রাজ্যের তিন জায়গায় হওয়া অশান্তি (Bengal Violence) নিয়ে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট (Report) চাইল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। প্রথমে তিলজলায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিলজলা। তারপরেই রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুর ও হুগলির রিষড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এবার উল্লিখিত এই জায়গাগুলোর হিংসার বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল অমিত শাহর মন্ত্রক। ৩ দিনের মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে।
রামনবমীর মিছিলে শুরু হওয়া অশান্তি থামার নাম নেই। মঙ্গলবারই দার্জিলিং থেকে ফিরে হুগলির রিষড়া পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একইদিনে বিহারের মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাম নবমীর মিছিলে আসার অপরাধে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে হাওড়া পুলিস। তৃণমূলের দাবি, ওই যুবককেই হাওড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় বন্দুক হাতে নাচতে দেখা গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে জানা যায়, অশান্তি নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ৩ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নকে।
প্রসঙ্গত, রিষড়ায় গোলমালের পরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শাহকে চিঠি লিখেছিলেন পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষও। মঙ্গলবার আবারও শাহকে চিঠি দেন সুকান্ত। ওই তিন চিঠির মূল নির্যাস ছিল, বাংলায় আইনের শাসনের অনুপস্থিতি। বঙ্গ বিজেপির একটি অংশের দাবি, সেই চিঠি পাওয়ার পরেই পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে রিপোর্ট তলব করেছে শাহের মন্ত্রক।
সন্ত্রাসবাদে (Terrorism) মদতের অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য দেশে নিষিদ্ধ (Ban) ঘোষিত পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশব্যাপী পিএফআই-র একাধিক দফতরে তল্লাশি অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ (NIA)। জানা গিয়েছে। শুধু পিএফআই নয়, সহযোগী সংগঠনগুলোকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। জানা গিয়েছে, বেআইনি কাজ প্রতিরোধী আইন বা ইউএপিএ-র আওতায় এই সিদ্ধান্ত।
ইতিমধ্যে দেশব্যাপী চলা অপারেশন অক্টোপাসের আওতায় এই সংগঠনের ২৪০ জনেরও বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি তল্লাশিতে উদ্ধার একাধিক নথি খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত। পিএফআই ছাড়াও অল ইন্ডিয়া ইমামস্ কাউন্সিল, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, রিহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ওমেনস ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনও নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করেছে।
জানা গিয়েছে, পিএফআই-র অনেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সিমির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি এই সংগঠনের বাংলাদেশের জেএমবি এবং মধ্য প্রাচ্যের আইএস-র সঙ্গেও যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পিএফআই এবং সহযোগী দলগুলি যে বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত, তা দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। এই দলগুলি সক্রিয় থাকলে দেশের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দেশের মাটিতে স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার আনন্দ। যুদ্ধ, আন্দোলন, অন্যায় অত্যাচার, সহস্র প্রাণের বলিদানের বিনিময়ে পাওয়া ১৯৪৭-র ১৫ অগাস্ট। এ বছর আবার সেই স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব অর্থাৎ ৭৫তম বর্ষ (75th Independence Day)। সে উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তদন্তের ক্ষেত্রে বিশেষ নজির স্থাপন এবং উল্লেখযোগ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য ১৫১ জন পুলিসকর্মীকে (Police) এই পদক দেওয়া হবে বলে জানায়। ১৫১ জনের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ২৮ জন। এই তালিকায় রয়েছে বাংলার ৮ পুলিসকর্মী। আর সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে ১৫ জন সিবিআই (CBI) আধিকারিকের নাম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিস (Maharastra Police)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত সিবিআই কর্মকর্তাদের মধ্যে ডেপুটি সুপার, ইনসপেক্টর রয়েছেন। কয়েকজনের নাম-- নয়াদিল্লির সিবিআই শ্রী সুরেন্দর কুমার রোহিলা, ভাদৌরিয়ার সিবিআই শ্রী প্রমোদ কুমার, গান্ধীনগরের শ্রী সন্দীপসিং সুরেশসিংহ, শ্রী কুমার ভাস্কর, কলকাতার শ্রী দীপক কুমার, ইন্সপেক্টর, সিবিআই।
অন্যদিকে, স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যের তরফ থেকে সম্মান পাবেন ১২ জন আইপিএস। রেড রোডের মঞ্চ থেকেই আইপিএসদের সম্মান তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'চিফ মিনিস্টার পুলিস মেডেল' নামে এই সম্মান আইপিএসদের তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্মান প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি। হাওড়ার পুলিস কমিশনার। কলকাতা পুলিসের তিনজন ডেপুটি কমিশনার। ডিআইজি র্যাঙ্কের দুই আইপিএস অফিসার। এছাড়াও ডিআইজি এবং এডিজি র্যাঙ্কের পুলিস আধিকারিকদের তুলে দেওয়া হবে সম্মান।