সোমবার এসএসসির রায় বেরোনোর পর, মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অভিযুক্তদের জামিন মামলার। শুনানিতে মুখ্য সচিবের ওপর চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। ২ বছর আগে তদন্তকারী সংস্থা মুখ্যসচিবের কাছ থেকে অনুমোদন পত্র চেয়েছে। কিন্তু তা জমা তো পড়েনি, এমনকি অনুমোদন পত্র দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্তও জানানো সম্ভব হয়নি মুখ্যসচিবের।
যদিও শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, নির্বাচনের জন্য কমিশনের নিয়মাবলীর মধ্যে বিষয়টি পড়ে যাওয়ায় মুখ্যসচিব অনুমোদন পত্র তৈরি করতে পারেননি। ক্ষুব্ধ বিচারপতি বাগচী জানান, দেড় মাসে মুখ্যসচিবের একটা অনুমোদন পত্র তৈরি করার সময় হচ্ছে না! নির্বাচন কমিশনের নিশ্চই নির্বাচনে নির্দিষ্ট ভূমিকা আছে। তবে আদালত তো নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু করতে বলছে না। তাহলে সমস্যা কোথায়? বিচারপতির আরও মন্তব্য, রাজ্যের একজন উচ্চপদস্থ অফিসার এভাবে যুক্তি দেখিয়ে নিজের দায় এড়াচ্ছেন? আজ বলছেন নির্বাচন কাল বলবেন অন্য কাজ আছে। ক্রিমিনাল কোর্টের এত সময় কোথায়? সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদীও জানান, অনুমোদন পত্র পেলেই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো। নিয়মের বন্ধনে আমাদের হাত বাঁধা। ট্রায়ালও চলছে শ্লথ গতিতে।
দীর্ঘ শুনানির পর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মুখ্যসচিব এর হলফনামায় খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত দশদিন সময় দিল। তারপরেও যদি মুখ্য সচিব অনুমোদন পত্র না জমা দেন, সেক্ষেত্রে রুল ইস্যুর হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ মে।
গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। রাস্তায় বেরোলেই চোখমুখ যেন ঝলসে যাচ্ছে। তীব্র তাপপ্রবাহ ও গরম হাওয়ায় নাজেহাল বঙ্গবাসী। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের অবস্থা যেন আরও করুণ। ওয়ার্ডের গুটিকয়েক পাখার হাওয়ায় গরমের তীব্রতা যেন আরও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে রোগীদের সুবিধার্থে মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নজির সৃষ্টি করল দঃ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল। পুরুষ বিভাগের রোগীদের থাকার জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, প্রায় ৩৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন পুরুষ ওয়ার্ডে। কিন্তু ওয়ার্ডটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত না হওয়ায় গরমে কষ্টে পাচ্ছিলেন রোগীরা। অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ব্যাহত হয় চিকিৎসা পরিষেবাও। এরপরই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয় রোগীদের।
ভোটের আবহে বড় ধাক্কা রাজ্যে। প্রায় সাড়ে তিনমাস শুনানির পরে অবশেষে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসির গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৬-র গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করল আদালত। ২৫,৭৫৩ শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল আদালত। শুধুমাত্র সোমা দাসের চাকরি বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায় 'মানবিক কারন'-এ তাঁর নিয়োগ বাতিল করা হয়নি। পাশাপাশি সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই,স্পষ্ট জানিয়ে দিল বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।
মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে কোনও চাকরি বৈধ নয় বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানিয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ১২ শতাংশ সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে। আর ছয় সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে ডিআই ও জেলাশাসকদের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মামলা সুপ্রিম কোর্টে গেলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে ৬ মাসের মধ্যে। সেই মতো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদিকে নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। এরপরই শুরু হয় মামলার শুনানি। সেই শুনানি চলে প্রায় সাড়ে তিনমাস। আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে এই মুহূর্তে জেলে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহার মতো প্রাক্তন শিক্ষাকর্তারা।
প্রসূন গুপ্ত: হিন্দিতে প্রবাদ আছে পাহাড় খুদা নিকলে চুঁহা। বাংলা করার দরকার নেই। এই মূহুর্তে সবকটি বিরোধী দলের কাছে সবথেকে সমালোচিত তৃণমূল নেতার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দুবছর ধরে এমন একটি দিন যায়নি যেদিন বিরোধীরা অভিষেককে গালি না দিয়ে এক ঢোকে জল খেয়েছে। কি না বলা হয়েছে। অথচ এবারে লোকসভা নির্বাচনে সবার নজর ছিল অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে। ভাবা হচ্ছিল তাঁকে জব্দ করার জন্য জবরদস্ত প্রার্থী নিশ্চয়ই দেওয়া। কসরৎ কম হয় নি। জল্পনায় উঠে এসেছে বহু নাম কিন্তু শেষে অভিজিৎ দাস নামক এক অখ্যাত?
আসলে সাগরদিঘি ব্র্যান্ড করতে গিয়েই গুবলেট হয়েছে সব। শোনা যাচ্ছিল যে, আইএসএফ প্রধান নওশাদ সিদ্দিকি প্রার্থী হচ্ছেন। তেমন দাবি করেছিলেন নওশাদ। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিজিৎ গাঙ্গুলীও বলেছিলেন তিনি দাঁড়িয়ে লক্ষ লক্ষ ভোটে জিতবেন। কিন্তু দুজনেই সময় মত সরে গেলেন। নওশাদের যুক্তি অবশ্যই মানার মত। তিনি বুঝতে পারেন যে, সিএএ ইত্যাদি চক্কর তাঁর জমানত যেতে পারে। সিপিএম বা কংগ্রেস তা ঠেকাতে পারবে না। অন্যদিকে বিজেপির ধারনা ছিল যে যদি নওশাদ সংখ্যালঘু ভোটে থাবা দিতে পারে তবে বেশ হেভিওয়েট কাউকে দাঁড় করিয়ে জিতার লড়াই দেওয়া যাবে। কিন্তু নওশাদ রাজি না হওয়ায় সবকটি দলই বিপাকে পড়ল।
মুখ রক্ষায় সিপিএম একজন প্রার্থী দিল এবং দুদিন আগে বিজেপি প্রার্থী করল অনামী অভিজিৎ দাসকে। এই অভিজিৎবাবু আরএসএস করা নেতা। ২০০৯ এবং ২০১৪র লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন। ফের তাঁকেই প্রার্থী করা হল মূলত সঙ্ঘ পরিবারের নির্দেশেই বলে খবর। নাম এসেছিল অনেক। যথা কৌস্তভ বাগচী, রূদ্রনীল ঘোষ, শঙ্কুদেব পান্ডা ইত্যাদি কিন্তু সঙ্ঘ মন করেছে এদের বিজেপিতে মোটেই বিশ্বাস যোগ্যতা নেই। হারজিত পরের বিষয় কিন্তু লড়াইয়ে থাকুক আদি বিজেপি। ১ জুন ভোট। ফল ৪ জুন । অভিষেক নিশ্চিন্তে সারা বাংলায় প্রচারই করতে পারবে।
জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি হরিশচন্দ্র টন্ডন ও মধুরেশ প্রসাদ-এর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় সিবিআই অনুসন্ধান হোক। অনুসন্ধানের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানান বিচারপতি।
পাহাড় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন মেনে আবেদন করেছিল রাজ্য। রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি বৃহস্পতিবারই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আজ, শুক্রবার তারই রায়দান হল। রায় দান করতে গিয়ে বিচারপতি হরিশচন্দ্র টন্ডন ও মধুরেশ প্রসাদ জানান, রাজ্যের আবেদনের কোনও গুরুত্ব নেই। সিবিআই অনুসন্ধান রিপোর্ট দেওয়ার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। আপাতত সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে কার্যত প্রলয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ ওমান এবং বেহরিনে। বড় রাস্তা থেকে শুরু করে বিমানবন্দর সর্বত্র জলে ডুবে গিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিভারী বৃষ্টিতেই এই অবস্থা দেশের। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এখনও বহু জায়গা জলে ডুবে রয়েছে। ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ এবং অফিসগুলিতে। একেবারে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বেনজির পরিস্থিতি দুবাইয়ে।
গত কয়েক দশকে এমন বর্ষণের সাক্ষী থাকেননি দুবাই বাসী। রাস্তা দিয়ে বয়ে চলেছে স্রোতের মতো জল। শপিং মলের ছাদ বেয়ে নামছে জলের ধারা। উঁচু উঁচু হাইরাইজ বিল্ডিং ঝড়ের দাপটে অস্থির। সেখানকার বাসিন্দারা রীতিমতো থরহরি কম্প অবস্থায় রয়েছে।
বিমানবন্দরের রানওয়ে পর্যন্ত ডুবে গিয়েছে দুবাইয়ে। এতটাই বর্ষণ হয়েছে সেখানে। এর আগে কখনও এমন বৃষ্টির কথা ভাবতেই পারেনি দুবাই। রুক্ষ-শুষ্ক মরু অঞ্চল দুবাই। কর্মসূত্রে দুবাইয়ে অসংখ্য ভারতীয় থাকেন। প্রবল বর্ষণে বিমানবন্দরে জল জমে যাওয়া বহু বিমান উড়তে পারছে না। অনেকেই দেশে ফিরতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। ভারতে আসার জন্য যাঁরা বিমানবন্দরে আটকে রয়ছেন তাঁদের সুবিধার্থেই এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেসব ভারতীয় পর্যটকরা আটকে রয়েছেন সেখানে তাঁদের জন্য ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে এই ত্রাণ তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু। সকাল থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের একাধিক এলাকা। ফের উত্তপ্ত সেই শীতলখুচি। শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি। ওই এলাকার ২৮৬ নম্বর বুথের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন ঘটনায় জখম হয়েছেন বলে খবর।
পাশাপাশি, শীতলকুচি ব্লকের গোসাইরহাট অঞ্চলের অন্তর্গত বড় ধাপের চাত্রার ২০১ নম্বর বুথে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই ছবি ধরা পড়েছে ১৩৯ নম্বর বুথেও।
প্রত্যেকবারই নির্বাচনের সময় খবরের শিরোনামে থাকে কোচবিহার। বিজেপি এবং শাসক শিবিরের মধ্যে চলছে অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের পালা। তুফানগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বারকোদালি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯/২২৬ ও ৯/২২৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের বুথ এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ভোটারদের ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি। এমনকি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে কেটে নেওয়া হল মহিলার চুল। একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিয়ান মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের মোল্লা বাগান গ্রামে।
জানা গিয়েছে, চুল কেটে নেওয়ার পিছনে যে কারণ রয়েছে তা হল, সিয়ান মুলুক গ্রামের এক মহিলা পাশের গ্রামের এক ভিন্ন ধর্মের যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ভিন্ন ধর্মী ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার তিন মাস পরে ফের তাঁর স্বামীর কাছে ফিরে আসেন। যদিও তাঁর স্বামী পুরো বিষয়টিকে মেনে নিলেও গ্রামের বাসিন্দারা তা মানতে নারাজ।
এরপর গ্রামের বাসিন্দারা ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীর উপর চড়াও হন। গ্রামের বাসিন্দারা ওই মহিলার চুল কেটে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর স্বামীকে মারধর করে গ্রাম ছাড়া করে দেন। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মহিলার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি গ্রামবাসীদের ভয়ে। তাঁদের দাবি, যদি তাঁরা থানায় কোনওরকম অভিযোগ করেন তাহলে তাঁদেরও গ্রাম ছাড়া করে দেওয়া হবে।
হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে উদ্ধার সাপ। যা দেখে আতঙ্কিত রোগী থেকে শুরু করে রোগীর পরিজনেরা। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে অপারেশন থিয়েটার। গতকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্য়ায় চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখেন একটি সাপ ঘোরাঘুরি করছে। এরপর তিনি তড়িঘড়ি হাসপাতালের কর্মীদেরকে খবর দেন। হাসপাতালের কর্মীরা এসে ব্য়াগে ভরে ওই সাপটিকে বাইরে ফেলে দেয়।
ডাক্তার চন্দ্রনাথ অধিকারীর অভিযোগ, হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় সাপ বাসা বেঁধেছে। এই নিয়ে বারংবার হাসপাতালে সুপারকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অপারেশন থিয়েটার এর মধ্যে যদি সেই সময় কোনও অপারেশন চলত তাহলে সেক্ষেত্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতেই পারত। এমনটাই বলছেন ডাক্তার চন্দ্রনাথ অধিকারী। এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফের খবরের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বিতর্কে রামনবমী উদযাপন করা নিয়ে। রামনবমীর অনুষ্ঠান প্রত্যাহার করতে বলা হল রেজিস্ট্রার-এর তরফে। এই মর্মে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। প্রথমে অনুষ্ঠান পালনের জন্য় অনুমতি দেওয়া হলেও পরে অনুমতি প্রত্যাহার করে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রামনবমী উৎসব পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু নোটিশ দিয়ে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করল। তবে ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট করা অনুমতি বাতিল করা হল, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রারকে ফোন করলেও রেজিস্ট্রার ফোন ধরেনি বলে অভিযোগ।
যদিও রাষ্ট্রবাদী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বদের দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো থেকে ইফতার পার্টি সবকিছুই সুপরিকল্পিতভাবে অনুষ্ঠিত হলেও কেন রামনবমী পালন করার অনুমতি দিতে দ্বিচারিতা? প্রশ্ন তুলছেন রাষ্ট্রবাদী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব। রাজ্য সরকারের তরফে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে রাম নবমীতে। তাহলে কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামনবমী পালন করা যাবেনা, যা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
মণি ভট্টাচার্য: পাহাড়েও নিয়োগ দুর্নীতি, এই অভিযোগে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে সিবিআই অনুসন্ধানের প্রসঙ্গ। জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টে আবেদন রাজ্যের। সূত্রের খবর, ৯-ই এপ্রিল হাইকোর্ট জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়। ২৫ তারিখ অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট সিবিআইকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা করতে চেয়ে আবেদন রাজ্যের। মামলার অনুমতি প্রধান বিচারপতির, চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
জিটিএ নিয়োগে দুর্নীতিতে বিনয় তামাং, অনীত থাপার হাত ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ক্যান্ডিডেট লিস্ট, বিচারপতির কাছে একটি বেনামী চিঠি। স্বতঃপ্রনোদিত মামলা করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই মামলায় গত সপ্তাহে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম যুক্ত হয় মামলায় । জিটিএতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ৭০০-১০০০ জন নিয়োগ হয়েছে। হাইকোর্ট সিবিআই অনুসন্ধান দিতেই জিটিএ-র নিয়োগ দুর্নীতিতে এফআইআর দায়ের রাজ্যের। এফআইআর-এ পার্থ সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর। এবার এই এফআইআর-এর দোহাই দিয়ে সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের আর্জি রাজ্যের। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এটাই প্রত্যাশিত। সিবিআই অনুসন্ধান যাতে সিবিআই তদন্তে রূপান্তরিত না হয়, তাই এফআইআর রাজ্যের। কারণ এই নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঢুকে পড়লে কানের সঙ্গে মাথাদের ধরা পড়ার আশঙ্কায় কি থরহরিকম্প রাজ্য, উঠছে প্রশ্ন।
ফের খবরের শিরোনামে গার্ডেনরিচ। সাত সকালে গার্ডেনরিচ বি এন আর রেল হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন। তারপর তড়িঘড়ি শুরু হয় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাতটা নাগাদ ওয়েস্ট পোর্ট থানার অন্তর্গত রেলের অধীনস্থ বি এন আর হাসপাতালে আগুন লাগে। হাসপাতালে চক্ষু বিভাগের ওটিতে থাকা এসি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। এরপরেই খবর দেওয়া হয় দমকলকে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ছটি ইঞ্জিন। এক ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসে আগে। আপাতত চক্ষু বিভাগের ওটি রুমটি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও আগুন আতঙ্কে চক্ষু বিভাগে থাকা, ১০ থেকে ১৫ জন রোগীকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, এসি থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে কোনওভাবে আগুন লেগেছে। যদিও অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।
পাকিস্তানে ফের এক টার্গেট কিলিং। সেখানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিংকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আমির সরফরাজ তম্বাকে লাহোরে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীরা। আমির সরফরাজ তম্বা লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা এবং ছাব্বিশ এগারোয় মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পাকিস্তানের লাহোরের ইসলামপুরা এলাকায় আমির সরফরাজ তম্বার ওপরে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন বাইক আরোহী হামলাকারী।
আমির সরফরাজ তম্বাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আমির সরফরাজ তম্বার বাবা সরফরাজ জাভেদও লস্কর প্রতিষ্ঠাতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। সেখানকার লক্ষপত কারাগারে থাকা সরবজিৎ সিংয়ের ওপরে আমির সরফরাজ তম্বা এবং অন্য বন্দিরা হামলা চালিয়েছিল। ইট ও লোহার রড দিয়ে সেই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ছিল। প্রায় একসপ্তাহ সংজ্ঞাহীন থাকার পরে ২০১৩ সালের ২ মে লাহোরের জিন্না হাসপাতালে সরবজিৎ সিংয়ের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবের ভিখিবিন্দের বাসিন্দা সরবজিৎ সিং দুর্ঘটনাবশত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। যদিও তাঁকে ১৯৯০ সালে পঞ্জাব প্রদেশে হওয়া বোমা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যদিও সেই অভিযোগ বারে বারে অস্বীকার করেছে ভারত সরকার। পাকিস্তানের জেলে ২০ বছরের বেশি সময় কাটিয়েছিলেন সরবজিৎ সিং। তাঁর বোন দলবীর কাউর ভাইকে সেখান থেকে মুক্ত করতে আইনি লড়াই করেছিলেন। তিনি বারে বারেই বলেছিলেন, সরবজিৎ সিং নির্দোষ। ভুল বশত পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দলবীর কাউরও ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।
মৃত্যুর আগে সরবজিৎ সিং আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁকে জেলের মধ্যে স্লো পয়জনিং করা হচ্ছে। ব্যথার ওষুধ চাইলে, জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা করে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। জেলে তাঁকে নির্জন সেলে রাখার অভিযোগও করেছিলেন সরবজিৎ সিং।
সলমন খানের বাড়ির সামনে চলল গুলি। রবিবার সকালে এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় রয়েছে অভিনেতার বিলাসবহুল বাড়ি। তারই সামনে গুলির শব্দ শোনা যায়। ভোর তখন ৪টে ৫১ মিনিট। ঘটনার পর অভিনেতার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাইক নিয়ে দুই ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন সলমন খানের বাড়ির সামনে। তারা প্রথমে ৩ রাউন্ড গুলি চালান বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। পরে এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় পরপর ৪ রাউন্ড গুলি চালাতে দেখা যায় তাদের। রবিবারের ঘটনার পর সলমন খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
পাশাপাশি মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় পুলিস ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ফরেনসিক বিভাগের টিম সলমনের বাড়ির বাইরে থেকে বুলেটের খোল উদ্ধার করেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডেপুটি পুলিস কমিশনার ও অ্যাডিশনাল ডিএসপির নেতৃত্বে এগোচ্ছে তদন্ত।
ঘটনার পরেই বাদ্রা পুলিসের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে মুম্বই পুলিস জানাচ্ছে, যখন গুলি চলে সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন সলমন খান। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ধরতে একাধিক টিম গঠন করেছে মুম্বই পুলিস।
জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা আরও এক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার একাধিকবার সলমন খানকে খুন করার হুমকি দিয়েছে। তারপরই এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে পুলিস প্রশাসনের। ওই দুই গ্যাংস্টারের লোকজন অভিনেতার বাড়িতে বন্দুকবাজদের পাঠিয়েছিল বলে অনুমান পুলিসের।
সমতলের ধাঁচে এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ পাহাড়েও। সম্প্রতি জিটিএ তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ২০১৯ সালে আপার প্রাইমারিতে ৩১৩ জন ও প্রাইমারিতে ১২১ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়। যেখানে ভলেন্টিয়ার শিক্ষককে স্থায়ীকরণ করা হয়। অভিযোগ, এই নিয়োগ কোনও নিয়ম না মেনেই হয়েছে। এমনকি বহু এমন ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন, যাঁরা কখনও ভলেন্টিয়ার শিক্ষকই ছিলেনই না। ইতিমধ্যেই ওই ৩১৩ জন শিক্ষকের তালিকা সিএন-এর হাতে ওই তালিকায় এরকম দুইজনের নাম উঠে আসছে।
ওই তালিকার ৮৩ নম্বর রয়েছে কেশব রাজ শর্মার নাম যিনি ওই ভলেন্টিয়ার শিক্ষক নিয়োগের ভেরিফিকেশন প্রসেসের সদস্য। অভিযোগ এই ব্যক্তি কখনও কোনও স্কুলে ভলেন্টিয়ার এর শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেননি। এমনকি পাহাড়ের ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা দল যে দলটি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ দল নামে পরিচিত ওই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের আত্মীয়।
ঘটনায় অপর একজনের নাম উঠে আসছে, যার নাম সঞ্চাবির সুব্বা। অভিযোগ এই ব্যক্তি কোন স্কুলে প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করেনি, এমনকি তার বিএড ডিগ্রিও নেই। এছাড়া এই ব্যক্তি বর্তমানে জিটিএ শিক্ষা বিভাগের ডেপুটি চিফ এক্সজিউটিভ। ফলে সে কিভাবে জিটিএ ৩১৩ জন শিক্ষক নিয়োগ তালিকায় এল তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে উঠছে প্রশ্ন।