অবশেষে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হল রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি)। পিএসসি-র নতুন চেয়ারম্যান হলেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার তাঁকে নিয়োগ করা হয়। নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কি গতি আসবে? আশায় চাকরিপ্রার্থীরা।
রাজ্যের তরফে পিএসসি চেয়ারম্যান পদে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। রাজ্য সরকারের সেই প্রস্তাবে মঙ্গলবার অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। নিয়োগ দুর্নীতির কারণে অপসারণ করা হয়েছিল পিএসসি- র চেয়ারম্যানকে। দীর্ঘদিন পদটি শূন্য পড়ে ছিল। ফাঁকা রয়েছে বেশ কয়েকজন আধিকারিকের পদও। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ এবং প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না পিএসসি, তারই অবসান চেয়ে সরকারকে চিঠিও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। গত ১৮ জানুয়ারি রাজভবন থেকে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করে রাজ্য সরকারকে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে গতি আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
জেলায় জেলায় প্রশাসনিক শীর্ষপদে বড়সড় রদবদল করল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী স্পেনের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার পরেই রদবদলের ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে যেমন একাধিক জেলা শাসক ও জেলা পুলিশ সুপারদের পদে পরিবর্তন করা হয়েছে তেমনই একধিক দফতরের শীর্ষ পদেও বদল করা হয়েছে।
নবান্নের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে ২২ জন শীর্ষ আমলা সহ ৩১ জন পুলিশ আধিকারিকের নাম রয়েছে। কোনও কোনও আধিকারিকের যেমন পদোন্নতি হয়েছে তেমন কাউকে আবার কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হয়েছে। বদলির তালিকার রয়েছে, নদিয়া, দুই বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ একাধিক জেলার শীর্ষ আধিকারিকরা। আচমকা এই ব্যাপক রদবদল নিয়ে চরম আলোচনা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দায়িত্ব থেকে সরে আসছেন মৌমিতা গোদারা বসু। তাঁকে স্বাস্থ্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলাকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বিশেষ সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পূর্ণেন্দুকুমার মাঝিকে। অন্যদিকে জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রীতি গয়ালকে।
জলপাইগুড়ি জেলার জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শামা পারভিনকে। এতদিন সেখানে ছিলেন মৌমিতা গোদারা বসু। হাওড়া জেলার জেলাশাসক মুক্তা আরিয়াকে হুগলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
যা ছিল, তাই রইল। শুধু শ্রীলঙ্কা থেকে ঘোষণা করা হল ভারতের বিশ্বকাপের দল। মঙ্গলবার দুপুরে ক্যান্ডি থেকে ১৫ ক্রিকেটারের নাম জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগারকর। গত পাকিস্তান ম্যাচের পরেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, বিশ্বকাপে দলে নেই তিলক ভার্মা, সঞ্জু স্যামসন এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
সরকারি দলে তাই ঘোষণা করা হল। অধিনায়ক রোহিতের নেতৃত্বে চোট সারিয়ে বিশ্বকাপের দলে ঢুকেছেন লোকেশ রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ার। বাকিটা সবাই এশিয়া কাপ খেলছেন।
পাঁচ ব্যাটার, দুই উইকেট কিপার, চার অলরাউন্ডার, এক স্পিনার ও তিন পেসার, এই কম্বিনেশন নিয়ে ঘরের মাঠে ১২ বছর পর বিশ্বকাপ জিততে মাঠে নামবেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। চেন্নাই থেকে শুরু হবে ভারতের অভিযান। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। তার আগে সেপ্টেম্বরের ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবেল টিম ইন্ডিয়া।
বিশ্বকাপে ভারতের ১৫ : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, শুভমন গিল, শ্রেয়স আয়ার, সূর্যকুমার যাদব, লোকেশ রাহুল, ইশান কিশন, হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), রবীন্দ্র জাডেজা, অক্ষর প্যাটেল, শার্দূল ঠাকুর, জশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সামি, মহম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব।
সাই সুদর্শনের দুরন্ত শতরান। যার ওপর ভর করে পাকিস্তান এ দলকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দিল ভারত এ দল। এমার্জিং এশিয়া কাপ ২০২৩ এ শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। এ।দিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ২০৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় পাকিস্তান এ টিম। এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত শুরু করে ভারত এ দল। ২০৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ভারত এ দলের সামনে। নিকিন জোসের নির্ভরযোগ্য ৫৩ রান এবং সাই সুদর্শনের দুরন্ত অপরাজিত ১০৪ বুধবার ভারতকে পৌঁছে দিল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রাজ্যবর্ধন হাঙ্গরগেকরের দুর্ধর্ষ বোলিং-এর সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ। পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। যার ফলে মাত্র ২০৫ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের ইনিংস।
ভোট ঘোষণার পর রাজ্যে ৩০ দিনে এখনও অবধি হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। এ অবস্থায় রাজ্যপাল (Governor) স্বয়ং পিস রুম খুলেছেন যাতে ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়। এমনকি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গ্রাউন্ড জিরোতে পৌঁছেছেন তিনি। সেইমত ভোট শান্তিপূর্ণ পরিচালনা করতে প্রতি ব্লক ভিত্তিক ১ জন ডব্লিউবিসিএস (WBCS) অফিসার ও জেলা ভিত্তিক ১ জন আইএএস (IAS) পর্যবেক্ষক (Observer) নিয়োগ করেছে কমিশন।
নিচে জেলা ভিত্তিক বিশেষ পর্যবেক্ষকদের নাম ও ফোন নম্বর রইল:
মনে ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকলে কী না করা যায়! অদম্য চেষ্টা থাকলে অসাধ্য সাধন করাও অসম্ভব কিছু নয়। এমনই এক ছবি ফুটে উঠল নাগপুরের রাস্তায়। দেখা গিয়েছে, এক বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি হুইল চেয়ারে বসেই বিক্রি করছেন সিঙ্গারা। তবে কেন জানেন? কারণ তিনি নিজের আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে চান। পড়াশোনার প্রতি তাঁর এত আগ্রহ ও তাঁর কঠোর পরিশ্রম দেখে তাঁকে সাহায্য করার জন্য ভিডিও বানিয়েছেন ফুড ভ্লগার গৌরব ওয়াসান। আর এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেট দুনিয়া।
জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তির নাম সুরজ, তিনি নাগপুরের বাসিন্দা। তিনি নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি করেছেন। তবে তিনি কোনও চাকরি খুঁজে পাননি। এরপরেই সুরজ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর আইএএস হওয়ার স্বপ্নপূরণ করবেন তিনি। কিন্তু টাকা-পয়সার অভাবের জন্য তাঁকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে তাতেও থেমে থাকেননি সুরজ। ঠিক করেন, হুইল চেয়ারে করেই সিঙ্গারা বিক্রি করবেন তিনি। এভাবেই তাঁর যাত্রা শুরু। সিঙ্গারার প্রতি প্লেট ১৫ টাকা করে বিক্রি করেন তিনি। সুরজ জানিয়েছেন, প্রতিদিন দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৭টা পর্যন্ত এই কাজ করেন তিনি।
সুরজের আইএএস হওয়ার এই স্বপ্নপূরণের কাহিনী 'ইউটিউবস্বাদঅফিসিয়াল' নামক ইনস্টাগ্রামের চ্যানেল থেকে এই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তাঁর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। কমেন্টে তাঁর প্রশংসা করে বলছেন, 'তিনি তাঁদের এক অনুপ্রেরণা।'
আইসিডিএস-র (ICDS) প্রাক্তন শিক্ষিকাকে স্কুলে ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ (agitation)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। নদীয়ার (Nadia) হরিণঘাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দলুইপুর এলাকার ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের বর্তমান শিক্ষিকা বাচ্চাদের পড়াশুনোতে সাহায্য করে না। প্রায় দেড় মাস ধরে স্কুলে আসছেন না নতুন শিক্ষিকা।
স্কুলে শুধু খিচুড়ি দিলেই হবে না বাচ্চাদের পড়াশোনাও করাতে হবে, এভাবে শিক্ষার দাবি তুলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযোগ, আগে আরিফা বিবি নামের স্থানীয় এক গৃহবধূ ওই স্কুলের রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সব কাজ সামলাতেন। এমনকি বাচ্চাদের পড়াশুনোর দিকেও খুব নজর দিতেন। তবে হঠাৎই তাঁকে সরিয়ে দিয়ে বহু পূর্বে ওই বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা রুমা দাস নামে একজনকে নিয়োগ করা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, নতুন শিক্ষিকা টানা দেড় মাস ধরে স্কুলে আসছে না। যার ফলে গ্রামের বাচ্চারা ক্রমশ বইয়ের থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। তবে প্রাক্তন শিক্ষিকা বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের মিড ডে মিলের খাবারও যত্ন সহকারে রান্না করে দিতেন। এমনকি এই স্কুল এবং স্কুলের বাচ্চাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাই তাঁকেই ফিরিয়ে আনতে হবে এই স্কুলে, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। তবে স্কুলে দেড় মাস না আসার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অঙ্গনওয়াড়ী স্কুলের বর্তমান শিক্ষিকা রুমা দাস।
কঠিন পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ে ভর করে জীবনে সাফল্যের চূড়া পেয়েছেন, তবে মনে অহংকারের রেশটুকু পর্যন্ত নেই। কথা বলা হচ্ছে, এক আইএএস অফিসারের (IAS) বিষয়ে। অনেক আইএএস-কে দেখা গিয়েছে, জীবনে সাফল্য আসার পর যেন তাঁদের পা মাটিতেই পড়তে চায় না। তবে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh Incident) দেখা গেল এক অন্য চিত্র। যা দেখে মুগ্ধ নেটদুনিয়া। দেখা গিয়েছে, আইএএস সৌম্যা পান্ডে এক বৃদ্ধের অভিযোগ শুনতে মাটিতেই বসে পড়লেন। এই দেখে আইএএস পান্ডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে জন্ম অফিসার সৌম্যা পান্ডের। মানুষের প্রতি উদারতা ও আন্তরিকতার দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে সৌম্যা। চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার কানপুর দেহাত কয়েকটি ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের নগর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ধনীরাম এক অনুরোধ নিয়ে আসেন যে, তাঁকে যেন সরকারের প্রোগামের অধীনে একটি ইলেকট্রিক সাইকেল দেওয়া হয়। এই আবদার রাখতেই বৃদ্ধ ধনীরাম পৌঁছে গিয়েছিলেন অফিসের বাইরে। সেখানে তাঁকে দেখে আইএএস সৌম্যা নীচু হয়ে মাটিতে বসেই তাঁর কথা শোনেন ও তাঁকে আশ্বাস দেন। তিনি জানান, 'ধনীরামের সমস্ত অনুরোধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, পূর্ণ করা হবে।'
এরপর সৌম্যা, ধনীরামের বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন। আরও এক আধিকারিককে ধনীরামের বিষয়ে যতটা সম্ভব সাহায্যের আবেদন জানান সৌম্যা। এই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে। এরপর মুহূর্তের মধ্য়ে এটি ভাইরাল, এসেছে একের পর এক কমেন্ট। এককথায় আইএএস সৌম্যার এই কাণ্ড দেখে মন্ত্রমুগ্ধ নেটিজেনরা।
রাজ ভবন-নবান্ন সংঘাত এড়িয়ে আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজ ভবন থেকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। তাঁকে পর্যটন দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পদ থেকে সরিয়ে এই আইএএস-কে পর্যটন দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। দিন কয়েক আগে নন্দিনী চক্রবর্তীকে অব্যাহতি দিতে চেয়ে নবান্নে চিঠি পাঠায় রাজ ভবন।
কিন্তু তখন রাজ্য সরকারের তরফে সেভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেই উদ্যোগই বুধবার নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সচিব পদে কে, এখন নাম চূড়ান্ত হয়নি বলে নবান্ন সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদির মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এর আগেও পর্যটন দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন নন্দিনী চক্রবর্তী।
স্কুলে প্রজাতন্ত্র দিবস ও সরস্বতী (Republic Day) পুজো না হওয়ার প্রতিবাদে স্কুলশিক্ষকদের ঘিরে চরম বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া-অভিভাবকরা। ঘটনাটি পুরুলিয়া শহরের নামপাড়া এলাকার চ্যাটার্জি পাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শুক্রবার সকালে হঠাৎই স্কুলের শিক্ষকদের দেখে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। এই ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায় পুরুলিয়ার চ্যাটার্জি পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঘটনা সামাল দিতে আসতে হয় পুলিসকে। বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবস ছাড়াও সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja 2023) ছিল।
পড়ুয়ারা সরস্বতী পুজো উপলক্ষে সকালে অঞ্জলি দিতে আসলে স্কুলের গেটে তালা দেখতে পায়। পড়ুয়ারা জানান, 'স্কুলে সরস্বতী পুজো উপলক্ষে কোনওরকম আয়োজন করা ছিল না। এরপরই তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে। পরের দিন স্কুলে শিক্ষকরা গেলে তাদের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। মুহুর্তের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে গোটা স্কুল চত্বর।'
অভিভাবকরা জানান, 'কেন হবে না স্কুলে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন? স্কুলে সরস্বতী পুজোই বা পালন করা হবে না কেন? পড়ুয়ারা কী শিখবে শিক্ষকদের থেকে? এই সকল প্রশ্ন তোলেন অভিভাবকরা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।' তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবি তোলেন অভিভাবকরা।
এদিকে শিক্ষকদের পাল্টা যুক্তি, 'বর্তমানে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা পাঁচজন। তাঁদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় স্কুলে পুজোর আয়োজন করতে পারেনি। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তারা আগের দিন স্কুলের কক্ষের ভিতর পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।'
আইএএস অফিসার (IAS) পিবি সেলিমের নামে ফেসবুকে ভুয়ো একাউন্ট(Fake Account) খুলে আত্মীয়দের থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক। অভিযুক্ত যুবক আইএএস অফিসার পিবি সেলিমের নামে ফেসবুকে ভুয়ো একাউন্ট খুলে তাঁর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু এমনকি ছাত্রছাত্রীদের থেকে টাকা চাইছিলেন। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে আইএএস অফিসারের। ২০২১সালের ৯-ই ডিসেম্বর তিনি বিধাননগর থানায় (Bidhannagar PS) বিষটি নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেন। তদন্তে নেমে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস সল্টলেকের এক যুবক বিলালকে গ্রেপ্তার করে।জানা গিয়েছে, আদতে সে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
যদিও অভিযুক্ত নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। আজ বিদাননগর আদালতে তাঁকে পেশ করা হয়।যদিও পুলিসের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। বর্তমানে পি বি সেলিম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এসডি পদেও আসীন।
গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বুধবার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগর (Gangasagar Mela) উড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি হেলিপ্যাড আসেন এবং গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সাগরে পৌঁছে তিনি মেলা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি উপস্থিত জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। পুজো দেন কপিল মুনির আশ্রমে। ৮-১৭ জানুয়ারি চলবে এই মেলা।
এদিন তিনি গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে বলেন: ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ করে আধুনিক গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছে, বিদেশিরা এসে থাকতে পারবে
গঙ্গাসাগর মেলার তীর্থ কর মুকুব করে দিয়েছি, প্রত্যেকের জন্য ৫ লক্ষ টাকা জীবন বীমা করা হয়েছে।
কুম্ভ মেলার সঙ্গে রেলপথ, আকাশপথ কানেক্টেড। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলায় জল পেরিয়ে যেতে-আসতে হয়, কঠিন কাজ
১০ হাজার কোটি টাকা খরচে মুড়িগঙ্গা ব্রিজ করার চেষ্টা হচ্ছে
পাশাপাশি এদিন তিনি গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণার দাবি কেন্দ্রকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, জাতীয় মেলা ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই। তাঁর অভিযোগ, 'কুম্ভ মেলায কেন্দ্রীয় সাহায্য পায়। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলায় একটা বাতাসা দিয়েও সাহায্য করে না কেন্দ্র।' মুখ্যমন্ত্রীর দাবি,'পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেল। এবারে এখান থেকে হেলিকপ্টার চলবে। বেসরকারি সংস্থাও হেলিকপ্টারও চালাতে পারে।'
জানা গিয়েছে, এবার মেলায় প্রায় এক কোটি পুন্যার্থীর সমাগমের সম্ভাবনা।
যৌন ব্যবসার (Sex Racket) সঙ্গে যুক্ত খোদ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের (Andaman and Nicobar) প্রাক্তন মুখ্যসচিব (Former Chief Secretary) জিতেন্দ্র নারাইন। এমনটাই অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। পোর্ট ব্লেয়ারের নিজের বাড়িতে অসংখ্য, অন্তত ২০ জন মহিলা এনে যৌন ব্যবসা চালাতেন বলে অভিযোগ করেন এক তরুণী। কেবল মুখ্যসচিবই নয়, প্রশাসনের আরও এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ (Gang Rape) এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগও এনেছেন ওই তরুণী।
২১ বছরের ওই তরুণীর অভিযোগ, 'কাজের সন্ধান করছিলেন বহুদিন ধরে। এক হোটেল মালিক আন্দামানের শ্রম-মহাধ্যক্ষ আরএল ঋষির সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দেন। এরপর ঋষি তাঁকে মুখ্যসচিবের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে তাঁকে মদ্যপান করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি রাজি হননি। এরপর সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করা হয়।' দুই আমলার বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
তরুণী আরও জানান, দু'সপ্তাহ আগে ফের তাঁর সঙ্গে একই ব্যবহার করেন তাঁরা। চাকরি তো অনেক দূরের ব্যাপার, উল্টে ঘটনার কথা যেন কাউকে না বলে, সেই হুমকিও দেওয়া হয় তরুণীকে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় জিতেন্দ্র এবং ঋষিকে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জিতেন্দ্র অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। ঋষির জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে পুলিস কল রেকর্ড চেক করেন। তরুণীর বয়ানের সঙ্গে সেই সব মিলে গিয়েছে। এসব বিতর্কের ফলে গত ১৭ অক্টোবর সাসপেন্ড করা হয় জিতেন্দ্র এবং ঋষিকে। যদিও মুখ্যসচিব এ অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।