক রাউন্ড অডিশনের পর গোল্ডেন মাইক পেয়ে ইন্ডিয়ান আইডলের মূল মঞ্চে পৌঁছন দেবস্মিতা। বাংলায় থেকেছেন এতদিন, হিন্দিভাষীর রাজ্যে কথা বলবেন কীভাবে বঙ্গসন্তান! তা নিয়ে জড়তা ছিল। তবে মুম্বই গিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সেই জড়তা কাটিয়ে ওঠেন। এরপর তাঁর বাকি যাত্রা সকলের দেখা। মুম্বইয়ের নাম করা শিল্পীদের, সুরের আবেশে মুগ্ধ করেছেন বাংলার মেয়ে দেবস্মিতা।

দুই দিন ধরে চলে ইন্ডিয়ান আইডলের গ্র্যান্ড ফাইনাল। বিচারক আসনে বসেছিলেন পরিচালক জুটি আব্বাস ও মাস্তান। উপস্থিত ছিলেন সংগীত পরিচালক ও গায়ক সেলিম মার্চেন্ট। ছিলেন পরিচালক ও সংগীত শিল্পী বিশাল ভরদ্বাজ ও তাঁর সহধর্মিনী বিশিষ্ট গায়িকা রেখা ভরদ্বাজ। ফাইনালে উত্তীর্ন হওয়া বাকি সংগীতশিল্পীদের সঙ্গে গানে গানে জোর লড়াই চলে। নিজের সুরের জাদুতে ফার্স্ট রানার আপের ট্রফি ছিনিয়ে আনেন দেবস্মিতা।

মুম্বইতে ইন্ডিয়ান আইডলের রানার আপ হয়ে বর্তমানে ফিরে এসেছেন নিজের প্রাণের জায়গা বনগাঁয়। সিএন-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দেবস্মিতা জানিয়েছেন, 'ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ পর্যন্ত যাওয়া খুব কঠিন। একটি গান গাওয়ার প্রস্তুতির জন্য মাত্র এক বেলা সময় পাওয়া যায়। চ্যাম্পিয়ান হতে না পারার আক্ষেপ নেই। এত কঠিন লড়াইতে ফার্স্ট রানার আপ হয়েই খুশি।'


দেবস্মিতার এই গানের যাত্রায় সবচেয়ে বড় খুঁটি তাঁর মা-বাবা। ছোট বেলা থেকেই মেয়েকে সমর্থন করে এসেছেন, ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চেও মেয়ের পাশে থেকেছেন বাবা দেবপ্রসাদ রায় ও মা মিতা রায়। মেয়ের জয়ে গর্বিত তাঁরাও। দেবস্মিতার কথায়, 'দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মঞ্চে গান গাওয়া সহজ হয়ে উঠেছিল আমার মা-বাবার আশীর্বাদে।' 

দেবস্মিতা আরও বড় স্বপ্ন দেখছেন। তাঁর ইচ্ছে, বনগাঁয় নিজের গানের স্কুল খুলবেন। নিজের অর্জিত বিদ্যা ছড়িয়ে দেবেন সকলের মধ্যে। প্লে ব্যাক সিঙ্গার হতে চান দেবস্মিতা। একইসঙ্গে স্বাধীন সুরকার হওয়ার স্বপ্নও দেখেন। মুম্বইতে থাকাকালীন বাংলার দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছেন দেবস্মিতা। তাঁর জয়ে গর্বিত বনগাঁর মানুষ। জাতীয় মঞ্চে বঙ্গ সন্তানের এই জয়, বাংলারও গর্ব।


one year ago


Immersion: মালের দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা, ঘাটে ঘাটে ভাসানে আরও তৎপর এবং সতর্ক রাজ্য প্রশাসন

প্রসূন গুপ্ত: দশমীতে উত্তরবঙ্গের মালে যে দুর্ঘটনা হয়ে গিয়েছে, তার রেশ এখনও কাটেনি। ৮ ব্যক্তির মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন। পাশাপাশি শুক্রবারও কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক পুজোর ভাসান। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদককে কলকাতার মেয়র ববি হাকিম জানান, কলকাতার গঙ্গার ঘাট নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। বেশ কয়েক বছর গঙ্গা পাড়ের সামান্য আগেই পুজো কমিটির সদস্যদের আটকে দিচ্ছে পুলিস। প্রতিমার সঙ্গে জলে নামতে পারছেন এক-দু'জন। কলকাতা পুরসভা নিজে দায়িত্ব নিয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জনের। দশমী থেকে ববি নিজের পুজো চেতলা অগ্রণী ছেড়ে গঙ্গার ঘাটগুলি পরিদর্শন করছেন।

বৃহস্পতিবারও ঘুরেফিরে কলকাতার একাধিক ঘাট পরিদর্শন করেন মেয়র। মহানাগরিক জানেন, একাদশীতেও পুজোর ভাসান হয়। যদিও তার সংখ্যা নগন্য। তারই মাঝে কাল সকাল থেকে বারবার তিনি বিসর্জনের ঘাটগুলিতে গিয়েছেন। কলকাতা পুলিসও যথেষ্ট সক্রিয়। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ এবছরও পুজোর ক'টি দিন অসাধারণ দক্ষতার সাথে কাজ করেছে। বুধবার থেকে শুক্রবার, এখানেও কাজে খামতি নেই পুলিসের। এরপরেও মাল নদীর দুর্ঘটনায় আরও সতর্ক প্রশাসন।

শুধুমাত্র কলকাতা বা শহরতলি নয়, সারা বাংলার তথাকথিত সব ছোট-বড় পুজো, যেগুলি কার্নিভালের অংশ নয়, সেসব পুজোর ভাসান আজকের মধ্যে করতেই হবে বলে নির্দেশিকা রয়েছে। অবশ্য বাম আমল থেকেই এই নিয়ম চালু। কলকাতার বাইরে আলিপুরদুয়ার থেকে সুন্দরবন অবধি কয়েক হাজার পুজো আছে যার ভাসান শুক্রবার। কাজেই মালের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আরও সতর্কতা বেড়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিধায়ক, কাউন্সিলর থেকে পঞ্চায়েত নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা অবশ্যই নিরঞ্জনের সময় যেন ঘাটে থাকে। একইসঙ্গে পুলিস ও প্রশাসনের দায়িত্বও একইভাবে বণ্টন করা হয়েছে। সকাল থেকেই ববি হাকিম গঙ্গার ঘাটগুলি পরিদর্শন করছেন। যদিও দায় প্রশাসনের, তবুও জানা গিয়েছে যে বাম দলের কর্মীদের নির্দেশ গিয়েছে, তাঁদের দলের যেন তাঁরাও দায়িত্ব নিয়ে বিসর্জনের ঘাটগুলিতে উপস্থিত থাকে। শেষ খবর জলপাইগুড়িতে আজ কোনও কার্নিভাল হচ্ছে না। 

2 years ago
Ghola: ঘোলার মৃৎশিল্পীদের কারখানায় দুষ্কৃতী হামলা! পুজো চার দিন আগে বিকৃত প্রতিমা, মাথায় হাত

ঘোলায় (Ghola) মৃৎশিল্পীদের কারখানায় দুষ্কৃতী হামলা। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা ভেঙে দিয়েছে একের পর এক ঠাকুরের মুর্তি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ঘোলা থানার বিশাল পুলিস (police) বাহিনী। পুজোর ঠিক আগে এমন ঘটনায় কার্যত বিপাকে মৃৎশিল্পীরা।

জানা যায়, বিলকান্দা (Bilkanda) দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগেন্দ্রনগর দীপাবলি মৃৎ-শিল্পালয় এবছরের ত্রিশটি দুর্গা প্রতিমা তৈরির বরাত পায়। সেই মতো কাজও শুরু করেছিলেন মৃৎশিল্পীরা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে বিভিন্ন মণ্ডপে দুর্গা প্রতিমা ডেলিভারির কাজ। কিন্তু ঠিক তার আগেই সকালে ঘুম ভাঙতেই চক্ষু চড়ক গাছ। দুর্গা প্রতিমার কোনও ক্ষতি না হলেও লক্ষী, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক এই ধরনের ২২টি প্রতিমার মুখ বিকৃতি করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

শিল্পীরা জানান, সোমবার রাত ১টা পর্যন্ত শিল্পীরা কাজ করেছে। আর মঙ্গলবার সকালে উঠে প্রতিমাগুলির মুখ বিকৃতি দেখে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন কারখানার মালিক দীপ্তরেক ভর-সহ একাধিক মৃৎশিল্পী।

এক শিল্পী জানান, কীভাবে এই ক্ষতিপূরণ হবে তা জানা নেই তাঁদের। তবে এই ধরনের ঘটনার পিছনে কে বা কারা যুক্ত, সেটা আঁচ করতে পারছেন না তাঁরা। শোকাহত সকল শিল্পীরাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ঘোলা থানার পুলিস আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই সমস্ত বিষয়ের তদন্ত শুরু করছে ঘোলা থানার পুলিস।

2 years ago