Breaking News
Garden Reach: ফের গার্ডেনরিচেই বেআইনি বহুতলের সন্ধান, শুরু বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ      Sandeshkhali: পোস্টার-বিরোধিতা অতীত, রেখাকে জড়িয়ে উচ্ছ্বাস সন্দেশখালিতে      Sandeshkhali: "শক্তি স্বরূপা" সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন মোদীর      Holi: বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেছে বিভিন্ন জেলা, জানুন কোথায় কিভাবে উদযাপিত হল রঙের দিবস      Garden Reach: গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১২, এখনও আশঙ্কাজনক বহু      CBI: আরও অস্বস্তিতে মহুয়া মৈত্র! কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা      Delhi: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ      Garden Reach: জেগে উঠছে পুর প্রশাসন! পুরসভায় জমা একাধিক অভিযোগ      High Court: টেটে প্রশ্নপত্র ভুলের মামলা, পর্ষদকে দিতে হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার      Gardenrech Controversy: গার্ডেনরিচের বহু অবৈধ নির্মাণ প্রশাসনের ঔদাসীন্যতা! উঠছে প্রশ্ন...     

Hingalganj

Snake: মাছের বদলে উদ্ধার ৬ ফুটের কেউটে, সেই দৃশ্য চাক্ষুষ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন হিঙ্গলগঞ্জবাসী

বিশালাকারের কেউটে (Snake) উদ্ধার ঘিরে হৈচৈ পড়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 parganas) বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জে। বন দফতরের (Forest Division) প্রচেষ্টায় হিঙ্গলগঞ্জ (Hingalganj) এলাকা থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়। তবে সাপ উদ্ধারের এই দৃশ্য চাক্ষুষ দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন এলাকার মানুষজন। সাপ উদ্ধার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ উৎসাহও লক্ষ্য করা গিয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও অফিসে কুড়ের মাঠের পাশে নদীর চর থেকে উদ্ধার হয় সাপটি। করুণা ঋষি নামক এক বৃদ্ধা চরে আতল পেতে রেখেছিলেন মাছ ধরার জন্য। সেই আতল জল থেকে তুললেই চক্ষু চড়ক গাছ। মাছ নেই! আছে বিশাল আকৃতির কেউটে। যার দৈঘ্য প্রায় ৬ ফুট। 

ওই বিশালাকারের সাপটিকে দেখামাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়েছে বনদফতরে। তারপর বন দফতরের কর্মীরা এসেই সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

10 months ago
Basirhat: হিঙ্গলগঞ্জে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

রাতের অন্ধকারে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) হিঙ্গলগঞ্জ (Hingalganj) থানার অন্তর্গত দেউলী গ্রামে। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বছর ২০-এর সুমন প্রামাণিক, কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকতেন। কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরেন। বৃহস্পতিবার হঠাৎই সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে শুর করেন। এরপর জানতে পারেন, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি শিরিষ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন সে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাত-পা-মুখ গামছা দিয়ে বাধা ছিল। হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। দেহটি উদ্ধার করে সাণ্ডেলেরবিল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠছে সে যদি স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করেন, তাহলে হাত-পা-মুখ বাধা থাকবে কেন? রাতের অন্ধকারে কেউ মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে কিনা বা কারোর সঙ্গে পু্রোনো কোনও শত্রুতার জেরে এই মর্মান্তিক পরিণতি কিনা, সেটা তদন্ত করে দেখছেন হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস আধিকারিকরা।

10 months ago
Student:পরীক্ষার একদিন আগে উদ্ধার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ, পিছনে কি প্রেম

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই ঘর থেকে উদ্ধার পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ।পড়াশোনার চাপ নাকি বাবা-মায়ের উপর রাগ, ঠিক কোন কারণে এই পথ বেছে নিল কিশোর, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ থানার স্যান্ডেল বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকড়া গ্রামের এই ঘটনা রবিবার রাতের। বাড়িতে বাবা-মা না থাকার সুযোগেই নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দেয় ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হিরণময় বিশ্বাস। জানা গিয়েছে মৃতের বয়স ১৮। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতাল পুলিস মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

মৃত ছাত্রের মা জানান, 'উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নিজের ঘরে বসেই পড়াশোনা করছিল হিরণময়। বিরিয়ানি খেতে চাওয়ার কথা বলে মাকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেয় সে। ঠিক সে সময়ে আত্মঘাতী হয় কিশোর।' মায়ের দাবি, 'গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ছেলের। সেই সম্পর্কের কারণেই আত্মহত্যা। ছেলের মৃত্যুর পিছনে হাত আছে মেয়েটির।' 

হিঙ্গলগঞ্জের কনকনগর এসডি ইনস্টিটিউশনে পড়াশোনা করত মৃত ছাত্র হিরণময় বিশ্বাস। তার পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছিল হিঙ্গলগঞ্জ হাইস্কুলে। তাকে শেষবারের মতো দেখার জন্যে তার সহপা ঠীরাও এসে উপস্থিত হয় বসিরহাট হাসপাতালের সামনে।


one year ago


Theft: গ্রামের কীর্তনে মগ্ন স্থানীয়রা, ফাঁকা বাড়ির সুযোগে হিঙ্গলগঞ্জে পরপর চুরি

একইসঙ্গে পরপর তিনটে বাড়িতে চুরির ঘটনা। ১০ ভরি সোনা-সহ নগদ ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানার অন্তর্গত যোগেশগঞ্জ গ্রামের ঘটনা। ঘটনাস্থলে হেমনগর থানার পুলিস বাহিনী। ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন হেমনগর থানার পুলিস।

অভিযোগকারীরা জানান, 'বুধবার রাতে গ্রামের নিকটবর্তী একটি হরিনাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে বাড়ির সব সদস্যই কীর্তন শুনতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই দুষ্কৃতীরা চুরি করে। কীর্তন শুনে বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন বাড়ির দরজা-সহ আলমারি ভাঙা অবস্থায় পড়ে। চুরি হয়ে গিয়েছে বাড়ির থালা-বাসন হাড়ি ও পিতলের কলসি-সহ ১০ ভরি সোনা ও নগদ ৩ লক্ষ টাকা। তখনই খবর দেওয়া হয় হেমনগর থানার পুলিসকে।' 

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে কে বা কারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

one year ago
Bhangan: ইছামতি গিলছে মাটি, সুন্দরবনে গোটা গ্রাম নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্ক

গোটা গ্রাম নদীগর্ভে যাওয়ার আশঙ্কায় রাত জাগছে সুন্দরবনের মানুষ। ইছামতি নদী বাঁধের মাটি ক্ষয় শুরু। বিপন্নতার সম্মুখীনে সুন্দরবনের কয়েক হাজার মানুষ। বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে বাঁধগুলিতে। সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার হাসনাবাদ পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতি নদী। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রায় দু'কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইছামতি নদী বাঁধের মাটি যত্রতত্র আলগা হয়ে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এমনকি বড় বড় ফাটলও দেখা দিয়েছে বাঁধগুলিতে। ফলে গভীর আশঙ্কায় দিন গুনছেন ট‍্যাংরামারি, আংনাড়া, হাসনাবাদ-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। ইতিমধ্যেই হাসনাবাদ পঞ্চায়েতকে লিখিতভাবে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীরা জানায়, সময় যত যাচ্ছে, ততই বাঁধের মাটিক্ষয় বেড়েই চলেছে। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাস। এলাকায় বেশির ভাগ মানুষ মৎস্য জীবিকার উপর নির্ভর করে জীবন নির্বাহ করে। বাঁধের ধস আরও যদি বেশি হতে থাকে সেক্ষেত্রে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের জীবন-জীবিকা সংকটের মুখে পড়তে পারে।

তবে বসিরহাটের সেচ আধিকারিক রানা চ্যাটার্জী জানান, "ইতিমধ্যে বিদ্যাধরী, কালিন্দী ও রায়মঙ্গলের বাঁধে কাজ চলছে। এমনকী ইছামতি নদীতেও বাঁধের কাজ চলছে। পুরো বিষয়টি আমরা নজরে রেখেছি। যত দ্রুত সম্ভব এই বাঁধের কাজ স্থানীয় প্রশাসনকে দিয়ে করানোর চেষ্টা হবে।"

one year ago


CM: সরকারি মঞ্চে শীতবস্ত্র এসে না পৌছনোয় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী! 'কাজ না করলে', ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি

মুখ্যমন্ত্রীর সুন্দরবন (Sundarban Visit) সফরে হঠাৎই ছন্দপতন। শীতবস্ত্র প্রদান করতে না পেরে মঞ্চেই প্রশাসনিক কর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। বক্তৃতা থামিয়ে মঞ্চে বসে বিডিও অফিসে পড়ে থাকা শীতবস্ত্র নিয়ে আসার অপেক্ষা করলেন তিনি। এমনকি, এই ঘটনার জন্য জেলা শাসক এবং স্থানীয় বিডিও-কে (BDO-DM) কার্যত কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিডিওরা-জেলা শাসকরা দায়িত্ব পালন না করলে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মুখে মঙ্গলবার এই হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জে (Hingalganj) ঠিক কী হয়েছে মঙ্গলবার?

এদিন টাকি যাওয়ার আগে সরকারি তরফে হিঙ্গলগঞ্জে শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠান উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিতরণের জন্য আনা শীতবস্ত্র মঞ্চে না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ক্ষুব্ধ মমতা মঞ্চ থেকেই উপস্থিত জেলা শাসকের উদ্দেশে প্রশ্ন ছোড়েন, 'আমি আজ আসবো বলে ১৫ হাজার শীতবস্ত্র কিনে এনেছি। ৫ হাজার সোয়েটার, ৫ হাজার কম্বল, ৫ হাজার চাদর। এটা যেন মানুষ ঠিকমতো পায়, যদি কেউ না পান আমি নিজেও নজর রাখবো। বিতরণের জন্য বরাদ্দ ১৫ হাজার শীতবস্ত্র কোথায় রেখেছেন? কাকে দিয়েছেন, কোথায় সেটা পরিষ্কার করে বলুন?'

জেল শাসক জবাব দেন, 'বিডিও অফিসে রাখা।' এরপরেই আরও সুর চড়ে মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর প্রশ্ন, 'কেন বিডিও অফিসে পড়ে রয়েছে শীতবস্ত্র? বলুন বিডিওকে নিয়ে আসতে, আমি অপেক্ষা করব। জিনিস দিলে যদি ঠিকমতো না পৌঁছয় গায়ে খুব জ্বালা ধরে। পুলিস একটা অন্যায় করলে দোষ পড়ে আমাদের ঘাড়ে, আমরা জানি না। সরকার একটা অন্যায় করলে গালাগাল খাই আমি। অথচ আমার কোনও দোষ নেই। দেখুন আমি কত কষ্ট করে তিনদিন ধরে বনদেবীর পুজো উপলক্ষে এখানে আসবো বলে কম্বল, চাদর, সোয়েটার কিনে এনেছি। আর এসে দেখি কিছুই নেই। ওগুলো নিয়ে এসো, আমি তোমায় বলছি, আমি তো বলেছি আমরা এসব সরাসরি দেব। আমরা তো বিডিও অফিসে রাখার জন্য এখানে পাঠায়নি। তোমার থেকে এটা আশা করিনি শারদ। যদিও বিডিও, আইসি, ডিএম-রা ঠিকমতো কাজ না করে আমি কিন্তু ব্যবস্থা নেবো। তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত এটা আসছে আপনারাও বসুন, আমিও বসলাম।' এরপরেই তৎপরতার সঙ্গে শীত বস্ত্র এনে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দুঃস্থদের হাতে কম্বল, সোয়েটার, চাদর তুলে দেন। তারপরেই উড়ে যান টাকির উদ্দেশে।   

এদিকে, মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জ পৌঁছে বনবিবির মন্দিরে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানান, বনবিবির মন্দির পাকা হবে, এই মন্দির ঘিরে এখানে উন্নয়ন হবে।

one year ago
Accident: রেষারেষির জেরে মোটর সাইকেলকে রাস্তা দিতে গিয়ে নয়ানজুলিতে যাত্রীবাহী বাস, আহত একাধিক

সাত সকালেই বড়সড় দুর্ঘটনার (accident) কবলে একটি যাত্রী বোঝাই বাস। রেষারেষির জেরে মোটর সাইকেলকে রাস্তা দিতে গিয়ে সোজা নয়নজুলিতে গিয়ে পড়ে বাসটি (bus)। শুক্রবার সকালেই এমনই মর্মান্তিক ঘটনা বসিরহাটের (Basirhat) হিঙ্গলগঞ্জ থানার বোলতলা জোড়া বটতলায়। চিৎকার চেঁচামেচিতে মুহূর্তের মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।   

জানা যায়, হাসনাবাদ ও লেবুখালী রোডে এদিন সকাল ৮টা নাগাদ একটি যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ির রেষারেষি শুরু হয়। এমন সময় মোটরসাইকেলকে পাশ দিতে গিয়ে সোজা নয়নজুলিতে গিয়ে পড়ে বাসটি। যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারাই ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। স্থানীয়রা জানান, যাত্রীদের উদ্ধার করে বেশ কয়েকজনকে স্যান্ডেলবিল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাইকে থাকা দু'জনের অবস্থা গুরুতর। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানিয়েছে, বাসটি সম্পূর্ণ দুটি গাড়ির রেষারেষি জন্যই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘটনাস্থলে ক্রেন এনে বাসটিকে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস বাসের চালক খালাসী ও ছোট গাড়ির চালক ও খালাসীকে আটক করেছে।

one year ago
Basirhat: নিঃসন্তান, দীর্ঘ বাদানুবাদ, হিঙ্গলগঞ্জে আত্মঘাতী বধূ, দায়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ

বিয়ে (marriage) হয়েছে দীর্ঘদিন, কিন্তু হয়নি সন্তান। একদিকে অবসাদ, অন্যদিকে পারিবারিক অশান্তি। সহ্য করতে না পারায় আত্মঘাতী (suicide) গৃহবধু। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বসিরহাটের (Basirhat) হিঙ্গলগঞ্জ থানার সান্ডেলের বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের কনকনগর গ্রামের।

জানা যায়, বছর ৩০ এর পুষ্পরানী সরকার, বছর ৪০-এর স্বামী রবি সরকার। তিনি পেশায় একজন চাষি (farmer)। বিয়ে হওয়ার পর দীর্ঘ ১০-১২ বছর তাঁদের কোনও সন্তান না হওয়া থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। তবে এরই মধ্যে বচসা, গন্ডগোল, মারধর, অশান্তি লেগেই থাকতো পরিবারে। যার জন্য পুষ্পরানী পাশের ১৩ নম্বর সান্ডেলের বিল গ্রামের বাপের বাড়িতে চলে যান। শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়িতে না থাকার সুবাদে আবার ফিরে আসেন বুধবার সকালবেলায়। কিন্তু এদিনও অশান্তি চরমে ওঠে। এসবের মধ্যেই হঠাৎই দেখা যায় পুষ্পরানীর মৃতদেহ বাড়ির বারান্দায় পড়ে রয়েছে।

মুখ থেকে রক্ত ও গ্যাজলা বেরোতে দেখা যায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতে চিহ্নও দেখা যায়। পাশে স্বামী বসে আছেন। এই নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াতেই মৃত বধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে দেখেন, মেয়ে নিথর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ঘরের বারান্দায়।

এই ঘটনার পরই হিঙ্গলগঞ্জ থানায় পুলিসের কাছে মেয়েকে আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়ায় পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন মৃত গৃহবধূর বাবা মোহন বীর। ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস। এদিন মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাটে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানা পুলিস।

2 years ago