ভর সন্ধ্যাবেলায় জোর আওয়াজে চলছিল টিভি। তারই মাঝে ঘরে ঢুকে নিঃশব্দে কুপিয়ে খুন আট বছরের শিশুকে। ঘর থেকে উদ্ধার শিশুর রক্তাক্ত মৃতদেহ। গায়ে-হাতে-পায়ে অসংখ্য জখমের দাগ। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম স্নেহাংশু শর্মা। শুক্রবার সন্ধের ঘটনায় স্তম্ভিত হুগলি কোন্নগরের কানাইপুর আদর্শনগর ইংলিশ রোড এলাকা।
জানা গিয়েছে, স্নেহাংশুর বাবা-মা দুজনেই কর্মরত থাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় একলাই কাটে তার। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিল চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র স্নেহাংশু। সেই সঙ্গে চলছিল টিভিও। কিছুক্ষণ পর ওই ঘরে ঢুকেই স্নেহাংশুর রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান পরিবারের একজন। এরপর তড়িঘড়ি তাকে হিন্দমোটরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে নিঃশব্দে পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হল এই গোটা ঘটনাটি?
আট বছরের শিশুর উপর কীসের বিদ্বেষ? কার জমা ক্ষোভের মাশুল গুনল ছোট্ট শিশুটি? কিন্তু ঠিক কী কারণে হল এই মৃত্যু? পরিবারের দাবি, কিছুদিন আগেই স্কুলের এক ছাত্রের সঙ্গে গণ্ডগোল বেধেছিল স্নেহাংশুর। সেই থেকেই খুন নয়তো? এখানেও, সাইকোপ্যাথ কিলিং এর সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে আরও। এদিকে, শিশু খুনের ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রাজ্য়ে ফের তৎপর ইডি। ১০০ দিনের কাজে নয়া দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি আধিকারিকেরা। কয়েক হাজার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই চার জেলায় হানা দিয়েছে ইডির দল। কলকাতা সহ মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, হুগলিতে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরী করে ১০০ দিনের কাজের টাকা তছরূপ করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ করেনি এমন ব্যাক্তির অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মনরেগা প্রকল্পের টাকা।
এদিন সাত সকালে ঝাড়গ্রামে হাই ভোল্টেজে ইডি। ঝাড়গ্রামের বাছুরডুবা হাউসিং ব্লক বি সরকারি আবাসনে অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে খবর, WBCS অফিসার শুভ্রাংশু মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। জাতিগত সংশাপত্র তজরূপের অভিযোগ রয়েছে শুভ্রাংশু মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে হানা ইডির। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে বিষ্ণুপুর কালিবাড়ি অঞ্চলে এলাকায় নওদার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ পঞ্চায়েত মেম্বার রথীন্দ্রনাথ দে এর বাড়িতে এদিন তল্লাশি শুরু করে ইডি। ১০০ দিনের কাজে প্রায় ৪ কোটি টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরে তিনি সাসপেন্ড ছিলেন। জানা গিয়েছে, নওদা পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের দুটি ফ্ল্যাটেও শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
মঙ্গলবার সকালে পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি ইডির টিম এসে পৌঁছয় হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। সেখানে সন্দীপ সাধু খাঁ এর খোঁজে শুরু করে ইডি। কেন্দ্রীয় সরকারের মনরেগা প্রকল্পের ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে রাজ্য জুড়ে প্রথম তল্লাশি অভিযানে ইডি। নির্বাচনের আগে নজর প্রকল্প আধিকারিকদের উপর।
মুর্শিদাবাদের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সঞ্চয়ন পানের 2টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান। তাঁর বাড়িতেও শুরু হয় রাজ্য় দুর্নীতির অভিযোগে তল্লাশি অভিযান। অন্য়দিকে কলকাতার সল্টলেকের EA ব্লকে বিদ্যাসাগর নিকেতন আবাসন অভিযানে নামে ইডির আরও একটি দল।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকর্মীর স্বাক্ষর নকল করে অর্থ আত্মসাৎ-এর অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হেদিয়াপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।যার জেরে চলতি বছরে সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অভিযোগের ভিত্তিতে জয়েন্ট বিডিও এবং এস আই তদন্ত শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ইন্ডিয়ান গ্যাসের এক সংস্থাকে চেক দিতে গিয়ে ধরা পড়েন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শুভ্র প্রতিপাল। এই প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে চেক নিয়ে দেখেন চেকের মধ্যে সৌরভ পালের সাইন করা। এই সহ শিক্ষক সৌরভ পাল ২০১৯ সালে লিখিতভাবে ভিসি কমিটি থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তাহলে কি করে তাঁর সিগনেচারটি অথরিটিতে থাকে ? সেই চেক দেখার পর প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। স্কুলের উন্নয়ন নেই।মিড মিলের চাল রান্না করা হয় না। সেজন্য স্টক পয়েন্টে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ, বিদ্য়ালয়ে নিম্নমানের চাল ব্যবহার করা হচ্ছে। যে চালে পোকা রয়েছে এমনি অভিযোগ করেছেন স্কুলের সহক শিক্ষক- শিক্ষিকারা সকলেই। এছাড়াও সমস্ত স্কুলের খাতা পত্র প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে থাকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখতে চাইলে সময় মত দেখায় না। ছুটির সময় তাঁদেরকে দিয়ে সাইন করানোর চেষ্টা করেন। একাধিক অভিযোগ করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও প্রধান শিক্ষক এই গোটা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে এড়িয়ে যান।
দুই পাড়ার বিবাদের জেরে প্রৌঢ়কে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুলের সুলুট এলাকায়। অভিযোগ, ঝামেলায় হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে এই খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মকবুল রহমান মল্লিক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিস বাহিনী সহ আরামবাগ এসডিপিও। এরপর অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভে সামিল মৃতের পরিবার সহ গ্রামের বাসিন্দারা। মৃত্যুর খবর পেতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে গোটা গ্রাম।
জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক আগে দুই পাড়ার মধ্যে বেশ কয়েকজন বচসায় জড়ায়। সেই বচসাতে জড়িয়ে পড়ে ছিলেন মকবুল রহমান মল্লিক। আর সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বুধবার সকালে মকবুল মাঠে ধান কাটার সময়ই অতর্কিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীদের দল। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় মকবুলকে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে শুধুই কি পাড়ার প্রতিবেশীদের মধ্যে ঝামেলা নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। মোটরভ্য়ানের সঙ্গে ডাম্পারের সংঘর্ষে মৃত্যু হল চার জনের। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের হুগলির গুড়াপ থানার কংসারিপুর মোড়ে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন জীবনদীপ বাউল দাস (২৬), মঙ্গলদীপ বাউল দাস (৩২), বিশ্বজিৎ রায় (৩৫) এবং দিবাকর সিং (২২)। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি হুগলির গুড়াপ থানার সিয়াপুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই চারজন মিলে মোটরভ্য়ানে করে কাজে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় দ্রুতগামী একটি ডাম্পার সজোরে এসে ধাক্কা মারে তাঁদের ভ্য়ানটিকে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ওই চারজন। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় ওই চারজনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিস এসে মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের জন্য় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিস মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
হাসপাতালে রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতালে। হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়স্বজন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভদ্রেশ্বর চন্দননগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে পাঠায়। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করা হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রবীন সিং (১৯)। বাড়ি ভদ্রেশ্বর বাবুবাজার এলাকায়। পেটে সংক্রমন হওয়ায় গত ১২ নভেম্বর ভর্তি হয় গৌরহাটি ই এস আই হাসপাতালে। এরপর গৌরহাটি থেকে বজবজ জগন্নাথ মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। তারপর ১৯ তারিখ সেখানেই অস্ত্রোপচার হয়। অবজারভেশনের জন্য আবার গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত আটটা নাগাদ গৌরহাটিতে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এরপর রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই যুবকের পরিবারকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর অবস্থা খারাপ। হাসপাতালে এলে জানানো হয় আত্মহত্যা করেছে রবীন।
হাসপাতালের এইচ ডি ইউ-২ বেডে ভর্তি ছিলেন ওই যুবক। সেই বেডের পর্দা টাঙানোর অ্যালুমিয়ান বারে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেন বলে দাবি কর্তব্যরত নার্স ও হাসপাতাল কর্মীদের। পরিবারের অভিযোগ, রোগীর জন্য আয়া রাখা ছিল, তা সত্ত্বেও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল..? এমনকি এইচ ডি ইউ এর ভিতর যেখানে স্পেশাল কেয়ার থাকে সেখানে একজন রোগী কি করে আত্মহত্যা করল তা নিয়ে হাসপাতালের নজরদারির উপর উঠছে নানা প্রশ্ন।হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি মৃতের পরিবারের।
রাম সীতা খোদাই করা নকল সোনার কয়েন বিক্রি করতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়ল তিন ব্যক্তি। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের মুক্তারপুর এলাকার। তল্লাশি চালিয়ে ওই তিন ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় ত্রিশটির বেশি নকল সোনার কয়েন। জানা গিয়েছে, ওই তিন ব্যক্তির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে তারকেশ্বরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েন বিক্রি করছিল ওই তিন ব্যক্তি। সবাইকে এই বলে বিক্রি করছিল যে তারা মাঠে কাজ করতে গিয়ে এই কয়েন কুড়িয়ে পেয়েছে তাই যা দাম দেবেন সেটাই নেবো। এরপর স্থানীযদের নজরে আসতেই ওই তিন ব্যক্তিকে গিয়ে পাকড়াও করে। তারপর নকল সোনার কয়েন বিক্রি করতে আসা তিন ব্যক্তি স্বীকার করেছে যে, তারা এই কয়েন শিয়ালদহ থেকে কুড়ি পঁচিশ টাকায় কিনে বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। তারপর ঘটনাস্থলে তারকেশ্বর থানার পুলিস গিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, তারকেশ্বর এলাকায় পূর্বে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বহুবার। যারফলে বহু মানুষ নকল সোনার কয়েন কিনে হাজার হাজার টাকা খুইয়েছেন। আর যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে নজর রাখছে পুলিস।
এখন অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে প্রায়শই পড়ছে সাধারণ মানুষ। পুলিস প্রশাসন সচেতনতা করলেও প্রতারকদের কৌশল বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন। এবার অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ৫২০০০ টাকা খোয়ালেন হুগলি বলাগর জিরাট-এর বাসিন্দা মানিক মুখার্জি। পেশায় একজন ব্যবসায়ী। অনলাইনে প্রতারিত হয়ে বলাগড় থানায় অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগ, ভুয়ো বাজাজ ফাইনান্সের নামে ৫ লক্ষ টাকা লোনের লোভ দেখিয়ে ৫২০০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে মানিক মুখার্জির ফোনে বাজাজ ফাইন্যান্স-এর নাম করে একটা ফোন আসে। যেখানে তাঁকে বলা হয় তাঁর নামে পাঁচ লক্ষ টাকার লোন অ্য়াপ্রুভ হয়েছে। এ কথা শুনে মানিক মুখার্জি ফোনটা কেটে দেন। কিছুক্ষণ পরে আবার ফোন আসে এবং তাঁকে বলা হয় এই লোনের অফারটা শুধু আপনার জন্য। ফোনে আরও বলা হয় আপনি যদি লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে ২৯৫০ টাকা দিতে হবে। তারপর আমরা আপনার একাউন্টে পাঁচ লক্ষ টাকার লোন দিয়ে দেওয়া হবে। যদিও মানিক বাবু প্রথমে রাজি হননি কিন্তু যেহেতু ব্যবসা করেন টাকার দরকার হয় তাই পরক্ষণে লোন নিতে রাজি হন। প্রতারকদের পাঠানো একাউন্টে ২৯৫০ টাকা পাঠান তিনি।
এরপর মানিক বাবুর হোয়াটসঅ্য়াপে প্রতারকরা বাজাজ ফাইনান্সের একটি ফেক ইএমআই কার্ড পাঠায় এবং বলে আপনার লোন অ্য়াপ্রুভ হয়ে গেছে। কিন্তু লোন প্রসেসিং-এর জন্য কিছু টাকা পাঠাতে হবে। এভাবে প্রতারকরা মানিক মুখার্জির কাছ থেকে ছয় দফায় অনলাইনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। ছয় দাফায় টাকা পাঠানোর পর যখন মানিকবাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হচ্ছেন, তখন তিনি গোটা বিষয়ে বলাগড় থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল সেনাবাহিনীর একটি অ্যাম্বুলেন্স। ঘটনায় আহত চালক সহ গাড়িতে থাকা মোট ছয়জন। বৃহস্পতিবার সকালে হুগলির গুড়াপ থানার অন্তর্গত কংসারিপুরে জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে গাড়িতে থাকা ছয় জনকেই উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিস সুপার জানিয়েছেন, এদিন সকালে সেনাবাহিনীর অ্যাম্বুলেন্সটি বর্ধমানের দিক থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উল্টে যায়। বর্তমানে আহত ওই ছয় জন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
তবে এই দুর্ঘটনার ফলে একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে ওই অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশ। যদিও দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটিকে এখনও উদ্ধার করা হয়নি।
পুজোর সময় বাড়ি ফাঁকা থাকায় দু:সাহসিক চুরি। লক্ষাধিক টাকা ও ৩০ ভরি সোনার গহনা খোয়া গিয়েছে বলে খবর। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির তারকেশ্বরের পিয়াসারা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার ষষ্ঠীর দিন স্বপরিবারে দীঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন মুসিআর রহমান মল্লিক ও তাঁর পরিবারের আরও চার সদস্য। সোমবার ভোর চারটে নাগাদ বাড়িতে ঢুকেই হতভম্ভ হয়ে যান মুসিআর রহমান। কারণ মেন গেটের তালা দেওয়া থাকলেও বাড়ির ভিতরে আলমারি তালা ভাঙা। আলমারিতে থাকা ৫৫ হাজার টাকা এবং প্রায় ৩০ ভরি সোনার গহনা এবং ১০-১২ ভরি রুপোর গহনা লুট হয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় তারকেশ্বর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে এলাকায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিস।
এর আগেও অনেকবার চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে বাড়ির মেন গেটে তালা দেওয়ার পরেও আলমারির তালা ভেঙে চুরি যাওয়ার ঘটনা তেমন দেখা যায়নি।
প্রায় ছয় মাস ধরে পায়ে গভীর ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের (Hospital) বাইরে পড়ে রয়েছেন এক মানসিক ভারসাম্য়হীন (Mentally unbalanced) মহিলা। অভিযোগ, হাসাপাতালে বারংবার নিয়ে যাওয়া হলেও কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। বৃহস্পতিবার, হুগলির চন্দননগর হাসপাতালের সামনে এই অমানবিক দৃশ্য়টি দেখা গিয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে হাসাপাতালের ব্য়বস্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। ইতিমধ্য়ে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলার মায়ের দাবি, বেশ অনেক দিন ধরেই আমার মেয়ে পায়ের আঘাতে ভুগছিল। তারপর তাঁকে হাসাপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হলে সেই আঘাত সেরেও গিয়েছিল। কিন্তু সেই পায়ের আঘাত পরে গভীর ক্ষততে পরিণত হয়। অভিযোগ, গভীর ক্ষত নিয়ে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কোনও চিকিৎসা করে না। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি করতে বললে, হাসপাতাল থেকে বলা হয় এলাকার কাউন্সিলর অনুমতি দিলে কিংবা লিখিত দিলে তবেই ওই ভারসাম্য়হীন মহিলাকে ভর্তি অথবা চিকিৎসা করা হবে।
অন্য়দিকে, এই হাসপাতালের পাশেই রয়েছে ক্যানসার হাসপাতাল। তবু হাসপাতালের বাইরে রাস্তার পাশেই একটি ভ্য়ানের উপর ভারসাম্য়হীন ওই মহিলা দিনের পর দিনে পায়ের বিশাল ক্ষত নিয়ে পড়ে রয়েছেন। ধীরে ধীরে পায়ের ওই বিশাল ক্ষত ক্যানসারের আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এদিকে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে ভারসাম্যহীন মহিলার পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা। এমন অবস্থায় তাঁরা কী করবে ভেবে পাচ্ছে না।
শুক্রবার বেহালায় আট বছরের শিশুকে পিষে দিয়েছিল লরি। এই নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত ছিল বেহালা। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে (Second Hooghly Bridge ) দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল এক তরুণীর। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত রাতে। ফ্লাইওভারে ওঠার মুখেই পিছন থেকে একটি লরি এসে যুবতীর স্কুটিতে ধাক্কা মারে। তারপরেই ছিটকে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা। পুলিস (Police) কর্মীরা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পুলিস ঘাতক লরিটিকে আটক করলেও এখনও পলাতক লরির চালক। যদিও এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফ থেকে পুলিসি নজরদারিতে গাফিলতির অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম সুনন্দা দাস (২৮)। হাওড়ার নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা তিনি। কলকাতার ধর্মতলা এলাকার এক হোটেলের ফুড ডিপার্টমেন্টে চাকরি করতেন সুনন্দা। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে সুনন্দা আলিপুরে তাঁর এক সহকর্মীকে নামিয়ে খিদিরপুর হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যাচ্ছিলেন। স্কুটিটি যখন দ্বিতীয় হুগলী সেতুতে উঠে ঠিক সেই সময়ই একটি লরি স্কুটিটিকে ধাক্কা মারে। তারপরেই রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, সুনন্দার ফোন থেকে তাঁর বাড়িতে দাদাকে ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়। তারপরে খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীরা এসএসকেএম হাসপাতালে ছুটে যান। মৃতার বাড়ির লোকজনের দাবি, একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। তাই তাঁরা চাইছেন রাস্তায় পুলিসের নজরদারি বাড়ানো হোক।
ভিন রাজ্যে পড়তে গিয়ে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু (Unnatural death) হল এক ছাত্রের (Student)। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে (Bihar)। তবে ফোন মারফত শুক্রবার রাতে এ ঘটনার খবর পেয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবার। পুলিস সূত্রের খবর, ওই মৃত ছাত্রের নাম সুরম্য সাঁতরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিহারের রাজেন্দ্র প্রসাদ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। সুরম্য হুগলির (Hooghly) শেওড়াফুলির জগবন্ধু মুখার্জি লেনের বাসিন্দা। এই ঘটনায় ইউনিভার্সিটি ও বিহার পুলিসের আচরণে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে মৃতের পরিবার। তাই ঠিক কি ঘটেছিল তার তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ ওই এলাকায়।
এই ঘটনায় মৃতর বাবা সুশান্ত সাঁতরা জানান, ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ২০২২ সালে বিহারের মুজাফফরপুরের রাজেন্দ্র প্রসাদ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়। যার ফলে ইউনিভার্সিটিরই হোস্টেলে থাকত সুরম্য। তবে কোনওদিন ইউনিভার্সিটি থেকে কেউ ফোন করে কোনও খারাপ অভিযোগ করেনি। তিনি আরও বলেন, তবে চলতি মাসের ২৮ তারিখ রাতে ইউনিভার্সিটি থেকে একটি ফোন আসে। তখনই সুরম্য-র মৃত্যুর কথাটি জানানো হয় কলেজের পক্ষ থেকে।
মৃতর বাবার দাবি, এই খবর পাওয়ার পরেই তাঁরা তড়িঘড়ি বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ২৮ তারিখ ভোর চারটে নাগাদ তাঁরা বিহারে পৌঁছায়। তবে যেই হাসপাতালে সুরম্যকে রাখা হয়েছিল সেখানে পৌঁছনোর আগে ফোন করে তাঁদের পাটনা-কলকাতা রাজ্য সড়কের বক্তিয়ারপুরে আসতে বলে পুলিস। আর সেখানেই বাড়ির সদস্যদের হাতে দেহটি তুলে দেওয়া হয়। তিনি আরও দাবি করেন, সুরম্যর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিসের কাছে চাওয়া হলে পুলিস কোনওরকমেরই কাগজপত্র দিতে চায় না। শুধু একটি ছোটো কাগজে লেখা ছিল সুরম্যর ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে।
আর্থিক অভাবের জেরে বিনা চিকিৎসায় মানসিক ভারসাম্যহীন (Mental Patient ব্যক্তিকে পায়ে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই চিত্র দেখা গিয়েছে হুগলীর (Hooghly) ব্যান্ডেল চুঁচুড়া মগরা ব্লকের দেবান্দনপুর অঞ্চলের কাজি ডাঙ্গা হলুদ ফুল এলাকায়। সূত্রের খবর, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির নাম কাজল পাল (৫০)। আর্থিক অভাবে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে তাঁকে। যদিও ওই ব্যক্তির আরও দুই ভাই আছে। কিন্তু তাঁরা নিজেরাই সংসার নিয়ে ব্যস্ত। ফলে বাড়িতেই পড়ে রয়েছেন ওই অসুস্থ ব্যক্তি।
এই ঘটনায় ওই ব্যক্তির মা জানান, তিন ছেলের মধ্যে কাজল তাঁর বড় ছেলে। কুড়ি বছর আগে কাজলের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের তিন বছর পর তাঁদের একটি ছেলেও হয়। তবে ছেলের যখন তিন বছর বয়স, তখন কাজলের স্ত্রী বাচ্চা নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। এরপর থেকেই একটু একটু করে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে কাজল, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, গত পনেরো বছর ধরেই এই অবস্থা ছেলের। বেশ কয়েক বছর আগে কাজল অন্যত্র চলে গিয়েছিল। তবে পাঁচ বছর আগে নিজে থেকেই বাড়িতে ফিরে আসে সে। এরপর থেকেই তাঁর মা ছেলের পায়ে লোহার চেন দিয়ে বেঁধে রাখেন। যাতে আর কোথাও যেতে না পারে।
এবার পথ কুকুরদের জন্য (Dog) আতঙ্ক ছড়াল হুগলির (Hooghly) আরামবাগে। বুধবার, আরামবাগ থানার সামনে এক মহিলা পুলিস কর্মী সহ সাত জনকে একটি কুকুর কামড় (Bite) দেয়। কুকুরের কামড়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে হঠাৎ করেই একটি কুকুর আরামবাগ থানার সামনে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। সেই সময় রাস্তার পথ চলতি মানুষ ও থানার পুলিস কর্মীদের দেখে তেড়ে যায় কুকুরটি। বেশ কয়েকজনকে কামড়ও বসিয়ে দেয় ওই কুকুরটি। কুকুরের কামড়ে জখম হয় সাত জন। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা পুলিস কর্মীও রয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই পুলিসকর্মী থানা থেকে বাইরে বেরিয়ে ছিলেন। তখনই ওই কুকুরটি দেখে ছুটে গিয়ে কামড় দেয় ওই মহিলা পুলিস কর্মীকে। পাশাপাশি রাস্তার পথ চলতি মানুষদের দেখে ছুটে যায় কুকুরটি। কামড় দেয় আরও ছয় জন পথ চলতি মানুষকেও।
কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে এখন রাস্তায় লাঠি হাতে বেরোতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যদিও ওই কুকুরটিকে ধরতে পারেনি কেউ। বর্তমানে কুকুরের কামড়ে জখমরা আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।