
কৃষি জমি থেকে এক ব্যক্তির পচা গলা দেহ (Dead Body) উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে হরিপালের (Hooghly) গোপীনগর এলাকার একটি চাষের জমিতে। ঘটনাস্থলে হরিপাল থানার পুলিস (Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম সুশীল কুমার দাস (৬৩)। তিনি হরিপালের আমিনপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২৮ শে এপ্রিল আমিনপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সুশীল কুমার দাস নামের ওই ব্যক্তি। ২৯ শে এপ্রিল হরিপাল থানায় তাঁর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফ থেকে। আর তরপরেই মঙ্গলবার সকালে হরিপালের গোপীনগর এলাকায় এক চাষের জমিতে সুশীল কুমার দাসের পচা গলা দেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। পরে এলাকাবাসীরাই হরিপাল থানায় খবর দেয়, এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এবং ঠিক কি কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
পুকুরের জলে ডুবে (Death) মৃত্যু ১ বছরের শিশুর। হুগলির (Hooghly) হরিপাল থানার সহদেব গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুবাটি গ্রামের কর্মকার পাড়ার ঘটনা। পুকুরে খোঁজ চালিয়ে উদ্ধার করা হয় শিশুর নিথর দেহ। শিশুটিকে তৎক্ষণাৎ পরিবারের লোকেরা উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপালের ডাক্তার বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে অবশেষে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকেই ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে পরিবারের লোকেরা। প্রতিবেশীদের বাড়িতে বাড়িতে খোঁজার পর সন্ধান না পেয়ে বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে খোঁজ চালাতে নেমে উদ্ধার হয় শিশুটির নিথর দেহ। দীর্ঘ ২-৩ ঘন্টা নিখোঁজ ছিল ওই শিশু। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, মৃত শিশুর বাবার নাম সুদর্শন কর্মকার। জল থেকে উদ্ধারের সময় শিশুটির সমস্ত শরীর সাদা হয়ে যায় এবং পুকুরের জল খাওয়ার কারণে শিশুটির পেট ফুলে যায়। তবে শত চেষ্টা করেও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।
অগ্নিগর্ভ শ্রীরামপুর। পথ দুর্ঘটনায় (Serampore Accident) এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শ্রীরামপুরের দিল্লি রোড অবরোধ এলাকাবাসীর। মৃতার নাম পুষ্পা সাঁতরা, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। অবরোধের (Road Block) জেরে দিল্লী রোডে সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট।
বছর ৫৬-র পুষ্পা সাঁতরার বাড়ি শ্রীরামপুরের বড়বেলু মনসাতলায়। প্রতিদিনের মতোই সকালে কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মৃত ওই মহিলা পিয়ারাপুর মোড়ে রাস্তার এক পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি বালি বোঝাই বেপরোয়া লরির ডাম্পার পিষে দেয় তাঁকে। তারপরই রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে নামে এলাকাবাসী।
এর আগেও বহুবার দুর্ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায়। শনিবার সকালে দুর্ঘটনার পর ট্রাফিক কিয়স্ক ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিশাল পুলিস বাহিনী ও র্যাফ। প্রায় ঘন্টা চারেক পর পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে পুলিস। স্বাভাবিক হয় দিল্লী রোড। ট্রাফিক থাকা সত্ত্বেও কেন বারাবর দুর্ঘটনা ঘটছে প্রশ্ন তুলেছে সাধারন মানুষ।
বিয়ে বাড়ির ভোজ খেয়ে অসুস্থ (Sick) প্রায় ৫০ জন। গ্রামীণ হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসা করাতে এসে ঠিক মতো পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের (Hooghly) লোকনাথ এলাকার। মূলত বমি, জ্বর এবং পেট খারাপ নিয়েই চিকিৎসা করাতে আসেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, সোমবার তারকেশ্বরের লোকনাথ থেকে পুরশুরা এলাকায় একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রায় দেড়শো জন। সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া করে আসার পর মঙ্গলবার থেকে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন অনেকেই। মঙ্গলবার রাতে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতলে চিকিৎসা করাতে আসেন প্রায় কুড়ি জন। বুধবার সকালে আরও ৫০ জন চিকিৎসা করাতে আসেন তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ঠিক মতো পরিষেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণে সেলাইনও পাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতাল থেকে, এমনটাই দাবি করেন রোগীর পরিবার।
এই বিষয়ে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ ডাঃ সৌভিক দাস বলেন, 'মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালে পেট খারাপ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। তার মধ্যে প্রায় ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিত্সা করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সব রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।' খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে, অনুমান চিকিসকদের।
তবে সঠিক পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগে তিনি বলেন, হাসপাতালের বেড ক্যাপাসিটি যা আছে তার থেকে বেশি রোগী হলে যে সমস্যা হয় সেটা খুব তাড়াতাড়ি ওভারকাম করার চেষ্টা করা হয়েছে।
অতি গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের জন্য অনবরত ট্রাফিকের কাজ করে চলেছেন তাঁরা। চড়া রোদের গরম হোক বা আকাশ ভাঙা বৃষ্টি, সবসময়ই রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে নিজের কাজ করে চলেছেন তাঁরা। যাতে তাঁদের একটু অসাবধানতায় কোনও বিপদে না পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। রাস্তার উপর তাঁরা সাধারণের ছাতা হয়ে দাঁড়ালেও নিজেদের মাথার উপর ছাতা ধরার মতো সময় হয় না তাঁদের। তাই কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা ট্রাফিক পুলিসের (Traffic police) পাশে এসে দাঁড়াল হুগলি (Hooghly) গ্রামীণ জেলা পুলিস। সেই চিত্রই দেখা গেল আজ তারকেশ্বর জয়কৃষ্ণবাজার এলাকায়।
হুগলি গ্রামীণ পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার লালটু হালদার নিজে ট্রাফিক পুলিসদের হাতে একটি করে ছাতা, জলের বোতল, কিছু ওআরএস-এর প্যাকেট তুলে দিলেন। এছাড়াও এই মানবিক কাজে উপস্থিত ছিলেন তারকেশ্বর থানার অফিসার ইনচার্জ অনিল রাজ, পুড়শুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোমনাথ দে, তারকেশ্বর ট্রাফিক গার্ডের ওসি তপন হালদার-সহ জেলা পুলিসের অন্য আধিকারিকরা। তবে তাঁদের যৌথ উদ্যোগে এভাবে ট্রাফিক পুলিসের পাশে দাঁড়ানোর ছবি এক দৃষ্টান্ত রেখেছে জনমানসে।
নাকা তল্লাশির সময় গাঁজা (weed) ভর্তি একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল হুগলি (Hooghly) জেলা গ্রামীণ পুলিসের সিঙ্গুর থানা (Singur Police)। সূত্রের খবর, ওই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। গাঁজা পাচারের ঘটনায় গ্ৰেফতার (Arrest) করা হয়েছে এক মহিলা সহ তিনজনকে।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিস বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে। সিঙ্গুর থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে সিঙ্গুর বিডিও এলাকায় একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে কর্তব্যরত পুলিস। পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে অসংগতিতে পড়ে যায় গাড়িতে থাকা তিনজন। তখনই পুলিস গাড়িটির ভিতরে তল্লাশি করা শুরু করে। তল্লাশি চলাকালীনই গাড়ির সিটের তলা থেকে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করে পুলিস। প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় এক কিলো করে গাঁজা রয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছয় লক্ষ টাকা।
হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিসের ডিএসপি জানান, পাচারকারীরা উড়িষ্যার তাজপুর জেলা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল। সেই গাঁজাটি চন্দননগরের কোনও এক ব্যক্তিকে সরবরাহ করার কথা ছিল। এমনকি যাতে পুলিসের নজর এড়ানো যায় তাই পাচারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে জাতীয় সড়ক এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা ধরে আসছিল। গাড়িটি চন্ডীতলার আঁইয়া, শিয়াখালা, বনমালীপুর, বাসুবাটি হয়ে যখন সিঙ্গুরে ঢোকে তখনই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। তারপরেই গাঁজা পাচারের পর্দা ফাঁস হয়। তিনি আরও জানান, গ্ৰেফতার হওয়া ওই তিনজন এত পরিমান গাঁজা কাদের সরবরাহ করতো এবং এই চক্রের সাথে আর কারা কারা যুক্ত আছে তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিস আধিকারিকরা।
প্রচন্ড দাবদহে হুগলীর পুরশুড়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতাল কল আছে জল নেই। হাসপাতালে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিশ্রুত পানীয় জলাধার বসানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে এই জলাধার। কল থেকে জল পড়ছে না। ফলে জল সংকটে ভুগছেন হাসপাতালের রোগীরা। প্রয়োজন মতো জল না পেয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে। এমনকি রোগীর আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা নানা সমস্য়ায় পড়ছেন। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে সকলে।
অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে জল সংকটের কথা জানানো হলেও কোনও লাভই হয়নি। এই তীব্র গরমের মধ্য়ে একপ্রকার বাধ্য় হয়ে সেখানে রোগীরা এবং রোগীর আত্মীয়স্বজনরা রয়েছেন। স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল এই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিশ্রুত পানীয় জলাধার বসানো হয়েছিল। তার ঠিক তিন মাস পর থেকেই খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে কলটি। তাঁদের আবেদন, প্রশাসন যেন অবিলম্বে এই জলাধার সারাইয়ের ব্য়বস্থা গ্রহণ করে।
পরপর দু'দিন, শিবপুরের পর এবার রিষড়ায় (Rishra Violence) ঢুকতে বাধা বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder)। কোন্নগরে পুলিসি ব্যারিকেড গড়ে ঢুকতে বাধা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদকে। ১৪৪ ধারা জারির কারণ দর্শিয়ে কোন্নগরেই সুকান্ত-সহ বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিস (Hooghly Police)। তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। ব্যারিকেড ভাঙতে পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, তিনি সোমবার উত্তরপাড়ার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখতে যান।
সেখান থেকে রিষড়ায় ঢোকার মুখে ব্যারিকেড গড়ে পুলিস বাধা দেয় সুকান্ত মজুমদারকে। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, 'মানুষদের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের সাংসদরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাবে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও টিএমসি সাংসদ ঘুরছেন। কিন্তু আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কর্মী, যারা আক্রান্ত, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ১৪৪ যেখানে নেই সেখানেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর হয়ে গিয়েছে। বোমাবাজি চলছে। আইনশৃঙ্খলা কোথায়?' পুলিস কথা না শুনলে ধর্নায় বসবো বলেও হুঙ্কার ছাড়েন তিনি। তিনি ফিরে গিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাবেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কথা হয়েছে বলে সোমবার জানান সুকান্ত মজুমদার।
এদিন পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুকান্ত মজুমদার। পুলিসি বাধার মুখে পড়ে বিজেপি সভাপতির আবেদন, 'আপনারা কিছু করুন। মার খেলে, বোমাবাজি হলেও কিছু করবেন না? ১৪৪-র বাইরে আপনারা কীভাবে আটকাচ্ছেন?' কোন কোন জায়গায় ১৪৪ ধারা, সেই অর্ডার পুলিসকর্তাকে দেখাতে বলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। যদিও পুলিসের আবেদন, '১৪৪ জারি রয়েছে আপনারা সহযোগিতা করুন। আপনারা পরে অনুমতি নিয়ে নিশ্চয় যাবেন। ওই এলাকাতেই যাওয়া যাবে না।' যদিও রিষড়ায় যেতে অনড় সুকান্ত মজুমদার।
হুগলি নদীতে(Hooghly River) উদ্ধার এক ব্য়ক্তির পচাগলা দেহ। মহেশতলার হুগলি নদীর তীরে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ ভেসে আসে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার অন্তর্গত উলুডাঙ্গা ভীম পার্কের ঘাটে হুগলি নদীতে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনায় খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পৌঁছয়। পুলিস এসে জল পুলিসের আধিকারিকদের খবর দেন। স্থানীয়দের এই ঘটনার উপর ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। স্থানীয় এক ব্য়ক্তি জানান, নদীর পারে দেখতে পাই এক ব্য়ক্তিকে নদীতে ভাসতে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ওই মৃত (Death) ব্য়ক্তির নাম, ঠিকানা,পরিচয় কিছুই জানা যায়নি। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মৃত ওই ব্য়ক্তির নাম ও ঠিকানা কিছুই জানা যায়নি। পুলিস ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের অপেক্ষায়।
গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের জানালা ভেঙে চুরির (stolen) ঘটনা। হরিপালের (Hooghly) নালিকুল পশ্চিম গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে হরিপাল থানার (Haripal Police) পুলিস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদলের উন্নয়নকে বদনাম করতে বিরোধীরা এই ধরনের চক্রান্ত করেছে, অভিযোগ তৃণমূলের (TMC)। পঞ্চায়েতের একাধিক দুর্নীতি লোপাট করতেই নিজেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে পাল্টা দাবি বামেদের।
জানা গিয়েছে, গত ৬ বছরে দু'বার চুরির ঘটনা ঘটল হরিপালের নালিকুল পশ্চিম গ্ৰাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সাফাই কর্মী এসে দেখেন এক তলার জানলা ভাঙা। তিনি তৎক্ষণাৎ পঞ্চায়েতের সদস্যদের খবর দেন। এরপর পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান সহ সমস্ত সদস্যরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এসে দেখেন দোতলার তিনটে ঘরেরই তালা ভাঙা। একটি ঘরের পাঁচটি আলমারির লক ভেঙে নথিপত্র তছনছ করা হয়েছ। এমনকি চুরি করা হয়েছে প্রধানের ঘরের টিভিও।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান মেহেনাজ হালদার বলেন, 'ছয় বছর আগেও চুরি হয়েছিল। কী উদ্দ্যেশে এই ঘটনা ঘটছে তা স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান, সামনে পঞ্চায়েত ভোট তাই বিরোধীরা পঞ্চায়েতকে বদনাম করার জন্যই এটা করতে চাইছে। বিরোধীরা চুরি করে পঞ্চায়েতের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে। নালিকুল পশ্চিম আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্ৰেসের সভাপতি সুশীল আমানি বলেন, আমাদের যে উন্নয়ন চলছে সেটা সহ্য করতে না পেরে বিরোধীরা সরকারি অফিসেও একটা চক্রান্ত করতে চাইছে। পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে বিরোধীরা, বলেলেন তৃণমূল কংগ্ৰেসের সভাপতি সুশীল আমানি।'
তবে এই বিষয়ে সিপিআইএম হরিপাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মিন্টু বেরা বলেন, নালিকুল পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের যে চুরির ঘটনা ঘটেছে সেটা শাসকদলের পরিকল্পিত চক্রান্ত। নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে পঞ্চায়েত প্রধান নিজে এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু নথি চুরি করিয়ে নিজেদের দুর্নীতিকে আড়াল করা যাবে না। আর ভোটের সময় এর যোগ্য জবাব দেবন গ্রামবাসীরা।
কল আছে জল নেই (Water Problem)। জলের আশায় দিন গুনছে সাধারণ মানুষ। তাই বাঁকুড়ার জগদীশপুরার গ্রামবাসীরা সেই অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার খাদ্য প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান। এমনকি মন্ত্রীর কাছে এলাকাবাসীরা সব সমস্যার কথা তুলে ধরেন। খাদ্য প্রতিমন্ত্রীও এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন, দাবি গ্রামবাসীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় তিন বছর ধরে এই সজল ধারা প্রকল্পে জলের কলগুলি বসানো হয়েছিল। তবে আজও বন্ধ জলের পরিষেবা। গ্রামের মহিলারা প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে পাশের গ্রাম থেকে পানীয় জল নিয়ে আসেন। তাদের দাবি, বারবার প্রশাসনকে লিখিত দরখাস্ত দিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিপদতারণ সেন বলেন, 'পুরো জঙ্গল মহলেই এই জলের সমস্যা রয়েছে। পানীয় জলের সমস্যাটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। কেন্দ্র সরকার এই সমস্যা মেটানোর জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সেই কাজ এত ঢিলে গতিতে চলছে, এত দেরি হচ্ছে, যার ফলে মানুষ জল পাচ্ছে না। প্রায় এক থেকে দেড় বছর আগে এই জলের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাগাভাগির কারণে কাজে এত দেরি হচ্ছে। পঞ্চায়েতে যিনি আছেন তিনি ঠিক মতো কাজটা করছেন না।'
অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করলেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সদস্য গণেশ ডাঙা। তিনি বলেন, 'মাসে একবার করে গ্রামের জলের কলগুলি সারানো হয়। জলের স্তর একটু নীচু হওয়ায় পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা আবার সারানো হবে।'
ঠিক একই সমস্যার ছবি উঠে আসছে হুগলির চাঁপাডাঙ্গা কলেজপাড়া এলাকা থেকে। ওই এলাকায় প্রায় ১০০টি পরিবারের বসবাস। তারপরেও জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। কল থাকলেও জল পাচ্ছে না তাঁরা। বারবার প্রশাসনের দারস্থ হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি।
সৌমেন সুর: ফিঙ্গারপ্রিন্টের প্রথম সূ্ত্রপাত ১৮৫৮ সালে একটু ভিন্ন আকারে দেখা গিয়েছিল। উইলিয়াম হার্শেল তখন হুগলির কালেকটর ডাকাবুকো আইসিএস। মাত্র ২০ টাকার চুক্তিপত্র করে ঘুটিং সরবরাহ করার জন্য রাজ্যধর কোনাইকে অর্ডার দিলেন। কিন্তু অনেক সময় সরবরাহকারীরা চুক্তিপত্র ও সই অস্বীকার করে বিপদে ফেলেন। তাই সতর্ক হার্শেল সাহেব ঠিক করলেন, রাজ্যধরকে একটা প্রস্তাব দেওয়া যাক যে, তাঁকে চুক্তিপত্রর উপর হাতের ছাপ দিতে হবে। অফিসে স্ট্যাম্প দেওয়ার জন্য ভুসো কালির ব্যবহার করা হতো। তাই হাতে কালি মাখিয়ে রাজ্যধরের হাতের ছাপটা চুক্তিপত্রের উপর নেওয়া হল। রাজ্যধরও মজা পেলো সাহেবের এই অদ্ভুত প্রস্তাবে। কিন্তু এই হাতের ছাপটা আজকের বিশ্ব শনাক্তকরনের চূড়ান্ত পন্থা হিসেবে আঙুলের ছাপ ব্যবহারের গোড়াপত্তন করলো। হার্শেল সাহেব আরও অনেকের হাত ও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতেন। তবে সবাই এটাকে হার্শেল সাহেবের পাগলামি বলে ধরে নিয়েই হাতের ছাপ দিতেন।
বিষয়টি যে পাগলামি ছিল না, তার প্রমাণ হাতে হাতে পেয়ে গেলেন হার্শেল সাহেব। দু'বছর পর নদীয়া জেলার ডিস্ট্রিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিনি সবে বদলি হয়েছেন। দেখলেন, মাসের প্রথম দিকে সিপাহি বিদ্রোহ যারা সরকারকে সাহায্য করেছিল, সেসব পেনশন প্রাপকের সংখ্যা বেশ ভালই। যদিও তারা সকলেই বেশ বয়স্ক, তবুও সংখ্যাটা কিছুতেই কমছে না। কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারলেন, মারা যাওয়া পেনশন প্রাপকের বদলি লোক প্রক্সি দিয়ে পেনশন তুলছে হাসিমুখে।
তথ্যঋণ: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধায়
কেন্দ্রীয় বাহিনীর (ED RAID) ঘেরাটোপে বলাগড়ে শান্তনুর গেস্ট হাউসের তালা ভেঙে ঢুকলো ইডি, শান্তনুর বিপুল পরিমানে সম্পত্তির হদিশ। শান্তনুর বিরুদ্ধে বহু মানুষের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল পূর্বেই, এরপর দল থেকে বহিস্কার হওয়ার পর সামনে আসে কাটমানি না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বালির মোড় সংলগ্ন এলাকায় শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দোপাধ্যায়ের নামে কয়েক বছর আগে ৩০ লক্ষ টাকায় কেনা হয় দোতলা একটি বাড়ি।
ইতিমধ্যেই শান্তনুর উপর থেকে হাত সরিয়েছে তৃণমূল (TMC), গ্রেফতারির দিন কয়েকের মাথায় দল থেকে বহিস্কার হয়েছেন তিনি। দল থেকে বহিস্কৃত হয়ে যাওয়ার পর সামনে এলো আরও ভয়ানক তথ্য, সিএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্দুকের নল দেখিয়ে বহু জমি ও বাড়ি দখল করে নিজের নামে করেও নিয়েছিলেন তিনি। চলতি মাসের ১১ তারিখই তাঁর বিলাসবহুল গেস্ট হাউসের খোঁজ মিলেছে বলাগড়ে। পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ শান্তনুর গ্রেফতারির তিনদিন পর তিন জন দুষ্কৃতী বাইক করে শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে আসে, এবং তাঁরা ওখানে আধ ঘন্টা কাটায় , স্থানীয়দের আরও অভিযোগ যে দুষ্কৃতীরা ওই বাড়ি থেকে শান্তনুর অনেক তথ্য ও নথি পাচার করেছে ,এছাড়া ব্যান্ডেলে সন্ধান মেলে শান্তনুর স্ত্রীয়ের নামে পেল্লায় বাড়ির। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই একের পর এক তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলছে। নামে-বেনামে একাধিক বাড়ি, ধাবা, রেস্টুরেন্ট, হোম স্টে, বাগান বাড়ি, ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলছে। ধীরে ধীরে সব সম্পত্তিতে অভিযান চালাবে ইডি, এমনটাই নাকি সূত্রের খবর।
শনিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে ইডি, বলাগড়-সহ ব্যান্ডেলে তার স্ত্রীর বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকে ইডি, সকাল থেকেই একযোগে অভিযান চলছে ইডির। ইতিমধ্যে শান্তনুর চুঁচুড়ার ফ্ল্যাটে হানা ইডির। এছাড়া একইসঙ্গে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী (Suicide) এক আলু ব্যবসায়ী। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী ওই ব্যক্তি। গোঘাট থানার অন্তর্গত লালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত গোঘাট থানার(Police) পুলিস। দেহটি উদ্ধার করে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত(Death) আলু ব্যবসায়ীর নাম শ্যামল ঘোষ। তিনি গোঘাটের মান্দারণ গ্রাম পঞ্চায়েতের লালুকা গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার ওই আলু ব্যবসায়ী নিজের দোকানেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিস সূত্রে খবর।
মৃতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার শ্যামল ঘোষ দোকানে যাওয়ার আগে এক ব্যাক্তি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে দোকানে গিয়েছিলেন শ্যামল। তারপরই এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, আলু ব্যবসায় লাভ হয়নি শ্যমলের, যার জেরে বাজারের দেনাও শোধ করতে পারছিলেন তিনি। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার দেনা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। গত বছর কৃষকদের থেকে আলু নিয়েছিলেন শ্যামল। তবে টাকা দিতে পারেননি তিনি। সেই কারণে প্রচুর দেনা হয়ে গিয়েছিল। এই বছর আর কৃষকরা আলু দিতে চায়নি।
পরিবারের অভিযোগ, মহাজনদের থেকে মানসিক চাপ দেওয়া হয়েছে শ্যামলকে যার জেরেই এমন ঘটনা।
প্রথম স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে স্বামীর! স্বামীর গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে ধর্নায় আমিনা বেগম নামে বধূ। হাতে পোষ্টার নিয়ে ধর্নায় ওই গৃহবধূ-সহ তাঁর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার গোঘাটে। পুলিসের বিরুদ্ধে অসহযোগিতারও অভিযোগ তোলেন ওই গৃহবধূ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম শেখ সাইফুল। আমিনা এবং সাইফুল দুজনেই গোঘাট থানার সানবাঁদি এলাকার বাসিন্দা। প্রায় দশ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়, এক সন্তানও আছে।
কর্মসূত্রে শেখ সাইফুল মুম্বইয়ে থাকেন। নানা অনুষ্ঠানে বাড়িতে আসা যাওয়ার সূত্রে অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় সাইফুলের। ওই গৃহবধূরও এক সন্তান আছে, যার হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে। তাই সাইফুল ওই মহিলা-সহ তাঁর সন্তানকে মুম্বইয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
সেই সময়ই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বলে অভিযোগ প্রতিবাদী বধূর। তিনি আরও জানান, 'সাইফুল মুম্বই থেকে সানবাঁদিতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসত। তবে সেই যাতায়াতের বিষয়ে কিছুই জানতেন না আমিনা।'
শুক্রবার সাইফুল এবং তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে নিয়ে থানায় এসেছিল পুলিস। কিন্তু পুলিস তাঁদের কোন শাস্তি না দিয়েই ছেড়ে দিয়েছে। সাইফুল আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি, এমনটাই অভিযোগ আমিনার। তাহলে এখন আমাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব কে নেবে? তাই ভরণপোষণের দায়িত্ব ও স্বামীর শাস্তির দাবিতে এই ধর্না, জানান অসহায় গৃহবধু আমিনা।
গৃহবধুর এক আত্মীয় আবেদা বিবি বলেন, 'জামাইকে ফিরে পেতে চেয়ে ধর্নায় বসেছি। এখন পর্যন্ত কোনও শাস্তি হয়নি। জামাই ও ওই অভিযুক্ত গৃহবধূকে থানায় আটক করে নিয়ে আসার পরেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাইছি আমিনার ছেলে ও আমিনার ভরণপোষনের দায়িত্ব জামাই নিক।'