Breaking News
CBI: সোমে জাস্টিস সিনহার তাবড়ে মঙ্গলের সকাল থেকে তল্লাশি অভিযানে সিবিআই      Dumdum: দমদম নাগেরবাজারে বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় উদ্ধার অস্ত্র, জেরায় খুনের কথা স্বীকার অভিযুক্তের      Court: অভিষেকের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই! ইডি-সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা জাস্টিস সিনহার      Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে একাধিক নির্দেশিকা জারি মুখ্যসচিবের      Dengue: ডেঞ্জার 'ডেঙ্গি' রুখতে হটস্পট, বিশেষ ব্যবস্থা স্বাস্থ্য ভবনেরও      Raghav-Parineeti: বর-কনে সাজে রাঘব-পরিণীতি, প্রকাশ্যে 'রাঘনীতি'-র রূপকথার বিয়ের ছবি      Dengue: ডেঙ্গি কিন্তু ডেঞ্জারাস...      India: ৪০০ রানের টার্গেট, শ্রেয়স-গিলের জোড়া সেঞ্চুরিতে পাহাড় সমান রান ভারতের      Resignation: মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে টিএমসিপি! অভিযোগ তুলে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ অধ্যক্ষর      Mamata: 'অনেক কাজ করতে পেরেছি...' স্পেন থেকে কলকাতায় ফিরে জানালেন মমতা     

Hooghly

Body recovery ভিডিও কল করে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ, দেহ মিলল ৫ দিন পর

ঘটনার পাঁচদিন পর উদ্ধার হল দেহ। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বছর ২৩ এর শিকেশ সিং। তিনি চেতলার বাসিন্দা। ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছিল, শিকেশ স্কুটারে করে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আসেন। স্কুটার এক পাশে রেখে মোবাইলে একটি ভিডিও বানান। যেটি তাঁর মা এবং ভাইকে পাঠান। ভিডিওটি দেখা মাত্র পরিবারের লোক পুলিসে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে স্কুটার উদ্ধার করলেও তারা পায়নি শিকেশকে। এদিন দেহ উদ্ধারের খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে সিং পরিবারে।

পরিবারের লোকজন জানিয়েছিলেন, বাড়ির ব্যবসা ভালো চলছিল না বেশ কিছুদিন ধরে। এ নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন শিকেশ। সেই কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানান শিকেশ। শিকেশ ভিডিওতে বলেন, তিনি নিজের সজ্ঞানে মরতে চলেছেন। তিনি জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। স্বেচ্ছায় তিনি মরতে চলেছেন। এর জন্য পরিবার বা বন্ধু বা প্রেমিকা কেউ দায়ী নন।

উল্লেখ্য, আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর তার অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। এই ঘটনারও দিন ছয়েক আগে এখান থেকেই ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

2 years ago
Missing মা ও ভাইকে ভিডিও কল করে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে উধাও

আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর তার অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। দিন ছয়েক আগে এখান থেকেই ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ফের একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে সোমবার রাত ১১.৩০ টা নাগাদ। বছর ২৩ এর শিকেশ সিং। তিনি চেতলার বাসিন্দা। শিকেশ স্কুটারে করে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আসেন। স্কুটার এক পাশে রেখে মোবাইলে একটি ভিডিও বানান। যেটি তাঁর মা এবং ভাইকে পাঠান। ভিডিওটি দেখা মাত্র পরিবারের লোক পুলিসে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে স্কুটার উদ্ধার করলেও তারা পায়নি শিকেশকে। শিকেশের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। পরিবারের লোকজন জানান, বাড়ির ব্যবসা ভালো চলছিল না বেশ কিছুদিন ধরে। এ নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন শিকেশ। সেই কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানান শিকেশ। শিকেশ ভিডিওতে বলেন, তিনি নিজের সজ্ঞানে মরতে চলেছেন। তিনি জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। স্বেচ্ছায় তিনি মরতে চলেছেন। এর জন্য পরিবার বা বন্ধু বা প্রেমিকা কেউ দায়ী নন। শোকের ছায়া নেমে এসেছে সিং পরিবারে।

আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর তার অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। দিন ছয়েক আগে এখান থেকেই ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ফের একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে সোমবার রাত ১১.৩০ টা নাগাদ। 


বছর ২৩ এর শিকেশ সিং। তিনি চেতলার বাসিন্দা। শিকেশ স্কুটারে করে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আসেন। স্কুটার এক পাশে রেখে মোবাইলে একটি ভিডিও বানান। যেটি তাঁর মা এবং ভাইকে পাঠান। ভিডিওটি দেখা মাত্র পরিবারের লোক পুলিসে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে স্কুটার উদ্ধার করলেও তারা পায়নি শিকেশকে। শিকেশের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।


পরিবারের লোকজন জানান, বাড়ির ব্যবসা ভালো চলছিল না বেশ কিছুদিন ধরে। এ নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন শিকেশ। সেই কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানান শিকেশ। শিকেশ ভিডিওতে বলেন, তিনি নিজের সজ্ঞানে মরতে চলেছেন। তিনি জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। স্বেচ্ছায় তিনি মরতে চলেছেন। এর জন্য পরিবার বা বন্ধু বা প্রেমিকা কেউ দায়ী নন। 


শোকের ছায়া নেমে এসেছে সিং পরিবারে। 


2 years ago
bandel church close করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে এবার বন্ধ ব্যান্ডেল চার্চ, সংকটে ব্য়বসায়ীরা

করোনার বাড়বাড়ন্তে এবার বন্ধ ব্যান্ডেল চার্চ। তালা ঝুলল হুগলির ব্যান্ডেল চার্চে। আতান্তরে পড়লেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি বছরই ২৫শে ডিসেম্বরকে উপলক্ষ্য করে চার্চ সংলগ্ন গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় মেলা বসে। যা প্রায় মাস দেড়েক স্থায়ী হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক ব্যবসায়ী এসে এখানে পসরা সাজিয়ে বসেন। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশে মেলাতে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ব্যান্ডেল চার্চ কর্তৃপক্ষও সোমবার থেকে গির্জার গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। সোমবার থেকেই রাজ্যে জারি কড়া বিধিনিষেধ। 

 চার্চ সংলগ্ন মেলা বন্ধ করার নির্দেশ দেন চুঁচুড়া থানার আধিকারিকরা। নির্দেশ অনুযায়ী    সকাল থেকেই তল্পিতল্পা গুটাতে শুরু করেন মেলায় বসা দোকানিরা। এভাবে কি আর জীবন চলে? প্রশ্ন তাদের।

অতিমারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় দীর্ঘদিন পরে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছিল আমজনতা। ২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে আলোর মেলায় সেজেছিল ব্যান্ডেল চার্চ। আট থেকে আশির ভিড়ে ভরে গিয়েছিল মেলা প্রাঙ্গন। এই মেলা থেকে সংসারে দু পয়সার সংস্থান হয় একশর বেশি ব্যবসায়ীর। অতিমারী পরিস্থিতিতে ফের থমকে গেল জনজীবন। বন্ধ হল মেলা। নাগরদোলা পড়ে রইল মাটিতে। এবার ঘরে ফিরছেন দোকানিরা। আবার চিন্তা দু বেলার দু মুঠো খাবার যোগারের জন্য।

বর্ধমান থেকে আসা এক খেলনা বিক্রেতা বলেন সারা বছর ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন মেলায় যান। এই সময় পসরা নিয়ে ব্যান্ডেল চার্চে মাসখানেকের জন্য আসেন। কিন্তু ফের ঘরে ফিরতে হচ্ছে। ২০২০-র পর সবে একটু ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিলেন, বাজারে অনেক টাকা দেনাও হয়ে গেছে। এই মুহুর্তে করোনা না হলেও ভুখা পেটে মরতেই হবে বলে জানান তারা।

করোনা প্রকোপ রুখতে জমায়েত বন্ধ করতে হবে মানছেন প্রত্যেকে। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রে কেন তা মানা হচ্ছে কি? প্রশ্ন মেলায় আসা ব্যবসায়ীদের। কবে ফের প্রভুর ঘরের বন্ধ দরজা খুলবে, সেই আশাতেই রয়েছেন ব্য়বসায়ীরা।

2 years ago


Locket সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় নিখোঁজ, পোস্টার হুগলিতে

নিখোঁজ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সন্ধান চাই। এই মর্মে এবার পোস্টার পড়ল পাণ্ডুয়া শহরে। বুধবার সকালেই এই পোস্টার নজরে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায়।

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে সাধারণ মানুষ বেশিরভাগ সময়ই দেখতে পান না।  ২০১৯ শে ভোটে জেতার পর থেকে নিজের প্রয়োজন ছাড়া তিনি লাপাতা। আমফান হোক বা করোনা, কোনওটাতেই খুঁজে পাওয়া যায়নি ওনাকে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, তাঁর দলের কর্মীরাও ক্ষুব্ধ এই বিষয়ে। মানুষ ক্ষোভ থেকেই পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়ালে এই পোস্টার লাগিয়েছেন। মানুষ যে রাজনীতি ও সমাজ সচেতন, তারই প্রমাণ এই পোস্টার। মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন তিনি। বিধানসভা ভোটে হেরে পালিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, এমনটাই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। 

যদিও বিজেপির বক্তব্য, এটা তৃণমূলের কর্মকাণ্ড। সাংসদ কাজের চাপে সবসময় হুগলিতে থাকতে না পারলেও নিজের দায়িত্ব ঠিক পালন করে চলেছেন। বিগত দিনে তিনি হুগলিতে সবথেকে বেশি কোভিড ভ্যাকসিন এনে দিয়েছেন। এসব তৃণমূলের নোংরা রাজনীতি মাত্র। তিনি পাল্টা তৃণমূলের দিকে অভিযোগের সুর তোলেন। কাটমানি সহ একাধিক অভিযোগ তাঁর মুখে।

তবে আদতে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা রহস্যই রয়ে গেছে। 

2 years ago
Family Murder সিঙ্গুরে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে কুপিয়ে খুন ৪ জনকে

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। তার জেরেই কুপিয়ে খুন। বৃহস্পতিবার সকালে এই ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকল হুগলির সিঙ্গুর থানার নান্দাবাজার এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর,পারিবারিক অশান্তির জেরে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়। আহত হন দুজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হলে পরে সেখানে তাঁদের মৃত্যু হয়।

খুনের অভিযোগ তাঁদেরই দূর সম্পর্কের আত্মীয় যোগেশ ধাওয়ানির বিরুদ্ধে। মৃত দম্পতি হলেন ৫০ বছর বয়সী দীনেশ প্যাটেল ও বছর ৪৫-এর অনুষ্কা প্যাটেল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গুরের নান্দাবাজারে কাঠ চেরাই কল রয়েছে প্যাটেলদের। কাঠকলের সঙ্গেই তাঁদের বাড়ি। এদিন সকালে সেই বাড়িতে যায় প্যাটেলদের আত্মীয় যোগেশ ধাওয়ানি। সেখানে কোনও কিছু নিয়ে অশান্তির জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ৪ জনকে কুপিয়ে দেয় যোগেশ, এমনটাই অভিযোগ। আহত হন দীনেশ প্যাটেল,তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা প্যাটেল, দীনেশের বাবা মাওজি প্যাটেল ও দীনেশের ছেলে ভাবিক প্যাটেল। আহতদের সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দীনেশ ও অনুষ্কা প্যাটেলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। দীনেশের বাবা ও ছেলেকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠায় পুলিস। পরে সেখানে তাঁদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত যোগেশ ধাওয়ানি।

পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা। সেটা সম্পত্তিগত, নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।

কথায় বলে, বিষয় না বিষ। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন ভয়ংকর হতে পারে, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিস এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে। আপাতত পলাতক মূল অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। তাঁকে ধরা গেলেই খুনের মোটিভ পরিষ্কার হবে। একইসঙ্গে তাঁর সঙ্গে আর কেউ এই ঘটনার সময় ছিল কি না, সেটাও পুলিস তদন্ত করে খুঁজে বের করতে তৎপর। মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরিষ্কার হবে, চারজনকে আক্রমণ করতে শুধুই কি ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, নাকি অন্য কিছু।

2 years ago


Child Death: শিশুমৃত্য়ুতে উত্তেজনা, কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল

বিনা চিকিৎসায় গর্ভেই মৃত্যু হল শিশুর। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়ল রোগীর পরিবার। শিশুমৃত্যুর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে। বারবার প্রসূতিকে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগেও এদিন সরব হয় রোগীর পরিবার। 

সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির সাহাগঞ্জ কাঁসারিপাড়ার বাসিন্দা রূপা মণ্ডলকে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বেশ কয়েকবার চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিগত কয়েকদিনে চার-চারবার চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ভর্তি করার পর মুহুর্তেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, মঙ্গলবার ফের হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভর্তি না নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপরেই মগরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে গর্ভের সন্তানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এটা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে রোগীর পরিবার। উত্তেজনা সৃষ্টি হয় হাসপাতালে। 

ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চুঁচুড়া থানার পুলিস। পুলিসের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জনস্বার্থে স্বাস্থ্য় পরিষেবার উন্নতির লক্ষ্য়ে রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করেছেন। কিন্তু আদতে স্বাস্থ্য় পরিষেবার হাল ফিরেছে কি ? প্রায়ই চিকিৎসার গাফিলতির জেরে রোগীমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আসে প্রকাশ্য়ে। উত্তাল হয় হাসপাতাল চত্বর। স্বজনহারা হয় রোগীর পরিবার। কিন্তু তবুও এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলে। সেবা পরম ধর্ম যাঁদের কাছে, এবার তাঁরাই যদি এভাবে প্রসূতিকে ফিরিয়ে দেন, তবে কোথায় যাবে সাধারণ মানুষ ? ভরসা থাকবে কি সরকারি স্বাস্থ্য় পরিষেবায় ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরে মরছে কাঁসারিপাড়ায়।

পুলিস আপাতত এই ঘটনায় পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি হাসপাতালের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করছে। উদ্দেশ্য একটাই, পরিবার যে অভিযোগ করছে, তা কতখানি সত্যি। পাসাপাশি হাসপাতালের কী গাফিলতি ছিল, সেটাও তদন্তে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে। 

2 years ago
Bengal news: পুলিসের তাড়ায় পুকুরে ঝাঁপ, মৃত্যু যুবকের

এই কি ছিল নিয়তি ? 

মদের ঠেকে হানা দিয়েছিল পুলিস। তখনই পালাতে গিয়ে পুকুরে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। এরপর প্রতিবেশীর বাড়িতে ভাঙচুর উত্তেজিত জনতার। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চুঁচুড়ার খড়ুয়াবাজার এলাকা। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে চুঁচুড়ার খড়ুয়াবাজার সংলগ্ন তালতলার বাসিন্দা বিশ্বনাথ দত্তের বাড়ির পাশে বসে মদ্যপান করছিল ব্যাংপাড়ার বছর ২৬-এর যুবক শ্রীকান্ত মাল সহ আরও দু'জন। যা নিয়ে ওই যুবকদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় বিশ্বনাথ দত্তের। এরপরই বিশ্বনাথবাবু চুঁচুড়া থানায় ফোন করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিস। 

পুলিশ আসতেই তিন যুবক পালাতে শুরু করে। পুলিসের তাড়ায় তালতলারই একটি পুকুরে পড়ে যায় শ্রীকান্ত। শ্রীকান্তের দিদি জানান, প্রথমে তাঁর ভাই বাড়িতে এসে পোশাক পরিবর্তন করে। এরপর পুলিস বাড়িতে এলে আবার বাড়ি থেকে পালিয়ে ওই পুকুরে ঝাঁপ দেয়। তারপর আর ভাই বাড়ি ফেরেনি। 

বুধবার দিনভর পুকুরে নেমে শ্রীকান্তের খোঁজ শুরু করে ব্যাংপাড়ার ছেলেরা। বেলার দিকে পুকুরেই ডুবন্ত অবস্থায় শ্রীকান্তের দেহ উদ্ধার হয়। দেহ পাড়ে তুলতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যাংপাড়ার বাসিন্দারা। ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী বিশ্বনাথ দত্তের বাড়িতে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বাড়িতে সেসময় বিশ্বনাথবাবু ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের তিন মেয়ে বাড়িতে ছিলেন। ভাঙচুরে বাধা দিতে গিয়ে এক মেয়ের মাথা ফাটে বলে জানা গেছে। 

গোটা ঘটনায় এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চুঁচুড়া থানার বিশাল পুলিশ গিয়ে বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী ও কন্যাদের উদ্ধার করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস। শ্রীকান্তের দেহ উদ্ধার করে পুলিস ময়নাতদন্তে পাঠায়।  গোটা ঘটনার তদন্তে চুঁচুড়া থানার পুলিস।

2 years ago