
বিতর্ককে সঙ্গী করে সাফল্যের মুখ দেখেছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ছবি 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story)। বক্স অফিসে পার করেছে ২০০ কোটির গণ্ডি। 'দ্য কেরালার স্টোরি'র মুক্তির আগে থেকেই সহ্য করতে হয়েছে একাধিক সমালোচনা, বিতর্ক, ব্যান। তবে এই সমস্ত কিছু পার করে আজ সফল ছবিটি। কিন্তু এই ছবির সাফল্যের মাঝেই মিলল দুঃসংবাদ। জানা গিয়েছে, অসুস্থ ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। পরিচালকের অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে তাঁর অনুরাগীরা।
জানা গিয়েছে, ছবির মুক্তির পর থেকে টানা যে চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে, তার ফলেই কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, ডিহাইড্রেশন ও ইনফেকশন হয়েছে তাঁর। সেই কারণেই তাঁকে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অসুস্থতা খুব একটা গুরুতর নয়। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'আমি মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি। ডিহাইড্রেশন আর ইনফেকশনের জন্যই ভর্তি হয়েছি। তবে এখন ভালো আছি। চিকিৎসকদের বলেছি যাতে আজই আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।'
আরও জানা গিয়েছে, সুদীপ্ত সেনের অসুস্থতার জন্য আপাতত ছবির প্রমোশন বন্ধ থাকছে। তবে তিনি সুস্থ হলেই ফের ছবির প্রচার শুরু করে দেবেন। ১০ টি শহর ঘুরে ছবির ক্যাম্পেনিংয়ের পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন বলে সূত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে রবিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Medical College) হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) বেড না পাওয়া শুভদীপ পালকে। আজ সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল শুভদীপের। বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুভদীপকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। বেড না পাওয়ার পর এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। আজ শুভদীপের মৃত্যুর খবরে কার্যত ভেঙে পড়েছেন কামারহাটির বিধায়ক। ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’ শুভদীপের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন বিধায়ক। তাঁর মৃত্যুতে এতটাই মর্মাহত মদন মিত্র যে আজ নিজের সব কর্মসূচিও বাতিল করে দিয়েছেন তিনি।
শুভদীপকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদেও জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পরেও এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো যায়নি। তারপর অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। আর এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে, সঠিক সময়ে যদি হাসপাতালে ভর্তি করা যেত শুভদীপকে, তাহলে কি এই পরিণতি দেখতে হত?
কলকাতা মেডিক্যালে যে সময়ে শুভদীপকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। বুকের পাঁজর ভেঙে গিয়ে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শুভদীপের চিকিৎসার জন্য কলকাতা মেডিক্যালে ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল। শুভদীপের অবস্থায় যে মোটেই ভাল ছিল না, তা গতকাল কলকাতা মেডিক্যালের এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারীর কথাতেই স্পষ্ট ছিল। বলেছিলেন, ‘এক কথায় বলতে গেলে শুভদীপ ভাল নেই। আমরা ওকে যে অবস্থায় পেয়েছি…’। সেই কথা থেকেই আশঙ্কার কথা স্পষ্ট। আর আজ হাসপাতালেই মৃত্যু শুভদীপের।
আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমনি (Parimoni)। গত শুক্রবার নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে লিখেছিলেন, তাঁর ১০৩ জ্বর। তারপর পরিস্থিতি আরও গুরুতর হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে ৯ মাসের সন্তান রাজ্য একেবারে ছোট। মায়ের মন সন্তানকে ছেড়ে থাকতে পারেনি। তাই হাসপাতালে মায়ের বিছানাতেই সঙ্গী হয়েছে একরত্তি। সামাজিক মাধ্যমে পরীমণি নিজেই সেকথা শেয়ার করেছেন।
মাতৃ দিবসে একটি ছবি শেয়ার করে পরীমণি লিখেছিলেন, 'মায়েদের জীবন সত্যিই সুন্দর কঠিন'। ছবিতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পরীর হাতে চ্যানেল করা হয়েছে। এদিকে তাঁর পাশে শুয়ে নিশ্চিন্ত ঘুমে রাজ্য। এই ছবি দেখে অবশ্য মন গলেছে নেটিজেনদের। তাঁরা পরীমণির মায়ের কর্তব্য পালন করতে দেখে প্রশংসা করেছেন। একসঙ্গে পরীমণির আরোগ্য কামনা করেছেন নেটিজেনরা।
বাংলাদেশের অভিনেত্রী হয়েও এই বাংলাতেও বেশ জনপ্রিয় পরীমণি। ফেলে আসা বছরগুলোয় পরীর ডানায় এত বিতর্ক এসে লেগেছে যে তাঁকে নিয়ে দিকে দিকে আলোচনা হয়েছে। তাঁর সম্পর্ক নিয়ে চর্চা, তাঁকে গ্রেফতারি নিয়ে চর্চা। নেট মাধ্যমে তাঁর দিকে নেটিজেনরা কুমন্তব্য ঢেলে দিলেও, দিন শেষে পরীর সৌন্দর্যে সকলেই ঘায়েল।
বাংলা এবং হিন্দি সংগীত জগতের জনপ্রিয় গায়ক অঙ্গরাগ মোহান্ত ওরফে পাপন (Papon) হাসপাতালে ভর্তি। এই সপ্তাহের শুরুর দিকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে একথা জানিয়েছেন গায়ক। সঙ্গে একটি ছবিও আপলোড করেছেন তিনি। ছবিতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের (Hospitalized) বিছানায় শুয়ে রয়েছেন পাপন। পাশে বসে রয়েছে গায়কের ১৩ বছরের ছেলে। পাপন জানিয়েছেন, ছেলেই এখন হাসপাতালে তাঁর পাশে প্রহরীর মতো বসে রয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে পাপন জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তিনি কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ছেলে পুহর তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। পাপন লিখেছেন, 'আমরা একাই এই ছোট ছোট যুদ্ধগুলির সঙ্গে লড়াই করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এইসব লড়াইয়ের কথা সমাজিক মাধ্যমে শেয়ার করি না। কিন্তু গত রাত অন্যরকম ছিল। প্রথমবার আমার ১৩ বছরের ছেলে আমার প্রহরী হয়েছিল সারা রাত। আমার জন্য এই মুহূর্ত খুবই ইমোশনাল।'
পাপন আরও লিখেছেন, 'আমার মনে পড়ে মা বাবার জন্য আমিও এমন মুহূর্ত কাটিয়েছি। আফসোস হয়, যদি আমার মা বাবা পুহরের এই দৃশ্য দেখতে পারতেন। নিজেকে ধন্য মনে করি।'
অসুস্থ হয়ে পড়লেন টলিউডের বিশিষ্ট পরিচালক নন্দিতা রায় (Nandita Roy)। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে (Hospitalised)। জানা গিয়েছে, গত তিন দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন নন্দিতা। ধুম জ্বরে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসায় জ্বর নিয়ন্ত্রণে না এলে, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
আপাতত কয়েকদিন হাসপাতালেই থাকতে হবে নন্দিতাকে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ভয়ের কিছু নেই। খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। একাধারে পরিচালক এবং প্রযোজকের চিন্তায় তাঁর কাছের মানুষেরা। টলিউডের পরিচালকদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছেন তিনি। সদ্য মুক্তি পেয়েছে, নন্দিতা রায় প্রযোজিত সিনেমা 'ফাটাফাটি'। দর্শকরা বেশ উপভোগ করছেন সিনেমাটি।
অন্যদিকে প্রকাশ্যে এসেছে নন্দিতা রায় পরিচালিত প্রথম হিন্দি ছবি শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী'। ছবিতে থাকছেন টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। দেখা যাবে বলিয়া অভিনেতা পরেশ রাওয়ালকে। ইতিমধ্যেই শ্যুটিং শেষ হয়েছে সিনেমাটির। এবার একে একে মুক্তি পাবে সিনেমার টিজার, ট্রেলার। নন্দিতা রায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় মন খারাপ তাঁর এতো বছরের সহ পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। নন্দিতার আরোগ্য প্রার্থনা করছেন সকলে।
চিকিৎসার গাফিলতিতে (Medicalnegligence) মৃত্যু (Death) রোগীর (Patient)। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুর লক ফ্যাকটারি রোডে অবস্থিত একটি নার্সিংহোমে। গত রবিবার, মিনতি পাঁজা নামে বছর ৪৫-এর এক রোগীকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় টিউমার অপারেশনের জন্য। অভিযোগ, ওই নার্সিংহোমে অপারেশনের পর রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার রাতে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) রেফার করে। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির পরই রাতে মারা যান ওই রোগী। মৃত্যুর খবর চাউর হতেই রোগীর আত্মীয়রা এবং গ্রামবাসীরা ওই নার্সিংহোমে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান।
মৃতের পরিবারের লোকের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে মিনতির। বুধবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় গ্রামে। এরপর গ্রামবাসীরা মৃতদেহ নার্সিংহোমের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কম্পিউটার, টেবিল, চেয়ার, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং বাইক ভাঙচুর চালায়।
রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা হাওড়া আমতা রোড অবরোধ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস। মৃতের পরিবার এবং গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, অবিলম্বে এই নার্সিংহোমকে বন্ধ করে দিতে হবে। নয়তো বহু মানুষকে এভাবে চিকিৎসার গাফিলতির কারণে প্রাণ হারাতে হবে। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছে।
নিবেদিতা মাইতি: 'যেরকম সাহায্য অরিজিৎ বাবু চাইবেন, সে সবরকম সাহায্য উনাকে করা হবে।' মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে বিখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের হাসপাতাল তৈরী প্রসঙ্গে সিএন-ডিজিটালকে এমনই জানালেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। দেশের নয় শুধু, একার্থে গোটা বিশ্বের জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। তাঁর গানে মুদ্ধ দেশ ও বিদেশের সবাই। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও তাঁর গানে মুগ্ধ।
একটি রাজনৈতিক সভা থেকে সম্প্রতি মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'ওর গানেও দরদ, ওর মনেও দরদ।' সূত্রের খবর, বিশ্বখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিং জনক্যাণ স্বার্থে একটি হাসপাতাল (Hospital) তৈরি করতে চান বাংলায়। আর এই উদ্যোগের কথা তিনি পূর্বেই ভাগ করে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ। তবে জঙ্গিপুরে দুঃস্থ মানুষদের জন্য নিজের খরচে একটি হাসপাতাল তৈরি করতে চান তিনি। আর গায়কের সেই ইচ্ছাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার একটি প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় অরিজিৎ সিংয়ের হাসপাতাল তৈরী প্রসঙ্গে সবরকম সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। এবং তার সাময়িক দায়িত্ব জঙ্গিপুরের সাংসদের উপর দেন।
বৃহস্পতিবারের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানকে ফোনে ধরে সিএন-ডিজিটাল। জঙ্গিপুরের সাংসদ স্পষ্ট জানালেন, 'অরিজিৎ সিং আমাদের গর্ব। এছাড়া আমরা খুব গর্বিত অরিজিৎ বাবুর এই উদ্যোগ নিয়ে। কারণ আমাদের এলাকার মানুষ আরও ভালো পরিষেবা পাবেন। যেটা সম্পূর্ণ আমাদের নেত্রী মমতা ব্যনার্জীর অনুপ্রেরণা। উনার উৎসাহে, উনার পরামর্শ ক্রমে অরিজিৎ বাবু জঙ্গিপুরে হাসাপাতল তৈরি করতে পারবেন। এমনকি জঙ্গিপুরের মানুষেরা ওই হাসপাতাল থেকে পরিষেবা পাবেন। তাই এটা আমাদের কাছে খুবই গর্বের বিষয়।'
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'গ্রামের ছেলে অরিজিৎ, গ্রামের জন্য কিছু করতে চায়। একটা হাসপাতাল তৈরি করতে চায় ও। জঙ্গিপুরে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছে। তা-ও অরিজিৎ হাসপাতাল তৈরি করলে মানুষের সুবিধাই হবে।' স্বাস্থ্যগত বিষয়ে রাজ্য সরকারের একটা কাঠামোগত পরিকল্পনা থাকেই। একেই জঙ্গিপুরে একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল আছে, এবার অরিজিৎ সিং হাসপাতাল তৈরী করলে তা কাঠামোগত ভাবে কিভাবে তৈরী হবে? সিএন-ডিজিটালের তরফে তা জানতে চাওয়া হয় সাংসদ খলিলুর রহমানের কাছে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমার এখনও অরিজিৎ বাবুর সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। তবে আমাদের জননেত্রীর সঙ্গে অরিজিৎ বাবু কথা বলে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে পরে যখন অরিজিৎ বাবু বা উনার লোকের সঙ্গে কথা হবে তখন সবকিছু জেনে নেব। তবে একটি হাসপাতালে যে যে পরিষেবা প্রয়োজনীয় সেই সব কিছুই করা হবে।' এমনকি সাংসদ খলিলুর রহমান আরও বলেন, 'এই হাসপাতাল তৈরিতে প্রশাসনিক দিক থেকে যা যা সাহায্যের প্রয়োজন হবে, সেই সব সাহায্য করব। আমি উনাকে সব দিক থেকে সবরকমভাবে সাহায্য করব।'
বিদ্যুৎহীন (Electric Problem) সরকারি গ্রামীণ হাসপাতাল (Hospital)। ফলে সমস্যায় পড়েছেন হাসপাতালের রোগীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছ, ঝড়ের দাপটে মেইন লাইনে ফল্ট হয়ে গিয়েছে। সেই জন্যই এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের নিজস্ব জেনেরেটার বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন রোগীরা।
বিদ্যুৎ না থাকলেই একেবারে অন্ধকার হয়ে পড়ছে হাসপাতাল। তবে এই বিষয়ে নজর নেই প্রশাসনের। সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ হাসপাতালের এমনই দশা। কিন্তু এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল হাঁসখালি,ভীমপুর ও চাপড়ার বেশ কিছু জায়গার রোগীরা। বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তবর্তী রোগীরাও এখানে আসেন চিকিৎসা করাতে। তাই হাসপাতালের এই অবস্থা দেখে আতঙ্কিত রয়েছেন রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তবে এই বিষয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিয়ে বাড়ির ভোজ খেয়ে অসুস্থ (Sick) প্রায় ৫০ জন। গ্রামীণ হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসা করাতে এসে ঠিক মতো পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের (Hooghly) লোকনাথ এলাকার। মূলত বমি, জ্বর এবং পেট খারাপ নিয়েই চিকিৎসা করাতে আসেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, সোমবার তারকেশ্বরের লোকনাথ থেকে পুরশুরা এলাকায় একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রায় দেড়শো জন। সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া করে আসার পর মঙ্গলবার থেকে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন অনেকেই। মঙ্গলবার রাতে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতলে চিকিৎসা করাতে আসেন প্রায় কুড়ি জন। বুধবার সকালে আরও ৫০ জন চিকিৎসা করাতে আসেন তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ঠিক মতো পরিষেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণে সেলাইনও পাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতাল থেকে, এমনটাই দাবি করেন রোগীর পরিবার।
এই বিষয়ে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ ডাঃ সৌভিক দাস বলেন, 'মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালে পেট খারাপ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। তার মধ্যে প্রায় ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিত্সা করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সব রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।' খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে, অনুমান চিকিসকদের।
তবে সঠিক পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগে তিনি বলেন, হাসপাতালের বেড ক্যাপাসিটি যা আছে তার থেকে বেশি রোগী হলে যে সমস্যা হয় সেটা খুব তাড়াতাড়ি ওভারকাম করার চেষ্টা করা হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা গঙ্গাধর গৌড়ার দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান আয়কর (Income tax) আধিকারিকরা। উদ্ধার নগদ ৩০ লক্ষ টাকা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দক্ষিণ কন্নড় (Karnatak) জেলার বেলতানগঠীতে গৌড়ার বাড়িতে পৌঁছন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। এমনকি মহকুমা হাসপাতাল (Hospital) লাগোয়া ওই বাড়ি ছাড়াও ইডাবেট্টু এলাকায় তাঁর আর একটি বাড়িতেও অভিযান চলে।
কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রীর গঙ্গাধর গৌড়ার ছেলে রঞ্জনের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়। গৌড়ার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। তবে তিন জায়গায় নানা নথিপত্র খতিয়ে দেখেন আধিকারিকেরা। কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন ১০ মে। যদিও প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে টিকিট না পাওয়ায় নির্বাচনী লড়াইয়ে এবার নেই গৌড়া। টিকিট না পেয়ে রাজনীতি ছা়ড়ার ঘোষণাও করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গঙ্গাধর গৌড়া।
ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের (Bhatar Hospital) ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই সক্রিয় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (Health Official)। কেন এভাবে রেফার, প্রশ্ন তুলে দেন খোদ জেলা স্বাস্থ্যকর্তা। এই ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, 'যে চিকিৎসক রেফার (Refer) করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোটা ঘটনায় আমরা বিএমওএইচ-র (BMOH) রিপোর্ট তলব করেছি। এই ঘটনা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।'
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, 'রোগীর পরিবার রোগীকে যদি না নিয়ে যেতে পারে, যতটুকু চিকিৎসা ওখানে পাওয়া দরকার ছিল ততটুকু তো অন্ততপক্ষে রোগী পেতেন। কোথায় ভুল ছিল আমরা,খতিয়ে দেখব।' এদিকে ঘটনার পরেই ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি সিএমওএইচ (২) সুবর্ণ গোস্বামী। এদিকে, ওই হাসপাতালে দুটি অ্যাম্বুলেন্সের একটি নাকি বিকল। অন্যটিতে শুধুমাত্র ওষুধ বহনের কাজ হয়। তাছাড়া হাসপাতালের কর্মীরা চাপেন। এমন একটা খবর সূত্র মারফৎ উঠে আসছে।
এই দাবি প্রসঙ্গে স্থানীয়দের অভিযোগ, 'এই হাসপাতালে পরিচালনার অভাব রয়েছে। বিএমওএইচ নিজেদের লোক দিয়ে হাসপাতাল চালান। অ্যাম্বুলেন্স আছে, যদি না থাকে প্রসাশন, স্থানীয় বিধায়ক, পঞ্চায়েতকে জানাক। একটি অ্যাম্বুলেন্সে চেপে ঘুরে বেড়ান বিএমওএইচ। কোনও অ্যাম্বুলেন্স রোগী বহনের পরিষেবা দেয় না।'
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সেই হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, 'বিভাগীয় ব্যাপার যা বলার সিএমএইচও বলবেন। আমার এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার কোনও অধিকার নেই। আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ সিএমওএইচ স্যারকে জানাবো। উনি জানতে চাইলে স্যারকে বলবো। যা জানার স্যারের থেকেই জানবেন। প্রতিটা মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। এই সংক্রান্ত যা যা বলার স্যার বলবেন।'
হাসপাতালের এক অ্যাম্বুলেন্স চালক জানান, 'আমি হাসপাতালে ছিলাম। আমাকে যদি বলা হতো নিশ্চয় সেই রোগীকে নিয়ে যেতাম। এই পরিষেবা গরিবদের জন্য ফ্রি যদি বিএমওএইচ বলে দেন। তবে অন্যদের ডিজেল ভরে দিতে হয়। এটাই সরকারি নিয়ম।'
মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হওয়া ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চূড়ান্ত অব্যবস্থা ও অমানবিকতার ছবি। টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে পারেনি রোগীর পরিবার। অভিযোগ কর্তব্যরত চিকিৎসককে বলেও হয়নি সুরাহা। উলটে রোগীর পরিবারকে বলা হয়, 'ট্রেনে করে বর্ধমানে নিয়ে যান।' এরপর নিরুপায় হয়ে ট্রেন পথে আশঙ্কাজনক রোগীকে নিয়ে বর্ধমানে যাওয়ার তোরজোড় শুরু হতেই ভাতার স্টেশনে মৃত্যু হয় বছর ৪৮-র মেনকা কোঁড়ার।
ঠিক কী ঘটেছে বৃহস্পতিবার? জানা গিয়েছে, ৪৮ বছরের মেনকা কোঁড়ার বাড়ি বর্ধমানের পারবীরহাটার কোঁড়া পাড়ায়। ধান কাটার জন্য সপরিবারে ভাতারের কাঁচগোড়িয়া গ্রামে এসেছিলেন মেনকারা। গত দু-তিন দিন অসুস্থ থাকায় দুর্বল হয়ে পড়েন মেনকাদেবী। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ তাঁকে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তিনটে স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায়, তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যালে রেফার করা হয়।
এখন এই অব্যবস্থার ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, রেফার রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা না করে দিয়ে কীভাবে বর্ধমান মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হল? ভাতারের ঘটনায় মৃতার ভাই রাজু কোঁড়ার অভিযোগ, 'দিদিকে সকাল সাড়ে আটটার সময় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য হাসপাতালে বলি, তাঁরা বলে টাকা লাগবে। আমাদের কাছে অত টাকা নেই শুনে বলা হয়, যাঁদের বাড়ির ধান কাটতে এসেছেন, তাঁদের বাড়ি থেকে টাকা আনতে। এদিকে দিদি ছটফট করছে, তখন ঠিক করি, ট্রেনে করে বর্ধমান নিয়ে যাব। সেই মতো টোটো করে স্টেশনে নিয়ে আসি। প্ল্যাটফর্ম ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই দিদি মারা যান।'
মৃতার স্বামী অসিত কোঁড়ার অভিযোগ, 'আমাদের রোগীকে নিয়ে বর্ধমানে যেতে বললে, আমরা বলি পয়সা নেই কীভাবে যাবো। ওরা বলে ট্রেনে করে চলে যাও। এরপর সঙ্গে যা টাকা ছিল, সেই টাকায় টোটো ভাড়া করে স্টেশনে নিয়ে যাই। তারপরেই মারা গেলো রোগী। হাসপাতালে ছাড়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘটনা। সঠিক সময়ে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা গেলে স্ত্রী বেঁচে যেতেন।'
তবে এখানেই দুর্গতির শেষ নেই। জানা গিয়েছে, রেল স্টেশনে গাছের তলায় বাঁধানো বেদিতে মৃতদেহ রেখে কান্নাকাটি শুরু করে মৃতার পরিজন। কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ীর নজরে বিষয়টি পড়লে তাঁরা চাঁদা তুলে একটি গাড়ির ব্যবস্থা করেন। সেই গাড়ি করে মৃতদেহকে বর্ধমানে পরিবার। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ভাতারের এই ঘটনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) জগন্নাথ হেমব্রম জানান, 'ঘটনার কথা শুনেছি। বিএমওএইচ-কে রিপোর্ট দিতে বলেছি। শুনেছি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি খারাপ আছে। এই ঘটনা অনভিপ্রেত।'
হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) থাকা সত্ত্বেও মিলছে না রোগীদের পরিষেবা। ক্যানিং (Canning) মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা একটি ব্লক হাসপাতালের থেকেও দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। হাসপাতালে ১০২-এর সরকারি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকলেও সেই অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগী ও তাঁর পরিজনরা। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে মোটা টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হচ্ছে রোগীর স্থানান্তরের জন্য।
এক রোগীর পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের শিশু হাসপাতাল বিভাগে ১৭ দিনের এক শিশু ভর্তি ছিল। তবে হঠাত্ ওই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে, জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তখন এই পরিস্থিতিতে ওই শিশুর পরিবার পরিজন ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের দ্বারস্থ হন। কিন্তু হাসপাতালে চত্বরে চার চারটে ১০২ অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা রোগীকে নিয়ে কলকাতায় যেতে রাজি হননি। একের পর এক নানা ধরনের অজুহাত দিয়েছেন তাঁরা। ফলে বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে তিন হাজার টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তবেই রোগীকে স্থানান্তরিত করেন রোগীর পরিজনরা, এমনটাই দাবি তাঁদের।
এই ঘটনার পর থেকেই ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবার। তাঁরা হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন।
প্রচন্ড দাবদহে হুগলীর পুরশুড়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতাল কল আছে জল নেই। হাসপাতালে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিশ্রুত পানীয় জলাধার বসানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে এই জলাধার। কল থেকে জল পড়ছে না। ফলে জল সংকটে ভুগছেন হাসপাতালের রোগীরা। প্রয়োজন মতো জল না পেয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে। এমনকি রোগীর আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা নানা সমস্য়ায় পড়ছেন। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে সকলে।
অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে জল সংকটের কথা জানানো হলেও কোনও লাভই হয়নি। এই তীব্র গরমের মধ্য়ে একপ্রকার বাধ্য় হয়ে সেখানে রোগীরা এবং রোগীর আত্মীয়স্বজনরা রয়েছেন। স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল এই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিশ্রুত পানীয় জলাধার বসানো হয়েছিল। তার ঠিক তিন মাস পর থেকেই খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে কলটি। তাঁদের আবেদন, প্রশাসন যেন অবিলম্বে এই জলাধার সারাইয়ের ব্য়বস্থা গ্রহণ করে।
একদিকে পরিচালনা অন্য দিকে রাজনৈতিক দায়িত্ব। এসবের মাঝে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। খবর পেয়েই উদ্বেগে তাঁর ভক্তরা। কী হয়েছে তাঁর? প্রশ্নে ছয়লাপ নেট দুনিয়া। জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন রাজ। রুটিন চেকআপের জন্য বেসরকারি হাসপাতালে যান তিনি। পরীক্ষায় ধরা পড়ে তাঁর মূত্রনালীতে সংক্রমণ হয়েছে। এর চিকিৎসার জন্যই আপাতত হাসপাতালে (Hospitalized) রাজ।
জানা গিয়েছে, সংক্রমণ তেমন গুরুতর নয়। আপাতত তিনি চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। বুধবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই খবর। এদিকে রাজকে বোধহয় খুব মিস করছেন তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী শুভশ্রী। সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যের সঙ্গে কাটানো একাধিক মুহূর্তের ছবির একটি কোলাজ ভিডিও দিয়েছেন। ছবিগুলিতে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে যুগলকে। ভিডিও পোস্ট করে শুভশ্রী ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমার সবকিছু'।
রাজ চক্রবর্তী সেরে উঠেই কাজে ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে, 'আবার প্রলয়' সিনেমার শ্যুটিং। ওটিটিতে কবে মুক্তি পাবে ছবিটি তা এখনও জানা যায়নি। তাঁর শেষ দুটি ছবি, 'হাবজি গাবজি' এবং 'ধর্মযুদ্ধ' বক্স অফিসে তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। তাঁর নতুন সিনেমা প্রলয় আনতে পারে কিনা তা দেখতে অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকেরা।