
চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়াকে কী ছেড়ে দিচ্ছে গুজরাত ? একটি ক্রিকেট পোর্টালে খবর গুঞ্জন। ডিসেম্বর মাসে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মিনি অকশন হতে চলেছে। তার আগে, ওই ক্রিকেট পোর্টালের খবর, গুজরাত ছেড়ে ফের নাকি মুম্বইয়ে ফিরতে চলেছেন হার্দিক। ভারতীয় এই ক্রিকেটারকে বিশাল টাকা অফার করছে মুম্বই।
ওই ক্রিকেট পোর্টালের খবর, হার্দিকের কাছে ইতিমধ্যেই নাকি ১৫ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তাঁর বেতন-সহ বাকি সুবিধা। ওই ক্রিকেট পোর্টালের খবরকে এখনও পর্যন্ত অস্বীকার করেনি গুজরাত।
উল্লেখ্য পায়ের চোটের কারণে, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের মাঝপথেই ছিটকে গিয়েছিলেন হার্দিক। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। কারণ, ডিসেম্বরের গোড়াতেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন হার্দিক।
রেশন দুর্নীতিতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর এবার পুর নিয়োগ মামলাতেও তৎপর কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। ২২ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে, এখনও ইডি দফতরে রয়েছেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। শুক্রবার সকাল ১১ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-দফতরে পৌঁছন গোপাল সাহা। তারপর থেকে দফায় দফায় তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে সূত্রের খবর। শনিবার সকালে তাঁকে বেরতে দেখা যায়নি। এর আগেও গোপাল সাহাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গোপাল সাহার কাছ থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য় পাওয়া যাবে বলেই অনুমান তদন্তকারী অফিসারদের।
এর আগে দুর্গা পুজোর ষষ্ঠীর দিনও তলব করা হয়েছিল গোপাল সাহাকে। সে দিন ১১ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। গত ৫ অক্টোবর দক্ষিণ দমদম, বরাহনগরের পাশাপাশি কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার বাড়িতেও ইডি তল্লাশি চালায়। যদিও গোপাল সাহা বারবার দাবি করেছেন, পুর দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই।
উল্লেখ্য, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর সামনে আসে পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। আদালত সেই মামলার দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। তদন্তকারীদের অনুমান, উত্তর ২৪ পরগনারই ১২ থেকে ১৪টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। অন্যদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস ও রয়েছেন ইডি দফতরে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাঁর। শুক্রবার বিকেল নাগাদ হাজিরা দেন অভিজিৎ। প্রায় ১২ ঘন্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে।
পুরনিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে তেঁড়ে ফুঁড়ে ময়দানে নেমেছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশের পরেই কোন কোন পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে তা জানতে একযোগে ১৪ টি পুরসভায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। কোন কোন পুরসভায় নিয়োগের জন্য বরাত পেয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন, সেই ক্ষেত্রে কতটা দুর্নীতি হয়েছে সব খতিয়ে দেখতে ১৪ টি পুরসভা থেকে সংগ্রহ করেছিল নিয়োগ সংক্রান্ত বেশকিছু নথিপত্র। এবার সেই নথিপত্র খতিয়ে দেখেই তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুরনিয়োগেও যে দুর্নীতি হয়েছে তা জানা গিয়েছিল প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় অন্যতম ধৃত অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে। জানা গিয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজেনকে বরাত দেওয়া হয়েছিল একাধিক পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রে। সেখানেই হয়েছে দুর্নীতি। এর আগেই নাম উঠে এসেছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভার। এবার উঠে আসল বরাহনগর পুরসভার নাম।
সিবিআই সূত্রে খবর বরাহনগর পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে দু দফায়, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে। এক্ষেত্রে নিয়োগের বরাত দেওয়া হয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজনকে। সিবিআই এর হাতে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চ্যলকর তথ্য দু দফায় নিয়োগ করা হয়েছিল ২৮০ জনকে। এই ২৮০ জনের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার। শুধু তাই নয় এদের মধ্যে একজন অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার ছেলেও রয়েছে। এই সমস্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই বরাহনগর পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের ৩২ জন কর্মীকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ। ২০-২৯ সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ। এবিএস ইনফোজনের মাধ্যমে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে? কোন কোন পদে নিয়োগ করা হয়েছে ? টাকা নিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে কিনা? নিয়োগের ক্ষেত্রে অয়ন শীলের ভূমিকা কতটা, নাকি রয়েছে অন্য কোনও বড়ো মাথা, সব জানতেই এবার ময়দানে সিবিআই।
রাজ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সাঁড়াশি চাপে কামারহাটি পুরসভা। সূত্রের খবর, গতবার ১৮ কর্মীকে তলব করা হলেও এবার ওই পুরসভার ৩৪ জন কর্মীকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের তলবের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন পুরসভার কর্মীরা। আবার সেই পুরসভার কর্মীদের তলব করা হল।
এ বিষয়ে পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘সিবিআইয়ের নির্দেশ মতো পুরসভার কর্মীরা সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন। পাশাপাশি, সিবিআই যে সমস্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে, সেই সব নথিও পাঠানো হয়েছে। এর পরেও যা যা নির্দেশ আসবে, আমরা মেনে চলব।’ প্রসঙ্গত, কামারহাটি তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের বিধানসভা কেন্দ্র। এর আগে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযানের অভিযোগ তুলে পুরসভায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় ধৃত অয়ন শীলের একটি সংস্থার মাধ্যমে ওই ১৪টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। তাদের দাবি, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালানোর সময়েই নথি সংগ্রহ এবং আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মূলত ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পুরসভাগুলিতে নিয়োগের পদ্ধতি এবং নির্দেশিকার নথি যাচাই করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ২০১৭-এ অয়নের সংস্থা বরাহনগর পুরসভায় প্রথম নিয়োগের বরাত পায়। ২০১৮-২০১৯ নাগাদ নিয়োগের পরীক্ষা হয়। অভিযোগ, তাতে পুরসভার কাউন্সিলরদের একাংশের নিকটাত্মীয়দের চাকরি হয়েছে বিভিন্ন পদে। মজদুর পদে কাজে যোগ দিয়ে কেউ কেউ পুর-প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনাচক্রে, ধৃত অয়নের সূত্রেই তাঁর পরিচিত শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম উঠে এসেছিল। সেই শ্বেতা কামারহাটি পুরসভাতেই চাকরি করেন। অয়নের সূত্রে শ্বেতার নাম উঠে আসার পর পুরসভায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন মদন।
পুরনিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে ফের তৎপর সিবিআই। বরাহনগর পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকদের তলব করল সিবিআই। গত ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার থেকে ডেকে পাঠানো কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই পুরসভার ৩২ কর্মীকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওদিকে সিবিআই সূত্রের খবর, পুর-নিয়োগ দুর্নীনিতে বরাহনগর-সহ কামারহাটি, পানিহাটি এই পুরসভাগুলিও রয়েছে সিবিআই স্ক্যানারে।
উল্লেখ্য শহর থেকে জেলা, রাজ্যজুড়ে ১৪টি পুরসভাতে একযোগে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে শুরু করে, দমদম, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, চুঁচুড়া, হালিশহর, বরাহনগর-সহ একাধিক পুরসভায় দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতেই একযোগে হানা দেয় সিবিআই। পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখতেই মূলত এই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।
প্রসঙ্গত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পরেই সামনে এসেছে পুরনিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ। আর এরপরই কোমর বেঁধে নামে সিবিআই। কীভাবে হয়েছে পুুর নিয়োগে দুর্নীতি? অয়ন শীল ছাড়া আর কে কে যুক্ত আছে এই দুর্নীতিতে ? কোন কোন পুরসভাতে কবে থেকে এই নিয়োগ দুর্নীতি শুরু হয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে আবারও ম্যারাথন গতিতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই।
ঝালদা বিতর্কের ঝাঁঝ কমছে না কিছুতেই, বরং বাড়ছে উত্তরোত্তর। বিস্তর স্ট্র্যাটেজির পর ঝালদার কুর্সিতে এখন তৃণমূল। আর তৃণমূলের ছোঁয়া লাগতেই ঝালদা পুরসভায় গেল ইডির নোটিস! এবার নিয়োগ দুর্নীতির গ্যাঁড়াকলে ঝালদা পুরসভা? ২০১৪ থেকে এখনও পর্যন্ত স্থায়ী, অস্থায়ী যাবতীয় নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
একটি মৃত্যু থেকে ঝালদার অস্থিরতার শুরুয়াত। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুন ঘুরিয়ে দেয় ঝালদার রাজনীতি। কখনও কংগ্রেসের পাল্লা ভারী, কখনও তৃণমূলের। এরপর হাইকোর্টের অর্ডারে ঝালদার কুর্সি পেয়েও ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। তৃণমূলে যোগদানকারী দলবদলু ৪ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং পুর প্রধানের দৌলতে ঝালদা পুরসভা এখন ঘাসফুল শিবিরের। কিন্তু সেই জয়ের সপ্তাহ খানেকের মাথাতেই ঝালদার শিয়রে ইডির শমন। আগেও একবার ইডির নোটিস পেয়েছে ঝালদা পুরসভা। কিন্তু এবারের নোটিসের ১ সপ্তাহের মধ্যে ২০১৪ থেকে দায়িত্বে থাকা পুরপ্রধান, নির্বাহী আধিকারিক সহ পুরকর্মীদের নাম, ফোন নম্বর, নিয়োগকারীদের বায়োডেটা সহ সমস্ত নথি ইডির কাছে পাঠানোর নির্দেশ।
নিয়োগে গ্যাঁড়াকল হলে তৃণমূলের আমলেই হয়েছে, অভিযোগ জেলা কংগ্রেস সভাপতির। পাশাপাশি প্রত্যেকটি সরকারি ক্ষেত্র যেন দুর্নীতির আখড়া! ঝালদা পুরসভাই বা বাদ যাবে কেন? এখানেও কেন্দ্রের প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে বিজেপি। নিয়োগকাণ্ডের ডেভেলপার অয়ন শীলের হাত ধরে পুর দুর্নীতির নতুন চ্যাপ্টার দেখেছে বাংলা। হিমশৈলের বাকি অংশের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তবে যে ঝালদা নিয়ে এত লড়াই, এত দরাদরি, সেই পুরসভাও এবার তদন্তের স্ক্যানারে! এখনও কি ঝালদা নিয়ে রাজনীতির টানাপোড়েন চলবে? নাকি এবার দায় ঝাড়ার পালা?
ঝালদা পুরসভা ফের তৃণমূলের দখলে। বুধবার রাতে কংগ্রেস থেকে পাঁচজন তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর মধ্যে রয়েছেন নিহত প্রাক্তন কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপোও। উল্লেখ্য, পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে তৃণমূল মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস । এবার সেটাই সত্যি হল। কংগ্রেসের থেকে ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।
বুধবার রাতে তৃণমূলে যোগ দেন ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি বিজয় কান্দু, মিঠুন কান্দু, পিন্টু চন্দ্র এবং সোমনাথ কর্মকার। মিঠুন হলেন তপন কান্দুর ভাইপো। এদিন, তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো।
কংগ্রেস থেকে কেন আবার তৃণমূলে ? শীলা চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু জানাচ্ছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়নি। পরিবার থেকে যা অভিযোগ জানানোর, তা জানানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। তদন্ত তদন্তের মতো চলুক। যারা দোষী, তারা সাজা পাবে।
অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হল রিঙ্কু সিং-এর (Rinku Singh) ! প্রত্যেক ভারতীয় ক্রিকেটারের যে স্বপ্ন থাকে, টিম ইন্ডিয়ার সেই নীল জার্সি এবার গায়ে উঠল রিঙ্কু সিং-এর। চলতি বছরের আইপিএলে (IPL) কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) হয়ে দুর্ধর্ষ ফর্মে ছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই তরুণ ক্রিকেটার। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর নাম।
উল্লেখ্য, আয়ারল্যান্ডের মাঠে শুক্রবার ক্যাপ্টেন বুমরার ভারত। কলকাতা কিন্তু তাকিয়ে একজনের দিকে। তিনি রিঙ্কু সিং। এশিয়ান গেমসের আগে এই সিরিজেই তাঁর গায়ে উঠতে পারে ভারতের জার্সি। বুমরার যুবদলে অন্যতম ভরসার নাম উত্তরপ্রদেশের এই বাঁ-হাতি।
আয়ারল্যান্ড যাওয়ার পথেই মুখোমুখি হয়েছিল দুই নবাগত রিঙ্কু এবং উইকেট-কিপার ব্যাটার জিতেশ শর্মা। টুইটারে সেই ভিডিও শেয়ার করেছে বিসিসিআই। তাতে রিঙ্কু জানিয়েছেন, ভারতীয় দলের ডাক পাওয়ার খবর শুনে তিনি বেশ অবাক হয়েছিলেন।
রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। এর মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ হাওড়া পুরসভা গুলি। ইতিমদ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে পড়েন গিয়েছে প্রায় ৮ জনের, পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে পুর এলাকা গুলি ও শহরতলি এলাকাগুলিতে বহু মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত। এবার তা রুখতে কড়া পদক্ষেপ হাওড়া পুরসভার। জল জমিয়ে রাখার জন্যে দেড় হাজার বাড়িতে নোটিশ পাঠাল হাওড়া পুরসভা। ইতিমধ্যে নোটিশের সদুত্তর না দেওয়ায় ৫০টি পরিবারের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছে পুরসভা।
বুধবার ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন পুর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে হাওড়া পুরসভা। একইসঙ্গে তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাস থেকে ৭০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে, কেউ মারা যায়নি। তবে পুর কমিশনারের দাবি, গত বছর এই সময় ১২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও এই বছর সংখ্যাটা অনেকটাই কম।
পাশাপাশি রাজ্যে অন্যান্য পুরসভা গুলিও ডেঙ্গি রুখতে যথেষ্ট সচেতন। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, বিধাননগর পুর এলাকা গুলিতে নিয়মিত মশা মারার তেল, স্প্রে করে পরিস্থিতির মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডেঙ্গি সচেতনতায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও কোমর বেঁধে পথে নেমেছে।
অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা (Sonakshi Sinha), জীবন উপভোগ করতে বিশ্বাসী। অভিনয় জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনেও নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন। সম্প্রতি নিজের জন্য একটি আবাসন কিনেছেন। এবার তিনি বেরিয়ে পড়েছেন অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ গ্রহণ করতে। সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি। সেই ভিডিওতেই অভিনেত্রীর মুহূর্তযাপন ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
সোনাক্ষী ঠিক কোথায় ঘুরতে গিয়েছেন, সে কথা লেখেননি সামাজিক মাধ্যমে। তবে তাঁকে দেখা গিয়েছে জিপ লাইনিং করতে। চারপাশ ঘেরা ঘন জঙ্গলে, তার মাঝেই তার বেয়ে এগিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। মাঝপথে আবার খানিকটা স্পাইডারম্যানের অন্দাজে ঝুলে পড়েছেন। ভিডিওর আবহে শোনা গিয়েছে 'স্পাইডারম্যান' গান। মাঝপথে তার ধরে আবার উলটেও গিয়েছেন অভিনেত্রী।
বর্তমানে অভিনেত্রী একটু ঝাড়া হাত পা হয়েছেন। কিছুদিন আগেই ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ক্রাইম থ্রিলার 'দাহার'। অভিনয়ে সোনাক্ষী বেশ পরিণত হয়েছেন। প্রবল প্রশংসা কুড়িয়েছেন সেই সিরিজের পর। বর্তমানেও হাতে বেশ কিছু কাজ রয়েছে সোনাক্ষীর। ব্যস্ততার মাঝেই খুঁজে নিচ্ছেন অবকাশ সময়।
আইপিএল (IPL) ফাইনালেই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। এবার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে চান প্রাক্তন ক্রিকেটার অম্বাতি রায়াডু (Ambati Rayadu)। নিজের জেলা গুন্টুরে (Guntur) চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। রাজনীতিতে (Politics) নামার ব্লু-প্রিন্টও তৈরি করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের সব জেলায় গিয়ে ঘুরছেন রায়াডু। মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের রায়াডু জানিয়েছেন, মানুষের সেবা করতেই রাজনীতিতে যোগ দিতে চান তিনি। পোক্ত পরিকল্পনা করে রাজনীতির ময়দানে নামতে চান তিনি। কোন দলে যোগ দেবেন, তা যদিও ঠিক করেননি রায়াডু। তবে মনে করা হচ্ছে, অন্ধ্র্রের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসেই যোগ দেবেন।
সম্প্রতি, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডির সঙ্গে দুবার দেখা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী চান, লোকসভা নির্বাচনেই লড়াই শুরু করুক রায়াডু। বিধানসভা না লোকসভা থেকে রাজনৈতিক জীবন শুরু করবেন, তা যদিও স্পষ্ট নয়। লোকসভায় দাঁড়ালে মছলিপত্তনম কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পারেন তিনি।
পুরসভা (Municiplity) দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বহাল থাকল সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
রাজ্যের পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই মামলার রায়ে ২১ শে এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম করে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যের এই ভূমিকায় হাইকোর্ট অসন্তুষ্ট হয়। সেকারণে শীর্ষ আদালত থেকে স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য। যদিও হাইকোর্টে এই মামলার রায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দিলেও পরে মামলাটি সরে আসে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।
৭ জুন থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। দুই দলই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের জন্য মুখিয়ে। ২০২৩ মরশুমে টেবিলের সবথেকে উপরে শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স মনে করছেন, আইপিএলের মানসিকতা ছেড়ে এবার বেরিয়ে আসতে হবে। আরও বেশি নিজেদের দেশের জন্য প্রস্তুত হবে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আইপিএলের দাপট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। কামিন্স মনে করেন, এক দশক আগে থেকে আইপিএল ক্রিকেটকে বদলানো শুরু করেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। তারও প্রশংসা করেছেন কামিন্স। তিনি মনে করেন, আইপিএলের দাপটে আন্তর্জাতিক সূচি পরিবর্তিত হচ্ছে। গত বছরেও কেকেআরের হয়ে নামেন প্যাট কামিন্স। এবার ছিলেন না তিনি।
কামিন্স চান, তাঁর সতীর্থরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের থেকে দেশে খেলার বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিন। যদিও কামিন্স মনে করেন, আইপিএলের লোভনীয় প্রস্তাব ফেরানোও সম্ভব নয়। তবে দেশের জন্য বিশ্বকাপ জয়, বা বড় সিরিজ জয়কে গুরুত্ব দিতে চান কামিন্স।
সদ্য শেষ হল আইপিএল (IPL)। এবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (Test Championship) ফাইনাল। টানা খেলা চলছে, বিশ্রামই পাচ্ছেন না ভারতীয় দলের (Indian Team) ক্রিকেটাররা। তবে, কোহলি, রোহিত শর্মাদের জন্য একটাই স্বস্তির খবর যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা। ১১ জুনের পর থেকে টানা একমাস ছুটি ভারতীয় দলের। তারপর আগামী কয়েকমাস আবার টানা খেলতে হবে।
বিসিসিআই-এর তরফে ভারতীয় দলের যে সূচি, তাতে জানা গিয়েছে, টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষ হচ্ছে ১১ জুন। তারপর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোনও খেলা নেই। একমাসের অবসর পাবে ভারতীয় দল। ১২ জুলাই আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। সেখানে দু’টি টেস্ট, তিনটি এক দিনের ম্যাচ এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত।
অগস্টে আবার রয়েছে এশিয়া কাপ। তারপর ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এক দিনের বিশ্বকাপ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। অর্থাৎ জানুয়ারি পর্যন্ত পর পর ম্যাচ রয়েছে ভারতীয় দলের।
অবসর যে নিচ্ছেন না সেটা আগেই জানিয়েছিল চেন্নাই (CSK) অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (MSD)। পঞ্চমবার আইপিএল জিতে মাঠে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তারপরেও মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর চেন্নাই দলে বদলে যেতে পারে তাঁর ভূমিকা। কারণ, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে পারেন ধোনি। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাঁকে কতদিনের বিশ্রামের কথা বলবেন, মূলত তার উপরেই নির্ভর করছে ধোনির মাঠে ফেরা। যদিও ধোনি নিজে দাবি করেছেন, তাঁর হাতে এখনও আট থেকে নয় মাস সময় আছে। তবুও, আগামী বছর মাঠ না ডাগআউট, কোথায় থাকবেন ধোনি, সেই আগ্রহ এখন থেকেই তৈরি হল।
হাঁটুর ব্যথা নিয়ে এই মরশুমে পুরো আইপিএল খেলছেন ধোনি। একবারের জন্য বুঝতে দেন চোটের কথা। তাঁর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, বারবার তা সুকৌশলে এড়িয়েছেন ধোনি। তবে ফাইনালের দিন সবাইকে চমকে দিয়ে হঠাৎ করেই চার নম্বরে ব্যাট করতে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। আমেদাবাদের ৭৫ হাজার দর্শক কার্যত স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। শূন্য করলেও, দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
ধোনির সংস্থা থেকেই দাবি করা হয়েছে, আর নয়। এবার সত্যিই হাঁটুর চিকিৎসা করাবেন ধোনি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই মুম্বইয়ে হতে পারে তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার। তারপরেই ঠিক হবে মাঠ না মাঠের বাইরে কোথায় দেখা যাবে ধোনিকে।