
লাইন চ্যুত লোকাল ট্রেন। হাওড়া স্টেশন ঢোকার মুখে টিকিয়াপাড়া কারশেডের কাছে লাইনচ্যুত বাগনান-হাওড়া লোকাল। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। কোনওক্রমে ট্রেন থেকে নেমে হেঁটে হাওড়ায় রওনা দেন যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, বাগনান লোকাল ট্রেনে এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন হাওড়ার ডিআরএম-সহ অন্যান্য রেলের আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে উ্দ্ধার কাজ। দুর্ঘটনার জেরে অফিস টাইমে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
রেল সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ৮.৫৫ নাগাদ ডাউন বাগনান লোকালের ৫ নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে অফিস টাইমে এই ঘটনা ঘটায় চরম সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। কী কারণে কীভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছেন রেল আধিকারিকরা।
নতুন পদ্ধতিতে চুরির উপায়। মালিককে কারখানার ভিতরে বন্ধ করে চুরি শ্রমিকের। এরপর ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দিল অভিযুক্ত শ্রমিক। জানা গিয়েছে, এক লক্ষেরও বেশি টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি করেছে শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সালকিয়া বিবির বাগান অঞ্চলে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে হোসিয়ারি ব্যবসায়ী শ্যামসুন্দর দাস তাঁর নতুন শ্রমিক ঈশান মোদিকে সঙ্গে নিয়ে কারখানাতে শুয়েছিলেন। কারণ ভোর হতে না হতেই মঙ্গলা হাটে মাল বেচতে যেতে হবে। তাই তাঁরা কারখানাতেই শুয়েছিল। ৩২৯ নম্বর জি টি রোড সালকিয়া বিবির বাগানে কমলা ভবন এর নিচেই কারখানাটি অবস্থিত ছিল। অভিযোগ, সতর্ক থাকলে রাতে মালিক ঘুমিয়ে পড়ার পর সেই সুযোগ কাজে লাগান অভিযুক্ত ঈশান মোদি। এরপর কারখানার থাকা ক্যাশব্যাগ থেকে সমস্ত টাকা এবং মোবাইল ফোন নিয়ে মালিককে কারখানার মধ্যে বন্ধ করে তালা দিয়ে চম্পট দেন।
এরপর কারখানায় আটকে থাকা মালিক ছটফট করেন এবং বাইরে আসার জন্য ডাকাডাকি শুরু করেন। তারপর চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে রাত দেড়টার পর বাড়ির লোক এবং এলাকার লোকজন এসে তালা ভেঙে উদ্ধার করে মালিক শ্যামসুন্দর দাসকে। এ বিষয়ে গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।
ময়ূরকণ্ঠী নীল কিংবা রানি রঙের সোনালি ছোঁয়া। আঁচল বেয়ে নেমে এসেছে রঙিন ঝুমকো, সিল্কের সুতোর বুনোন, জরির ফুল-- এককালে এসবের চাহিদা তুঙ্গে। এখন কমছে চাহিদা, ধুঁকছে জরি শিল্প। হাওড়ার ধুলাগড়ে এক সময় ঘরে ঘরে জরির কাজ হত। রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা, সংসারের হালও ফিরেছিল। কিন্তু সেই জরি ওস্তাদরা হতাশায় ভুগছেন। যে শিল্পে নিজের হাতে গড়ে পিঠে তুলেছিল, সেই শিল্পের আলো একটু একটু করে নিভছে।
২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মহিলাদের স্বনির্ভর করতে উদ্যোগ নিয়েছিল। বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনও করেছিলেন। সেমত, ২০১৩ সালে হাওড়ায় জরি শিল্পীদের অগ্রগতির জন্য ধুলাগড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জরি হাব তৈরী করে উদ্বোধন করেছিলেন। কথা ছিল, এখানে যেমন ভিন রাজ্যের ক্রেতারা আসবেন, তেমনই কারিগর-ওস্তাগরদের স্টল থাকবে। বড়বাজারের বিকল্প হয়ে উঠবে এই হাব। কিন্তু এখনও তা খাঁ খাঁ করছে। বেশির ভাগ জরি শিল্পীরা কাজ ছেড়ে অন্য কোন কাজে যুক্ত হয়েছেন। তাদের আশা মুখ্যমন্ত্রী যদি একটু জরি শিল্পীদের দিকে নজর দেন, তাহলে হয়ত ফের আগের মত কাজ পাওয়া মিলছে, দুটো পয়সার মুখ দেখতে পারবেন।
পুজো ও বিয়ের মরসুমে আগে এই সময়ে ওঁদের নিঃশ্বাস ফেলার সময় থাকে না। কিন্তু এখন হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন হাওড়ার জরি শিল্পের কারিগর-ওস্তাগররা! এই অবস্থায় এখন আশার আলো তেমন চোখে পড়ছে না। অগত্যা শুধুই হা-পিত্যেশ অপেক্ষা।
ঘরের উঠোনেই খেলছিল বছর দুয়েকের শিশু। খেলতে খেলতে নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার বাঁকড়া পুলিস ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মিশ্র পাড়ায়। জানা গিয়েছে, শিশুটিকে বাড়ির উঠোনে বসিয়ে দোকানে যান শিশুটির মা। কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন শিশুর মা ও প্রতিবেশীরা। কিন্তু দিন পেরোলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি শিশুটির।
খোঁজ না মেলায় বাঁকড়া পুলিস ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফে। শিশুটিকে খুঁজতে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ। তবে কেউ চুরি করে নিয়ে গিয়েছে বলে অনুমান প্রতিবেশীদের।
পুলিসের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হলেও এখনও পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে কী প্রতিবেশীদের অনুমান সঠিক? কে বা কারা তুলে নিয়ে গেল শিশুটিকে? এর পেছনে কোন অভিসন্ধি? ফের প্রশ্নের মুখে সাধারণের নিরাপত্তা।
'যেখান থেকে পারুন হাজির করুন, নেতাজি ইন্দোরে খুজুন আজ, পাবেন তাঁকে।' হাওড়ার এক বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রোমোটারকে হাজিরার নির্দেশ দেয় জাস্টিস গাঙ্গুলি। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জাস্টিস গাঙ্গুলি। বৃহস্পতিবার জাস্টিস গাঙ্গুলি পুলিশকে নির্দেশ দেয় পুলিশ যেন অভিযুক্ত ওই প্রোমোটার পার্থ ঘোষকে বেলা ৩ টের মধ্যে আদালতে এনে হাজির করে। এরপরেই তিনি আরও বলেন, 'একটাও বেআইনি নির্মাণ কোথাও থাকবে না। হাওড়ায় আমার নিজের বাড়ি আছে সেটাও যদি বেআইনি হয় তাহলে সেটাও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিতে হবে।'
সম্প্রতি, হাওড়ার লিলুয়ায় বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেবার নির্দেশ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের। অভিযোগ নির্দেশ কার্যকর করেনি বালি পৌরসভা, সেকারণেই ফের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন করে মামলাকারী সন্ধ্যা ঘোষ। সেই মামলার শুনানিতেই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সাড়ে তিনটের সময় ওই প্রোমোটারকে হাজিরার নির্দেশ দেন জাস্টিস গাঙ্গুলি।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বহুবার সরব হয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।এবার বেআইনি নির্মাণে মামলায় সরব তিনি ।বৃহস্পতিবার একটি বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিন তিনি পুলিশকে নির্দেশ দেন যে, অভিযুক্ত প্রোমোটারকে যেন নেতাজি ইনডোরে গিয়ে খোঁজে পুলিশ। বিচারপতির এমন মন্তব্যের পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত আজ নেতাজি ইনডোরে তৃণমূলের মেগা সভা রয়েছে, তৃণমূলের রাজ্য স্তরের নেতাদের নিয়ে। সেখানে অভিযুক্ত প্রোমোটারকে খুঁজতে বলায় আপাতত তৃণমূলকেই ইশারা করছেন জাস্টিস গাঙ্গুলি এমনটাই ধারণা অভিজ্ঞ মহলের। পাশাপাশি এদিন তিনি তৃণমলের পাশাপাশি পুলিশকে টার্গেট করে বলেন, 'পুলিশ প্রোমোটারের দালালের কাজ করছে।'
হাওড়ার ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যুতে সরগরম হয়ে উঠেছিল গোটা রাজ্য রাজনীতি। হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্য মৃত্যুতে অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় প্রথম থেকেই আনিসের পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়। যদিও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আনিসের পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেও সেই আর্জি খারিজ করে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এবার ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চের দ্বারস্থ মৃত ছাত্র নেতা আনিসের পরিবার। জানা গিয়েছে, ১ ডিসেম্বর বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে শুনানির সম্ভাবনা।
অভিযোগ গভীর রাতে বাড়িতে পুলিশি অভিযানের মধ্যে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় হাওড়ার সারদা খাঁ পাড়ার ছাত্র নেতা আনিস খানের। এ ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে গোটা পরিবার। পরে অবশ্য এ ঘটনায় কতব্যে গাফিলতির অভিযোগে ৩ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। আনিসের মৃত্যুতে পরিবারের দায়ের মামলায় সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ। বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। এ ঘটনার তদন্ত করবে সিট। এরপর সিআইডি আনিসের মৃত্যুর তদন্ত করে চার্জশিট ফাইল করে। কিন্তু তদন্তে ত্রুটির যুক্তিতে পরিবার সিবিআই তদন্ত চেয়ে পিটিশন দাখিল করে। কিন্তু নিম্ন আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে ফের হাইকোর্টে আসে পরিবার। আজ সেই মামলার শুনানির দিন ঠিক করে দিল আদালত।
বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের পৃষ্ঠপোশকতায় শহরে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে মেট্রোরেলের কাজ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরে চালু ছিল মেট্রোর দুটি অপারেশনাল লাইন। দক্ষিনেশ্বর-গড়িয়া এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-ফুলবাগান। এরপরে চালু হয়েছিল রুবি গড়িয়া মেট্রো রুট। হাওড়া-শিয়ালদহ রুটও খোলার মুখে।
পাশাপাশি প্রায় শেষ হতে চলেছে গঙ্গার নিচ দিয়ে বহমান হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনের কাজ। সোমবার জিএমের পরিদর্শনে তা এগোলো আরও এক ধাপ। আগেই জানা গিয়েছিল, ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ হতে পারে মেট্রোর এই রুটের। দেখাও গেল তেমনটাই। শুক্রবার, মেট্রো রেলওয়ে এবং কেএমআরসিএল এর ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে, হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো করিডোর পরিদর্শন করলেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী পি উদয় কুমার রেড্ডি।
এই মুহূর্তে মেট্রো পরিষেবার কতটা কাজ এগোলো, তা দেখার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রাপথের মাঝে প্রত্যেকটি স্টেশনে নেমে ঘুরে দেখলেন সিগন্যালিং ইকুইপমেন্ট রুম, পাওয়ার সাপ্লাই সিস্টেম, টেকনিক্যাল ইকুইপমেন্ট রুম, টানেলে আলোর ব্যবস্থা, লিফ্ট, এক্সক্যালেটর সবটাই। খতিয়ে দেখলেন ভেন্টিলেশন, এসির পরিষেবাও।
শুক্রবার শ্রী পি উদয় কুমার রেড্ডির পরিদর্শনের সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেট্রো রেলওয়ের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার এবং কেএমআরসিএল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্রী ভি কে শ্রীবাস্তব সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তারা। সব ঠিক থাকলে আশা করা যাচ্ছে চলতি বছরের শেষেই শুরু হতে পারে বহু প্রতীক্ষিত হাওড়া ময়দান- এসপ্ল্যানেড ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা।
জুট মিল ভেঙে বিপত্তি, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। শুক্রবার সকালে হাওড়ার ঘুসুরিতে হনুমান জুট মিলের ঘটনা। পাশাপাশি এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক, কয়েকজন শ্রমিক গুরুতর আহত। জানা গিয়েছে, প্রায় ২০০০ বর্গফুট জুড়ে ঘুসুরিতে অবস্থিত এই হনুমান জুট মিল। এদিন সেখানেই ৭০০ বর্গফুটের ছাদ ভেঙে পড়ে ঘটল বিপত্তি। জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম নিখিল সর্দার। বাড়ি বাঁকুড়ায়।
এদিন সকাল ৬ টা নাগাদ শ্রমিকরা যখন কাজে ঢুকছিলেন, সেই সময় জুট মিলের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আর তাতেই চাপা পড়েছে বেশ কয়েকজন শ্রমিক। কোনক্রমে ছুটে প্রাণে বেঁচেছেন নাইট শিফটে কাজ করা বেশ কয়েকজন শ্রমিক। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে উদ্ধার কার্য শুরু করে। জেসিবি মেশিন দিয়ে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ চলে। চার থেকে পাঁচ জন শ্রমিক এখনও ধ্বংসাবশেষের মধ্যে চাপা পড়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা দমকলবাহিনীর আধিকারিকদের। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারের চেষ্টায় ভেঙে পড়া জুট মিলের ধ্বংসাবশেষ থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় একজনকে। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।
শ্রমিকদের দাবি, হাওড়ার ঘুসুরির এই হনুমান জুটমিল অনেক পুরোনো। সেভাবে রক্ষণাবেক্ষণও হয় না। আবার তার ওপরেই তৈরী করা হচ্ছিল নতুন নির্মাণ কাজ। অভিযোগ, জুটমিলের সব মেশিন একসঙ্গে চললে কেঁপে ওঠে বিল্ডিংয়ের চারিদিক। তাতেই বিল্ডিংয়ের বেশ ক্ষতি হয়। আর সেই ক্ষতিগ্রস্থ বিল্ডিংয়ে নতুন নির্মাণ কাজ হচ্ছিল কিভাবে? অভিযোগ, বেআইনিভাবেই তৈরী হচ্ছিল দুর্বল বাড়ির উপর এই নির্মাণ কাজ। যার জেরে আজ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি শ্রমিকদের। অভিযোগ, বারংবার ম্য়ানেজমেন্টকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
হাওড়া জুটমিলে বিধ্বংসী আগুন। ধনতেরাসের দিন সাত সকালেই বিপদ চোখ রাঙাচ্ছে হাওড়ার পাটকলে। কালো ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে চেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পাশেই পেট্রল পাম্প, যেকোনও সময় বিপদ আরও কয়েকগুণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করা হয়েছে পেট্রল পাম্প।
ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে দমকলের ১২ টি ইঞ্জিন। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য এবং আগুন নেভানোর কাজ। ক্ষয়ক্ষতির হিসেবে এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের বস্তা তৈরির কারখানা, প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির কারখানা এবং পিচ কারখানায়। দমকল সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টা নাগাদ আগুন লাগে।
ওদিকে হাওড়ার ঘুসুরিতে জুটমিল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের। জানা গিয়েছে সকালে ওই কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে, আর তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও কিছু শ্রমিক।
সাতসকালে হাওড়ায় দুর্ঘটনা। জাতীয় সড়কের উপর উলটে গেল পান বোঝাই একটি গাড়ি। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ছিলেন সেখানে। ঘটনায় এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেচেদা থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ী পান কিনে কলকাতায় ফিরছিলেন। সলপের কাছে ওই গাড়িটির একটি চাকা ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি রাস্তার উপর উলটে পড়ে। গাড়িতে প্রচুর পরিমাণ পান এবং সুপারি ছিল। সেগুলি রাস্তার উপর ছড়িয়ে পড়ে।
এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, পাইকারি বাজার থেকে পান ও সুপারি কিনে তাঁরা ফিরছিলেন। সপ্তাহে ৩দিন করে তাঁরা যাতায়াত করেন। নাগেরবাজার, শ্যামবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালেও একইভাবে ফেরার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানার অন্তর্গত পশ্চিম বালির উত্তর জয়পুর এলাকার একটি স্কুলে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেবনারায়ণ রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলে যেতে চাইছিল না ওই নাবালিকা। তবু জোর করে পাঠানো হচ্ছিল তাকে। স্কুলে না যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে ওই ছাত্রী কোনও উত্তর না দিয়ে প্রতি বার এড়িয়ে যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার স্কুলে যাবে না বলে জেদ ধরে বসলে পরিস্থতি চরমে ওঠে ওই ছাত্রীর বাড়িতে। এর পরেই সমস্ত বিষয় মাকে খুলে বলে নির্যাতিতা। অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলে একদিন একা পেয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দেন তার। যৌন হেনস্থার শিকার হন ওই নাবালিকা। বারণ করলেও শোনেননি প্রধান শিক্ষক।
এদিকে, শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবার বৃহস্পতিবার নিশ্চিন্দা থানায় গোটা ঘটনাটা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে পেশ করা হবে হাওড়া আদালতে।
নার্সিংহোমে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্য়ুকে ঘিরে উত্তেজনা। পরিবারের অভিযোগ, নার্সদের গাফিলতির কারণে মৃত্য়ু হয়েছে ওই সদ্যোজাত শিশুর। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জগৎবল্লভপুর এর বড়গাছিয়ার একটি বোসরকারী হাসপাতালে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে সদ্যোজাত শিশুর আত্মীয়স্বজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
জানা গিয়েছে, বুধবার মনীষা ঘোড়া নামের মহিলা ওই বেসরকারী নার্সিংহোমে ভর্তি হন। বুধবার সন্ধ্য়ে ছয়টা নাগাদ এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। রোগীর পরিবারের দাবি, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের লোকজন রোগীকে এবং তাঁর বাচ্চাকে সুস্থ দেখেই বাড়ি গিয়েছিলেন।
এরপর এদিন ভোরে রোগীর বাড়িতে ওই নার্সিংহোম থেকে ফোন করে বলা হয় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারপরেই পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি নার্সিংহোমে আসতেই দেখে ওই সদ্যোজাত শিশুটি মারা গিয়েছে। এই ঘটনার পরেও উত্তেজনায় রোগীর আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজন নার্সিংহোম ভাঙচুর করেন। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, নার্সরা বাচ্চাকে ফেলে মেরে দিয়েছে।
বালিতে খুন গৃহবধূ। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়েছিল তাঁর দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বালি থানার পুলিস। দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। বেলুড় ধর্মতলা রোডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, বেলুড় ধর্মতলা রোডের বাসিন্দা গৃহবধূ দীপা পালের (৩১) দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বালি থানার পুলিস। তাঁর স্বামী অক্ষয় পাল কাজের সূত্রে সকালে বের হয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন তাঁর স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ঘরের মেঝেতে। মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। এরপর ঘটনাস্থলে বালি থানার পুলিস এসে দেহটিকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায়। তবে কী কারণে এই খুন এখনও পর্যন্ত তা জানা যায়নি। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য ঘরটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। বালি থানার পুলিস এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। মৃতার স্বামী অক্ষয় পালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
বাড়িতে আগুন লেগে মৃত্যু হল বাবা, মা ও তাঁদের সন্তানের। রবিবার ভোরে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পারিজাত পদ্মপুকুর এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন ভোরে ওই বাড়িতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। সেসময় বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন ইয়াসিন মল্লিক, তাঁর স্ত্রী মহিমা বেগম এবং তাঁদের ১ বছরের সন্তান হুমায়রা খাতুন। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।
আগুন লাগার বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা প্রথমে দমকলে ও থানায় খবর দেন। অতি দ্রুত সেখানে দমকল পৌঁছে আগুন নেভায়। কিন্তু ততক্ষণে বাড়ির ভিতরেই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এছাড়াও আরও একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিসের ধারণা, রাত ২টো বা ৩টে নাগাদ আগুন লাগে। তবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
শনিবার সকালে বিধ্বংসী আগুন হাওড়ায়। সাঁকরাইলের একটি ভোজ্য তেলের গুদামে আগুন লাগার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদিন সকাল সাতটা নাগাদ এই আগুন লাগে। তবে কী ভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থলে গিয়েছে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন। আগুনের জেরে ফুটন্ত তেল রাস্তায় চলে আসে। তাতে আরও আতঙ্ক ছড়ায়।
এদিন সকালে বিকট আওয়াজে ঘুম ভাঙে এলাকাবাসীর। ছুটে এসে তাঁরা দেখেন দাউদাউ করে জ্বলছে এই গুদাম। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উড়ে আসছে। সেইসঙ্গে রাস্তা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ফুটন্ত ভোজ্য তেল।
আতঙ্কিত এখানকার কর্মরত বিভিন্ন গোডাউনের শ্রমিক থেকে শুরু করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও। বিভিন্ন রাসায়নিক থাকায় পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছে বলে জানাচ্ছেন দমকলের কর্মীরা।