একটা সময় ছিল যখন 'বিচ্ছেদ' শব্দটি উচ্চারণ করলেই, দেওয়ালের ছবি মনে আসত অনেকের। যারা ভালোবেসেছিল, সংসার করেছিল, বিচ্ছেদের পর তাঁরা যেন আর একে অপরের মুখ দেখবেন না। আইনি ভাষায় 'মিউচ্যুয়াল ডিভোর্স' বলেও একটি শব্দ এলো। ঠিক-ভুল-ভবিষ্যতের কথা ভেবে দম্পতিরা ডিভোর্সে আপত্তি করেননি ঠিকই, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কি অভিমানের পাহাড় ভেঙে সম্পর্ক সহজ হয়েছে? বিচ্ছেদ মানেই একদা সংসারীদের মধ্যে অদৃশ্য দেওয়াল থাকবে, এমন ধারণা ভেঙে দিচ্ছেন ঋত্বিক (Hrithik Roshan) সুজেনের (Sussanne Khan) মতো তারকারা।
ঋত্বিক ও সুজেন খান ১৪ বছর সংসার করেছিলেন একসঙ্গে। তাঁদের সন্তানও রয়েছে। তবে ২০১৪ সালে তাঁরা বুঝতে পারেন, সংসারযাপন হচ্ছে না একসঙ্গে। এরপর অনেক গুঞ্জন হয়েছে। শোনা গিয়েছে, সুজেন নাকি অনেক টাকা খোরপোশ চেয়েছিলেন ঋত্বিকের কাছে, আর সেই টাকা চোকাতে নাকি কালঘাম ছুটেছিল তারকার। চর্চা অনেক হলেও এই কোনও গুঞ্জনের উত্তর দেননি তাঁরা। শুধু বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিচ্ছেদ শেষে বন্ধুত্ব রয়েছে তাঁদের মধ্যে।
অভিনেতা ঋত্বিকের সঙ্গে সাবা আজাদের প্রেমের কথা সকলেই জানেন। অন্যদিকে সুজেনও আর্সালান গণির সঙ্গে প্রেমে রয়েছেন। তবে প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে যোগসূত্র রয়ে গিয়েছে এখনও। এই যেমন সম্প্রতি ঋত্বিক একটি উন্মুক্ত ফিগারের ছবি দিয়েছেন। সেই ছবি দেখেই এক হল অভিনেতার প্রাক্তন ও পুরাতন। সাবা আজাদ ছবির কমেন্টে একটি হৃদয়ের ইমোজি দিয়েছেন। অন্যদিকে সুজেন খান কোনও কথা না লিখলেও ভালোবাসার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সেই ছবিতে।
বলিপাড়ায় (Bollywood) হৃত্বিক রোশন (Hrithik Roshan) ও সাবা আজাদের (Saba Azad) প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। অভিনেতা-অভিনেত্রী দু'জনে প্রকাশ্যেই সাক্ষাৎ করেন। সমস্ত অনুষ্ঠানে একসঙ্গেই যান। ফলে আর কোনও লুকোচুরিই রাখছেন না দু'জনে। এর আগে একাধিকবার মুম্বইয়ের রাস্তায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁদের। আর এবারে তাঁদের দেখা গেল আর্জেন্টিনার (Argentina) রাস্তায়। তাঁরা ছুটি কাটাতে চলে গেলেন মুম্বই থেকে বহুদূরে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে। সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সাবা।
হৃত্বিক ও সাবা আর্জেন্টিনায় গিয়ে যে খোশমেজাজে ছুটি কাটাচ্ছেন, তা তাঁদের ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সাবা যে ছবি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক ক্যাফেতে বসে হৃত্বিক। তাঁর পরনে ব্ল্যাক টি-শার্ট ও প্যান্ট। আর সামনে সাজানো খাবার। আর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন হৃত্বিক। ছবিতে হৃত্বিককে উদ্দেশ্য করে লেখা 'মাই হিপ্পো হার্ট'। আবার আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসের একটি রেস্তোরাঁয় বসে রোশনের সঙ্গে একটি সুন্দর সেলফি পোস্ট করেছেন সাবা। ছবি সামনে আসতেই হৃত্বিক এবং সাবার ভক্তরা এই জুটিকে তাঁদের শুভকামনা জানিয়েছেন
২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল হৃত্বিক রোশন (Hrithik Roshan) অভিনীত সিনেমা 'ওয়ার' (War)। তাঁর অভিনীত সিনেমা গুলির মধ্যে অন্যতম সেরা সিনেমা বলা চলে। সারা দেশে বক্স অফিসে সিনেমার কালেকশন ছিল ৪৭৫ কোটি টাকা। টানটান অ্যাকশন এবং ড্রামায় ভরপুর ছিল সিনেমা। অভিনেতাকে এমনিই গ্রিক দেবতার তকমা দেওয়া হয়েছিল। সেই সিনেমায় বলিউডের হিরো বললেও ভুল হবে না। তবে এত জৌলুসের পিছনে হৃত্বিকের মনে কী চলছিল সেই খবর কেউ পাননি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা 'ওয়ার' শ্যুটিংয়ের সময় তাঁর মনের অন্দরে চলা যুদ্ধের কথা বলেছেন। হৃত্বিক বলেছেন, 'আমি এমন পরিপূর্ণতার কাছাকাছি পৌঁছাতে চেয়েছিলাম, যার জন্য আমি তৈরী ছিলাম না। সিনেমার শ্যুটিংয়ের পরে আমার অ্যাড্রিনাল অবসাদ হতে শুরু করেছিল। ৩-৪ মাসের জন্য আমি ঠিক করে ট্রেনিং নিতে পারিনি। কিছুই ভালো লাগত না।'
অভিনেতা আরও বলেছেন, তিনি মাঝে নিজের শরীরকে ছাড় দিয়েছিলেন। ফলে খানিকটা নিয়মের বাইরে বেরিয়েছিলেন, তাই 'ওয়ার' সিনেমার জন্য তৈরী হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। অভিনেতা স্বীকার করেছেন, তিনি টানা ৭ মাস কোনও ছুটি না নিয়ে কাজ করেছিলেন। অভিনেতা শারীরিকভাবে ফিট হয়েছিলেন ঠিকই। তবে কষ্টও পেয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর ওই শারীরিক বদল কেবল সিনেমার জন্য ঘটাননি, বরং নিজের জন্যও ঘটিয়েছিলেন।'
২০১৪ সালে সুজানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে হৃত্বিক রোশনের (Hrithik Roshan)। এরপর নতুন করে প্রেমে পড়েছেন তিনি। অভিনেত্রী সাবা আজাদে (Saba Azad) মন মজেছে তাঁর। প্রায়ই তাঁদের এখন একসঙ্গে একাধিক জায়গায় যেতে দেখা যায়। কখনও বি-টাউনের কোনও অনুষ্ঠানে, আবার হৃত্বিকের বাড়ির অনুষ্ঠানেই দেখা গিয়েছে সাবাকে। ফলে হৃত্বিক ও সাবার প্রেমের সম্পর্ক এখন আর নতুন নয়। সম্প্রতি তাঁদের মুভি ডেট-এ যেতেও দেখা গেল। তবে শুধু সাবা ও হৃত্বিকই নয়, তাঁদের সঙ্গে ছিল হৃত্বিকের দুই ছেলেও। তবে বাবার প্রেমিকার সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়ার বিষয়টা ভালো চোখে দেখছে না কিছু নেটিজেন। অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, 'এমনটা কি আদৌ মানায়!'
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে সাবা ও হৃত্বিককে জুহুর একটি সিনেমা হল থেকে বেরোতে দেখা যায়। তখন তাঁর দুই ছেলে হৃহান ও হৃধানকেও দেখা গিয়েছে একই গাড়িতে বসতে। মুভি ডেটে গিয়ে সাবা পরেছিলেন ব্ল্যাক ক্রপ টপ ও জিন্স। অন্যদিকে হৃত্বিকের পরনে ছিল খাকি রংয়ের প্যান্ট ও অলিভ গ্রিন রংয়ের হুডি। তবে তাঁদের সঙ্গে দুই ছেলেকে নিয়ে যেতেই চরম ট্রোলের শিকার হয়েছেন হৃত্বিক।
উল্লেখ্য, এর মধ্যে সাবা ও হৃত্বিকের বিয়ের গুঞ্জনও রটেছে। খবরে উঠে এসেছে যে, চলতি বছরের নভেম্বরেই নাকি তাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। তবে এই নিয়ে তাঁরা কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসে বলিউডের 'ক্যুইন'। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু হল না। ফের এমন এক মন্তব্য করে বসলেন যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। সম্প্রতি কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আমির খানকে (Aamir Khan) 'বেস্ট ফ্রেন্ড' বলে সম্বোধন করেছেন। তবে কেন এমন কথা বললেন তিনি বা কীভাবে তাঁদের সম্পর্কে বিচ্ছেদ হল তা নিয়েই শুরু বিতর্ক।
'সত্যমেব জয়তে'-র এক পর্বে কঙ্গনাও গিয়েছিলেন। সেই পুরনো ভিডিওটির একটি স্টিল ছবি নিয়ে কঙ্গনা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বলিউডের 'মিস্টার পারফেকশনিস্ট'-এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। সেই পর্বে উপস্থিত ছিলেন দীপিকা পাডুকোন ও পরিণীতি চোপড়াও। সেখানে কঙ্গনা আমিরের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন যে, বলিউডে একসময় ছিল যখন তিনি আইটেম গান করার জন্যে না করেছিলেন। ফলে এই পর্বের একটি ছবি নিয়ে তিনি স্টোরিতে লেখেন,'একটা সময় ছিল যখন আমির স্যার আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলেন, তবে এখন আর সেই দিন নেই। তবে একটা কথা বলতেই হবে, হৃতিকের সঙ্গে আমার আইনি মামলা হওয়ার আগেই আমির আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন, আমার প্রশংসা করেছেন।'
ফলে কঙ্গনার এই স্টোরি থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, হৃতিকের (Hrithik Roshan) সঙ্গে তাঁর আইনি লড়াই শুরু হলেই আমিরের সঙ্গে কঙ্গনার বন্ধুত্বে বিচ্ছেদ পড়ে। কারণ আমির হৃতিকেরই পক্ষ নিয়েছিলেন। তবে কঙ্গনার এমন স্টোরি দেখার পর নেটিজেনদের একাংশের মত যে, এই ঘটনায় যে কঙ্গনার কন্ঠে আক্ষেপের সুর বোঝা গিয়েছে, তা স্পষ্ট।
অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের (Hrithik Roshan) ভক্ত সংখ্যা অনেক। তাঁর অভিনয়ে, নাচের (Dance) মুভসে বুঁদ হয়ে আছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। হৃত্বিকের মতো তারকাকে কাছে পাওয়া খুব একটা সহজ নয়, তবে মুম্বইয়ের (Mumbai) বড় বড় রেস্তোরাঁর সামনে মাঝে মধ্যে এমন দু একজন তারকার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। সম্প্রতি প্রাক্তন স্ত্রী সুজেন ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে নৈশভোজে গিয়েছিলেন হৃত্বিক রোশন। সেই দিনের এমন এক ভিডিও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়, যা দেখে নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা (Social Media)।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মুম্বইয়ের রেস্তোরাঁ থেকে বাইরে আসছেন হৃত্বিক রোশন। কালো ক্যাজুয়াল টি-শার্ট এবং নীল ডেনিম জিন্সে তাঁকে যথার্থই গ্রিক দেবতার মতো দেখাচ্ছিল বললে ভুল হবে না। অভিনেতার গ্ল্যামারে যেন নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে রেস্তোরাঁ সংলগ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ। সবাই হাঁ করে তাকিয়ে ছিলেন হৃত্বিকের দিকে। এমন সময় রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক ফুড ডেলিভারি অ্যাপের ডেলিভারি বয়। সুযোগ পেয়ে অভিনেতাকে কাছে পেয়েই সেলফি ক্যামেরায় একটি ছবি তুলতে চায় সে। এমন সময় অভিনেতার বডিগার্ড তাঁকে একপ্রকার ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনরা এই ঘটনার সমালোচনা করছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, 'বডিগার্ড যখন ওই ডেলিভারি বয়কে ধাক্কা দিচ্ছিলেন, হৃত্বিক তখন তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেননি। এই ঘটনা দুঃখজনক।'
'খুল্লাম খুল্লা' প্রেম করছেন অভিনেতা ঋত্বিক রোশন (Hrithik Roshan) ও সাবা আজাদ (Saba Azad)। কখনও রেস্তোরাঁয়, কখনও পার্টিতে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যায় তাঁদের। দুজনের মধ্যে বয়সের ফারাক অনেক। কিন্তু তা কোনওভাবেই কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়নি দুজনের মধ্যে। বরং সবরকমের গোঁড়ামিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই একত্রবাস করছেন তাঁরা। সম্প্রতি একসঙ্গে গিয়েছিলেন নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধনে। দু'জনে পোজ দিয়েছিলেন পাপারাৎজিদের সামনে। কিন্তু আম্বানিদের অনুষ্ঠানে এমন কান্ড ঘটল যার ছবি প্রকাশ পেতেই অভিনেতার মহিলা ভক্তরা গলে জল হয়ে যাচ্ছেন।
সামাজিক মাধ্যমে আম্বানিদের অনুষ্ঠানের অন্দরের কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। তার একটিতে দেখা গিয়েছে প্রেমিকা সাবা আজাদের হিল জুতো হাতে নিয়ে ঘুরছেন ঋত্বিক রোশন। স্টাইল স্টেটমেন্টের জন্য অনেকেই হিল পরেন কিন্তু মাঝেমধ্যে তা পা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাবা আজাদের বোধহয় তেমনটাই হয়েছিল। আর সেই জুতো পরম যত্নে হাতে তুলে নিয়েছিলেন ঋত্বিক রোশন। এই ছবি দেখে নেটিজেন ও ঋত্বিক ভক্তরা প্রশংসা করেছেন।
অভিনেতা ঋত্বিকের অভিনয়ের, নাচের প্রচুর ভক্ত। তাঁর সৌন্দর্যে-গ্ল্যামারে মোহিত ভক্তরা। নেটিজেনরা তাঁর নাম দিয়েছেন 'গ্রিক ঈশ্বর'। প্রসঙ্গত এর আগে সুজান খানকে বিয়ে করেছিলেন ঋত্বিক। তাঁদের সন্তানও রয়েছে। কিন্তু ঋত্বিক ও সুজান বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন। এরপর অভিনেতা প্রেমে পড়েন সাবা আজাদের। আজকাল তাঁদেরই প্রেমের চর্চা চারিদিকে।
৪৯-এ পা দিলেন 'গ্রিক গড' হৃতিক রোশন (Hrithik Roshan)। ছোট থেকে বড় সকলের হার্ট থ্রব হৃতিক দ্বিতীয়বার বসতে চলেছে বিয়ের (Marraige) পিঁড়িতে। জন্মদিনের দিনই এমন খবর ঘোরাঘুরি করছে বলি পাড়া থেকে নেট পাড়া। সুজ়ানের সঙ্গে দীর্ঘ ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের পরই বলি (Bollywood) অভিনেতার মনে জায়গা করে নিয়েছেন সাবা (Saba Azad) আজাদ। দু'জনের সম্পর্কের গভীরতাও অনেকটা বেড়েছে। রীতিমতো প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন সাবা-হৃতিক। এবার খুব শীঘ্রই নাকি তাঁরা বিয়েও করতে চলেছেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে নাকি দারুণ খুশি পরিবারও। জল্পনা কতটা সত্যি হয় তারই অপেক্ষায় অনুরাগী মহল।
হৃতিক ও সুজানের দুই সন্তান রেহান এবং হৃদান এখন অনেকটাই বড় হয়েছে। অভিনেতার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তাঁদের দুই সন্তানের সঙ্গে সাবার সম্পর্কও খুব ভালো। সাবাকে কোনও আপত্তি ছাড়াই মেনে নিয়েছেন। তিনজনের সম্পর্ক বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। এও জানা গিয়েছে, বছর শেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন হৃতিক-সাবা। পরিবারের সকলে উপস্থিত থাকবেন বিয়েতে। সাবাকে সকলের ভীষণ পছন্দের।
উল্লেখ্য, হৃতিক-সুজানের বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও দুজনের মধ্যে এখনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মাঝে মধ্যেই তাঁরা ছেলেদের নিয়ে একসঙ্গে সময় কাটান। ফলে হৃতিকের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রাক্তন স্ত্রী সুজানও।
মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর রাকেশ রোশনের জন্মদিন। হৃতিক সম্পর্কে অনেক অজানা কথা উঠে এসেছে এই প্রযোজক-পরিচালকের কথায়। পরিচালক হিসাবে ততদিনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রাকেশ। নাম যশ খ্যাতি সবই অর্জন করেছেন তিনি। কিন্তু ছেলেকে বাড়ির গাড়িতে চড়তে দেননি তিনি।
অভিনেতা হিসাবে রুপোলি পর্দায় আবির্ভাবের আগে রাকেশের সহকারী পরিচালক হিসাবে ফিল্মি দুনিয়ায় পা রাখেন হৃতিক। বাবর পরিচালনায় কাহো না প্যায়ার হে ছবি দিয়ে বলিউডে পা হৃতিকের। কিন্তু বরাবর কড়া অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে মানুষ হয়েছেন হিন্দি ছবির এই সুদর্শন অভিনেতা। রাকেশের কথায়, 'কলেজ পাশ করার পর হৃতিক বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু সে সময় করণ-অর্জুন ছবির কাজ চলছিল। তাই সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পেতে সহকারী পরিচালক হয়ে যান হৃতিক।'
তিনি জানান, তাঁর বাড়ির গাড়িতে চলার অনুমতি ছিল না। এরপরেই রাকেশ রোশনের পরিচালনায় 'কহো না প্যায়ার হ্যায়' ছবির হাত ধরে নায়ক হৃতিক রোশনকে বলিপাড়াতে নিয়ে আসেন। তিনি খুবই গর্বিত তাঁর ছেলের উন্নতিতে। 'ও খুবই কঠোর পরিশ্রম করেছে', এবং আগামিতে আরও সাফল্য অপেক্ষা করছে।