
২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার এক মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের। এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতেও বলেছেন তিনি। প্রতিটি ঘর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাক্তনীদের সরিয়ে দিতেও ওই নির্দেশে বলা হয়েছে।
যাদবপুর নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সুদীপ রাহা। সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার হস্টেল খালি করা নিয়ে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় দায়ের করা হয়েছিল খুনের অভিযোগ। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া-সহ প্রাক্তনীদের। ইতিমধ্যে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য নিয়ে তারা সন্তুষ্ঠ নয়।
প্রেমের (Love) প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন 'প্রেমিকা', আর এই দেখেই হাইকোর্টের মধ্যেই নিজেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করলেন এক যুবক। ঘটনাটি কেরলের (Kerala) ত্রিশূর জেলার। সূত্রের খবর, প্রেমিকাকে বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলে তাকে কেরল হাইকোর্টে (Kerala High Court) হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে প্রেমিকার সামনে তার প্রেমের কথা বললেও তরুণী তা অস্বীকার করে নেন। আর প্রেমিকার এমন ব্যবহার দেখেই আদালতের মধ্য়েই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেন যুবক। পকেট থেকে ছুরি বের করে নিজের হাতের শিরা কেটে ফেলেন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ৩১ বছর বয়সী যুবক বিষ্ণু কেরলের ত্রিশূর জেলার বাসিন্দা। ২৩ বছরের তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি এক মাস তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু তরুণীর বাবা 'হেবিয়াস কর্পাস' মামলায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ তাঁর মেয়েকে জোর করে বন্দি করে রাখা হয়। এরপরই বিষ্ণুকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বিষ্ণু তাঁদের প্রেমের কথা বললেও তরুণী তা অস্বীকার করে নেন। এমনকি তিনি জানান, তাঁদের মধ্য়ে কোনও প্রেমের সম্পর্কই নেই। তাঁকে ভাইয়ের মতো দেখেন। এছাড়াও তাঁকে সেখানে আটকে রাখার জন্য হুমকি দিতেন বলে দাবি করেন তরুণী। পরে তিনি এও জানান, তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গেই থাকতে চান।
এসব শুনেই 'প্রেমিক' বিষ্ণু পকেট থেকে ছুরি বের করে নেন ও আদালতে বিচারক অনু শিবারমনের সামনেই হাতের শিরা কেটে ফেলেন। অবিলম্বে পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে ও তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
তথ্য জালিয়াতি করে চাকরি পাওয়ার একটি মামলায় সিআইডিকে প্রশংসা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। পাশাপাশি এ বিষয়ে সিবিআইকে টেনে হেনস্থাও করেন তিনি। মুর্শিদাবাদের গোথা স্কুল মামলায় সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে সন্তুষ্ট আদালত। শুক্রবারের একটি শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, এবার ঠিক পথে তদন্ত এগোচ্ছে। তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “মনে হচ্ছে সিবিআই-এর আগে সিআইডি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।” এদিনের শুনানিতে বিচারপতি সিআইডি-র আইনজীবীর কাছে জানতে পান, “নথি জালিয়াতি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে?” সিআইডি-র আইনজীবী উত্তরে জানান, ‘হ্যাঁ’। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “তাঁদের ডেকেছেন?” সিআইডি-র আইনজীবী উত্তরে জানান, “না, আমরা এখন নথি পরীক্ষা করে দেখছি।” বিচারপতি নির্দেশ দেন, “জেলা স্কুল পরিদর্শকদের বলুন এই শিক্ষকদের ওপর নজর রাখতে।”
প্রসঙ্গত, বাবার স্কুলেই নথি জালিয়াতি করে চাকরি পান অনিমেশ তিওয়ারি। তিনি মুর্শিদাবাদের সুতির গোঠা এ আর রহমন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। অভিযোগ, নথি জাল করে স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন অনিমেশ। বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
তদন্ত করতে একাধিকবার ওই স্কুলে যান সিআইডি আধিকারিকরা। স্কুলের নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তাঁরা। উল্লেখ্য, অনিমেশের বাবা আবার ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ ওঠে, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে স্কুলে চাকরি করিয়ে দিয়েছেন। সেই মামলায় বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ ছিল, রাজ্যের অধীনস্থ সংস্থাগুলি পরস্পরকে সহযোগিতা করে কাজ করুন। সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।” সিটকে যাতে সাহায্য করে, তার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন তিনি। আগামী ১৮ ই সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি।
লিভ-ইন (Live-in) সম্পর্কে থাকলেও মহিলারা গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই রায় দিল কেরলের হাই কোর্ট (HighCourt)। আদালত জানিয়েছে, কোনও মহিলা যদি পুরুষের সঙ্গে একত্রবাসে থাকেন, তাহলে তিনি ওই পুরুষের দ্বারা যে কোনও হিংসার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য় হিংসা আইনে মামলা করতে পারেন। তার জন্য তাঁর বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া আবশ্যক নয়।
মামলাকারীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা আইনের ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পারিবারিক আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছে। তাই মাঝে মধ্য়েই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। মামলাকারী ব্যক্তির দাবি, অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে তিনি আবদ্ধ হননি। তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। তাই একে গার্হস্থ্য হিংসা বলা যায় না। তবে আদালত পাল্টা যুক্তি দিয়ে তাঁর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
আদালত মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে জানান, একত্রবাস বলতে এখানে দু’জনের মধ্যে এমন এক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, যেখানে নারী এবং পুরুষ একই সংসারে থাকেন। কিংবা অতীতে কোনও একসময় ছিলেন। এই সম্পর্ক বিবাহের হতে পারে। আবার তা বিবাহের মতো কোনও সম্পর্ক, যা জন্মসূত্রের আত্মীয়তা কিংবা পারিবারিক যোগাযোগের মাধ্যমেও স্থাপিত হতে পারে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মৃত্যুতে র্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। তার বিরুদ্ধে এ বার মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টে। সোমবার যাদবপুরকাণ্ডের সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র্যাগিংয়ের বিষয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র্যাগিং, জুনিয়র ছাত্রছাত্রীদের উপর অত্যাচার ঠেকাতে প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর আর কে রাঘবনের নামে একটি র্যাগিং-বিরোধী কমিটি গঠন করা হয়েছিল। র্যাগিং ঠেকাতে সেই কমিটি একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল। অভিযোগ, ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন (ইউজিসি)-এর কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই সেই নির্দেশিকা সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। মানা হচ্ছে না কোনও নিয়ম। সেই কারণেই শুধু যাদবপুর নয়, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন র্যাগিং হয়ে চলেছে। যার মর্মান্তিক পরিণতিতে প্রাণ গিয়েছে যাদবপুরের ছাত্রেরও।
র্যাগিং-বিরোধী কমিটির নির্দেশিকার বাস্তবায়ন চেয়ে সোমবার মামলা দায়ের করা হয়েছে হাই কোর্টে। মামলাকারীর আবেদন, সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে ইউজিসি ওই কমিটির নির্দেশিকা মেনে চলার ব্যবস্থা করে, তা নিশ্চিত করা হোক। তবেই কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের দাপট কমবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। ওই ছাত্র বুধবার রাতে মেন হস্টেলের এ২ ব্লকের তিন তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান। বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই পরের দিন ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হস্টেলের তিন জন আবাসিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং এক জন প্রাক্তনী। তাঁদের আগামী ২২ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টের তিন বিচারপতিকে বদলির সুপারিশ করল সুপ্রিম কোর্ট। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট দেশের হাই কোর্টগুলির ২৫ জন বিচারপতিকে বদলির সুপারিশ করেন। তার মধ্যে ছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের তিন বিচারপতি। এই তালিকায় আছেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শীর্ষ আদালতের সুপারিশ অনুযায়ী, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীকে পটনা হাই কোর্ট, বিচারপতি শেখার ববি সরাফকে এলাহাবাদ হাই কোর্ট ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে বদলির সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এলাহাবাদ থেকে এক বিচারপতিকে কলকাতায় আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কলেজিয়ামের পক্ষ থেকে।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তকে কলকাতায় বদলির সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতি ভবনের থেকে জারি করা হয়েছিল প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA) কেন? এই প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে এক জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলা গ্রহণ করে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) আজ শুক্রবার জোটবদ্ধ ২৬ বিরোধী দলকে নোটিশ (Notice) পাঠিয়েছে।
দেশের ২৬টি বিরোধী দল সম্প্রতি জোটবদ্ধ হয়েছে। তারা নতুন জোটের নাম রেখেছে ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স।’ এই পাঁচ শব্দের আদ্যাক্ষর ‘ইন্ডিয়া’।
দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এ বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে অভিমত জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশনকেও।
মামলাকারী গিরীশ ভরদ্বাজের অভিযোগ, বিরোধী দল তাদের জোটের নাম রেখেছে দেশের নামে। ‘ইন্ডিয়া’ নামকরণের মধ্য দিয়ে তারা ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে। এর ফলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে শান্তি বিঘ্নিত হবে। স্বচ্ছতা নষ্ট হবে। মানুষ বিভ্রান্ত হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে।
আবেদনে আবেদনকারী বলেছেন, ১৯৫০ সালের ‘দ্য এমব্লেমস অ্যান্ড নেমস’ (অবৈধ ব্যবহার রোধ) আইন মোতাবেক ‘ইন্ডিয়া’ নাম ব্যবহার করা যায় না।
আবেদনকারী গিরীশ ভরদ্বাজ এই মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখ করে বলেছেন, জোটের এই নামকরণের মধ্য দিয়ে তাঁরা বোঝাতে চাইছেন বিজেপি, এনডিএ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের দেশের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছেন।
গিরীশ ভরদ্বাজ এই দাবিও করেছেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্য আরও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। কেননা রাহুল বলেছেন, আগামী দিনের নির্বাচন হবে এনডিএর সঙ্গে ইন্ডিয়ার।
আবেদনকারী আদালতকে জানিয়েছেন, এই আপত্তির বিষয়টি তিনি দেশের নির্বাচন কমিশনকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ বলে চিহ্নিত হওয়ায় বিজেপি চিন্তিত। প্রধানমন্ত্রী নিজেও। বারবার তাঁরা এই বিষয়ের অবতারণা করছেন। প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, নামে ‘ইন্ডিয়া’ থাকলেই তা দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে বোঝায় না। নামে কিছু আসে যায় না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নামেও ‘ইন্ডিয়া’ ছিল। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদ্দিন বা পিপলস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াতেও ‘ইন্ডিয়া’ আছে।
এর পর নরেন্দ্র মোদি একদিন বলেন, গান্ধীজি ‘কুইট ইন্ডিয়া’ বা ভারত ছাড় আন্দোলন করেছিলেন। ইন্ডিয়া জোটকেও ভারতছাড়া করতে হবে। বিভিন্ন রাজ্যের এনডিএ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি মিলিত হচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার বিহারের জোটসঙ্গীদের নিয়ে আয়োজিত এমনই এক বৈঠকে তিনি বলেন, বিরোধী জোটকে ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকার দরকার নেই। বরং তাদের ‘ঘামন্ডিয়া’ (উদ্ধত) বলে ডাকুন।
এর আগে মোদি বলেছিলেন, তিনি বিরোধী জোটকে ‘ইন্ডিয়া’ বলে ডাকতে চান না। ওটা কংগ্রেসের তৈরি পুরনো জোট ‘ইউপিএ’রই নামান্তর। ওই নামেই ডাকবেন। বেশ বোঝা যাচ্ছে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।
ফের ধাক্কা আদালতে। এবার রাজ্যের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি জানান, এভাবে কোনও কর্মসূচি একতরফা ভাবে ঘোষণা করা যায় না। এই ব্যাপারে রাজ্য এবং পুলিশকেও পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
গত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অগস্ট মাসের পাঁচ তারিখ রাজ্যে এই কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। ওই মঞ্চেই অভিষেকের এই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পুরো কর্মসূচি অহিংস ভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক।
তৃণমূল সাংসদের এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল বিজেপি। তার শুনানিতেই এদিন স্থগিতাদেশের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন এবং পুলিশ। সূত্রের খবর, এব্যাপারে রাজ্যের উত্তরে সন্তুষ্ঠ হতে পারেনি আদালত।
প্রকাশ্যে এল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর নামের তালিকা। যা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সব মহলেই। কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জাস্টিস গাঙ্গুলি ওই কারচুপি করা শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক হিসেবে চাকরি করা ৯০৭ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
অভিযোগ, এই শিক্ষকদের চাকরির পরীক্ষায় ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছিল। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে নির্দেশ ছিল ওই শিক্ষকদের উত্তরপত্রও প্রকাশ করতে হবে এমনই নির্দেশ।ছিল জাস্টিস গাঙ্গুলির। যদিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশের উপরে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বুধবার কমিশনের তরফে ওই ৯০৭ জনের নাম ও রোল নম্বর প্রকাশ হল।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে বিজয়ী প্রার্থীদের ভাগ্য ঠিক হবে ১৭ অগস্ট। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে একথা জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, রাজ্যে পঞ্চায়েত হিংসায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। শুনানি চলাকালীন তিনি জানান, পঞ্চায়েতে যে প্রাণগুলি চলে গেল, তা আর ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো-অর্ডিনেটর এসসি বুদাকোটি। প্রায় দু হাজার পাতার রিপোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে। কমিশনের তরফে স্পর্শকাতর বুথের কোনও তালিকা বাহিনীকে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেইমতো ১৭ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে। আদালতকে কমিশন জানিয়েছে, মোট ৮২২ কোম্পানী বাহিনীর মধ্যে ভোটের দিন হাতে পাওয়া গিয়েছিল ৬৩৭ কোম্পানী বাহিনী।
সোমবার পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করবে না ইডি (ED)। বুধবার হাই কোর্টে (Calcutta High Court) এমনই জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী। মঙ্গলবার অভিষেকের মামলা (Case) হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে ফেরত পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।
বুধবার সকালে মামলাটি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ওঠে। ইডির আইনজীবী দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। বিচারপতি ঘোষ জানান, অন্যান্য মামলার চাপ থাকায় সোমবারের আগে শুনানি সম্ভব নয়। সোমবার পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না ইডি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এফআইআর খারিজের আবেদন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল। এরপরই সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দীপঙ্কর ঘোষ। প্রধান বিচারপতি ফের বিচারপতি ঘোষের এজলাসেই মামলা পাঠিয়ে দেন।
২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির অভিযোগে রাজ্য শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই টাকা জমা দিতে হবে আদালতের লিগ্যাল এইড সার্ভিসে। পাশাপাশি কীভাবে ওই টাকা জোগাড় করবে শিক্ষা দফতর তারও পথ বাতলে দিয়েছেন বিচারপতি।
শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই নির্দেশ দেন। তিনি জানিয়েছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতি-র তদন্তে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাঁদের কাছ থেকে জরিমানার টাকা নিতে হবে।
২০১২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে। যোগ্যতা না থাকা সত্বেও কয়েকজনকে নিয়োগ করার অভিযোগ ওঠে। ২০১৬ সালে আদালত শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে পুরো বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। কিন্ত ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়।
নতুন দায়ের করা মামলার শুনানিতে শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। একইসঙ্গে আগামী ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
একদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলার জেরে বিরক্ত হাইকোর্ট। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটে ব্যালট বাতিল নিয়ে কড়া মন্তব্য করে বসলেন কলকাতা হাইকোর্টের জাস্টিস সিনহা। পঞ্চায়েত ভোটে একটি বুথে বাতিল হয়েছে ৩১৯টি ব্যালট পেপার। সোমবার এই অভিযোগ শুনে বিস্মিত বিচারপতি অমৃতা সিনহা বললেন, ‘এটা কি ছেলেখেলা চলেছে? এত ভুল হলে নির্বাচন করারই দরকার নেই।’
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এর আগেও তাঁর এজলাসে মামলা উঠেছে। সেই সব মামলায় নির্দেশ অনেক ক্ষেত্রেই গিয়েছে কখনও সরকার, কখনও বা নির্বাচন কমিশনের মতামতের বিপক্ষে। তবে সোমবার বিচারপতি সিনহা সরাসরি পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ভরা আদালতে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। বিচারপতি বললেন, ‘হঠাৎ করে এত ব্যালট পেপার বাতিল হয়ে গেল কী করে? ...বার বার এত ভুল হলে নির্বাচন করারই দরকার নেই।’
পুরুলিয়ার ঝালদা-১ নম্বর ব্লকের একটি বুথে দ্বিতীয় বার গণনা করার সময় ৩১৯টি ব্যালট পেপার বাতিল হয়ে যায়। বিরোধী প্রার্থীদের অভিযোগ, এই ঘটনা যখন ঘটে, তখন ওই প্রার্থী গণনাকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন না। এর আগেও মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছিল বিচারপতি সিনহার এজলাসে। আগের শুনানিতে এই মামলায় ওই এলাকার বিডিওর রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে আদালতে। মামলাকারীর অভিযোগে সত্যতা রয়েছে বলেও জানতে পেরেছে আদালত। এর পরেই সোমবার নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি। তিনি জানতে চান, ‘দ্বিতীয় বার গণনা করা হয়েছিল কার নির্দেশে। বিডিও কি চোখ বন্ধ করে ছিলেন?’
পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও আরও ১০ দিন রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। সোমবার সকালে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। পাশাপাশি তাঁর নির্দেশ, আগামী ১০ দিন কোথাও কোনও অশান্তির খবর পেলেই সেখানে বাহিনীকে পাঠাতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন বাহিনী থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। এই আশঙ্কা করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করে প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল।
রাজ্যের পরিস্থিতি বিচার করে আরও একমাস রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যায় কিনা তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্র জানিয়েছে, রাজ্যে আরও ১০ দিন রাজ্যে বাহিনী থাকবে।
তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে দ্রুত বিচারের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার আদালত খুলতেই এই ব্যাপারে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে মামলা করার অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২১ জুলাই, বিজেপির বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক। তাতে সমর্থন ছিল তৃণমূল নেত্রীর। অভিযোগ বিজেপির।
পাঁচ অগাস্ট রাজ্যজুড়ে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তাঁর আহ্বান ছিল, অহিংস ভাবে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ এই কর্মসূচি পালন করতে হবে।
অভিষেকের নির্দেশ, বিজেপি নেতাদের বাড়ির বয়স্ক কোনও ব্যক্তিকে অসম্মান করা যাবে না। মূলত ১০০ দিনের টাকা আদায়ে এই কর্মসূচি ছিল অভিষেকের।
ওই মঞ্চ থেকেই অভিষেকের এই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে কর্মসূচি একটু শুধরে দিয়েছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, একেবারে বাড়ি বাড়ি না গিয়ে ব্লক স্তরে এই কর্মসূচি পালন করতে। কোনও হিংসা বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
২২ জুলাই থেকেই মমতা এবং অভিষেকের বিরুদ্ধে রাজ্যের একাধিক থানায় এফআইআর করেন বিজেপি নেতারা। শনিবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।