
অবশেষে আড়াই মাস পর জেল থেকে বেরোতে পারলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। ৭ ঘণ্টার জন্য জেলের বাইরে বেরোতে পেরেছিলেন তিনি। অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যই শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল তাঁকে। তবে কিছু শর্ত রাখা হয়েছিল। ফলে আজ, শনিবার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য বাড়িতে ফিরলেন মণীশ সিসোদিয়া। তবে দেখা হল না স্ত্রীর সঙ্গে। সিসোদিয়া বাড়িতে ঢোকার আগেই স্ত্রীকে দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতালে (Loknayak Hospital) ভর্তি করতে হয়। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মণীশ সিসোদিয়াকে অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই সময়ের মধ্যে মণীশ সিসোদিয়া মোবাইল, ট্যাব সহ কোনও গ্যাজেট, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে আদালতের নির্দেশ মেনেই এদিন সকাল ১০টার পর পুলিসের পাহাড়ায় মথুরা রোডে নিজের বাড়িতে পৌঁছন মণীশ সিসোদিয়া। কিন্তু এদিন সকালে সিসোদিয়া বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ফলে নিজের বাড়িতে কিছুক্ষণ থাকার পরই তাঁকে ফের তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রী ব্রেন এবং নার্ভের জটিল রোগে ভুগছেন।
কিছুটা স্বস্তি পেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। অবশেষে কিছুক্ষণের জন্য হলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন মণীশ সিসোদিয়া। অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্যই দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High court)। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Liquor Scam) গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জেলবন্দি তিনি। কিছুদিন আগেই প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। তবে এবারে তাঁর স্ত্রী-এর জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন তিনি।
তবে আজ, ২ জুন দিল্লি হাইকোর্ট থেকে কিছু শর্তের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে। দিল্লি আদালত থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল, ৩ জুন জেল হেফাজতে থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত, ৭ ঘণ্টা তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে আদালত। এই সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে মণীশ সিসোদিয়া মোবাইল, ট্যাব-সহ কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করতে পারবেন না, ইন্টারনেটে সংযোগ করতে পারবেন না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবগারি নীতি মামলায় অস্বস্তি বাড়ল দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। মঙ্গলবার, ৩০ মে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে আবগারি নীতি মামলায় (Liquor Scam) গ্রেফতার করে সিবিআই। রাজধানী দিল্লিতে মদ নিয়ে নতুন নিয়ম তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকজন ডিলারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই আম আদমি পার্টির নেতার বিরুদ্ধে। আর এবারে তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।
দিল্লি হাইকোর্টে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা এদিন মণীশ সিসোদিয়ার জামিন খারিজ করেছেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে জামিন দেওয়া হলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন তিনি।' ফলে তাঁকে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন বিচারপতি।
এবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ প্রাথমিক চাকরিচ্যুতরা। প্রাথমিকে নিয়োগ বাতিল মামলায় হাই কোর্টের (High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষকরা।
সূত্রের খবর, পূর্বে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আপাতত তাঁরা ৪ মাস স্কুলে যেতে পারবেন। পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতনকাঠামো অনুযায়ী বেতনও পাবেন। পরে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন। চাকরি বাতিল না হলেও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বলা হয় তাঁদের। পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়, অগস্টের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে হবে। এর মধ্যেই হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষকরা।
২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছিল মোট ৪২,৫০০ জন। এর মধ্যে ৬,৫০০ জনকে নিয়ে বিতর্ক নেই। কিন্তু বিচারপতি জানান, ৩০ হাজার ১৮৫ জন প্রশিক্ষণ না নিয়েই চাকরি পেয়েছেন। ইন্টারভিউ না নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
জেল থেকেই আদালতে চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। একটা চিঠির জেরেই মামলা হয়েছে হাইকোর্টে (High Court), মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। সিবিআই-এর (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। সেই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করতেই এবার জেলে পৌঁছে গেল সিবিআই। বুধবার বিকেলে সিবিআই-এর দুই অফিসার পৌঁছেছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। জেলের অন্দরে একটি ঘরেই কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সিবিআই-এর ডিএসপি ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুই অফিসার গিয়েছেন কুন্তলকে প্রশ্ন করতে। ওই চিঠিতে কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, জেলে তাঁকে অভিষেকের নাম বলতে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, শহিদ মিনারে সভা করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, সারদা-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষদের নাকি তাঁর নাম বলতে চাপ দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনার পরই কুন্তল ঘোষও সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, তাঁকে অভিষেকের নাম বলতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। একজন রাজ্যের শাসক দলের সাংসদ, অন্যজন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত। তাঁদের বয়ান মিলল কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই হাইকোর্ট অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলেছিল।
বেঞ্চ বদল হলেও একই নির্দেশ বহাল থাকে। গত শনিবারই ওই মামলায় অভিষেককে সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। এবার সেই একই ইস্যুতে প্রশ্নের মুখোমুখি কুন্তল। কেন চিঠিতে অভিষেকের নাম নিলেন? অভিষেকের সঙ্গে বয়ানে মিল কীভাবে? এই সব প্রশ্ন নিয়েই কুন্তল ঘোষের কাছে গিয়েছে সিবিআই।
অভিষেক ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল। দুজনের বয়ানে যদি কোনও অসঙ্গতি পাওয়া যায়, তাহলে মুখোমুখি বসাতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। অভিষেক অবশ্য ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি কুন্তল ঘোষকে চেনেন না, কোনওদিন দেখেননি।
হাইকোর্টের ফের ধাক্কা অভিষেকের (Abhishek Banerjee)। কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেকের আর্জিতে সাড়া দিলো না হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে বহাল থাকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়। কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিল ইডি-সিবিআই চাইলে এই মামলায় অভিষেক ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারবে। এরপর এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। বদল হয় সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারপতির। বিচারপতি বদলে মামলা যায় জাস্টিস অমৃতার সিনহার এজলাসে।
যদিও এই মামলায় জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখে অমৃতা সিনহা। ওই একই মামলায় কুন্তল ও অভিষেককে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করে জাস্টিস সিনহা। এবার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় অভিষেক ও কুন্তল দুজনেই। কিন্তু তাঁদের আবেদনের এই আর্জি শুনতে রাজি নয় ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে সুব্রত তালুকদার ও সুপ্রতিম ভট্টাচার্য্যের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। গ্রীষ্মের ছুটির আগে এই মামলা শোনা সম্ভব হবে না। গ্রীষ্মের ছুটির আগে এই শুক্রবার শেষ কোর্ট খোলা থাকবে। বিচারপতিরা বলেন, 'আমাদের অনেক কাজ, অনেক মামলার রায় দেওয়া বাকি আছে। এখন এই মামলা শোনা সম্ভব হবে না।
সূত্রের খবর, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, 'আমি আনঅফিসিয়ালি বলছি আপনি চাইলে অবসরকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন।' যদিও এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
সিট অর্থাৎ বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং হাইকোর্টের (High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বুধবার সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, কালিয়াগঞ্জ মামলার সিটের মাথায় থাকবেন আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন। সঙ্গে রাখা হয়েছিল প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস এবং প্রাক্তন আইপিএস পঙ্কজ দত্ত।
রাজ্যের বক্তব্য, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও অবসরপ্রাপ্ত পুলিস অফিসার যে কোনও মামলার ক্ষেত্রে তদন্ত করতে পারেন না। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা আছে।
সেই পার্কস্ট্রিট ধর্ষণের সময় থেকেই দময়ন্তী সেন চর্চায় উঠে এসেছিলেন। তারপর তাঁর বদলি সারা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। তাছাড়া উপেন বিশ্বাস সিবিআইয়ের চাকরি ছাড়ার পর তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছিলেন বাগদা থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি যা যা অভিযোগ করেছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে তা বিস্ফোরক বললেও কম বলা হয়। এই দু’জনের পাশাপাশি রাখা হয়েছে প্রাক্তন পুলিসকর্তা পঙ্কজ দত্তকে। যাঁকে নিয়ে সম্প্রতি বিস্তর আলোচনা হয়েছে। না জানিয়ে তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। তারপর আদালত বলে, পঙ্কজ দত্তের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিতে হবে। নানান সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে সরকার বিরোধিতায় গলার স্বর তীব্র করে সমালোচনা করছেন পঙ্কজবাবু। সিটের সদস্যদের নাম নিয়েও তাই চর্চা শুরু হয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, আগামী ২৮ জুনের মধ্যে সিটকে রিপোর্ট দিতে হবে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে তা চ্যালেঞ্জ হওয়ায় এবার কী নির্দেশ হয় সেটাই দেখার।
কলকাতা হাই কোর্টের (High Court) নির্দেশে এবার চাকরি চলে গেল শিক্ষিকা (Teacher) ববিতা সরকারের (Babita Sarkar)। মঙ্গলবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ববিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ববিতার বদলে চাকরি পেতে চলেছেন অনামিকা রায়। অনামিকাকে বাড়ির কাছেই চাকরির নিয়োগ দিতে হবে বলে পর্ষদকে নির্দেশ হাই কোর্টের। তিন সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শেষের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
উল্লেখ স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এই ববিতার অভিযোগের ভিত্তিতে চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। অঙ্কিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যেই ববিতার নিয়োগও প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। ববিতার চাকরি বাতিলের দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়।
অনামিকার অভিযোগ ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর কাছে আবেদন করার সময় ববিতার স্নাতকস্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। যার ফলে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে। সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে যাবতীয় জটিলতা। অনামিকার দাবি ছিল, ববিতার ক্রমতালিকায় পিছিয়ে গেলে প্রথম ২০ জনের মধ্যে উঠে আসবে তাঁর নাম। ফলে চাকরি তাঁরই পাওয়ার কথা ছিল।
রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিত অধিকারীর বদলি হিসাবে শিলিগুড়ির স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। চাকরি হারানোর পাশাপাশি এবার ববিতাকেও টাকা ফেরতের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এক নির্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী বুধবারের মধ্যে ১১ লাখ টাকা এবং আগামী ৬ জুনের মধ্যে বাকি টাকা ফেরত দিতে হবে ববিতা সরকারকে। ববিতাকে মোট ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৪৩ টাকা ফেরত দিতে হবে।
এদিকে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন ববিতা সরকার। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত তিনি ১১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে পারবেন। কিন্তু বাকি টাকা ফেরত দিতে আরও তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। কারণ তিনি একটা গাড়ি কিনেছেন বলেও জানিয়েছেন ববিতা। যদিও আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী নিয়োগে প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ববিতা।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একসময় আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন উত্তরবঙ্গের ববিতা সরকার। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই স্কুল থেকে চাকরি হারিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। আদালতের নির্দেশে বেতনের সব টাকা ফেরত দিয়েছিলেন অঙ্কিতা। ববিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ স্নাতক স্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে
গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল (Procession) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পাড়ায় করা যাবে না, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এমনকি, ওই মিছিল কালীঘাট থানার আগে শেষ করতে হবে বলেও নির্দেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বুধবার সন্ধ্যায় শহিদ মিনার থেকে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে কালীঘাট পর্যন্ত এই মিছিল করার অনুমতি চেয়েছিলেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বাতিল করে অন্য রাস্তা দিয়ে মিছিল নিয়ে যেতে বলেছে চাকরিপ্রার্থীদের।
হ্যারিকেন হাতে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলের কর্মসূচিতে এর শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। মঙ্গলবার বিকেলে ওই মামলা শুনানির জন্য ওঠে। সেখানেই দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হরিশ মুখার্জি রোডের বদলে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা মিছিল নিয়ে যেতে পারবেন আশুতোষ মুখার্জি রোড ধরে। আর কালীঘাট থানার আগে ব্যারিকেডেই থামাতে হবে মিছিল।
হ্যারিকেন হাতে ওই মিছিলের সন্ধ্যায় করতে চেয়েছিলেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই সময়ও বদলে দিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মিছিল দুপুর ১২টায় শুরু করে শেষ করতে হবে বিকেল ৪টের মধ্যে।
পুর-নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Amrita Sinha) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর হাইকোর্টকে ইডি জানিয়েছিল শুধু শিক্ষায় নয়, দুর্নীতির জাল বিছিয়ে রয়েছে পুরসভার নিয়োগেও। এরপর এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়। এরই মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরল নিয়োগ দুর্নীতি মামলা।
ঠিক তার পরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই দুটি মামলার দায়িত্ব পায়, দায়িত্ব পেলেও খুব একটা সুবিধা পায়নি শাসক দল। ঠিক তখনই পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অমৃতা সিনহার এজলাসে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায় রাজ্য। যদিও হাকিম বদলালেও বদল হয়নি হুকুম। অমৃতা সিনহা পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে বহাল রাখলেন। এরপর এ ঘটনার তদন্তে সিবিআই ফের তাদের হেফাজতে অয়নকে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক তখনই অমৃতা সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের পুনর্বিবেচনার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফুড ইন্সপেক্টর (Food Inspector) পদে নিয়োগ নিয়ে এবার হাইকোর্টে (High Court) ধমকির মুখে রাজ্য সরকার। 'বেআইনি নিয়োগ হলে বরদাস্ত নয়’, এবার ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগ মামলায় হুঁশিয়ারি আদালতের। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তাহলে আদালত নিয়োগ বাতিল করবে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। ২০১৮ সালে ফুড সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষা হয়। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নেয়। সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২১ সালে প্রায় ১০০ জনের নিয়োগ হয়েছিল।
ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্যানেল প্রকাশ হয়। তাতে ৯৫৭ জনের নাম ছিল। ১০০ জন চাকরিও পান। তবে সেই নিয়োগে স্বচ্ছতা নেই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রায় ৮০ জন আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ করেন, পরীক্ষায় একাধিক অনিয়ম রয়েছে। এই নিয়োগে সংরক্ষণ-সহ ইন্টারভিউ এমনকী ভুল প্রশ্নের অভিযোগও তোলা হয়। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন শনিবার এই মামলায় বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দেন।
যদিও এদিন মামলার শুরুতে রাজ্য জানায়, মাত্র ৩০ জনকে মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। বাকিদের মামলায় যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। নাহলে নিয়োগের ক্ষেত্রে রায়ে তাদের উপর প্রভাব পড়তে পারে। রাজ্যের আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার জানান, প্রার্থীরা যাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হলে সমস্যা হবে।
এরপরই শনিবার আর মামলা শোনেনি বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৫ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
২০১৬-র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay)। শুক্রবার এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও অবধি হওয়া সম্ভবত সবথেকে বড় রায়। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) রাজ্যকে ৩ মাসের মধ্যে পুনরায় সঠিক পদ্ধতিতে নিয়োগ সেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার বেনজির ভাবে সরকারকে নির্দেশ দেয় সরকার চাইলে মানিকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। সূত্রের খবর, এই মামলায় চাকরিচ্যুতরা আর আবেদন করতে পারবে না। এছাড়া জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সাড়ে ৬ হাজার প্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বহাল।
সূত্রের খবর, নিয়োগে নিয়ম মানা হয়নি, এই অভিযোগে ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়। অভিযোগ অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া ওই চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই অ্যাপটিটিউড টেস্ট কী? শিক্ষক চাকরি প্রার্থীদের পড়ানোর কৌশল চক-ডাস্টার দিয়ে দেখাতে হয়। বোঝাতে হয়। অভিযোগ ওই প্রথা না মেনেই চাকরি দেওয়া হয় ওই ৩৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীদের। জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন নিয়োগ বাতিল হলেও এখনই কারোর চাকরি যাবে না। অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি বহাল আগামী চার মাস। চাকরি বহাল থাকলেও তাঁর বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের স্কেলে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশে রীতিমত শোরগোল পড়েছে গোটা রাজ্যে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ চাকরিচ্যুত রা আবেদন তো করতেই পারবে না, বরং যে প্রার্থীরা পূর্বে আবেদন করেছিল কিন্তু চাকরি পায় নি। তাঁদের বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও তাঁদেরকে সুযোগ দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
'সত্য সবার সামনে আসুক।' কালিয়াগঞ্জ শিশু নিগ্রহের ঘটনায় মন্তব্য বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ ও খুনের ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে তিনজন অফিসারকে নিয়ে এই সিট গঠন করা হয়। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিসের অতিরিক্ত কমিশনার দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত। ও সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা উপেন বিশ্বাসকে নিয়ে এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করলো কলকাতা পুলিস। হাইকোর্টের নজরদারিতে কাজ করতে এই সিট।
সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য। অভিযোগ ওই নাবালিকার মৃতদেহকে রেখে বিক্ষোভ চালাতে থাকে স্থানীয়রা। এরপরেই ওই নাবালিকার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ছবি দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। গোটা ঘটনায় তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় বিজেপি ও মৃতার পরিবার।
এই মামলার তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস এবং ৪ পুলিস কর্মীকে সাসপেন্ড করে উত্তর দিনাজপুর পুলিস।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি (Judge) পদে শপথ গ্রহণ বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের (TS Sivagnanam)। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতার হাইকোর্টের ১ নম্বর ঘরে তিনি শপথ গ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল তাকে শপথ গ্রহণ করায়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওই একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
এ বছর ৩১ শে মার্চ পদোন্নতি হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি পদে বসেন তিনি। ২০০৯ সালে চেন্নাই হাইকোর্টে প্রথম অতিরিক্ত বিচারপতি পদে বসেন তিনি। এরপর ২০২১ সালে ২৫ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে বদলি হন। এরপর প্রকাশ শ্রীবাস্তব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে অবসর গ্রহণ করার পর, বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমকে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ করা হয়। টি এস শিবজ্ঞানম কলকাতা হাইকোর্টের ৪৩ তম প্রধান বিচারপতি হলেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হবার পর তিনি দ্রুত মামলা সমাধানের কাজ করেছেন।
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) বাংলায় নিষিদ্ধ হবার পর ওই সিনেমার (Cinema) নির্মাতা সংস্থা ও পরিচালক যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাচ্ছেন সে কথা প্রথম সিএন ডিজিটালেই জানিয়েছিলেন। এবার এই সিনেমার প্রদর্শনীর বন্ধের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। ঠিক কোন কারণে এই সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা হল বাংলায়, তা জানতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে এক ব্যক্তি।
সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয়। মামলাকারী অনিন্দ্য সুন্দর দাসের দাবি, এভাবে নোটিফিকেশন জারি করে সিনেমা বন্ধ করা যায় না। এটা বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে দেবদত্ত মাঝি নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর দাবি এভাবে সিনেমা বন্ধ করা যায় না। এভাবে কন্ঠ রোধ করা যায় না।
গত ৫ই মে দেশের বহু প্রেক্ষাগৃহে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত সিনেমা 'দ্যা কেরালা স্টোরি' রিলিজ করে। তাঁর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। এর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিনেমাটি বাংলার প্রেক্ষাগৃহে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যদিও সিনেমা নির্মাতা সুদীপ্ত সেনের দাবি, ৪ দিন বাংলায় ভালো ব্যবসা করেছে 'দ্যা কেরালা স্টোরি।'