প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কলকাতার বুকে ঘটে গেল একটি চাঞ্চল্য়কর ঘটনা। নিউটাউনের ইকোস্পেসে একটি বিলাসবহুল আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্য়া গৃহবধূর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আচমকা বহুতল আবাসনের ১০ তলা থেকে নিচে পড়ে যায় কবিতা কাউর (৩৫)। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই গৃহবধূ বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এছাড়াও তদন্তে নেমে পুলিস আরও জানতে পারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল প্রায় এক বছর ধরে। সেই কারণেই মানসিক বিবাদে ভুগছিলেন কবিতা কাউর। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতের বেলা আচমকা ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত ঘটনার খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাবর্তার মাধ্য়মে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টেকনো সিটি থানার পুলিস।
বাড়ির জল রাস্তায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ। তার জেরে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পেটে লাথি মারার অভিযোগ প্রতিবেশী পরিবারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ পল্লীতে। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূ।
অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগ, এদিন সকালে তিনি কাজে বেরোনোর পর ফোনে খবর পেতেই বাড়িতে ফিরে দেখে তাঁর স্ত্রী যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। জিজ্ঞাসা করতেই তাঁর স্ত্রী বলেন বাড়ির জল যাওয়া নিয়ে প্রতিবেশী উত্তম অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর আচমকায় উত্তম অধিকারীর পরিবার বাড়িতে ঢুকে চড়াও হয় তাঁর উপর। এবং বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ এরপর ওই গৃহবধূর পেটে লাথি মারে। ঘটনাস্থলেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ।
যদিও তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য আবার অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূর স্বামী শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত পরিবারও শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দাবি করে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। দুই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন করে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার শীতলা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম মালা বোস এবং অভিযুক্ত স্বামীর নাম সমীর মণ্ডল। পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। অভিযোগ, প্রায়শই মদ্যপান করে মালা বোসের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত তাঁর স্বামী সমীর মণ্ডল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা মালা বোস একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। স্বামীর সঙ্গে ঝামেলার কারণে মালা তাঁর বাপের বাড়িতে থাকছিলেন। সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ মালা বোসের বাপের বাড়ি গিয়ে তাঁকে বাইরে বেরতে বলেন তাঁর স্বামী। তারপর স্ত্রী বাড়ির বাইরে বেরোতেই শুরু হয়ে যায় কথা কাটাকাটি। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ ছুরি নিয়ে স্বামী সমীর মণ্ডল তাঁর স্ত্রী মালা বোসের উপর হামলা চালান। চিৎকার শুনে বাইরে আসতেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত স্বামী। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মালা বোসের। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে এবং থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
স্ত্রীকে খুন করে পালালেও মঙ্গলবার সকালেই অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানার পুলিস। ধৃতকে এদিন বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
ভোররাতে বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুর থানার অন্তর্গত বিষয়পুর গ্রামে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা হেমন্ত ধীবর প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিনও ভোর তিনটে নাগাদ মাছ ধরে বিক্রি করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢোকেন অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা মন্মথ পাল। অভিযোগ, এরপর হেমন্ত ধীবরের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী বাধা দিলে শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ জানান হেমন্ত। পাশপাশি পুলিসি অসহোযগিতার অভিযোগও এনেছেন হেমন্ত।
হেমন্ত ধীবর আরও জানিয়েছেন, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন তাঁর ১১ ও ১৫ বছরের মেয়ে। বড় মেয়ে চিৎকার শুনে এগিয়ে আসতেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তাঁর আরও দাবি, লাভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা ও গ্রামবাসীরা সকলেই চাইছেন অভিযুক্তের শাস্তি হোক। তাঁদের দাবি, এই ঘটনা প্রথম নয় এর আগেও অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। রীতিমতো আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। বিশেষ করে মেয়েদের এবং বাড়ির মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে।
তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তের বাড়ি ফাঁকা। গ্রামেও তাঁদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। গোটা ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। যদিও পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মামলা রাজু করে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি করছে পুলিস।
স্ত্রীকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বারুইপুর থানার আইসি সৌমজিৎ রায়ের নীতিতে বিশাল পুলিস বাহিনী যায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম অঞ্জলি মণ্ডল (৩৭)। এবং অভিযুক্ত স্বামীর নাম রবিন মণ্ডল। বাড়ি বারুইপুর থানার অন্তর্গত শিখর বালি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রপালার মনসাতলা গ্রামে। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল ওই গৃহবধূ। তারপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোনো খবর মেলেনি তাঁর। এরপরেই বাড়ির ভিতর থেকে একটা পচাগন্ধ পায় স্থানীয়রা। এই বিষয়ে সন্দেহ হওয়া মাত্রই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিস গিয়ে ছাগলের ঘর থেকে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। ইতিমধ্য়ে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এমন সন্দেহে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ওই গৃহবধূ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক থানার পুরাতন ১৮ মাইল এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, গৃহবধূর নাম রাধা মণ্ডল (২৪)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম স্বপন মণ্ডল। যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। বর্তমানে আহত ওই গৃহবধূ চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
স্থানীয় পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই স্ত্রীকে সন্দেহ করছিল স্বামী। যা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী এবং দুই পরিবারের মধ্যে বেশ ঝামেলা-অশান্তি হচ্ছিল। এরমধ্যে এক অজানা নম্বর থেকে স্ত্রীর মোবাইলে ফোন আসায় আরও সন্দেহ বাড়ে স্বামীর মনে। আর তারপরেই স্ত্রীকে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত থাকার সন্দেহে বেধড়ক মারধর করতে আরম্ভ করে তাঁর স্বামী। স্ত্রীকে মেরে তাঁর কপাল ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী গা ঢাকা দিয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। অভিযুক্তকে খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আবারও একবার নদিয়ায় চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এবার নদিয়ার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে এক গৃহবধূর বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে উঠেছে। সেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রোগীর আত্মীয়রা। মৃত মহিলার নাম, মঞ্জু মণ্ডল। বাড়ি নারায়নপুরের।
পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ সেমবার সন্ধ্য়া ৬ টা নাগাদ ওই গৃহবধূ অসুস্থতার কারণে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করার পর বারংবার ডাক্তার ও নার্সদের বলার পরেও কোনওরকম চিকিৎসা করেনি তাঁরা। যার ফলে মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ চিকিৎসার অভাবে মারা যায় ওই গৃহবধূ। এই মৃত্য়ুর খবর পাওয়া মাত্রই মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূর আত্মীয়রা তেহট্ট মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পরেন। বিনা চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় রোগীর পরিজনেরা।
মৃত রোগীর আত্মীয়দের দাবি, রাজ্যের চিকিৎসার হাল বেহাল। সেই কারণে তেহট্ট গ্রামীণ হাসপাতালে কোনওরকম চিকিৎসা করা হয়নি রোগীর। যার ফলে প্রতিদিন হাসপাতালে গিয়ে মৃত্য়ু হচ্ছে হাজারও রোগীর। এমনকি ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলতে গেলেও তারা রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে কিছুই বলেন নি তেহট্ট হাসপাতালের সুপার। তবে চরম গাফিলতির জেরেই একের পর এক রোগীর মৃত্যু ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃত গৃহবধূর আত্মীয়রা।
গৃহবধূকে নিশংসভাবে মারধরের অভিযোগ উঠল শশুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায় দাসপুর থানার পুলিস। এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার সুরতপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, ছেলে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকার সুযোগে বৌমাকে শুক্রবার গভীর রাতে বৌমাকে বেধড়ক মারধর করে শশুর ও শাশুড়ি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সুরতপুর এলাকার বাসিন্দা নিমাই মেটার ছেলে প্রশান্ত মেটা কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। প্রশান্ত মেটার স্ত্রী থাকেন শশুর বাড়ি অর্থাৎ নিমাই মেটার বাড়িতেই। ছেলে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকায় বৌমাকে অন্য কাউকে ফোন করছে এই সন্দেহে বৌমা মাম্পি মেটাকে বেধড়ক মারধর করে তাঁর শশুর ও শাশুড়ি। মাম্পির চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেয় দাসপুর থানায়।
ঘটনার খবর পেয়ে গভীর রাতেই দাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমিত মুখার্জির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিসবাহিনী। মাম্পিকে পুলিস উদ্ধার করে প্রথমে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে পুলিস আটক করেছে মম্পির শশুর শাশুড়ি তথা নিমাই মেটা ও তাঁর স্ত্রীকে। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে মাম্পির স্বামী প্রশান্ত মেটাকে।
ফের গার্হস্থ্য হিংসা, ফের অত্যাচারিত এ রাজ্যের নারী। প্রথমে বেধড়ক মারধর। তারপরই গায়ে ঢেলে দেওয়া হল অ্যাসিড (Acid Attack)। পণের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীর উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ স্বামী ও তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সমেত গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আনলেন খোদ অ্যাসিড আক্রান্ত গৃহবধূ (housewife)। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলতলির (Kultali) দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে আহাচান হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই মহিলার। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। অভিযোগ, গত ২৬ তারিখ ঝামেলা চলাকালীন অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয় বধূর গায়ে। চিকিৎসা তো দূর, বাড়ি থেকে পর্যন্ত বেরোতে দেওয়া হয়নি ওই অ্যাসিড আক্রান্ত গৃহবধূকে।
অবশেষে, রবিবার রাতে কোনও ক্রমে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় অভিযোগ জানান বধূ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী আহাচান হালদার ও দ্বিতীয় স্ত্রী আসিদা হালদার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কুলতলি থানার পুলিস।
উল্লেখ্য, ২০২১-এর ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, গার্হস্থ্য হিংসার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। কারণ, পণের দাবি। সেই পরিসংখ্যানেরই তো ছোট্ট উদাহরণ কুলতলির এই ঘটনা।
যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) থাবা। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়়ছে মৃতের সংখ্যাও। ফের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (Death) হলো এক গৃহবধূর। আতঙ্কিত এলাকাবাসীরাও।
জানা গিয়েছে, জ্বর সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে আহিরন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল সীমা বিবিকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় সীমা বিবির।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে সুতিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক গৃহবধূর। ফের একই ঘটনার পর স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৎপরতা চোখে পড়ে। এলাকায় ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার, মশার স্প্রে। কিন্তু এতে কতটা কাজ হচ্ছে? আদৌ ডেঙ্গি প্রতিরোধ করা যাচ্ছে? চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা। পর পর দুটি মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
কেন প্রশাসনিক তরফে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না? একের পর এক মৃত্যুতেও কেন হুঁশ ফিরছে না? প্রশ্নগুলো থেকেই যাচ্ছে।
বিয়ের তিন মাসের মধ্য়েই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল ডোমকলের এক গৃহবধূর। গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্য়ু ঘিরে বেশে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডোমকলের বঘারপুর রমনা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই গৃহবধূর নাম ঝর্ণা খাতুন (১৯)। পণের দাবিতে ওই বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতার বাপের বাড়ির লোকের। পুলিস ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে।
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র তিন মাস আগে জলঙ্গির দুর্লভ পাড়ার ঝর্ণা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় ডোমকলে বঘারপুর রমনা এলাকার গোলাম মর্তুজার। বিয়ের পর থেকেই মৃতার শশুরবাড়ির লোকেরা পণের দাবি করতে থাকেন। আর প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে ঝামেলা অশান্তি লেগেই থাকত। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে মৃত ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ফোন করে জানায় তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। যদিও মৃতার পরিবারের লোকের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয় শ্বাসরোধ করেই তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি খুন।
সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ গৃহবধূর (Housewife) গলা কাটা মৃতদেহ। খুনের অভিযোগে আটক স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। পরে তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেফতার (Arrest) করা হয় মৃতার শ্বশুর-শাশুড়িকে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত বধূর নাম মোনালিসা ঘটক। অভিযোগ, পণের দাবিতে খুন করা হয়েছে গৃহবধূকে। শনিবার, নিখোঁজ ওই গৃহবধূর দেহ বাঁকুড়ার ঢেকিয়া গ্রামের এক প্রতিবেশির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে পুলিস। এদিন দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পাঠায় পুলিস। পাশাপাশি ধৃত শ্বশুর সুজিত ঘটক ও শাশুড়ি ইতু ঘটককে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
বৃহস্পতিবার থেকে আচমকাই শালতোড়া থানার অন্তর্গত ঢেকিয়া গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মোনালিসা ঘটক নামের ওই গৃহবধূ। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটক ও মোনালিসার বাবা ও মাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে শালতোড়া থানায় তার স্ত্রীর নিখোঁজ অভিযোগ জানান। স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পরেই কাজু ঘটকের বাবা সুজিত ঘটক ও মা ইতু ঘটকও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে পুলিসকে জানায় সে। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই মোনালিসার শ্বশুর শাশুড়ির খোঁজ শুরু করে পুলিস।
মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এবং বিশেষ সূত্রের খবর পেয়ে পুলিস জানতে পারে মৃতার শ্বশুর শাশুড়ি বিষ্ণুপুর থানার হিংজুড়ি গ্রামে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে। সেখানে হানা দিয়ে নিখোঁজ বধুর শ্বশুর শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। এরপরই পুলিস ঢেকিয়া গ্রামে হানা দিয়ে মৃতার এক প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ছয় আগে শালতোড়ার বিষজোড় গ্রামের এক যুবককে ভালোবেসে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী ঢেকিয়া গ্রামের কাজু ঘটকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে তাঁকে বিয়ে করে ঢেকিয়া গ্রামে কাজু ঘটকের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। এই গোটা ঘটনার খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সন্দেহজনকভাবে এক গৃহবধূর (House Wife) নিখোঁজের (Missing) ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া থানার ঢেকিয়া গ্রামে। গৃহবধূ নিখোঁজের পর থেকেই পলাতক শ্বশুর শাশুড়িও। ঘটনায় নিখোঁজ গৃহবধূর পরিবারের লোকজন শালতোড় থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস (Police)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিতলপুর গ্রামের মোনালিসাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের বিষজোড়া গ্রামের এক যুবক। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে সম্প্রতি, মোনালিসা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পার্শ্ববর্তী গ্রামের টোটো চালক কাজু ঘটকের সঙ্গে। মে মাসে কাজু ঘটককে বিয়েও করেন মোনালিসা। এরপর থেকেই ওই গৃহবধূ ঢেকিয়া গ্রামে কাজু ঘটকের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন।
গৃহবধূর বাড়ির লোকজনের দাবি, কাজু ঘটকের বাবা-মা পণের দাবীতে মাঝেমধ্যেই মোনালিসার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। বৃহস্পতিবার কাজু ঘটক টোটো মেরামতির জন্য শালতোড়ায় যান। সেই সময়ই কাজুর বাবা ফোনে কাজুকে জানায় তাঁর স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। তড়িঘড়ি কাজু নিজের বাড়িতে ফিরে এলে দেখেন শুধু তাঁর স্ত্রী নয় বাবা-মাও পালিয়ে গিয়েছেন। এরপরেই কাজু তাঁদের খবর দেয়। তাঁদের আরও দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির ভিতরে রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। আশঙ্কা মোনালিসাকে খুন করে অথবা জোর করে অন্য কোথাও সরিয়ে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে কাজুর বাবা ও মা।
পণের দাবিতে এক মূক ও বধির গৃহবধূকে গলা টিপে খুন (Killing) করার চেষ্টার অভিযোগ। পাশাপাশি ওই গৃহবধূর (House Wife) গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) থানার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসতপুর গ্রামে। এই ঘটনায় স্থানীয়রা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে হরিশচন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ছয় বছর আগে পিংকি দাসের সঙ্গে অমল দাসের বিয়ে হয়। অমল দাস পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের তিনটি নাবালক সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ে হওয়ার তিন মাস পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত পিংকি দাসের উপর। এমনকি পণের দাবিতে বুধবার শ্বাসরোধ করে খুন করারও চেষ্টা করে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।
তাঁদের আরও অভিযোগ, পিংকির বিয়ের সময় নগদ এক লক্ষ আশি হাজার টাকা ও আসবাবপত্র সহ যাবতীয় জিনিসপত্র দেওয়া সত্ত্বেও আরও পণের দাবিতে অত্যাচার করত অভিযুক্তরা। তাদের দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় একাধিকবার তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ঘর থেকে বের করেও দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতি ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় পিংকিকে তাঁর স্বামী ও পরিবারের লোকেরা গলা টিপে শ্বাস রোধ করে খুন করার চেষ্টা করে, এমনটাই অভিয়োগ করছেন তাঁরা।
পিংকি দাসের বাবা কিশান দাস বলেন, 'পণের টাকা দেওয়ার পরেও মেয়ের উপর অত্আয়াচার করা হত। বুধবার তো মেযেকে মেরে ফেলারই চেষ্টা করা হয়েছিল। স্থানীয়দের জন্য় রক্ষা পেয়েছে। তাই পুলিসের কাছে আবেদন করেছি, অভিযুক্তরা যেন কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি পায়।'
স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন (Dead) করার অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Katwa) কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত পালিটা গ্রামে। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিস (Police)। পাশাপাশি ওই গৃহবধূর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম ফুলেশ্বরী ফৌজদার ও অভিযুক্তর নাম সন্তোষ ফৌজদার। দুজনেই কেতুগ্রামের পালিটা গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ২৬ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। অভিযুক্ত পেশায় একজন প্রাক্তন সেনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে অশান্তি হয় তাঁদের মধ্যে। তারপরেই শনিবার সকালে প্রতিবেশীরা জানতে পারেন ফুলেশ্বরীকে পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। শেষমেশ ঘরের মধ্যেই ফুলেশ্বরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
মৃতার পরিবার জানিয়েছে, ফুলেশ্বরী খুব চাপা স্বভাবের মেয়ে। পরিবারের অশান্তির কথা কখনও জানাতো না। তবে বেশ কয়েকদিন আগেই পারিবারিক ঝামেলার কথা বাড়িতে জানিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, এই অভিযুক্তকে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দেওয়া হোক প্রশাসনের তরফ থেকে।
উল্লেখ্য, ফুলেশ্বরী আত্মহ্ত্যা করেছে নাকি আদতেি তাঁকে খুন করা হয়েছে তাঁর তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।