সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে এইচআইভি আক্রান্ত (HIV) ৫ জন। অভিযোগের তীর কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের দিকে। সূত্রের খবর, রোগীর পরিবারের তরফে গোটা ঘটনা বিস্তারিত জানিয়ে, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের স্বাস্থ্য দফতরে। অভিযোগের তীরে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের পিপিপি মডেলের পরিচালিত ডায়ালিসিস সেন্টারের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ২ মহিলা-সহ ৫ জন রোগী, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের পিপিপি মডেলে তৈরি ডায়ালিসিস সেন্টারে ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে বর্তমানে এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এই ডায়ালিসিস সেন্টারে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া বাসা বেধেছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবার-পরিজনের। পাশাপাশি রোগীর পরিবারের অভিযোগ ওই হাসপাতালের যন্ত্রপাতি বিকল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করে রোগীদের রোগ বাড়িয়ে দিলেন চিকিৎসক। অভিযোগ, একই সিরিঞ্জ দিয়ে সব রোগীকে ইঞ্জেকশন দেওয়ায় এক শিশুকন্যার এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়েছে। কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের এক চিকিৎসক। ইতিমধ্যে এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে রানিবাঈ লোধী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেন উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। তিনি জানান, 'এমন ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর কঠোর শাস্তি হবে।'
জানা গিয়েছে, এক শিশুকন্যাকে রানিবাঈ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ২০ ফেব্রুয়ারি শিশুটির শরীরে এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়ে। একই ইঞ্জেকশন দিয়ে হাসপাতালের একাধিক শিশুকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। যে কারণেই তাঁদের সন্তান এইচআইভিতে আক্রান্ত, এমনটাই অভিভাবকের অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে ওই রাতেই সন্তানকে ছেড়ে দেন তারা। শুধু তাই-ই নয়, দুর্ব্যবহারও করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে। এই অভিযোগ পেয়ে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক উমেশকুমার ত্রিপাঠী জানান, 'তদন্ত চলছে। যা তথ্য পাওয়া যাবে তা রিপোর্ট আকারে জেলাশাসকের কাছে পৌঁছে যাবে। যদি কেউ এমন ঘটনার দোষী প্রমাণিত হন, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
সন্তানকে বাঁচাতে মা নিজের প্রাণেরও তোয়াক্কা করেন না। সন্তানের বিপদ বুঝলে সেখানে না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন একমাত্র মা-ই। আর সে কথাই ফের প্রমাণ করে দিলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) উমরিয়া জেলার এই মহিলা। ১৫ মাসের শিশুসন্তানকে বাঁচাতে একাই লড়লেন বাঘের সঙ্গে। এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে বান্ধবগড় অভয়ারণ্যে। ২২ বছরের মা এবং শিশু দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করানো হয়। যদিও এখন বিপদমুক্ত ১৫ মাসের সন্তান বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
গুরুতর আহত তরুণীর নাম অর্চনা চৌধুরি (Archana Chowdhury)। হাসপাতালে শুয়ে অর্চনা জানিয়েছেন, তাঁর ১০ মাসের শিশুপুত্রকে (Child) রবিবার পাশে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। ভোরের দিকে হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে পড়ে বাঘ। তাঁর ছেলেকে মুখে করে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় শব্দে ঘুম ভেঙে যায় অর্চনার। সে তীব্র চিৎকার করে বাঘের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আগপিছু না ভেবেই বাঘের পিঠে, মুখে মারতে থাকেন। সেসময়, ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ।
চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। লাঠিসোটা নিয়ে ছুটে আসতে দেখেই বাঘ ভয়ে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। অর্চনার স্বামী ভোলাপ্রসাদ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর কোমরে-হাতে এবং পিঠে আঘাত লেগেছে। আর তাঁদের সন্তানের ঘাড়ে এবং মাথায় আঘাত লেগেছে।
বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভের অধিকর্তা বিএস অ্যানেগিরি জানিয়েছেন, বাঘটি অনেকদিন ধরে ওই এলাকায় খাবার শিকার করতে এলেও আগে আগে কখনও মানুষকে আক্রমণ করেনি। ঘটনার দিন একটি গবাদি পশুকে শিকার করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় বাঘটি। তাতে ক্ষুণ্ণ হয়েই সহসা এই আক্রমণ বলে মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উমারিয়া জেলা হাসপাতাল থেকে অর্চনাকে জব্বলপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছে। পিঠে এবং পেটে গুরুতর আঘাত রয়েছে।