অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাজস্থানে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। রাজস্থানের নাগৌরে দীড়ওয়ানা-কুচামান এলাকায় তিনি 'রথ যাত্রায়' বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই তার রথ আটকে গিয়েছিল কেবল টিভির বৈদ্যুতিক তারের জটলার জেরে।
জানা যায়, অমিত শাহের রথের ওপরের অংশে তারের আঘাতও লাগে। এই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পান অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হবে। জানা গিয়েছে, অমিত শাহের কনভয় বিদিয়াড় গ্রাম থেকে পর্বতসারের দিকে যাচ্ছিল। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিল শাহের 'রথ'। রাস্তার দু'পাশে দোকানপাট ও বাড়ি ছিল। রথের উপরের অংশ বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে। সেই সময় স্পার্কিং হয়। রথটি সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পর তারটি ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এর ফলে রথের পিছনের অন্যান্য যানবাহন সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায়। এ ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে এসে পৌঁছান। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। এদিকে দুর্ঘটনার কারণে কনভয়ে থাকা লোকজনের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। নিরাপদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কথামত মঙ্গলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানাবেন বলে খবর। পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকার পরও তৃণমূলের ধরনা নিয়েও শাহি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, ধরনা নিয়ে রিপোর্ট জমা করেছেন রাজ্যপাল।
একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল ক্রমেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। রাজ্যের ‘বকেয়া’ আদায়ে দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছ থেকে ‘বকেয়া’ আদায়ের দাবি নিয়ে সোমবার বিকাল ৪টে নাগাদ রাজভবনে অভিষেকের নেতৃত্বে ৩০ জন প্রতিনিধির একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকে ২০ লক্ষেরও বেশি চিঠি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিগুলি বঞ্চিতরাই লিখেছিলেন বলে দাবি। মিনিট কুড়ির বৈঠক হয় রাজভবনে। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বেরিয়ে এসে জানায়, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
লোকসভা (Loksava) ভোটের আগে প্রতিমাসে রাজ্যে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (Home Minister) তথা বিজেপির (BJP) দক্ষ সংগঠক অমিত শাহ। শাহের এই সিদ্ধান্তে বেশ কয়েকরকমের মত থাকছেই। একদিকে যখন লোকসভা ভোটের গড় আকড়ে ধরার জন্য প্রতিমাসে রাজ্য আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অমিত শাহ। তখন একদল মনে করছেন অমিত শাহ রাজ্যে এলে কর্মীরা সজাগ হবেন, এছাড়া কর্মীদের সক্রিয় করতে পারদর্শী অমিত শাহ। অন্যদিকে তখন একদল মনে করছেন, অমিত শাহের ক্রমাগত রাজ্যে আসা, ২০২১ অর্থাৎ গত বিধানসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি হবে, ফলে বহিরাগত তত্ত্ব তৃণমূলের হাতে বাড়তি অস্ত্র তুলে দেবে।
হতে পারে বিজেপির অন্যতম দক্ষ সংগঠকের মস্তিষ্কে তখন অন্য কিছু চলছে। আসন্ন পঞ্চায়েতের লড়াইয়ে যে বিজেপির সাংগঠনিক হাল বেহাল সেটা বিজেপির সংগঠক অমিত শাহ বুঝেছেন। বিরোধীদের মত অবশ্য কিছুটা এরকম যে আর কিছুদিন পর লোকসভা ভোট। তার আগে পঞ্চায়েত ভোট। বিজেপির সংগঠনের হাল যদি এমন হয় তবে লোকসভাতে ভালো ভাবেই তৃণমূলের কাছে ঠোকর খেতে হতে পারে সে কথা কিন্তু অমিত শাহ জানেন, সে জন্যই হয়ত সংগঠন সামলাতে প্রতিমাসে রাজ্যে আসবেন।
এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তৃণমূল আগামী নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালনের লক্ষ্য নিয়ে লড়াই করবে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাই ৪০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন দলকে। শাহের গত মঙ্গলবারের সফরটি ছিল বিগত ছয় মাসের মধ্যে তৃতীয়। এবার তিনি প্রতিমাসে আসতে চান বলে মঙ্গলবার সফরের শেষ লগ্নে নৈশভোজের আসরে নিজেই বলেন।
মঙ্গলবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহ (Amit Shah)। বিশেষ কোনো রাজনৈতিক (Politicial) সভা করবেন না বলে জানা গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে। সূত্রের খবর আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনি গোটা দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। বিজেপি-র বকলমে চলা সাংস্কৃতিক সংগঠন 'খেলো হাওয়া'-র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন শাহ। সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করতে বাংলার সংস্কৃতি জগতের ব্যক্তিদের নিয়ে বিজেপির সমর্থনে হবে এই শাহি অনুষ্ঠান।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে জোড়াসাঁকো রবিঠাকুরের বাড়িতে আসবেন তিনি। ওখান থেকে বেরিয়ে তিনি সায়েন্স সিটির অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সূত্রের খবর, ওই অনুষ্ঠান শেষ করে তিনি বিকেলে পেট্রাপোল সীমান্তে একটি সরকারি অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করবেন। এছাড়া এই সফরে কোনো রাজনৈতিক সভা করবেন না বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া আরও জানা গিয়েছে, যে রাজ্যে বহরমপুরে একটি সভা করার কথা ছিল তা তিনি বাতিল করেছেন।
চিনের (China) হুশিয়ারির পাল্টা জবাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহের (Amit Shah)। অমিত শাহের অরুণাচল প্রদেশ সফর নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে হুঁশিয়ারি দেয় বেজিং। চিনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে অরুণাচল সফরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লাগোয়া কিবিথুতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’ উদ্বোধন করতে গিয়ে কড়া ভাষায় বেজিংকে জবাব দিলেন তিনি।
শাহ সোমবার বলেন, ‘আগে যে কেউ ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ এবং জবরদখল করতে পারত। এখন ভারতীয় সূচ্যগ্র ভূখণ্ডও কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’ এবং পাশাপাশি, ১৯৬২ সালে চিনা ফৌজের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অরুণাচলবাসীর অনমনীয় মনোভাবের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এই মনোভাবই সেদিন হামলাকারীদের পিছু হটতে বাধ্য করেছিল।’ ১৯৬২ সালের যুদ্ধে কিবিথুতে চিনা হামলায় নিহত ভারতীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনও করেন শাহ।
সোমবার সকালে শাহের দু’দিনের অরুণাচল সফরের আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছিল চিনা বিদেশ মন্ত্রক। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘এই পদক্ষেপ (শাহের সফর) দ্বিপাক্ষিক শান্তি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। আমাদের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।’ বেজিংয়ের তরফে নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, টানাপড়েনের মধ্যে ভারত যেন সীমান্ত পরিস্থিতিকে অযথা জটিল না করে তোলে।
কিন্তু চিনা হুমকি উপেক্ষা করেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে ভাবনায় বদল এসেছে। কেন্দ্র এখন সীমান্তবর্তী অঞ্চলের উন্নয়নকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি আর এখন ‘শেষ গ্রাম’ নয়, ‘প্রথম গ্রাম। এটাই ভাবনার বদল।’
নবান্নে ইস্টার্ন জনাল কাউন্সিলের (Nabanna Meeting) মিটিং শেষে মধ্যহ্নভোজ সারেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah at Kolkata)। এরপরেই নবান্নের ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (Mamata-Shah meeting)। জানা গিয়েছে, আন্তঃরাজ্য সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জলাধার থেকে জলছাড়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) পৌঁছন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সেখান থেকে বিএসএফ-র বিশেষ বিমানে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় বারানসী থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কলকাতা বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে আসেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে, রাজ্যর তরফে অমিত শাহকে বিদায় জানাতে কলকাতা বিমানবন্দর উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু এবং শশী পাঁজা।
প্রসূন গুপ্ত: শনিবারে মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah at Kolkata)। তবে এটা নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎকার নয়, ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক। এই অনুষ্ঠানে আহ্বান করা হয়েছে উত্তর পূর্ব-ভারতের (North East State) স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রীদের। এই সভা হওয়ার কথা ছিল ৫ নভেম্বর কিন্তু অমিত শাহের বিশেষ সভা থাকার জন্য তা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। রাজ্য বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল, যা যা ঘটছে তাতে অমিতজি আসবেন না। কিন্তু এটা একেবারেই সরকারি জরুরি বৈঠক তাই বিলম্ব হলেও তিনি আজই বিকেলে কলকাতায় এসে পৌছবেন। জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিনিধিরা আসছেন। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আগেই জানিয়েছিলেন তিনি আসতে পারবেন না। শনিবারের সভার পৌরহিত্য করবেন অমিত শাহ এবং চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকছেন মমতা বলেই সংবাদ।
অমিত একদিন আগেই আসছেন কারণ শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলীধর লেনে বৈঠক করবেন প্রদেশ নেতাদের সঙ্গে। উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। থাকতে বলা হয়েছে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৫ সাধারণ সম্পাদক ও অন্য নেতাদের। এঁরা যথাক্রমে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতির্ময় মাহাতো ও দীপক বর্মন।
দলের অভ্যন্তরের কী অবস্থা, রাজ্য নেতৃত্বের কোনও নেতার, বিশেষ কারও বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অভিযোগ রয়েছে কিনা? সেসব শুনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। মূলত পঞ্চায়েত ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে যদি কোনও ড্যামেজ থাকে সেটা কন্ট্রোল করে, দলকে উজ্জীবিত করতে শুক্রবার রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বসছেন অমিত শাহ। পাল্টা দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সরব হতে পারে মুরলীধর সেন লেন, এমনটাই সূত্রে খবর।