
হোটেলে গিয়ে বিরিয়ানি (Biryani) খেতে গিয়েই ভয়াবহ পরিণতি হল হায়দরাবাদের (Hyderabad) এক যুবকের। সূত্রের খবর, বিরিয়ানি খেতে গিয়ে একটু বেশি পরিমাণে রায়তা চেয়েছিলেন হোটেলের ওয়েটারের কাছে। আর এতেই শুরু হয় বচসা। আর তা শেষে হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। এমনকি পরে প্রাণও হারান সেই যুবক। ঘটনাটি রবিবার রাতের। ইতিমধ্যে সেই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজের এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম লিয়াকত (৩২)। রবিবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে হায়দরাবাদের পাঞ্জাগুট্টার এক রেস্তোরাঁয় খেতে যান। সেখানে গিয়ে অর্ডার দেন বিরিয়ানি। বিরিয়ানি খেতে শুরু করলেও পরে রেস্তোরাঁর কর্মীর কাছে অতিরিক্ত 'রায়তা' চান। কিন্তু রায়তা চাইতেই হুলস্থুল কাণ্ড বাঁধে সেখানে। অভিযোগ উঠছে, অতিরিক্ত রায়তা চাইতেই যুবককে বেধড়ক মারধর শুরু করে রেস্তোরাঁর কর্মী। এমনকি রেস্তোরাঁর ম্যানেজারও লিয়াকতকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর পুলিসে খবর দেওয়া হলে তারা সেখানে পৌঁছয়। তখন লিয়াকতের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল এবং বুকে ব্যথা অনুভব করছেন বলে জানান তিনি। সে বিষয়ে পুলিসকে জানানোর পরই সেখানে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা করা যায়নি। সেখানে নিয়ে যেতেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে সবকিছু খুইয়েছেন হায়দরাবাদের (Hyderabad) এক মহিলা (Woman)। এমনই শোচনীয় অবস্থা হয়েছে তাঁর যে, পরে তাঁকে দেখা গিয়েছে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে। শোনা গিয়েছে, তাঁর দিন কাটছিল অনাহারে। আর এই খবর দেশে মায়ের কাছে পৌঁছতেই তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য় অনুরোধ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) কাছে।
Syeda Lulu Minhaj Zaidi from Hyd went to persue MS from TRINE University, Detroit was found in a very bad condition in Chicago, her mother appealed @DrSJaishankar to bring back her daughter.@HelplinePBSK @IndiainChicago @IndianEmbassyUS @sushilrTOI @meaMADAD pic.twitter.com/GIhJGaBA7a
— Amjed Ullah Khan MBT (@amjedmbt) July 25, 2023
জানা গিয়েছে, বিদেশে যাওয়া সেই মহিলার নাম সাইদা লুলু মিনহাজ জাইদি। তিনি মার্কিন মুলুকে গিয়েছিলেন তাঁর উচ্চশিক্ষার জন্য। তিনি ২০২১ সালে আমেরিকার ডেট্রয়েটের ট্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু জানা গিয়েছে, সেখানে গিয়ে তিনি মানসিক অবসাদে পড়ে যান ও তার কয়েকদিন পরে তাঁর জিনিসপত্রও চুরি হয়ে যায়। এরপরেই শিকাগোর রাস্তায় দেখা যায় তাঁকে।
আর এই খবর জানতে পেরেই মিনহাজের মা এস জয়শঙ্করকে লিখিত আবেদন করেছেন তাঁর মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। তিনি সেই চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি হায়দরাবাদের দুই যুবকের থেকে তাঁর মেয়ের খোঁজ পেয়েছেন। তাঁর মেয়ে যে অনাহারে রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন ও তাঁকে শিকাগোর রাস্তায় দেখা গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাতের অন্ধাকের শুনশান রাস্তা। লোকজন তো নেই গাড়িও সেরকম চলছে না বললেই চলে। কিন্তু তাও ওই ফাঁকা রাস্তাতে ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident)। সেই দুর্ঘটনার পুরো ভিডিও (Video) রেকর্ড হয়েছে রাস্তার সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরায়। আর সেই ভিডিওই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে (Viral)।
#disturbing incident in Banjara Hills, #Hyderabad! A BMW car (TS09EJ5688) struck a GHMC Circle Manager G. Bala Chander Yadav, leaving him seriously injured. Shockingly, the driver was found to be drunk. #RoadSafety
— Rahmath Ullah khan (@rahmathkhan09) July 7, 2023
V:@CoreenaSuares2 pic.twitter.com/o9Y4qi4sEX
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, একটি রাস্তার উপর দিয়ে প্রথমে একটি বাইক চলে যায়। তার কিছুক্ষণ পরেই একটি স্কুটি আসতে দেখা যায়। আর ঠিক সেই সময়ই উল্টো দিক থেকে আসছিল একটি বিএমডাব্লিউ গাড়ি। তখনই আচমাকা ওই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই স্কুটিটিকে ধাক্কা মারে। শুধু ধাক্কা না, গাড়ির গতি অনেক বেশি হওয়ায় ওই বিএমডাব্লিউ গাড়িটি স্কুটিটিকে টেনে ক্ষণিকটা নিয়েও যায়। তারপর গিয়েই থামে গাড়িটি, ঠিক এই ভিডিওটিই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের (Hyderabad) বানজারা হিলসে। জখম ওই ব্যক্তি হায়দরাবাদ পুরসভার কর্মী। এই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, বিএমডাব্লিউ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এক মহিলা মদ্যপ অবস্থায় চালাচ্ছিলেন। যার ফলেই গাড়ির গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি তিনি।
তবে এই ঘটনায় ওই মহিলার জন্য প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কিনা তা এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার সময় পর্যন্ত জানা যায়নি।
ফের অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে সোনার পেস্ট (Gold Paste) পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক যাত্রী। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে (Hyderabad) রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Airport)। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর শারজা থেকে ফিরছিলেন। উদ্ধার হওয়া সোনার পেস্টের বাজারমূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
জানা গিয়েছে, ৩৩১ গ্রাম সোনার পেস্ট বাজেয়াপ্ত করেছেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি আটকও করেছেন ওই যাত্রীকে। সোনা পাচারের জন্য ওই পেস্ট একটি অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন। বিমানবন্দরে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
#WATCH | Customs officials at Hyderabad's Rajiv Gandhi International Airport have seized 331 gms of smuggled gold paste which was concealed inside an undergarment of a passenger travelling from Sharjah. The seized gold is valued at approximately Rs 20 lakhs.
— ANI (@ANI) July 5, 2023
(Video source:… pic.twitter.com/MRtGgL3xvD
উল্লেখ্য, এর আগেও বহুবার সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। অন্তর্বাসের মধ্যে সোনার পেস্ট লুকিয়ে পাচারের ছকও বানচাল করেছিল। নিরাপত্তা নিয়ে এত কড়াকড়ি হওয়া সত্ত্বেও বারবার কেন এমন ধরনের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মর্মান্তিক মৃত্যু! দ্রুত গতিতে চার চাকার গাড়ি এসে পিষে দিয়ে গেল তিন ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গনার (Telengana) হায়দরাবাদে (Hyderabad)। এই ঘটনায় একজন নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালের দিকে মর্নিং ওয়াকিং করতে গিয়েই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। আর এতেই প্রাণ গেল তিনজনের।
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল হায়দরাবাদের হায়দারশাকোট মেন রোডের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আর এই দৃশ্যই সিসিটিভি ফুটেজে এসেছে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দূর থেকে দ্রুত গতিতে আসছে একটি লাল রংয়ের চার চাকার গাড়ি। অন্যদিকে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে দুজন মহিলা ও একজন নাবালিকা। গাড়িটিকে দেখে মনে হচ্ছিল, নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই সজোরে তাঁদের গায়ে ধাক্কা মারে। এরপরই ছিটকে যায় তাঁরা। একেবারে গা শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য।
এরপরই ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছয়। তাঁরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। তিনজনের মধ্যে একজন মা ও তাঁর সন্তান ছিলেন। সেই গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ও এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
দিনের আলোয় প্রকাশ্যে ঘটে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ঘুমন্ত শিশুর (Child) উপর দিয়ে চলে গেল চার চাকার (Car) গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেই একরত্তির। সেই দৃশ্যই সিসিটিভির (CCTV) ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর।
সূত্রের খবর, হায়াতনগরের লেকচারার কলোনিতে একটি ফ্ল্যাটের নীচে গ্যারাজের এক কোণায় ঘুমিয়েছিল একরত্তিটি। এরপর গ্যারাজে গাড়ি দাঁড় করানোর সময় তাকে পিষে দেয় চারচাকা। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে। পুলিস সূত্রে খবর, ২২ বছর বয়সী কবিতা নামে এক মহিলার থেকে অভিযোগ এসেছে যে, তাঁর সন্তানকে পিষে দিয়ে চলে গিয়েছে এসইউভি গাড়িটি।
তিনি জানিয়েছেন, তিনি কাজের খোঁজে সেই এলাকায় বুধবার সকাল ৮ টায় গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ করার পর দুপুর ২ টো নাগাদ তিনি তাঁর দুই ছেলে-মেয়ের সঙ্গে দুপুরের খাবারও খেয়েছেন। এরপর তাঁর মেয়ে লক্ষ্মী প্রখর রোদের ফলে পাশের বালাজি আর্কেড অ্যাপার্টমেন্টের গ্যারেজে এক কোণায় গিয়ে শুয়ে পড়ে। এরপর ৩ টা নাগাদ একটি এসইউভি গাড়ি গ্যারেজে প্রবেশ করে ও লক্ষ্মীর মাথার উপর দিয়ে পিষে চলে যায়। আর সেখানেই মৃত্যু হয় তার। এখন প্রশ্ন উঠছে, দিনের বেলাতেও গাড়ির চালক বাচ্চাটিকে দেখতে পেলেন না? এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ও পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গাঁজার (Weed) নেশায় আসক্ত। তাই নিজের বাড়ির ছাদেই গাঁজার চাষ করতে শুরু করেছেন হায়দরাবাদের (Hyderabad) এক ব্যক্তি। আর সেই খবর পুলিসের কাছে যেতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এর পাশাপাশি সেই গাঁজা গাছগুলোকেও নষ্ট করেছে পুলিস। তবে কী কারণে নিজের বাড়িতেই গাঁজার চাষ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাটি হায়দরাবাদের বনস্থলিপুরমের (Vanasthalipuram)।
সূত্রের খবর, সোমবার হায়দরাবাদের এলবি নগরের স্পেশাল অপারেশন টিম বনস্থালিপুরমের এক বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করে। তখন সেই বাড়ির ছাদের ২০০ ইয়ার্ড জুড়ে একাধিক গাঁজার গাছ দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সাই রেভান্ত বর্মা নামে এক ব্যক্তি সেই গাঁজার গাছগুলো তাঁর ছাদে লাগিয়েছে। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। সাই স্বীকার করে নেন যে, এই গাঁজা গাছগুলো তিনি নিজের জন্য়ই চাষ করছেন। কারণ তিনি গাঁজা সেবন করেন। তিনি জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এই গাঁজার বীজ নিয়ে এসেছেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, মোট ১১ টি গাঁজা ও গাঁজার যেগুলো বীজ ছিল সেগুলোও নষ্ট করা হয়েছে। তাঁকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
অনলাইনে অর্ডার করা জিনিস ডেলিভারি করতে এসেই ঘটে গেল এক বড় বিপদ। ডেলিভারি করতে গিয়ে পোষ্য কুকুরের (Dog Attack) তাড়া, আর তার থেকে বাঁচতেই তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন সেই ডেলিভারি বয়। ঘটনাটি হায়দরাবাদের (Hyderabad)। পোষ্য কুকুরের আক্রমণে ডেলিভারি বয়ের জখম হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। ইতিমধ্যেই সেই কুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পোষ্য রাখতে অনেকে যেমন পছন্দ করেন, তেমনি অনেকে আবার প্রাণীদের দেখে ভয়ও পান। ফলে দুটোই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু হায়দরাবাদের ঘটনাটি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে, রবিবার হায়দরাবাদের পঞ্চবতী কলোনির শ্রীনিধি হাইটস অ্যাপার্টমেন্টের একজন অনলাইনে মাদুর অর্ডার করেছিলেন। সেই মাদুর দিতে গিয়ে যখন কলিং বেল বাজান ডেলিভারি বয়, তখন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ডোবারম্যান প্রজাতির এক পোষ্য কুকুর। এরপর অচেনা ব্যক্তিকে দেখে কুকুরটি চিৎকার করতে শুরু করে। তখন তার হাত থেকে বাঁচতে ডেলিভারি বয়টি তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেন।
Meet one more incident today in Hyderabad's Manikonda Panchvati Colony. The @amazon Delivery boy came to deliver an order of a mattress.. At this time, the door was open when the Doberman dog suddenly jumped out of fear and jumped from the third floor. pic.twitter.com/ca5UfBwRLV
— Telangana Gig and Platform Workers Union (@TGPWU) May 21, 2023
এই ঘটনার পরই সেখানে আশেপাশের লোকেরা ছুটে আসেন ও রাইদুরগাম থানার পুলিসও ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয়। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে। সেই পোষ্য কুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় পেনাল কোড ২৮৯-এর অধীনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আবার তেলঙ্গানা গিগ অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেই পোষ্য কুকুরের মালিককেই ডেলিভারি বয়ের সমস্ত রকমের চিকিৎসার খরচ দিতে হবে।
ফের কোটি কোটি টাকা (Money) উদ্ধার। কিন্তু এবার ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের (Hyderabad) রেজিমেন্টাল বাজার এলাকার। উদ্ধার করা হয়েছে ১.৬৫ কোটি টাকা। একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীর বাড়িতে আগুন (Fire) নেভাতে গিয়েই ওই কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় টাকা। জানা গিয়েছে, ওই বেসরকারি কর্মীর নাম শ্রীনিবাস। আচমকাই তাঁর বাড়িতে আগুন লাগে। আর সেই আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে আসে দমকল কর্মীরা। আগুন নেভানোর পরেই এই টাকা উদ্ধার হয়।
\পুলিস সূত্রে খবর, খবর পেয়েছিল ওই ব্যক্তির বাড়ির নীচের তলায় প্রচুর টাকা রাখা ছিল। তারপরেই পুলিস তল্লাশি করে ওই বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার করে। টাকার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে সোনা, রুপোর গয়নাও। খবর দেওয়া হয় আয়কর দফতরকেও। কোথা থেকে কীভাবে এত টাকা এল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস এবং আয়কর আধিকারিকরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক ও ফলোয়ার্সের 'দৌড়ে' প্রাণ হারাল এক যুবক। ইনস্টাগ্রামে (Instagram) রিল বানানোর জন্য রেললাইন ধরে দৌড়তে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ল নবম শ্রেণির এক ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের (Hederabad) সনৎনগরে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে মৃতের নাম মহম্মদ সরফরাজ। বয়স ১৬ বছর। সমাজমাধ্যমে সাহসী ভিডিও পোস্ট করতে গিয়ে রেললাইন ধরে দৌড়চ্ছিল সরফরাজ ও তার বন্ধুরা। তাদের মধ্যে বাজি ছিল ট্রেনের সামনে দৌড়তে হবে। ফোনে ভিডিও করছিল এক বন্ধু। বাকি দুই বন্ধু পাশের রেললাইন ধরে একটি চলন্ত ট্রেনের সমান্তরালে দৌড়চ্ছিল। হঠাৎ ঘটে এই দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় যুবকের দেহ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়েরা। খবর দেওয়া হয় পুলিসকেও। পুলিস এসে রেললাইনের ধার থেকে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সরফরাজের মোবাইল ফোন। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দুই বন্ধুকেও। ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ ওই এলাকা।
নৃশংস হত্যা! বাবাকে মদ্যপানে বাধা দেওয়ায় ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন মত্ত বাবার। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে হায়দরাবাদের (Hyderabad) কুলসুমপুরার কার্গিল কলোনিতে। নিহত কিশোরের নাম এন ভেঙ্কটেশ। অভিযুক্ত বাবা জি সাইকুমার পেশায় নির্মাণকর্মী। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কাজ সেরে ফিরে মদ খেতে বসেছিলেন সাইকুমার। প্রত্যেকদিনই একই রুটিন। যার ফলে বাড়িতে প্রায় অশান্তি লেগে থাকত। ঘটনার দিনে কিশোর তাঁর বাবাকে বারবার বারণ করে মদ খেতে। হঠাৎ ছেলের উপর রেগে গিয়ে স্ত্রী রমাদেবী এবং কন্যা মমতার সামনে একটি তোয়ালে দিয়ে পুত্র ভেঙ্কটেশকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। এরপরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
অভিযুক্তের স্ত্রী থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে কিশোরের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিস অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মানবিকতার পরিচয়! এখনকার দিনেও যে এমন মানুষ রয়েছেন, তা ভাবাই মুশকিল। সম্প্রতি একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, বাইকে চেপে এক ব্যক্তি ট্রাফিক পুলিসদের দিকে জলের বোতল বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এই দৃশ্য ভাইরাল হতেই সেই ব্যক্তিকে বাহবা দিয়েছেন নেটিজেনরা। এই ভিডিও যেন নেটিজেনদেরও মন ছুঁয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি হায়দরাবাদের।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিস কড়া রোদে দাঁড়িয়ে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেন। ট্রাফিক পুলিসের এই পরিস্থিতির কথা ভেবে সেই ব্যক্তি এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, বাইকার নিখিল নামের সেই ব্যক্তি তেলঙ্গানা ট্রাফিক পুলিসদের জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। নিখিল তেলেঙ্গানার রাস্তায় প্রায় যতজন ট্রাফিক পুলিস দেখেছেন, তাঁদের সবার হাতে তুলে দিয়েছেন জলের বোতল। কড়া রোদে, গরমে যখন হাঁসফাঁস করছে ট্রাফিক পুলিস, সেসময় নিখিলের এই সাহায্য তাঁদের মুখে যেন এক চওড়া হাসি এনে দেয়।
এই ট্রাফিক পুলিসদের জলের বোতল দেওয়ার এই দৃশ্য সমাজমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি 'মোটোবয় নিকি' নামক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ভিডিওতে ৫ লক্ষের উপরে ভিউ এসেছে। এছাড়াও এসেছে অসংখ্য কমেন্ট। কেউ লিখেছেন, 'অবশেষে ইনস্টাগ্রামে কিছু ভালো ভিডিও দেখা গেল। এমন রিলস ভিডিওই দেখতে চাই আমরা।' আরও একজন লিখেছেন, 'বাইকারদের ঠিক এমনটাই করা উচিত। বাকিরা তো নিজেদের বাইকের শো-অফ করতে থাকেন।'
বারাণসীগামী বিমানের (Airplane) জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) হায়দরাবাদে। মঙ্গলবার সকালে যাত্রী-সহ বিমানটিকে হায়দরাবাদ (Hyderabad) বিমানবন্দরে নামানো হয়। কিছু যান্ত্রিক অসুবিধার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত, দাবি পাইলটের। তবে যাত্রীদের বারাণসী পৌঁছনোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বেঙ্গালুরু থেকে বারাণসীর উদ্দ্যেশে রওনা দেয় ইন্ডিগোর ওই বিমানটি। বিমানটিতে যাত্রা করছিলেন ১৩৭ জন যাত্রী। বিমানটি কিছুক্ষণ আকাশে ওড়ার পরেই যান্ত্রিক গোলযোগ বিষয়টি বুঝতে পারেন পাইলট। নিকটবর্তী হায়দরাবাদ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তড়িঘড়ি যোগাযোগ করে বিমানটি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অসামরিক বিমান পরিবহণের ডিরেক্টরেট জেনারেল জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বারাণসীগামী বিমানটিকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই অন্য বিমানবন্দরে নামাতে হয়েছে। তবে বিমানের যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত। তাঁরা নিরাপদেই রয়েছেন। বিমানটিতে ঠিক কী সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আইপিএলের (IPL) চতুর্থ খেলায় রাজস্থানের রয়্যালসের (RR) কাছে ৭২ রানে হার সানরাইজ হায়দ্রাবাদের (SH)। ২০৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে জলদি উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে সানরাইজ হায়দ্রাবাদ। পরে ম্যাচের হাল আর ধরতে পারেনি কেউই। ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে হায়দ্রাবাদ ১৩১ রান তোলে। ফলে মরশুমের প্রথম খেলায় বড় মাত্রায় জয় পেয়ে এগিয়ে গেল রাজস্থান।
টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দ্রাবাদ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে রাজস্থান। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে ১০৮ রান তোলেন। রাজস্থানের টপ অর্ডারের তিনজন অর্ধশত রান করেন, যশস্বী জয়সওয়াল, বাটলার ও স্যামসন। জয়সওয়াল ৩৭ বলে করেন ৫৪ রান। বাটলার ২২ বলে করেন ৫৪ রান। স্যামসন ৩২ বলে ৫৫ রান করেন। শেষে হেটমায়ারের ঝোড়ো ইনিংসে দলের রান হয় ২০৩, ৫ উইকেটে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বোল্টের প্রথম ওভারে ২ টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে হায়দ্রাবাদ। হায়দ্রাবাদের পক্ষে উল্লেখ্য ময়াঙ্ক আগরওয়াল ২৭ রান করেন এবং আব্দুল সামাদ ৩২ রান করেন।
প্রথমে বলের সিদ্ধান্ত নিয়ে, হায়দ্রাবাদের পক্ষে ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ফারুকী। ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন টি নটরাজন। পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে রাজস্থান বল করতে নেমে ২১ রানে ২ উইকেট তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং ১৭ রান দিয়ে চাহল তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ ৪টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান হোল্ডার ও অশ্বিন।
১০০ টাকা না দিতে পারার অপরাধে খুন (Death) এক বৃদ্ধ অটোচালক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা হায়দরাবাদের আফজলগঞ্জের। এক বেসরকারি হাসপাতালের (Hospital) সামনে ঘটা এই ঘটনায় পুলিস সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অটোচালকের (Auto Driver) নাম সাইক আমজাদ, বয়স ৬২ বছর।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো শনিবারও বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন অটো চালক আমজাদ। সেই সময় এক মহিলা বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অটোয় ওঠেন। সঠিক জায়গায় পৌঁছনোর পর, অটোর ভাড়া দাঁড়ায় ১৪০ টাকা। কিন্তু মহিলা যাত্রী অটো চালককে ২০০ টাকা দিয়েছিলেন। অটোচালক খুচরো হবে না বলে তাঁকে জানিয়ে দেন। অগত্যা ওই মহিলা যাত্রী তখন এক ফুটপাতবাসীর কাছে যান এবং তাঁর থেকে ভাড়ার টাকা খুচরো করে অটোচালককে দিয়ে হাসপাতালের চলে যান।
এরপর ফুটপাতবাসী অটোচালকের কাছে ১০০ টাকা চান। সাইক টাকা দিতে আপত্তি জানালে, ওই ফুটপাতবাসী আমজাদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। অটোচালককে বেধড়ক ঘুষি মারতে আরম্ভ করেন অভিযুক্ত। বারবার করে ঘুষি মারায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ায় ওই অটোচালককে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিস তদন্তে নেমে গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন।