
পুরনিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে ফের তৎপর সিবিআই। বরাহনগর পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকদের তলব করল সিবিআই। গত ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার থেকে ডেকে পাঠানো কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই পুরসভার ৩২ কর্মীকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওদিকে সিবিআই সূত্রের খবর, পুর-নিয়োগ দুর্নীনিতে বরাহনগর-সহ কামারহাটি, পানিহাটি এই পুরসভাগুলিও রয়েছে সিবিআই স্ক্যানারে।
উল্লেখ্য শহর থেকে জেলা, রাজ্যজুড়ে ১৪টি পুরসভাতে একযোগে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে শুরু করে, দমদম, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, চুঁচুড়া, হালিশহর, বরাহনগর-সহ একাধিক পুরসভায় দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতেই একযোগে হানা দেয় সিবিআই। পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখতেই মূলত এই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।
প্রসঙ্গত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পরেই সামনে এসেছে পুরনিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ। আর এরপরই কোমর বেঁধে নামে সিবিআই। কীভাবে হয়েছে পুুর নিয়োগে দুর্নীতি? অয়ন শীল ছাড়া আর কে কে যুক্ত আছে এই দুর্নীতিতে ? কোন কোন পুরসভাতে কবে থেকে এই নিয়োগ দুর্নীতি শুরু হয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে আবারও ম্যারাথন গতিতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই।
ঝালদা বিতর্কের ঝাঁঝ কমছে না কিছুতেই, বরং বাড়ছে উত্তরোত্তর। বিস্তর স্ট্র্যাটেজির পর ঝালদার কুর্সিতে এখন তৃণমূল। আর তৃণমূলের ছোঁয়া লাগতেই ঝালদা পুরসভায় গেল ইডির নোটিস! এবার নিয়োগ দুর্নীতির গ্যাঁড়াকলে ঝালদা পুরসভা? ২০১৪ থেকে এখনও পর্যন্ত স্থায়ী, অস্থায়ী যাবতীয় নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
একটি মৃত্যু থেকে ঝালদার অস্থিরতার শুরুয়াত। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুন ঘুরিয়ে দেয় ঝালদার রাজনীতি। কখনও কংগ্রেসের পাল্লা ভারী, কখনও তৃণমূলের। এরপর হাইকোর্টের অর্ডারে ঝালদার কুর্সি পেয়েও ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। তৃণমূলে যোগদানকারী দলবদলু ৪ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং পুর প্রধানের দৌলতে ঝালদা পুরসভা এখন ঘাসফুল শিবিরের। কিন্তু সেই জয়ের সপ্তাহ খানেকের মাথাতেই ঝালদার শিয়রে ইডির শমন। আগেও একবার ইডির নোটিস পেয়েছে ঝালদা পুরসভা। কিন্তু এবারের নোটিসের ১ সপ্তাহের মধ্যে ২০১৪ থেকে দায়িত্বে থাকা পুরপ্রধান, নির্বাহী আধিকারিক সহ পুরকর্মীদের নাম, ফোন নম্বর, নিয়োগকারীদের বায়োডেটা সহ সমস্ত নথি ইডির কাছে পাঠানোর নির্দেশ।
নিয়োগে গ্যাঁড়াকল হলে তৃণমূলের আমলেই হয়েছে, অভিযোগ জেলা কংগ্রেস সভাপতির। পাশাপাশি প্রত্যেকটি সরকারি ক্ষেত্র যেন দুর্নীতির আখড়া! ঝালদা পুরসভাই বা বাদ যাবে কেন? এখানেও কেন্দ্রের প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে বিজেপি। নিয়োগকাণ্ডের ডেভেলপার অয়ন শীলের হাত ধরে পুর দুর্নীতির নতুন চ্যাপ্টার দেখেছে বাংলা। হিমশৈলের বাকি অংশের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তবে যে ঝালদা নিয়ে এত লড়াই, এত দরাদরি, সেই পুরসভাও এবার তদন্তের স্ক্যানারে! এখনও কি ঝালদা নিয়ে রাজনীতির টানাপোড়েন চলবে? নাকি এবার দায় ঝাড়ার পালা?
ঝালদা পুরসভা ফের তৃণমূলের দখলে। বুধবার রাতে কংগ্রেস থেকে পাঁচজন তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর মধ্যে রয়েছেন নিহত প্রাক্তন কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপোও। উল্লেখ্য, পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে তৃণমূল মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস । এবার সেটাই সত্যি হল। কংগ্রেসের থেকে ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।
বুধবার রাতে তৃণমূলে যোগ দেন ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি বিজয় কান্দু, মিঠুন কান্দু, পিন্টু চন্দ্র এবং সোমনাথ কর্মকার। মিঠুন হলেন তপন কান্দুর ভাইপো। এদিন, তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো।
কংগ্রেস থেকে কেন আবার তৃণমূলে ? শীলা চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু জানাচ্ছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়নি। পরিবার থেকে যা অভিযোগ জানানোর, তা জানানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। তদন্ত তদন্তের মতো চলুক। যারা দোষী, তারা সাজা পাবে।
অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হল রিঙ্কু সিং-এর (Rinku Singh) ! প্রত্যেক ভারতীয় ক্রিকেটারের যে স্বপ্ন থাকে, টিম ইন্ডিয়ার সেই নীল জার্সি এবার গায়ে উঠল রিঙ্কু সিং-এর। চলতি বছরের আইপিএলে (IPL) কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) হয়ে দুর্ধর্ষ ফর্মে ছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই তরুণ ক্রিকেটার। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর নাম।
উল্লেখ্য, আয়ারল্যান্ডের মাঠে শুক্রবার ক্যাপ্টেন বুমরার ভারত। কলকাতা কিন্তু তাকিয়ে একজনের দিকে। তিনি রিঙ্কু সিং। এশিয়ান গেমসের আগে এই সিরিজেই তাঁর গায়ে উঠতে পারে ভারতের জার্সি। বুমরার যুবদলে অন্যতম ভরসার নাম উত্তরপ্রদেশের এই বাঁ-হাতি।
আয়ারল্যান্ড যাওয়ার পথেই মুখোমুখি হয়েছিল দুই নবাগত রিঙ্কু এবং উইকেট-কিপার ব্যাটার জিতেশ শর্মা। টুইটারে সেই ভিডিও শেয়ার করেছে বিসিসিআই। তাতে রিঙ্কু জানিয়েছেন, ভারতীয় দলের ডাক পাওয়ার খবর শুনে তিনি বেশ অবাক হয়েছিলেন।
রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। এর মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ হাওড়া পুরসভা গুলি। ইতিমদ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে পড়েন গিয়েছে প্রায় ৮ জনের, পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে পুর এলাকা গুলি ও শহরতলি এলাকাগুলিতে বহু মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত। এবার তা রুখতে কড়া পদক্ষেপ হাওড়া পুরসভার। জল জমিয়ে রাখার জন্যে দেড় হাজার বাড়িতে নোটিশ পাঠাল হাওড়া পুরসভা। ইতিমধ্যে নোটিশের সদুত্তর না দেওয়ায় ৫০টি পরিবারের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছে পুরসভা।
বুধবার ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন পুর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে হাওড়া পুরসভা। একইসঙ্গে তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাস থেকে ৭০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে, কেউ মারা যায়নি। তবে পুর কমিশনারের দাবি, গত বছর এই সময় ১২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও এই বছর সংখ্যাটা অনেকটাই কম।
পাশাপাশি রাজ্যে অন্যান্য পুরসভা গুলিও ডেঙ্গি রুখতে যথেষ্ট সচেতন। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, বিধাননগর পুর এলাকা গুলিতে নিয়মিত মশা মারার তেল, স্প্রে করে পরিস্থিতির মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডেঙ্গি সচেতনতায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও কোমর বেঁধে পথে নেমেছে।
অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা (Sonakshi Sinha), জীবন উপভোগ করতে বিশ্বাসী। অভিনয় জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনেও নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন। সম্প্রতি নিজের জন্য একটি আবাসন কিনেছেন। এবার তিনি বেরিয়ে পড়েছেন অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ গ্রহণ করতে। সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি। সেই ভিডিওতেই অভিনেত্রীর মুহূর্তযাপন ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
সোনাক্ষী ঠিক কোথায় ঘুরতে গিয়েছেন, সে কথা লেখেননি সামাজিক মাধ্যমে। তবে তাঁকে দেখা গিয়েছে জিপ লাইনিং করতে। চারপাশ ঘেরা ঘন জঙ্গলে, তার মাঝেই তার বেয়ে এগিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। মাঝপথে আবার খানিকটা স্পাইডারম্যানের অন্দাজে ঝুলে পড়েছেন। ভিডিওর আবহে শোনা গিয়েছে 'স্পাইডারম্যান' গান। মাঝপথে তার ধরে আবার উলটেও গিয়েছেন অভিনেত্রী।
বর্তমানে অভিনেত্রী একটু ঝাড়া হাত পা হয়েছেন। কিছুদিন আগেই ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ক্রাইম থ্রিলার 'দাহার'। অভিনয়ে সোনাক্ষী বেশ পরিণত হয়েছেন। প্রবল প্রশংসা কুড়িয়েছেন সেই সিরিজের পর। বর্তমানেও হাতে বেশ কিছু কাজ রয়েছে সোনাক্ষীর। ব্যস্ততার মাঝেই খুঁজে নিচ্ছেন অবকাশ সময়।
আইপিএল (IPL) ফাইনালেই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। এবার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে চান প্রাক্তন ক্রিকেটার অম্বাতি রায়াডু (Ambati Rayadu)। নিজের জেলা গুন্টুরে (Guntur) চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। রাজনীতিতে (Politics) নামার ব্লু-প্রিন্টও তৈরি করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের সব জেলায় গিয়ে ঘুরছেন রায়াডু। মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের রায়াডু জানিয়েছেন, মানুষের সেবা করতেই রাজনীতিতে যোগ দিতে চান তিনি। পোক্ত পরিকল্পনা করে রাজনীতির ময়দানে নামতে চান তিনি। কোন দলে যোগ দেবেন, তা যদিও ঠিক করেননি রায়াডু। তবে মনে করা হচ্ছে, অন্ধ্র্রের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসেই যোগ দেবেন।
সম্প্রতি, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডির সঙ্গে দুবার দেখা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী চান, লোকসভা নির্বাচনেই লড়াই শুরু করুক রায়াডু। বিধানসভা না লোকসভা থেকে রাজনৈতিক জীবন শুরু করবেন, তা যদিও স্পষ্ট নয়। লোকসভায় দাঁড়ালে মছলিপত্তনম কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পারেন তিনি।
পুরসভা (Municiplity) দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বহাল থাকল সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
রাজ্যের পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই মামলার রায়ে ২১ শে এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম করে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যের এই ভূমিকায় হাইকোর্ট অসন্তুষ্ট হয়। সেকারণে শীর্ষ আদালত থেকে স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য। যদিও হাইকোর্টে এই মামলার রায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দিলেও পরে মামলাটি সরে আসে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।
৭ জুন থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। দুই দলই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের জন্য মুখিয়ে। ২০২৩ মরশুমে টেবিলের সবথেকে উপরে শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স মনে করছেন, আইপিএলের মানসিকতা ছেড়ে এবার বেরিয়ে আসতে হবে। আরও বেশি নিজেদের দেশের জন্য প্রস্তুত হবে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আইপিএলের দাপট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। কামিন্স মনে করেন, এক দশক আগে থেকে আইপিএল ক্রিকেটকে বদলানো শুরু করেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। তারও প্রশংসা করেছেন কামিন্স। তিনি মনে করেন, আইপিএলের দাপটে আন্তর্জাতিক সূচি পরিবর্তিত হচ্ছে। গত বছরেও কেকেআরের হয়ে নামেন প্যাট কামিন্স। এবার ছিলেন না তিনি।
কামিন্স চান, তাঁর সতীর্থরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের থেকে দেশে খেলার বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিন। যদিও কামিন্স মনে করেন, আইপিএলের লোভনীয় প্রস্তাব ফেরানোও সম্ভব নয়। তবে দেশের জন্য বিশ্বকাপ জয়, বা বড় সিরিজ জয়কে গুরুত্ব দিতে চান কামিন্স।
সদ্য শেষ হল আইপিএল (IPL)। এবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (Test Championship) ফাইনাল। টানা খেলা চলছে, বিশ্রামই পাচ্ছেন না ভারতীয় দলের (Indian Team) ক্রিকেটাররা। তবে, কোহলি, রোহিত শর্মাদের জন্য একটাই স্বস্তির খবর যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা। ১১ জুনের পর থেকে টানা একমাস ছুটি ভারতীয় দলের। তারপর আগামী কয়েকমাস আবার টানা খেলতে হবে।
বিসিসিআই-এর তরফে ভারতীয় দলের যে সূচি, তাতে জানা গিয়েছে, টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষ হচ্ছে ১১ জুন। তারপর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোনও খেলা নেই। একমাসের অবসর পাবে ভারতীয় দল। ১২ জুলাই আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। সেখানে দু’টি টেস্ট, তিনটি এক দিনের ম্যাচ এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত।
অগস্টে আবার রয়েছে এশিয়া কাপ। তারপর ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এক দিনের বিশ্বকাপ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। অর্থাৎ জানুয়ারি পর্যন্ত পর পর ম্যাচ রয়েছে ভারতীয় দলের।
অবসর যে নিচ্ছেন না সেটা আগেই জানিয়েছিল চেন্নাই (CSK) অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (MSD)। পঞ্চমবার আইপিএল জিতে মাঠে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তারপরেও মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর চেন্নাই দলে বদলে যেতে পারে তাঁর ভূমিকা। কারণ, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে পারেন ধোনি। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাঁকে কতদিনের বিশ্রামের কথা বলবেন, মূলত তার উপরেই নির্ভর করছে ধোনির মাঠে ফেরা। যদিও ধোনি নিজে দাবি করেছেন, তাঁর হাতে এখনও আট থেকে নয় মাস সময় আছে। তবুও, আগামী বছর মাঠ না ডাগআউট, কোথায় থাকবেন ধোনি, সেই আগ্রহ এখন থেকেই তৈরি হল।
হাঁটুর ব্যথা নিয়ে এই মরশুমে পুরো আইপিএল খেলছেন ধোনি। একবারের জন্য বুঝতে দেন চোটের কথা। তাঁর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, বারবার তা সুকৌশলে এড়িয়েছেন ধোনি। তবে ফাইনালের দিন সবাইকে চমকে দিয়ে হঠাৎ করেই চার নম্বরে ব্যাট করতে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। আমেদাবাদের ৭৫ হাজার দর্শক কার্যত স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। শূন্য করলেও, দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
ধোনির সংস্থা থেকেই দাবি করা হয়েছে, আর নয়। এবার সত্যিই হাঁটুর চিকিৎসা করাবেন ধোনি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই মুম্বইয়ে হতে পারে তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার। তারপরেই ঠিক হবে মাঠ না মাঠের বাইরে কোথায় দেখা যাবে ধোনিকে।
শেষ ২ বলে বাকি ছিল ১০ রান। গ্যালারিতে তখন প্রার্থনা করছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MSD)। একটি ৬ ও একটি ৪। খেলা শেষ করেন 'জাদুকর' জাদেজা (Jadeja)। ডাগআউটে জাদেজাকে কোলে তুলে নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। মঙ্গলবার সকালে ধোনিকে নিয়ে একটি টুইট করেন জাড্ডু। সঙ্গে পোস্ট করলেন ড্রেসিংরুমের ছবি।
জাদেজা টুইটে লেখেন, "আমরা এক এবং একমাত্র ধোনির জন্য এটা করেছি। মাহি ভাই, তোমার জন্য সবকিছু দেওয়া যায়।" জাদেজার এই টুইট মন ছুঁয়ে যায় আপামর ক্রিকেটপ্রেমীদের। টুইটের সঙ্গে ট্রফি হাতে স্ত্রী ও মাহির সঙ্গে একটি ড্রেসিংরুমের ছবিও পোস্ট করেন। পাশাপাশি সেই ডাগআউটে ধোনির উচ্ছ্বাসের ছবিও ও দুই তারকার ছবিও পোস্ট করেন জাড্ডু।
প্লে-অফের আগেই ধোনি ও জাদেজার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। ফাইনালে টিমকে জেতানোর পর, সেই জল্পনার অবসান ঘটল। ধোনির জন্য তিনি কী করতে পারেন, দেখালেন জাদেজা।
বৃষ্টির জন্য রবিরার ভেস্তে গিয়েছিল আইপিএল-এর ফাইনাল ম্যাচ (IPL Final Match)। ফলে সোমবার গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans) ও চেন্নাই সুপার কিং-এর (Chennai Super King) খেলা দেখতে মুখিয়ে বসেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এরপর অবশেষে সোমবার ধোনি ও পান্ডিয়ার খেলা দেখতে পারলেন ভারতবাসী। কিন্তু এই খেলা দেখার মধ্যেই আরও এক কাণ্ড ঘটে গেল, যা নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। সোমবার ম্যাচ চলাকালীন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা সুইগি এমন এক মজাদার টুইট করেছে, যা এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। 'সুইগি' থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাচের দিন যেমন বিক্রি হয়েছে বিরিয়ানি (Biryani), তেমনি দেদার বিক্রি হয়েছে কন্ডোম। ফলে সমাজমাধ্যমে ঠাট্টা-মশকরা করে নেটিজেনরা বলছেন, 'প্রকৃতপক্ষে কে জিতল ধোনি না বিরিয়ানি?'
সোমবার ম্যাচ চলাকালীন সুইগি টুইট করে জানিয়েছে, 'এই মরশুমে সবথেকে বেশি অর্ডার করা খাবারের মধ্যে ট্রফি জিতেছে বিরিয়ানি। প্রতি মিনিটে ২১২ টি প্লেট অর্ডার করা হয়েছে বিরিয়ানি। মোট ১২ মিলিয়নের মতো বিরিয়ানি প্লেটের অর্ডার এসেছে।' আবার সুইগি থেকে আরও একটি টুইট করা হয়েছে, যেখানে লেখা রয়েছে, '২৪২৩ টি কন্ডোম সুইগির মাধ্যমে ডেলিভার করা হয়েছে। মনে হচ্ছে, আজকের এই ২২ জন খেলোয়াড় ছাড়াও আরও অনেক খেলোয়াড় রয়েছে।' আর এই টুইট নেটাগরিকদের নজরে আসতেই ঠাট্টা-মশকরায় মেতেছে নেটিজেনরা।
প্রসূন গুপ্ত: সোমবার বৃষ্টির সাথে এবং আহমেদাবাদের গুজরাত টাইটন্সের সঙ্গে লড়াই করে আবার টাটা আইপিএল কাপ এলো মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে। এই নিয়ে পঞ্চমবার ট্রফি জিতলো চেন্নাই সুপার কিংস। বিশেষজ্ঞ মহলের মুখে ফের ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) প্রশংসা। হবে নাই বা কেন মাহি বারবার প্রমাণ করেছে দল ততটাই ভালো যতটা অধিনায়ক (Captain)।
অতি সাধারণ পরিবার থেকে ক্রিকেটে এসেছিলেন ধোনি। আসাই হতো না যদি না রাঁচি অধিবাসী এক অজানা বাঙালি না থাকতেন। বাবার তো মতই ছিল না। তাঁর বক্তব্য ছিল ছাপোষা পরিবারের ছেলে রেলে যা হোক একটা চাকরি করবে। এ ছাড়া ঝাড়খন্ডের মতো রাজ্য থেকে কে আবার ক্রিকেটার হয়েছে। কিন্তু ধোনির জেদ ও অধ্যাবসায় তাঁকে ক্রিকেট দুনিয়ায় স্বর্ণমুকুট পরিয়েছে।
২০০৪ এ একদিবসীয়তে আবির্ভাব এবং টেষ্ট দলে আসা পরের বছর। ৯০টি টেষ্ট খেলেছেন। অনায়াসেই শততম টেষ্ট অবধি যেতেই পারতেন কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় আচমকাই সরে দাঁড়ালেন। এর আগে নেতৃত্বও ছেড়েছিলেন। তবে একদিবসীয়তে রয়ে গেলেন। ২০১৯ এর পরে তাও ছেড়ে দিলেন। রইলো হাতে চেন্নাই সুপার কিংস।
রেকর্ড বইয়ে তাকালে যেমন প্রচুর রান রয়েছে তেমন উইকেটের পিছনে থেকে কেরামতিও প্রচুর। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত তাঁর নেতৃত্বে টি২০ এবং একদিবসীয়তে। এই রেকর্ড আর কারুর নেই।
ঠান্ডা মাথায় সহ খেলোয়ারদের চনমনে রাখতে পেরেছিলেন। কোনও খেলাতে তাঁকে কেউ মাথা গরম বা উত্তেজিত হতে দেখে নি। ক্যাপ্টেন কুল নাম হয়ে গিয়েছিল তাঁর। একটা সময়ে ভারত টেষ্টেও সেরা ছিল কিন্তু তখনও টেষ্টের বিশ্বকাপ ছিল না।
সোমবার ফের তাঁর নেতৃত্বে ট্রফি আসলো। ইদানিং তাঁর ব্যাটিংটি নষ্ট হয়ে গেছে কিন্তু কিপিং , স্ট্যাম্পিং আজও অসাধারণ। সোমবার তড়িৎ গতিতে গেলকে স্ট্যম্প করে অনেকটাই স্বস্তি দিলেন দলকে। ক্রমাগত মিস ফিল্ডিং হয়েছে, ক্যাচ পরেছে। ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে ভুরু কোঁচকাচ্ছেন ধোনি। ব্যস ঐ অবধি। সামনের বছর আইপিএল খেলবেন কিনা জানা নেই তবে ধোনি যে কোনও মাঠে থাকলে গ্রাউন্ড ফুল হবে তা বাস্তব।
রাজ্যের পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার আরও তৎপর হল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED)। মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, কোন পুরসভায় (Municiplity) কত নিয়োগ হয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে রাজ্যের পুর ও নগরোয়ন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) দফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মূলত, সল্টলেক থেকে গ্রেফতার প্রমোটার অয়ন শীলকে জেরা করে এই ব্যাপারে অনেক তথ্য তাদের হাতে এসেছে বলেই দাবি ইডির। এই মামলায় ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই।
সম্প্রতি স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রমোটার অয়ন শীলকে। তাঁকে জেরা করেই মূলত উঠে এসেছিল পুরসভায় নিয়োগে গড়মিলের তথ্য। কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরাহনগর-সহ বহু পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে ইডির তরফে।
নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।