Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Hiran

Birthday: জন্মদিন দুই হলেও আমরা এক নই

চিরঞ্জিত (বিধায়ক/অভিনেতা): হ্যাঁ ঠিকই, বৃহস্পতিবার ২ নভেম্বর আমার জন্মদিন এবং শাহরুখ খানেরও তাই। আমরা দুজনই রঙিন দুনিয়ার মানুষ। একসময় চুটিয়ে অভিনয় করেছি এবং পত্রপত্রিকা আমাকে একেবারে বাংলার সুপারস্টার নায়ক বলতো। উত্তমকুমারের পরে এই খ্যাতি যে পাবো তা কে জানতো । প্রসেনজিৎ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই কারণ বুম্বা আমার অনেক পরে ওই খ্যাতি পেয়েছে। আরে বাবা আমার বয়স তো হয়েছে নাকি সুতরাং তুলনা অপ্রয়োজনীয়। যদিও আমার ছবির কাজে আসাটা টিভির দুনিয়ায় খবর পড়া বা সাংবাদিকতা করার পরে। একই দিনে শাহরুখ খানের জন্মদিন কাজেই  খবরওয়ালারা নিয়ম করে প্রতি বছরেই আমাকে শাহরুখ নিয়ে প্রশ্ন করে। অনেকটা এই রকম যে, একই দিনে আমাদের জন্মদিন কাজেই আমাদের মধ্যে মিল কতটা?

দেখুন, একটি বিষয়ে আমাদের অসম্ভব মিল, তা হচ্ছে, আমরা দুজনেই সুখী দাম্পত্য জীবন যাপন করছি কোনও গুঞ্জন ছাড়াই। আমাদের দুজনের কাছেই দিনের শেষে পরিবারই আসল। এছাড়া ওর আগমন টিভি থেকে আমারও কিন্তু অমিলটাই বেশি। শাহরুখ হিন্দি ছবির নায়ক। ওদের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা। কোটি কোটি টাকার কারবার। ছবি চলুক বা ফ্লপ হোক টাকার পাহাড়ের খরচ থাকবেই। আজকাল তো শুনি শাহরুখ নিজেই তাঁর অধিকাংশ ছবির প্রযোজক। যদিও এখনকার ছবি আর নির্দিষ্ট হাউসে রিলিজ করে না। বেশিরভাগই শপিং মল বা মাল্টিপ্লেক্সে। এক সপ্তাহেই টাকা তুলতে হবে। এখন গ্রামগঞ্জে সিনেমা কোথায়? দেশের সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষ যদি আমার সিনেমা না দেখে তবে লাভ কি?

আমার শুরু কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের সহযোগী হিসাবে। তাঁর একটি ডকুমেন্টরি ছবিতে অভিনয় করেওছি। পরিচালনার কাজটি ওনার কাছ থেকেই শেখা যে কারণে পরবর্তী সময়ে নিজেই পরিচালনায় হাত দিয়েছিলাম। এই সুযোগ আজকের দিনে রঞ্জিত মল্লিক আর দীপঙ্কর দে ছাড়া আর কার আছে? আজকে সুপারস্টার বলে কিছুই নেই। কাজেই শাহরুখের মতো যেকোনও চরিত্রে সবাই কাজ করছে।

আর একটি ব্যাপারে শাহরুখের সঙ্গে আমার মিল রয়েছে। আমরা দুজনই খেলার ভক্ত। যদিও শাহরুখ একটি ক্রিকেট দলের মালিক এবং ওই অবধি। আমি খেলতাম নিজে কাজেই খেলার টেকনিকাল দিকটা বুঝি। এই তো জন্মদিনের গপ্পো। (অনুলিখন-প্রসূন গুপ্ত) 

6 months ago
Mahua Moitra: 'দর্শনকে সংসদের লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলাম', স্বীকারোক্তি মহুয়া মৈত্রর

শিল্পপতি হিরানান্দনিকে (Hiranandani) সংসদের (Parliament) লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), এমনটা অবশেষে স্বীকার করলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, টাকা নেওয়ার বিনিময়ে মহুয়ার সংসদের প্রশ্ন ঠিক করে দিয়েছেন শিল্পপতি হিরানান্দনি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে সংসদের লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এবারে এই নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন খোদ মহুয়া মৈত্র। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি হিরানান্দনিকে সংসদের লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছেন কিন্তু টাকার বিনিময়ে নয়।

শুক্রবার এক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, 'হ্যাঁ আমি সংসদের লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড শিল্পপতি এবং আমার বন্ধু দর্শন হিরানন্দানিকে দিয়েছিলাম। যাতে ও কাউকে একটা দায়িত্ব দিতে পারে আমার প্রশ্নগুলো টাইপ করে দেওয়ার জন্য।' এরপর তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, 'দর্শনের অফিসের একজন কর্মী লোকসভায় আমার প্রশ্নগুলো টাইপ করে দিয়েছিলেন। টাইপ করার পর সেই ব্যক্তি আমায় ফোন করেন এবং আমি প্রশ্নগুলো এক নজরে পড়ে নিই। কারণ আমি নিজের সংসদ এলাকায় সবসময়ই ব্যস্ত থাকি। প্রশ্নগুলি সংসদের ওয়েবসাইটে টাইপ হওয়ার পর আমার ফোনে একটি ওটিপি আসে। সেটি ওয়েবসাইটে দিলে তবেই প্রশ্নগুলি সেখানে সেভ হয় এবং সাবমিট করা যায়। ফলে দর্শন নিজে থেকে আমার লগ ইন আইডি নিয়ে প্রশ্ন টাইপ করে দিয়েছিল, এই তথ্য স্রেফ হাস্যকর।'

6 months ago
WC2023: দুর্দান্ত ভারত কিন্তু ভাবনায় হার্দিক

চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (বিধায়ক/অভিনেতা): ক্রিকেট ফুটবল আমার জীবনের চলার পথে অন্যতম সাথী। এক সময়ে ছেলেবেলায় দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে খেলেওছি। খেলা দেখা আমার একটা নেশা। বিশ্বকাপ ফুটবল হোক বা ক্রিকেট, দেখতে তো হবেই। পুজোর সময়ে আমার কেন্দ্রে যাওয়া আসা থাকবে কিন্তু তারই ফাঁকে আজকের অধিনায়ক মোবাইলে খেলায় চোখ রেখেছি। আমার কাছে সব ম্যাচই প্রাধান্য পায়। আমি আগের লিখনিতে লিখেছিলাম যে, দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। আমাদের প্রথম চার ব্যাটার অর্থাৎ রোহিত, গিল, কোহলি এবং রাহুল প্রায় প্রতিদিনই ভালো ব্যাট করে দিচ্ছে কিন্তু তার আগে বোলিংয়ে বুমরা, সিরাজ এবং জাড্ডু ও কুলদীপ এতটাই ভালো বল করছে যে ব্যাটারদের টেনশন নিতে হচ্ছে না। আমি একটা ব্যাপার দেখে অবাক হচ্ছি, চারটি ম্যাচেই উল্টোদিকের দল শুরুটা বেশ ভালো করেও শেষ পর্যন্ত হঠাৎ খেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশের একই ব্যাপার। দিব্বি শুরু করেছিল লিটন দাস। ৯০ রান উঠে যাওয়ার পরে মনে হচ্ছিলো বাংলাদেশ আজ হয়তো ৩০০ পার করবে কিন্তু হঠাৎ গুটিয়ে গেলো। জাড্ডু বা জাদেজা যেমন ফিল্ডিং করেছে তেমনিই বোলিং কিন্তু ম্যাচের সেরা হলো সেঞ্চুরি করা কোহলি। ভারত ফের ৭ উইকেটে জিতলো। এখন এটা একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।

ভারতের এখন যা দলগত অবস্থা, আমি বলবো সর্বকালের সেরা একদিবসীয় দল। ওপেনিংয়ে রোহিত নিয়মিত ভালো রান পাচ্ছে কিন্তু ওঁর একটাই সমস্যা, ছক্কা হাঁকাতে চায়। মারবে না কেন? মারার জন্যই তো স্বল্প ওভারের ক্রিকেট কিন্তু একেবারে অনসাইড হিটার। একটা সিক্সারের পর ফের পরের বলেও ওই চেষ্টা। কালকে আউটও হলো ওই ভাবেই। ও অধিনায়ক এটা ভুলে গেলে চলবে কেন? আমি বরং বলবো টপ ফর্মে খেলছে বিরাট কোহলি। জীবনের অন্যতম সেরা ফর্মে আছে। ফের বলতেই হয় সচিনের অভাব পেতে দিচ্ছে না বিরাট। অসাধারণ খেলা। কি ধৈর্য কি পরিশ্রম। মাঠ কামড়ানো স্ট্রোক। কিন্তু আমার চিন্তা হার্দিক প্যান্ডিয়াকে নিয়ে। কাল পায়ের গোড়ালিতে ছোট পেয়ে গেলো। দেখুন চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে মিডলে এমন একজন খেলোয়াড় দরকার যে ব্যাট করবে আবার বলটিও করবে। অর্থাৎ অলরাউন্ডার। দেখবেন অলরাউন্ডারদের জন্যই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুবার। ১৯৮৩-তে কপিল, মহিন্দার, ২০১১-তে যুবরাজ সিং। এবারে সেই কাজটিও করা দরকার এবং এক্সপার্ট হচ্ছে হার্দিক। আমি মনে করি শার্দুল ঠাকুর মোটেই সেই কাজটি করতে পারবে না। শ্রেয়স কিন্তু ভালো খেলছে না, আবার সে বোলারও নয়। সুতরাং হার্দিক ফিরে আসুক। (অনুলিখনঃ প্রসূন গুপ্ত)

6 months ago


Mahua: দর্শন হিরানন্দানির হলফনামা কি তাঁর নিজের লেখা? পাল্টা বিবৃতি মহুয়ার

টাকা বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন। এই ইস্যুতে এবার পাল্টা বিবৃতি জারি করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। তাঁর প্রশ্ন, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানি যে বয়ান হলফনামা আকারে দিয়েছেন, তা কি তাঁর নিজের লেখা? নাকি এই বয়ানের খসড়া তৈরি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে?

ওই বিবৃতিতে মহুয়ার অভিযোগ, এমন সংবেদনশীল ঘটনায় কেন নেই কোনও সরকারি লেটারহেড। তৃণমূল সাংসদের সাফ দাবি, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়েই এই হলফনামা লেখানো হয়েছে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির থেকে।

দুবাইয়ের ব্যবসায়ী বন্ধুর থেকে টাকা নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। গত রবিবার এই অভিযোগ করে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ওই চিঠিতে নিশিকান্ত দাবি করেছিলেন, আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে মহুয়া পরোক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অপমান করেছেন।

মহুয়ার শাস্তি নিয়ে সরব নিশিকান্ত স্পিকারের কাছে তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করার দাবিও জানিয়েছিলেন। পাল্টা দাবিতে মহুয়ার বক্তব্য ছিল, এই ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, তিনি নিশিকান্তর লেখাপড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। গোটা ঘটনা যে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত সেই অভিযোগ করেছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এই পরিস্থিতিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে নিশিকান্তের নালিশের চিঠি সংসদের এথিক্স কমিটির কাছে পাঠিয়েছেন স্পিকার।

6 months ago
Mahua: মহুয়া মৈত্রই সংসদের আইডি-পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন, স্বীকার করলেন হিরানন্দানি

অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ রয়েছে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, শিল্পগোষ্ঠী হিরানন্দানির সিইও দর্শন হিরানন্দানিকে লোকসভার আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মহুয়া। গত কয়েকদিন ধরে এই ইস্যুতে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। এবার বিজেপির সমস্ত অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিলেন হিরানন্দানি।

সম্প্রতি, দর্শন হিরানন্দানির সাক্ষর করা একটি হলফনামা প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই ওই হলফনামার কথা জানিয়েছে। সেখানেই হিরানন্দানি দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বদনাম করতে আদানি গ্রুপকে 'টার্গেট' করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। তিনি স্বীকার করেছেন, মহুয়াকে ব্যবহার করে লোকসভায় আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কিত প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তৈরি করে দেওয়ার জন্য তাঁকে সংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মহুয়া। পরিবর্তে তাঁর থেকে মহুয়া বিলাসবহুল জিনিসপত্র নিতেন বলে দাবি করলেন হিরানন্দানি।

কখনও বিলাসবহুল সামগ্রী, দিল্লির সরকারি বাসভবন সংস্কার করিয়ে দেওয়া, ছুটি কাটানো বা বেড়ানোর খরচের জন্যও দাবি করতেন মহুয়া। সেটা যেমন দেশের বিভিন্ন জায়গায়, তেমন বিদেশেও। যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহুয়া।

6 months ago


World Cup: বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সেরা দল কোনটি ?

চিরঞ্জিত ( অভিনেতা / বিধায়ক )

ক্রিকেট ফুটবল সহ বিভিন্ন খেলায় আমার ঝোঁক থাকলেও, একসময় চুটিয়ে ফুটবল ক্রিকেট খেলেছি গোলপার্কে। আমার খেলা দেখার নেশা প্রচন্ড। এখন ক্রিকেটের সময়। যদিও আমার দল এখন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত কাজেই আমাকেও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। অন্যদিকে সামনেই 'মা আসছেন ' অর্থাৎ দুর্গাপুজা। তারপরেই কালীপুজো। আপনারা তো জানেন আমি বারাসাতের বিধায়ক অতএব ওই সময়টিতে আমার বিশেষ ব্যস্ততা থাকে কিন্তু ফাঁক পেলেই ক্রিকেটে চোখ রাখতে হবে। আগে যখন সিনেমায় ব্যস্ত থাকতাম তখন ইনডোর শুটিং থাকলে এবং খেলা থাকলে, ফাঁক পেলেই মেকআপ বা কোনও করতে ব্যক্তির ঘরে গিয়ে খেলা দেখতাম। এবারে কিন্তু ভারতে বিশ্বকাপ। খেলা দেখবো এবং প্রাণ দিয়ে ইন্ডিয়াকে সমর্থন করতেই হবে। এখন অবিশ্যি হাতেই মুঠোফোনে খেলা দেখি। এবারেও ব্যতিক্রম হবে না। একটা বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত আপত্তি রইলো তা, ফাইনালটি হচ্ছে গুজরাতে। আমি বুঝি না সর্বত্রই কেন ক্রিকেটটাকে এক ধরণের রাজনীতির অঙ্গ করে নেওয়া হচ্ছে। ইডেনের মতো দর্শক এবং পরিবেশ আদৌ সারা ভারতের কোথাও আছে কি না সন্দেহের তবুও বর্তমান বোর্ড আহমেদাবাদে ফাইনালটি নিয়ে গেলো।

এবারে প্রশ্ন হচ্ছে কোন দল চ্যাম্পিয়ন হবে? ক্রিকেট নিয়ে মূর্খরা বাজি ধরে। কোনও ভাবেই মোটেই বলা যাবে না কোন দল কতটা শক্তিশালী ? দেখুন বিশ্বের পাকিস্তান বাদে সব দেশের খেলোয়াড়রা প্রতি বছর আইপিএল খেলতে এ দেশে আসে। আমরা মুগ্ধ হয়ে তাদের ব্যাটিং ও বোলিং দেখি। ওঁরা কিন্তু এ দেশের সমস্ত মাঠের পিচ এবং আবহাওয়ার খবর রাখে কাজেই সব দল চেষ্টা করবে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার। আমি অবশ্যই চাইবো রোহিত শর্মার হাতে কাপটি উঠুক কিন্তু চাওয়া আর বাস্তবের মধ্যে ঢের তফাৎ। সুতরাং প্রথম দিকের খেলাগুলি দেখার পরেই বোঝ যাবে কার শক্তি কতটা। চেন্নাইতে বৃষ্টি হচ্ছে তাই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের যুদ্ধটা কেমন হয় সেটা দেখার। এ সময়টাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি হয়। সময়টা কি ভুল বাছা হলো ? 

অনুলিখন:  প্রসূন গুপ্ত 

7 months ago
Pathirana: 'ও শ্রীলঙ্কার উজ্জ্বলতম ক্রিকেটার।' পাথিরানার পরিবারকে আশ্বস্ত মাহির

রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) পাঁচবার আইপিএল (IPL) জিতে ফেলেছে। এবার আইপিএল জিতলে রোহিতের রেকর্ড স্পর্শ করে ফেলবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MSD) ও চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। এই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অনেক কৃতিত্ব রেখেছেন শ্রীলঙ্কান পেসার মাথিসা পাথিরানা।

গত মরশুমে মাত্র ২টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এই মরশুমে ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন। গড় ১৯.২৪। ফাইনালের আগে পাথিরানার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মাহি। তাঁর বোন ইনস্টাগ্রামে ধোনির সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন। ধোনিকে নিয়ে লেখা কিছু লাইন মন জিতে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লেখেন, "মালিকে নিয়ে এবার আমরা নিশ্চিন্ত। থালা বলল, ওকে নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। ও সব সময় আমার সঙ্গেই থাকে। এই মুহূর্তগুলো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি।"

২০ বছরের পাথিরানার সামনে এবার চেন্নাইয়ের হয়ে প্রথম আইপিএল জেতার সুযোগ রয়েছে। রবিবার আহমেদাবাদে ফাইনাল খেলতে নামবে চেন্নাই সুপার কিংস।

11 months ago
Tollywood: পরমব্রতর পরিচালনায় অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী

কোথায় গেলেন চিরঞ্জিত? সিনেমার পর্দায় বহুদিন তাঁকে দেখতে না পেয়ে এমনই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সমসাময়িক সময়েই উত্থান তাঁর। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে প্রসেনজিতের 'জুবিলী' ওয়েব সিরিজ। নেট দুনিয়া জুড়ে শুধুই বুম্বাদার চর্চা। এর মধ্যে কী হারিয়ে গেলেন চিরঞ্জিত? এমন প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে দর্শকমনে। তবে এবারে শোনা গেল খুশির খবর। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের (Parambrata Chatterjee) পরিচালনায় অভিনয়ে ফিরতে চলেছেন চিরঞ্জিত (Chiranjeet Chakraborty)।

মে মাসেই একটি নতুন সিরিজ পরিচালনা করতে চলেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। শোনা গিয়েছে, সেই সিরিজের মূল চরিত্রেই অভিনয় করার ডাক পেয়েছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। এর আগেও একসঙ্গে কাজ করেছেন টলিউডের এই দুই তারকা, তবে সহ অভিনেতা হিসেবে। এইবার সেই সমীকরণেই কিছুটা বদল আসবে। এই সিরিজের বিষয় মূলত হরর। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বুদ্ধিদীপ্ত পরিচালক। তাই চিত্রনাট্যের প্রতি আকর্ষিত হয়েই এই কাজ করতে রাজি হয়েছেন চিরঞ্জিত।

সিরিজের শ্যুটিং হতে চলেছে পাহাড়ে। চিরঞ্জিতের পাশাপাশি এই সিরিজে অভিনয়ের প্রস্তাব গিয়েছে, অনিন্দিতা বসু, গৌরব চক্রবর্তী, অর্ণ মুখোপাধ্যায় এবং সুরঙ্গনা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে। যদিও এই নিয়ে এখনও পরিচালক বা প্রযোজনা সংস্থার তরফে কিছু জানানো হয়নি।

12 months ago


Hiran: তৃণমূল যোগের জল্পনা উড়ালেন হিরণ, এনামূলের প্রসঙ্গ টেনে বিঁধলেন দেবকেও! কী বলছে টিএমসি

বিজেপিতেই আছেন খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (BJP MLA) । রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন এই অভিনেতা-রাজনীতিবিদ (Hiran Chatterjee)। 'চোরের দল' তৃণমূলে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। শাসক দলে (TMC) তাঁর যোগ দেওয়ার সাম্প্রতিক গুঞ্জন এভাবেই উড়ালেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক। শনিবার তিনি দাবি করেন, ২০২১-র পর থেকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর আর কোনও যোগাযোগ নেই। এমনকি যে ছবিকে ঘিরে এত বিতর্ক সেই ছবি বিকৃত করা হতে পারে। পরবর্তীকালে এমন কোনও ভিডিও আসতে পারে। এভাবেই কটাক্ষ করেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

পাশাপাশি তৃণমূল যোগের জল্পনা উড়িয়ে হিরণ জানান, 'দিন যত যাচ্ছে প্রযুক্তি আরও আধুনিক হচ্ছে। আপনারা আরআরআর ছবি দেখেননি। ডিজিটাল ইম্প্রোভাইজ করে আমার হাতে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দিলেও বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেন বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় কখনই তৃণমূলে যাওয়ার কথা ভাববে না। বাংলার মানুষের কাছে তৃণমূল মানে চোর, চোর, চোর।' হিরণের অভিযোগ, 'তৃণমূলের শাসনে দুর্নীতি, অপশাসন, চক্রান্ত, গরীবকে লুট করা, যুব সমাজকে শেষ করা, বগটুইয়ের মতো নির্মম হত্যালীলা চলেছে। বরং তৃণমূলের অনেক বিধায়ক চাইছেন বিজেপিতে যোগ দিতে। তাঁদের পথে-ঘাটে বেরোলেই চোর চোর শুনতে হচ্ছে।'

এদিনও তিনি দাবি করেছেন, 'আজকের দিনে বাংলা ছবির যারা সুপারস্টার গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামূল হকের থেকে টাকা নিয়ে বাংলা ছবি করে, তাঁদের অনেকের পেন্ট হাউস, বাংলো-গাড়ি আছে।' অর্থাৎ বিজেপি বিধায়কের অভিযোগের আঙুল কি ফের দেবের দিকে? তাঁর চ্যালেঞ্জ, 'দেব জোর গলায় বলুক সিবিআই-ইডি ওর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে। তাহলে দেব আমার বন্ধু, আমি সবার আগে ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবো।' দীপক অধিকারী এনামূল হকের থেকে টাকা নিয়েছেন, সে কারণে সিবিআই-ইডি ওকে ডেকে পাঠিয়েছিল এবং সেই মামলা চলছে। সেই মামলায় দীপক অধিকারী দোষী সাব্যস্ত হলে আমার বড় দুশ্চিন্তা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে। কারণ দু'জনেই একই প্রযোজকের ছবিতেও কাজ করেছে। এই কারণে মিঠুন চক্রবর্তীকে কোনও রকম বিপদে না পড়তে হয়। এনামূলের থেকে দেবের টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গ উসকে দিয়ে এই আশঙ্কা করেন হিরণ।

যদিও তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির দাবি, 'হিরণ তৃণমূলে এসেছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তবে তিনি এই মুহুর্তে না জানিয়েছেন। পরে যখন দলের তরফ থেকে লোক নেওয়া হবে তখন তার কথা ভাবা হবে।'

one year ago
TMC: দল বদলে তৃণূমলে বিজেপি বিধায়ক হিরণ? কেন এই জল্পনা

প্রসূন গুপ্ত:  প্রথমেই বলে রাখা ভালো উপরের ছবিটি সিএন পোর্টালের নয় এবং এটি যাচাই করা হয়নি। তবে এই ছবিটি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এবং যেহেতু এই ছবিটির একটি তাৎপর্য আছে তাই খবর করা।

ছবিটি নব্য সিনেমার অভিনেতা অথবা নায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের। হিরণের অন্য একটি পরিচয় আছে, তিনি রাজনীতিবিদ। তাঁর রাজনীতিতে চলা শুরু তৃণমূল কংগ্রেসে। দলের যুব কমিটির নেতা ছিলেন তিনি। এরপর যখন ২০১৯/২০ থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার রব উঠলো, তিনিও বিজেপিতে যোগ দিলেন। অনেকেই তৃণমূলে বলেছিলো 'হওয়া মোরগ'। স্বাভাবিক এমন অনেকেই দল ছেড়ে অন্য দল বিজেপিতে গিয়েছিলো সম্পূর্ণ তৃণমূল এবং দল নেতৃত্বকে দায়ী করে।

হিরণও তাই। এরপর দ্রুত পট পরিবর্তিত হতে শুরু হলো। হিরণ নাকি প্রথমে তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ট ছিলেন। এ কারণে শোনা যায় ২০২১ এ হিরণকে দিলীপবাবু তাঁর পূর্বতন বিধানসভা কেন্দ্র খড়গপুরের টিকিট দেন। 

হিরণ জিতে আসেন এমন একটি সময়ে যখন দক্ষিণবঙ্গে দলের অনেকেই ধরাশায়ী হয়েছে। এরপর নাকি হিরণের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। শোনা যায় হিরণ নাকি তখন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। কিন্তু অন্যদিকে সিনেমার কাজও কমে আসছিল। তারপর কি এমন ঘটলো ২০২২ এ যে হিরণ স্থির করলেন দল ছাড়বেন?

এমনটিই শোনা গিয়েছিলো এ বছর ১০ জানুয়ারিতে। ওদিন গুঞ্জন উঠলো ( এমনকি মিডিয়াতে) যে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক 'তারকা' বিধায়ক গুঞ্জনে। গুঞ্জনে হিরণের নাম ঘুরছিলো। কিন্তু তিনি পরিষ্কার বার্তা দিলেন ওই দিন তিনি রাজ্যের বাইরে ছিলেন কাজেই ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।

তারপর সম্প্রতি একটি ছবিটি বেরিয়ে এলো সোশ্যাল নেটে। অনেকেই বললেন, পুরোনো দিনের ছবি এবং এটি কোনও এক অফিস, অভিষেকের অফিস মোটেই নয়। এই প্রতিবেদক বহুবার অভিষেকের অফিসে গিয়েছে, যদি ছবি এটাই হয় তবে নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় এটি অভিষেকের অফিস এবং ছবিটি সাম্প্রতিক, মোটেই পুরাতন এই।

এখন প্রশ্ন তবে কি ফের হিরণ দল পাল্টাচ্ছেন ? উত্তর সেটাই খবর শনিবার মুখপাত্র কুনাল ঘোষের প্রচার মাধ্যমে সেরকম খবরই বেরিয়েছে। কিন্তু যদি দল পাল্টাবেন ঠিক করেই থাকেন হিরণ তবে দেরি কিসে? উত্তরে জানা যাচ্ছে, অপেক্ষা করতে হবে। বিচিত্র রাজনীতির রং বদল।

one year ago


Mourn: প্রয়াত সুমিত্রা সেন, স্মৃতিচারণায় অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিত

চিরঞ্জিত (অভিনেতা-বিধায়ক ) : এটা কঠিন বাস্তব এই ধরাধামে যখন এসেছি তখন এক দিন না একদিন যেতেই হবে, আজ নয় কাল। কিন্তু তারই মধ্যে যখন আপনজন বা প্রিয় কোনও মানুষ চলে যান ওপারে তখন তো মনে হয় 'আর কিছুদিন রইলে'..। তবু মনে রেখো বলে চলে গেলেন সোনালী যুগের শেষ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সুমিত্রাদি, সুমিত্রা সেন। আমাদের ছেলেবেলায় পরিবারের অনেক বাধ্যতামূলক বিষয়ের মধ্যে একটি ছিল রবীন্দ্র সংগীত। গাওয়া না হলেও শোনা। আমার বাবা সুরসিক চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তীর অবসর ছিল কিন্তু রবি ঠাকুরের গান। তাঁর মুখেই অনেক কথা শুনতাম। দেবব্রত বিশ্বাস, শান্তিদেব ঘোষ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্রের কথা।

একটা বিষয়ে আমরা পিতাপুত্র এক মত ছিলাম, সুমিষ্ট রবি ঠাকুরের গান মানে সুমিত্রাদি। কী ভীষণ মিষ্টি গলা ছিল তাঁর। ইস কেন বারবার বলতে হচ্ছে 'ছিল' কথাটা। ৮৯ বয়স হয়তো অনেকটা কিন্তু তবু তাঁর গানের বয়সের কাছে তুচ্ছ।

রবি ঠাকুরের গানের অনেকগুলো ঘরানা ছিল। আমার ধারণা রবীন্দ্র সংগীতে শান্তিনিকেতনের বাতাবরণে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, গণসংগীতের তীব্র দহনে সুচিত্রা মিত্র এবং একেবারে আমাদের গ্রাম থেকে শহরে সাধারণ ভাবে শান্তিনিকেতনের ধারার বাইরে সকলের সুমিত্রা সেন। প্রথম জীবনে বিয়ের আগে ছিলেন সুমিত্রা দাশগুপ্ত। শুরুর পথে নজরুল আধুনিক অনেক গান গাইলেও শেষ পর্যন্ত পাকাপাকি নিজের কর্তার উৎসাহে রবীন্দ্রনাথের জগতে। গাইলেন 'ওলো সই ওলো সই", আমার ইচ্ছা করে তোদের মতো মনের কথা কোই তাই প্রথাগত পদ্ধতি বাদ দিয়ে নিজের মতো গাইলেন।

আমি একবার বাল্যকালে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বা সুচিত্রা মিত্রকে দেখেছি কিন্তু সত্যি আলাপ ছিল না, আমি তো তখন শিল্পী শৈল চক্রবর্তীর ছেলে, যে মিত্র ইনস্টিটিউটে পড়ে আর ঢাকুরিয়ায় ফুটবল খেলে। কিন্তু তখনকার গানের জলসায় শুনলাম সুমিত্রাদির গান।কাছ থেকে দেখলাম। পরে টেলিভশন আরও পরে সিনেমায় এসে যখন সামান্য নামধাম হলো ( আজকাল ওটুকু বলতে পেরে খুশি ) তখন সুমিত্রাদির সঙ্গে আলাপ হলো। নানা অনুষ্ঠানে দেখা হতো, কথা হতো। কম কথা বলতেন শুনতে ভালোবাসতেন।

বলেছিলেন, আমরা ওপার বাংলার বদ্যি। বিয়েও হয়েছে সেনগুপ্তর সাথে। আমাদের প্রথম বিষয়ে হলো পড়াশুনো করতে হবে সাথে সাংষ্কৃতিতে আগ্রহ রাখতে হবে। চমৎকার কথা।

দেখুন, পেশাদাররা মনে করেন পেশার কারণে সব কিছু সরিয়ে পেশায় মন দিতে হয়, কিন্তু সুমিত্রাদি সেই ধারণা বদলে দিয়েছিলেন। সংসারধর্ম পালন করেও সাংস্কৃতিক জগতে থাকা যায়। এই শিক্ষা আমার পেশাদারি জীবনে প্রথম শিক্ষা। আজ সিনেমার জগৎ থেকে রাজনৈতিক জগতে থাকলেও আমি কিন্তু ভীষণই সংসারী। পরিবারকে সুযোগ পেলেই সময় দিই। সুমিত্রাদির আমলে অনেক রথী মহারথী থাকলেও তিনি ছিলেন অজাতশত্রু। সকলের সঙ্গে মিলে সাধারণের মধ্যে অসাধারণ ছিলেন তিনি। একবার হেসে বলেছিলেন, ইন্দ্রানী তো যথেষ্ট নাম করেছে কিন্তু শ্রাবনী যে নিজের ইচ্ছাশক্তি নিয়ে এতো দ্রুত এগিয়ে আসবে বুঝতেই পারিনি। চোখে জল এসে গিয়েছিলো তাঁর। বলেছিলাম, আপনারই তো রত্ন যুগল।

অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছা করছে আজ কিন্তু আর লাভ কি? তাঁরই একটা প্রিয় গান দিয়ে শেষ করি। "মেঘ বলেছে যাবো যাবো, রাত বলেছে যাই। সকাল বলে কুল মিলেছে - আমি তো আর নাই" বিদায় দিদি। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)

one year ago
Football: পেলে ছিলেন আমার জীবনের প্রথম সেলিব্রেটি, লিখলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী

চিরঞ্জিত (বিধায়ক -অভিনেতা): পেলে একটা অদ্ভুত নাম যেন কত কাছের। বাঙালির কাছে আরও কাছের হওয়ার অন্যতম কারণ নামটি 'পেলে'। যেন কী পেলে বা কোথায় পেলে বললেই পাওয়ার বিষয়টি এসে যায়। আমার স্কুল ছিল মিত্র ইনস্টিটিউশন। ছাত্র ভালোই ছিলাম কিন্তু তার সঙ্গে নেশা ছিল ফুটবলের। খুব খেলতাম ঢাকুরিয়ার মাঠে, স্ট্রাইকার ছিলাম। একবার ছেলেবেলায় একটা গোল করার পর চারিদিক থেকে চিৎকার এলো পেলে পেলে। ব্যস ওই তারপর থেকেই ফুটবলের সম্রাট পেলের ভক্ত।

আমাদের বাল্যকালে টেলিভশন ছিল না তাই ফর্মে থাকা পেলের খেলার সোনালী যুগ চাক্ষুষ করতে পারিনি। আমার বাবা ছিলেন প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট শৈল চক্রবর্তী কাজেই বাড়িতে অজস্র বইপত্র ম্যাগাজিন আসতো। ওখান থেকেই কাঁচি দিয়ে কেটে পেলের ছবি আমার লম্বা একটা বাঁধানো খাতায় লাগাতাম। অসংখ্য ছবির কালেকশন ছিল পেলের। আসলে পেলে ছিলেন আমার জীবনের প্রথম সেলিব্রেটি।সিনেমা থিয়েটারের দিকে ঝোঁক ছিল না। বাবা চিত্রশিল্পী ছিলেন বলেই তিনি পেলের কার্টুনও এঁকে ছিলেন, আমিও আঁকতাম। পেলের ছবিও তো এঁকেছি।

এডসন আরান্তেস ডো নাসিমান্তো, এই নাকি পেলের পুরো নাম। আসলে পর্তুগিজদের এ রকম বড় নাম হয়। কিন্তু ওদের ছোট একটা নাম থাকবেই। যেমন রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো ইত্যাদি সবই এদের নিক নাম। এক সময়ে আফ্রিকা থেকে পেলেদের পূর্বপুরুষদের তুলে এনেছিল পর্তুগিজরা এবং তাঁদের উপর অত্যাচার করে ব্রাজিলে রেখে দিয়েছিলো।

শক্ত কাজ থেকে ফাই ফরমাস খাটানোর জন্য এঁরাই ছিল পর্তুগিজদের দাস। এই কারণে দীর্ঘদিন ব্রাজিলে বসবাসকারী সাদা পর্তুগিজদের এরা একপ্রকার "দাস" ছিল। পরে অবস্থা স্বাভাবিক হলে এরাই খেলার মাঠ থেকে কফির বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। লক্ষ্য করে দেখবেন ব্রাজিল দলে কেউ সাদা, কেউ আবার কৃষ্ণবর্ণের।পেলে এমনই এক পরিবারভুক্ত ছিলেন।

দরিদ্র বাবা ফুটবল খেললেও চোট পেয়ে খেলা ছাড়তে বাধ্য হন। এই দরিদ্র পরিবার থেকে খেলোয়াড় হবে দুষ্কর ছিল ৫০ এর দশকে। কিন্তু পেলে তো হবু সম্রাট, তিনি পেরেছিলেন। বিশ্বজোড়া নাম করেছিলেন আজকের খেলোয়াড়দের মতো অবশ্য টাকা করতে পারেননি পেলে। তিনবার বিশ্বকাপ তাঁর কল্যাণে পেয়েছিলো ব্রাজিল। ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৭০, এই রেকর্ড ভাঙা দুরূহ। আমি মনে মনে ভাবি ফুটবলের সম্রাটের এই রেকর্ড যেন অক্ষুন্ন থাকে।

আমি পেলের খেলা দেখেছি সিনেমা হাউসে। পরে মোহনবাগানের সঙ্গে খেলা অবশ্য টিভিতে দেখি। আমি তখন একদিকে দূরদর্শনের সাংবাদিক-সংবাদ পাঠক আর অন্যদিকে সবে সিনেমা জগতে পা দিয়ে শুটিং শুরু করেছি কাজেই মাঠে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।

পেলে ক্যান্সারের মতো যন্ত্রণায় ভুগে চলে গেলেন। এর আগে মারাদোনা চলে গিয়েছেন। মেসিও এবার বিশ্বকাপের পর নাকি আর খেলবেন না জানিয়েছেন।অতএব সিংহাসনটা শূন্য পড়ে, সম্রাটই শুধু নেই। যাও সম্রাট ,অনেক দিয়েছো এবার চির বিশ্রাম। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)  

one year ago
Poster: 'হিরণের খোঁচায় মলদ্বীপ থেকে এলাকায় আসছেন দেব', ঘাটালজুড়ে বিজেপির পোস্টারিং

তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) দেবের ঘাটাল (Ghatal) সফরের আগে বিজেপির তরফে শহরজুড়ে পোস্টার। তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে সেই পোস্টারে। শাসক শিবিরের সাংসদকে নিশানা করে এই পোস্টারিং করেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক শীতল কপাট। মঙ্গলবার সাংসদ দেবের কেন্দ্র ঘাটালজুড়ে 'হিরণের খোঁচা খেয়ে মলদ্বীপ থেকে ঘাটালে আসছেন সাংসদ দেব', এই ধরনের পোস্টারে ছেয়ে যায়।

বিজেপির তরফেই পোস্টারগুলো সাঁটানো হয় ঘাটালে। এই পোস্টার লাগাতে দেখা গিয়েছে খোদ ঘাটালের বিজেপি বিধায়ককে। সম্প্রতি ঘাটালে এক অনুষ্ঠানে এসে কাটমানি প্রসঙ্গে অভিনেতা-সাংসদ দেবকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন হিরণ। তৃণমূলের তরফে উড়ে আসে পাল্টা প্রতিক্রিয়া।

এই পোস্টারিং প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক জানান, হিরণের কথায় ছুটে আসছেন দেব। আবার কেউ উনাকে মনে করিয়ে দেবেন ঘাটালবাসীর কথা। এছাড়া উনি সিনেমা বানাবেন আর এনামূল হকের থেকে কাটমানি নেবেন। পাল্টা দেবের প্রতিক্রিয়া, 'সাংসদ হয়ে আমার কাজ বেড়েছে, আমি ব্যস্ত হয়েছি এমন নয়। চাইলে এই আক্রমণের জবাব দিতে পারতাম। যে আমার বন্ধু, যার সঙ্গে খেয়েছি, তাঁকে কেন আমি আক্রমণ করতে যাবো? আমি কোনওদিন নিজের দলকে বড় করার জন্য অন্য দলকে ছোট করেছি। আর সব দলেই আমার বন্ধুবান্ধব ছড়িয়ে রয়েছে।'

one year ago


Dev: 'কাটমানির টাকায় ছবি করে দেব' বেনজির আক্রমণ হিরণের, 'ও আমার বন্ধু', পাল্টা দেব

কাটমানি ইস্যুতে (Cut Money Issue) তৃণমূল সাংসদ দেবকে (MP Dev) বেনজির আক্রমণ বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের। ঘটনাচক্রে এই দুজন বাংলা ছবির একদা সতীর্থ এবং ভালো বন্ধুও বটে। রাজনৈতিক ময়দানে আবার একে অপরের বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধি। কিন্তু সোমবার ঘাটালের (Ghatal) এক অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়ক হিরণের (Hiran) মন্তব্যে শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে।

খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক ঘাটালের সাংসদ দেবের উদ্দেশে বলেছেন, 'সাংসদ হিসেবে আমি প্রত্যেক মাসে মাইনে নেব। এখানে যা কাজ হবে সেখান থেকে কাটমানি নেব, গরু চোর এনামূল হকের থেকে কাটমানি নিয়ে সিনেমা করব। আর বান্ধবীকে নিয়ে মলদ্বীপ ঘুরতে যাবো। আমি মলদ্বীপে জলে বান্ধবীকে নিয়ে সাঁতার কাটবো, আর ঘাটালের মানুষ জলের তলায় ডুবে থাকবে।'

তিনি জানান, ঘাটালের একজন ফিল্মস্টার নায়িকাদের সঙ্গে শ্যুটিং করবে আর এনা মূলের থেকে টাকা নিয়ে ছবি প্রযোজনা করবে। আর সিবিআই ডাকলে বলবে আমি তো টাকা নিই নি। সিবিআই আমাকে চা খেতে ডেকেছিল। আর সামনে-পিছনে পুলিস এবং মলদ্বীপে বান্ধবী নিয়ে ঘুরবো। এভাবেও তীব্র কটাক্ষ দেবকে করেন হিরণ।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ পাল্টা জানান, হিরণ আমার খুব ভালো বন্ধু। কাউকে ছোট করে বড় হওয়া যায় না। আমি ৮ বছর ধরে রাজনীতিতে আছি, আমার রাজনীতি ঘাটালের মানুষকে ভালো রাখা এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা। ওর কাছে হাফ ইনফর্মেশন রয়েছে। আমি মলদ্বীপ নয় গ্রিসে ছিলাম। হিরণ চ্যাম্প বলে একটা ছবিতে কাজ করেছে কোনও পারিশ্রমিক ছাড়া। আমার অনেক ছবির জন্য প্রচার করে গিয়েছে। কেন একথা ও বলেছে আমি সত্যি জানি না।'  

one year ago