মাঝ আকাশে চণ্ডীগড় থেকে কলকাতাগামী বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক যাত্রী। তড়িঘড়ি জরুরি অবতরণ করা হয় বিমানটি। শুরু হয় ডায়াবেটিসের চিকিৎসা। কিন্তু শারীরিরক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
বিমানবন্দর সূত্র মারফত খবর, অসুস্থ ওই ব্য়ক্তির নাম বিশ্বনাথ দাম (৬০)। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর ৬০৪১ বিমানটি যখন কলকাতার আকাশে বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য তৈরি হচ্ছিল, ঠিক সেই সময় যাত্রী বিশ্বনাথ দাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। যা মেডিক্যাল পরিভাষায় এলওসি নামে পরিচিত। তৎক্ষণাৎ বিমানের কেবিন ক্রু পাইলটকে জানান। পাইলট এয়ার কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমান অবতরণের অনুমতি চান।
এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী বিমানটি অবতরণ করে। জরুরি ভিত্তিতে বিমানবন্দরের অ্যাম্বুলেন্স ছ'নম্বর পার্কিং জোনে গিয়ে পৌঁছয়। তারপর বিমানবন্দরে নামানো হয় অসুস্থ ওই ব্য়ক্তিকে। সেখানে নিযুক্ত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এয়ার ইন্ডিয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে দুপুরে অপারেশন গেট ৫ নম্বর থেকে সহকারী যাত্রীদের দিয়ে ভিআইপি রোডে ধরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ওই যাত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
কলকাতা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির মধ্যে অন্যতম ইএম বাইপাস। সেই ইএম বাইপাসে দীর্ঘক্ষণ যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, বাইপাসের দক্ষিণ অংশে শনিবার ছ'ঘণ্টা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
উল্লেখ্য, একাধিক রুট ডাইভারশনের কথা জানিয়ে অ্যাডভাইজারি প্রকাশ করল কলকাতা ট্রাফিক পুলিস। আজ শনিবার রাত ১০ টা থেকে রবিবার ভোর ৪ টে পর্যন্ত ইএম বাইপাসের দক্ষিণ অংশে উভয় দিকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাটুলির কাছে ঘোষপাড়ায় ৪৫ মিটার লম্বা ফুটওভার ব্রিজ বসানোর জন্যই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে সিএমডিএ।
সিএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুট ওভারব্রিজ বসানোর জন্য ঘোষপাড়ার কাছে ক্রেন ও অন্যান্য মেশিন আনা হবে। সেই কারণে যান চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বদল আনা হবে। যান চলাচলের জন্য একাধিক রুট ডাইভারশনও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কোন পথে চলবে যানবাহন:-
•দক্ষিণ থেকে রুবি হাসপাতালের দিকে যাওয়া ভারী যানবাহন গুলিকে পাটুলি মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ভারী যানবাহন গুলিকে বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলি কানেক্টর, রাজা এসসি মল্লিক রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর হয়ে সুলেখা মোড় দিয়ে পুনরায় বাইপাসে পৌঁছতে হবে।
•দক্ষিণ থেকে রুবিমোড়গামী ছোট গাড়িগুলোকে বা যানবাহন গুলোকে বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলি কানেক্টর হয়ে পাটুলি আই ব্লক রোডে যেতে হবে। সেখান থেকে মোল্লা রোড ধরে তারা পুনরায় বাইপাসের দিকে যেতে পারবে।
•উত্তর থেকে গড়িয়াগামী ভারী যানবাহন গুলিকে অভিষিক্তা মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ভারী যানবাহনগুলি অভিষিক্তা মোড় থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ কানেক্টর হয়ে রাজা এসসি মল্লিক রোড ও বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলি কানেক্টর হয়ে ফের বাইপাসে উঠতে পারবে।
উত্তর থেকে গড়িয়াগামী ছোট গাড়িগুলিকে পিয়ারলেস হাসপাতালের সামনের কাটআউট দিয়ে ঘুরে পঞ্চসায়র রোড, ঢালাই ব্রিজ ও গড়িয়া স্টেশন রোড হয়ে ফের বাইপাসে উঠতে পারবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা ট্রাফিক পুলিস সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর ধরে ঘোষপাড়া অঞ্চলে যাতায়াত করার সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং সেই দুর্ঘটনা রেকর্ড দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা ঘটার প্রতিরোধ করার জন্য ফুটওভার ব্রিজ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আর মাত্র কয়েকদিন, এর পরই নয়া দিল্লিতে হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর, এই দু'দিন বসবে জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit)। প্রগতি ময়দানে উদ্বোধন হওয়া 'ভারত মণ্ডপমে' আসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির নেতারা। ফলে সেই নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিন্তু এই সম্মেলনের আগেই রাজধানীর মানুষের মধ্যে একাধিক বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। খবরের শিরোনামে উঠে আসে যে, নয়া দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের জন্য লকডাউনের মত পরিস্থিত হবে। কিন্তু এই সব খবরকে উড়িয়ে দিয়ে এবারে দিল্লি পুলিসের তরফে এক বিবৃতি জারি করা হল। মঙ্গলবার সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, দু'দিনের শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন নয়া দিল্লিতে প্রয়োজনীয় সকল পরিষেবা চালু থাকবে। শুধুমাত্র কয়েকটি জায়গায় বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
সূত্রের খবর, সমস্ত বিভ্রান্তি দূর করতে ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, রাজধানীতে ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনওমতেই কোন লকডাউন হবে না। গাড়ি, মেট্রো, ট্রেন থেকে শুরু করে সমস্ত পরিষেবাই স্বাভাবিক থাকবে। তবে কিছু যাতায়াতের রাস্তায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, এনডিএমসির একটি ছোট অংশে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থাগুলির কাছেও অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতি রেখে সঠিক বিবরণ প্রকাশ করা হয়। জনগণের কাছে যাতে কোনও অস্পষ্ট বার্তা না যায়, সেদিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
তবে ব্যাঙ্ক, বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকবে। কিন্তু হোটেল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিষেবা প্রদানকারী যানবাহনগুলিকে পরিচয় যাচাইকরণের ভিত্তিতে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
সাইরেন (Siren) বাজিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে আসছে অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance)। আর তা দেখা মাত্রই ট্রাফিক আটকে রাস্তা ফাঁকা করে দিলেন ট্রাফিক পুলিস (Traffic police)। কিন্তু কিছু দূর গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স গিয়ে থামল একটি ফাস্টফুডের দোকানে। দরজা খুলে চালক বেরিয়ে এসে কিনলেন আমের শরবত। আর ভিতরে নেই কোনও রোগী। এই অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইরেন বাজিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স আসছে দেখেই কর্মরত ট্রাফিক পুলিস অ্যাম্বুল্যান্সটিকে রাস্তা ফাঁকা করে দেন। কিন্তু ফাঁকা রাস্তায় প্রায় ১০০ মিটার গিয়েই থেমে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। দরজা খুলে নেমে এসে ঢুকে যান একটি ফাস্টফুডের দোকানে। কিছু ক্ষণ পর বেরিয়ে আসেন হাতে একটি আমের শরবতের বোতল নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত পুরো সময় ধরেই বেজে যাচ্ছিল অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেন। এই ঘটনাটি দেখেই ছুটে আসেন ট্রাফিক পুলিস।
#TelanganaPolice urges responsible use of ambulance services, citing misuse of sirens. Genuine emergencies require activating sirens for swift and safe passage. Strict action against abusers is advised.
— Anjani Kumar IPS (@Anjanikumar_IPS) July 11, 2023
Together, we can enhance emergency response and community safety. pic.twitter.com/TuRkMeQ3zN
এই পুরো ঘটনাটি বন্দি হয়েছে ট্রাফিক পুলিসের জামায় লাগানো ক্য়ামেরাটিতে। ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সটি খাবারের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে। এরপর দোকান থেকে আমের শরবত কিনে বেরিয়ে আসেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। তখন পুলিসকর্মী জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি সাইরেন দিচ্ছিলেন দেখে আমি রাস্তা পরিস্কার করে দিলাম। আর আপনি হাসপাতালে না গিয়ে দোকানে দাঁড়িয়ে আছেন। কোথায় রোগী?'
পুলিস সূত্রে খবর, অ্যাম্বুল্যান্স চালককে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট আইন ভাঙার কারণে। এই ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে জরুরি পরিস্থিতির নাম করে সাইরেনের অপব্যবহার নিয়ে।
অটো চালকদের সঙ্গে সিভিক পুলিসের (Civic police) তর্কবিতর্ক পরিণত হয় মারামারিতে। ঘটনায় আহত পাঁচ সিভিক পুলিস। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শ্যামনগর স্টেশনের সামনে অটো রাখা নিয়ে অটো চালকদের সঙ্গে এক সিভিক পুলিসের বচসা বাধে। এরপর খবর পেয়ে আরও সিভিক পুলিস সেখানে ছুটে গেলে ঝামেলা আরও বেড়ে যায়। তারপরে সিভিক পুলিসদের সঙ্গে অটোচালকদের মারামারি শুরু হয়। যার ফলে আহত হন পাঁচ সিভিক পুলিস।
এক সিভিক পুলিস জানিয়েছেন, সাত আটজন অটোচালক একটি অটোতে একজোট হয়ে বসে সিভিক পুলিসদের ধমকাতে থাকেন। স্টেশনে যে সিভিক পুলিস ছিলো তাঁর গায়ে প্রথম হাত তোলেন অটোচালক। তখনই সেই সিভিক বাকি সিভিক কর্মীদের ফোন করে ডেকে পাঠান। বাকি সিভিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতেই পিছন থেকে আচমকাই ২০-৩০ জন অটোওয়ালা মিলে তাঁদেরকে মারধর করতে আরম্ভ করেন বলে অভিযোগ। এমনকি ট্রাফিক অফিসারকেও তাঁরা মারধর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পৌঁছয় এবং সিভিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বিদ্যুৎহীন (Electric Problem) সরকারি গ্রামীণ হাসপাতাল (Hospital)। ফলে সমস্যায় পড়েছেন হাসপাতালের রোগীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছ, ঝড়ের দাপটে মেইন লাইনে ফল্ট হয়ে গিয়েছে। সেই জন্যই এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের নিজস্ব জেনেরেটার বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন রোগীরা।
বিদ্যুৎ না থাকলেই একেবারে অন্ধকার হয়ে পড়ছে হাসপাতাল। তবে এই বিষয়ে নজর নেই প্রশাসনের। সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ হাসপাতালের এমনই দশা। কিন্তু এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল হাঁসখালি,ভীমপুর ও চাপড়ার বেশ কিছু জায়গার রোগীরা। বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তবর্তী রোগীরাও এখানে আসেন চিকিৎসা করাতে। তাই হাসপাতালের এই অবস্থা দেখে আতঙ্কিত রয়েছেন রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তবে এই বিষয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
অতি গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের জন্য অনবরত ট্রাফিকের কাজ করে চলেছেন তাঁরা। চড়া রোদের গরম হোক বা আকাশ ভাঙা বৃষ্টি, সবসময়ই রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে নিজের কাজ করে চলেছেন তাঁরা। যাতে তাঁদের একটু অসাবধানতায় কোনও বিপদে না পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। রাস্তার উপর তাঁরা সাধারণের ছাতা হয়ে দাঁড়ালেও নিজেদের মাথার উপর ছাতা ধরার মতো সময় হয় না তাঁদের। তাই কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা ট্রাফিক পুলিসের (Traffic police) পাশে এসে দাঁড়াল হুগলি (Hooghly) গ্রামীণ জেলা পুলিস। সেই চিত্রই দেখা গেল আজ তারকেশ্বর জয়কৃষ্ণবাজার এলাকায়।
হুগলি গ্রামীণ পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার লালটু হালদার নিজে ট্রাফিক পুলিসদের হাতে একটি করে ছাতা, জলের বোতল, কিছু ওআরএস-এর প্যাকেট তুলে দিলেন। এছাড়াও এই মানবিক কাজে উপস্থিত ছিলেন তারকেশ্বর থানার অফিসার ইনচার্জ অনিল রাজ, পুড়শুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোমনাথ দে, তারকেশ্বর ট্রাফিক গার্ডের ওসি তপন হালদার-সহ জেলা পুলিসের অন্য আধিকারিকরা। তবে তাঁদের যৌথ উদ্যোগে এভাবে ট্রাফিক পুলিসের পাশে দাঁড়ানোর ছবি এক দৃষ্টান্ত রেখেছে জনমানসে।
ফাঁকা রাস্তায় এক ট্রাফিক পুলিসকে (Traffic Police) একা পেয়ে লুটে নিল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় ওই পুলিস কর্মীকে। তারপর তাঁর মোবাইল ফোন, এটিএমকার্ডসহ (ATM) টাকাপয়সাও ছিনতাই করে ওই দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির (Delhi) সিগনেচার ব্রিজের এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওই ট্রাফিক পুলিসের নাম মোহিত। ২৯ মার্চ রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় একা পেয়ে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে। ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয় মোহিতের শরীরে। তারপর তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন এবং টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছিনতাই করা ওই ব্যাগে ৬ হাজার নগদ টাকা ছিল বলে জানিয়েছেন মোহিত। এছাড়াও ছিল এটিএম কার্ড, পরিচয়পত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি। অভিযোগ, মোহিতের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে ৬৩ হাজার টাকা তুলে নেয় দুষ্কৃতীরা।
মোহিতের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছেন দিল্লি পুলিস। পুলিস জানিয়েছেন, ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন আরিফ, আবিদ এবং অনুপ। অনুপই হলো ওই দুষ্কৃতী দলের মূল মাথা। পুলিস এই ঘটনায় সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার সন্ধায় আইসিপি পেট্রাপোল (ICP Petrapole), ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা (Army) আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৪ কেজি ৬৬৭ গ্রাম ওজনের ৪০ টি সোনার বিস্কুট সহ এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে। বাজেয়াপ্ত সোনার মোট মূল্য প্রায় ২ লক্ষ ৮০ কোটি টাকা।
সেনা সূত্রে খবর, কর্তব্যরত জওয়ানরা গোপন সূত্রে খবর পান এক চোরাকারবারী ট্রাক ড্রাইভারের ছদ্দবেশে আইসিপি পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার করতে চলেছে। অবিলম্বে, বিএসএফ আধিকারিকদের নির্দেশ অনুসারে জওয়ানরা একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে। এর কিছুক্ষণ পরই খবর মোতাবেক এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি ট্রাক আইসিপি পেট্রাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। বিএসএফ অনুসন্ধান দল তল্লাশির জন্য ওই ট্রাকটিকে থামায়। ওই ট্রাকে করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মাছ আনা হচ্ছিল। জওয়ানরা পুরো ট্রাকটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। তল্লাশিকালে মাছের বাক্সের নিচে থেকে ৪০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। জওয়ানরা অবিলম্বে ট্রাক এবং সোনা সহ ট্রাক চালককে আটক করে এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে আসে। গ্রেফতারকৃত পাচারকারীর পরিচয় সুশংকর দাস। তিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় ট্রাক চালক জানান, সে ১৫ বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছেন। সে আরও জানান, রবিবার ট্রাকের মালিক সফিকুল ইসলাম সে সাতক্ষীরা থেকে এই ট্রাকে মাছ বোঝাই করেছিলেন। এরপর ভারতে আসার পর এসব মাছ কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু আইসিপি পেট্রাপোলে বিএসএফ অনুসন্ধান দল তল্লাশির সময় তাঁকে সোনার বিস্কুট সহ আটক করে নেয়। আটক পাচারকারীকে সোনার বিস্কুট ও ট্রাকসহ কাস্টম অফিস, পেট্রাপোল পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে।
পুত্রবধূকে প্রকাশ্য রাস্তায় ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির প্রেমনগর এলাকায়। স্থানীয়রা কাজলকে উদ্ধার করলে তাঁর স্বামী প্রবীণ বধূকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কাজলের মাথায় মোট ১৭টি সেলাই করা হয়েছে। ঘটনায় কাজলের বাবা-মা শ্বশুরের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার একটি ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার কথা ছিল কাজলের। ইন্টারভিউর জন্য রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ই পথ আটকে দাঁড়ান শ্বশুর। এই নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটিও হয় দু’জনের মধ্যে। এরপরই কাজল শ্বশুরকে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর শ্বশুর ইট দিয়ে কাজলের মাথায় একের পর এক আঘাত করে, এমনটাই অভিযোগ।
পুলিস সূত্রে খবর, স্বামীকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে চাকরির সিদ্ধান্ত নেন কাজল। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় চাকরির আবেদনও করেছিলেন তিনি। এই বিষয়ে কোনও আপত্তি ছিল না স্বামী প্রবীণ কুমারেরও। কিন্তু এই কথা কাজলের শ্বশুর জানতে পেরেই পুত্রবধূকে প্রকাশ্য রাস্তায় ইট দিয়ে একের পর এক আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেন। শ্বশুরের হাতে আক্রান্ত হয়ে কাজল পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর পিছু পিছু ধাওয়া করেন শ্বশুর। স্থানীয় বাসিন্দারা কাজলকে উদ্ধার করে।
হাওড়ার মেয়েদের স্কুলে (Howrah Girls School) নেই নিরাপত্তারক্ষী। সিভিক পুলিসকে (Civic Police) নিরাপত্তারক্ষীর কাজে লাগাতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। জেলা পুলিস সুপারকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High School)। বোর্ডের উদ্দেশে মন্তব্য, 'আপনারা স্কুলগুলোর ছাত্রছাত্রীদের কথা ভাবুন। তাঁদের ভবিষ্যত আপনাদের হাতে। এই অচলায়তন ভাঙতে গেলে সময় লাগবে। কিন্তু বোর্ড, আপনারা শুরু করুন। আমি তিন সপ্তাহ পর ফল পেতে চাই।'
হাওড়া আমতা রসপুর বালিকা বিদ্যালয়ে অঙ্কের শিক্ষিকা ২০১৬ থেকে নেই। স্কুলের মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য জায়গা নেই। খেলার মাঠ থাকলেও, সেটা ব্যবহার হয় সাইকেল রাখতে। এই স্কুলে শিক্ষিকার সংখ্যা আট জন, ৫৪৮ জন ছাত্রী। পড়ুয়া-শিক্ষিকা এই অনুপাত দেখেও উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের মন্তব্য,'শিক্ষকদের বদলি পছন্দ না হলে পরে মামলা করুন। না গেলে পরের মাস থেকে বেতন বন্ধ করে দেব।' বিচারপতি জানান, 'রাজনৈতিক চাপের কথা ভুলে যান, রাজ্যের যে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা অত্যন্ত কম তার অনুমোদন প্রত্যাহার করুন।' রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকে এই পরামর্শ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
হাওড়ার রসপুর স্কুলের মামলার প্রেক্ষিতে দেখা গিয়েছে, একটি বিদ্যালয়ে ১৩ জন পড়ুয়ার জন্য ৫ জন শিক্ষক। অন্যদিকে অপর একটি স্কুলে প্রায় ৫৫০ জন পড়ুয়া আছে, কিন্তু বাংলার শিক্ষক নেই। ২০১৬ থেকে গণিতের শিক্ষক নেই। তারপরেই বিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দেন বিচারপতি বসু। উত্তরে শিক্ষা দফতরের আইনজীবী জানান, 'এটা করতে গেলে একটু সমস্যা আছে। স্থানীয়স্তরে সমস্যা হতে পারে, রাজনৈতিক চাপ আসতে পারে।'
ব্রিটেনের রাস্তায় সিগারেট খাওয়ার (Cigaratte Smoking) অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। এছাড়া তাঁকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা (Fine) করা হয়েছে বলে খবর। ওই যুবক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিরাত্তারক্ষীদের সামনে সিগারেট ফেলে চলে যান। এই ঘটনায় কোর্ট ওই ব্যক্তিকে বড় শাস্তিতে অভিযুক্ত করেছে। ব্রিটেনের (Britain Incident) সংবাদমাধ্যম মেট্রো নিউজ কর্তৃপক্ষ জানান, থর্নবেরি এলাকায় গ্লস্টারশায়ারের বাসিন্দা অ্যলেক্স ডেভিড রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিলেন। ব্রিটেনের রাস্তায় এভাবে জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাওয়া একটি অপরাধমূলক কাজ বলে মনে করা হয়।
এই অপরাধে হিসাবমতো ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি নিরাপত্তারক্ষীদের সামনে সিগারেট ফেলে চলে যায়। এছাড়া ওই ব্যক্তি পুলিসের পাঠানো সমনকেও অগ্রাহ্য করা বলে অভিযোগ। এই কারণে ওই ব্যক্তিকে আদালতের তরফ থেকে ৫৫,০০০ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনা অগাস্ট মাসের, এরপর থেকেই ব্রিটেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়া নজর দেওয়া হচ্ছে।
সাধারণ মানুষ ভাবছে এত কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা অতি আকস্মিক। তবে ওই বক্তি নিয়মকানুনের কোনও তোয়াক্কা না করায় এই ধরনের শাস্তির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ। এখনও এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা শুধু সিগারেটই না অনেক সময় খাবারের প্যাকেটও রাস্তায় ফেলে চলে যেতে দেখা যায়।
বর্ষবরণের (New Year Eve) রাতে শহরজুড়ে পুলিসি ব্যবস্থা ছিল তুঙ্গে। ট্রাফিক আইন অমান্যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছিল কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। খোদ পুলিস কমিশনার পথে নেমেছিলেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। এই ব্যবস্থাপনার মধ্যেও বেপরোয়া গতি (Car hits Police) মানলো না পুলিসি বাধা। তিলজলা এলাকায় তীব্র গতির বলি এক পুলিস কনস্টেবল (Traffic Police)। শরীরে গুরুতর চোট নিয়ে চিকিৎসাধীন কনস্টেবল তপন চক্রবর্তী।
এই ঘটনা তিলজলার চায়না টাউন গেটের সামনে। জানা গিয়েছে, রাতের কলকাতায় নাকা চেকিংয়ের সময় পার্ক সার্কাস থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাওয়া এক বেপরোয়া গাড়িকে আটকতে যান কনস্টেবল তপনবাবু। কিন্তু পুলিসি বাধা না মেনে উলটে সেই পুলিসকর্মীকে ধাক্কা মেরে চলে যায় ঘাতক গাড়িটি। অভিঘাতে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পান তপনবাবু। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিস। খোঁজ চলছে ঘাতক গাড়ি ও তাঁর মালিকের।
এদিকে, বর্ষ বরণের রাতে মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর ঘটনায় আটক ১১৫ জন। দিন কয়েক আগেই অজয়নগর মোড়ে ট্রাফিক আইন ভাঙে এক যুবক। হেলমেট না থাকায় তাঁকে কেস দেন নাকা চেকিংয়ে থাকা কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা। সেই সময়েও স্থানীয়রা পুলিসকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে বচসায় জড়ান। এক পুলিসকর্মী শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় গ্রেফতার চার।
দিন দুয়েক আগেই শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে পুলিসি হেনস্থার ঘটনায় সরব হয়েছিলেন উস্তাদ রশিদ খানের পরিবার (Rashid Khan)। অভিযোগ, নাকা চেকিংয়ের সময় উস্তাদজির গাড়ি আটকে 'ঘুষ' চায় কর্তব্যরত পুলিস কর্মী। সেই ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় উস্তাদ রাশিদ খানের গাড়ির চালককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এরপরেও থেমে না থেকে রাতেই শিল্পী এবং তাঁর স্ত্রীকেও থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করার গুরুতর অভিযোগ এসেছিল সামনে। আর এরপরেই পদ্ম (Padma Bhushan) সম্মানপ্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী এবং তাঁর পরিবারকে এরকম অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থাকার জন্য গোটা বাংলা তথা দেশের সর্বস্তরে ওঠে সমালোচনার ঝড়।
এদিকে শুক্রবার এই ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। রশিদ খানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন খোদ কলকাতার সিপি। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার শিল্পীর নাকতলার বাড়িতে উপস্থিত হন লালবাজারের তদন্তকারী অফিসাররা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল।
তবে শুধুমাত্র এই ঘটনার বিভাগীয় তদন্তই নয়, এবার এই অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমস্ত ট্রাফিক গার্ডের উদ্দেশ্যে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে লালবাজার। এবার থেকে নাকা চেকিং পয়েন্টে কোনও অ্যাকশনের সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকর্মীর সঙ্গে থাকা ক্যামেরা সবসময় চালু রাখতে হবে, যাতে সম্পূর্ণ ঘটনা রেকর্ড করা যায়। এছাড়াও পুলিসের সঙ্গে গাড়ির চালক বা যাত্রীদের মধ্যে কী কথোপকথন হচ্ছে তা জানার জন্যও বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাঁশকুড়া থানায় (Paskura Police Station) মজুত বাজি থেকে বিস্ফোরণ (Blast)। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে মৃত এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Police)। একাধিক ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর মিলেছে। এমনটাই সূত্রের মারফৎ খবর পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণে তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত থানা চত্বরে থাকা একাধিক বাইক। স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তমলুক থেকে আসে দমকলের ইঞ্জিন। থানায় হওয়া এই বিস্ফোরণ ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক এবং চাঞ্চল্য।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ বিস্ফোরণের এই ঘটনা। জানা গিয়েছে পাঁশকুড়া থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া বাজি ও বাজি তৈরির মশলা বারুদ জমা রাখা হয়েছিল থানার সামনেই। সেই মজুত থাকা বাজি ও বারুদে হঠাৎই আগুন লাগে।
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণভয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় থানায় কর্তব্যরত পুলিসকর্মী ও থানায় আসা সাধারণ মানুষ। তারপর কর্তব্যরত পুলিস কর্মী ও আশেপাশের লোকজন জল ঢেলে আগুন প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে আসে তমলুক থেকে একটি দমকলের ইঞ্জিন। চলে পুরোদমে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ, এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, গুরুতর আহত হন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই সিভিক কর্মীকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল । হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু বলে জানান চিকিৎসকরা। মৃত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার গোপাল মান্নার বাড়ি পাঁশকুড়া থানা এলাকার হাউরে।