রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। তারপর থেকেই ইডির তদন্তে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে শঙ্করের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে ইডির দাবি রেশন দুর্নীতিতে সরাসরি যোগ রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শঙ্করের। শঙ্করের মাধ্যমেই রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা হয়ে পাচার হয়ে যেত বিদেশে। একাধিক দুর্নীতি তো বটেই তবে গ্রেফতারের পর শঙ্করের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার খবরও প্রকাশ্যে এসেছে ইডি সূত্রে। রবিবার শঙ্করকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইডি দফতর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বিআর সিং হাসপাতালে। এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বেরোনোর সময় শঙ্কর আঢ্যকে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বিপুল টাকার লেনদেন সম্পর্কে কি তাঁর দল জানতো? উত্তরে শঙ্কর বললেন- সব ফরেক্সেই এরকম হয়, এর সঙ্গে দলের কী আছে?
তবে যতই দলের কথা এভাবে এড়িয়ে যাক শঙ্কর আঢ্য, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে যে শাসক দলেরই একাধিক প্রভাবশালীর নাম জড়িয়ে রয়েছে তা জানতে বাকি নেই কারও। কারণ এই রেশন দুর্নীতিতে শাসকদলের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় ইতিমধ্যেই ইডির গ্রেফতার হয়ে রয়েছেন জেলে। তাই যতই ধামাচাপার চেষ্টা হোক, যতই তদন্তকারীদের ওপর হামলা করে, তদন্তে অসহযোগিতা করে, তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করা হোক, তদন্তের মাধ্যমেই আসল সত্য শীঘ্রই প্রকাশ্য পাবে, এমনটাই মনে করছে বাংলার ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খান। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই জানা গিয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটেই চলেছে। অতি সঙ্কটজনক তিনি। এরপর মঙ্গলবার দুপুর ৩.৪৫ মিনিটে তাঁর প্রয়াণের খবর জানা গেল। শোকের ছায়া পুরো সঙ্গীত জগতে।
মঙ্গলবার জানা গিয়েছিল, রশিদ খানকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট অর্থাৎ আইসিইউ-র ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। রাখা হয়েছিল সম্পূর্ণ অক্সিজেনের সাহায্যে। হাসপাতাল সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিল্পীর পালস রেট, অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাচ্ছিল। শারীরিক অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক ছিল যে কাজ হচ্ছিল না ভেন্টিলেশনেও। জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল বোর্ড আলোচনায় বসেছিল। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাঁর শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হলেও মঙ্গলবার তাঁর এতটা অবনতি নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা। এর পরই হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল, শেষ রক্ষা আর হল না। না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী।
একমাসেরও বেশি সময় ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী হাসপাতালে ভর্তি। অতীতে তাঁর প্রস্টেট ক্যানসার হয়েছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু পরে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ায় তাঁকে পিয়ারলেসে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাতেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক হয়ে ওঠে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে পড়েছে সারা রাজ্যজুড়ে।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভিত হলেও বলিউড ও টলিউডের একাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন উস্তাদ রশিদ খান। ‘জব উই মেট’ সিনেমায় ‘আওগে যব তুম সজনা’ গানের মাধ্যমে সারা দেশের মন জয় করে নেন তিনি। শাহরুখ খানের ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমায় ‘আল্লা হ্যায় রহেম’ গানটি গেয়েছেন শিল্পী। ‘মান্টো’র ‘বোল কে লব আজাদ হ্যায়’ থেকে ‘মিতিন মাসি’র ‘বরসাত সাওয়ান’— প্রত্যেক গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন শিল্পী। ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন উস্তাদ রশিদ খান। সেবছরই সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান তিনি।
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার একদিন পর এখনও সঙ্কটজনক অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Actress Aindrila Shrama)। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিনি ভেন্টিলেশনে (Ventilator Support) রয়েছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার (health Update) কোনও উন্নতি নেই। এদিন এমনটাই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহ থেকেই অভিনেত্রীর শরীরে সংক্রমণ (Infection) মাত্রা বাড়ায় উদ্বেগ বাড়ে চিকিৎসকদের। বদলে দেওয়া হয় তাঁর অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স। গত সপ্তাহে ঐন্দ্রিলাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে সরানো হলেও বুধবার ফের দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে।
এদিকে মঙ্গলবার হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, স্ট্রোকের পর মাথার যে পাশে অস্ত্রোপচার হয়েছিল, তার বিপরীত দিকে রক্ত জমাট বেঁধেছে। স্ক্যান রিপোর্টে তা জানা গিয়েছে। তাছাড়া, বুধবারেও ঐন্দ্রিলার জ্বর কমেনি, যার জন্য সংক্রমণ দায়ী। এই অবস্থায় বুধবার মধ্যরাতে স্থানীয় সময় ১২টার পর হঠাৎ ঐন্দ্রিলার বিষয়ে খারাপ খবর রটে ফেসবুকে।
যদিও নানা মাধ্যম সেই খবরের সত্যতা স্বীকার না করায়, রটনাকারী নেটিজেনদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। রাত একটু বাড়লে ঐন্দ্রিলার বন্ধু সব্যসাচী ফেসবুক পোস্টে জানায়, আর একটু থাকতে দাও ওকে... এ সব লেখার অনেক সময় পাবে।
তবে শুধু সব্যসাচী নয়, বুধবার মধ্যরাতের একাধিক নেটিজেনের ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে করা ফেসবুক পোস্টের বিরোধিতায় সরব ছিলেন টলিপাড়ার অন্য পরিচিত মুখেরাও। যদিও প্রত্যেকের মুখে এখন একটাই প্রার্থনা, 'ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট।'
ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Actress Aindrila Sharma)। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (Cardiac Arrest) বলে। ফলে আরও সঙ্কটজনক ঐন্দ্রিলা শর্মা। স্ট্রোকের কাওরনে দু'সপ্তাহ যাবৎ হাওড়ার এক নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে তিনি কিছুটা বিপদ্মুক্ত হলেও চলতি সপ্তাহে ফের বেড়ে গিয়েছে তাঁর সংক্রমণে মাত্রা। যা (Aindrilas Health Update) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হাসপাতালও।
বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর অবস্থা এখন মোটেই স্থিতিশীল নয়। ঐন্দ্রিলাকে দেওয়া হয়েছে ‘সিপিআর’। ইতিমধ্যে তাঁর অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স বদল করা হয়েছে। শরীরে এখনও কোনও সাড় নেই। অ্যান্টিবায়োটিক তাঁর সংক্রমণ কমাতে পারে কিনা, সেদিকে নজর রেখেছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, সোমবারই ঐন্দ্রিলার জন্য মিরাকেল চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তাঁর বন্ধু সব্যসাচী। অমানবিক লড়াই নিজের শরীরের সঙ্গে করছেন অভিনেত্রী। সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন সব্যসাচী। অভিনেত্রীর আরোগ্য কামনায় ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে প্রার্থনার বন্যা। ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচীর পাশে দাঁড়িয়ে আরোগ্য কামনা তাঁদের টলিউড সতীর্থরাও।
গত সপ্তাহে সুখবর দিয়েছিলেন বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতেই বদলে গেল চিত্র। ফের আশঙ্কাজনক অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma Health)। সুস্থ হতে নিজের সঙ্গে অমানবিক যুদ্ধ করা অভিনেত্রীর সুস্থতায় মিরাকেল চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন সেই সব্যসাচীই (Sabysachi Chowdhury)। জানা গিয়েছে, এখনও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি ঐন্দ্রিলার ( Bengali TV Actress) সাড় নেই, জ্বর আছে অল্প। ইতিমধ্যে বন্ধু এবং সতীর্থর আরোগ্য কামনায় ফেসবুকে পোস্ট অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, জিতু কামাল-সহ ছোট এবং বড় পর্দার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের।
হাওড়ার যে হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী, সেই হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের। শরীরে সংক্রমণ আছে মানে জ্বর আসছে। পালটানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স। বয়স যেহেতু অল্প তাই লড়তে পারছেন তিনি। এখনও সি-প্যাপ সাপোর্টেই অজ্ঞান রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। সংক্রমণের মাত্রার উপর কড়া নজর রেখেছেন চিকিৎসকরা।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য সোমবার একটা নাতিদীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেন ঐন্দ্রিলার বন্ধু সব্যসাচী। তিনি লেখেন, 'কোনওদিন এটা এখানে লিখবো ভাবিনি, আজ লিখলাম।
ঐন্দ্রিলার জন্য মন থেকে প্রার্থনা করুন। Pray for a miracle. Pray for supernatural. She is fighting against all odds, beyond human.' এদিকে, সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলার পাশে থাকতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ছবি বদলেছেন অভিনেতা জিতু কামাল। বামাক্ষ্যাপা ধারাবাহিকের একটি ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, ঈশ্বরকেও কখনো কখনো মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন...
যে এই ছেলেটির নাম সব্য...।'
ঐন্দ্রিলার দীর্ঘদিনের বন্ধু বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ও দ্রুত আরোগ্য কামনায় ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'ভালবাসা এবং প্রার্থনা। দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে এসো।'
লড়াই এখনও চলছে। হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালের নিউরোর আইসিইউ রুমের একটা বেডে ফাইট চালিয়ে যাচ্ছেন ফাইটার ঐন্দ্রিলা। ৯৬ ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে, ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) এখনও জ্ঞান ফেরেনি। বিপদ কাটেনি, এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর। মঙ্গলবারে হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোক (Brain stroke) হয় ঐন্দ্রিলার।
ভক্তরা, পরিবারের লোকেরা ও টলি ইন্ডাস্ট্রির সকলে প্রতিনিয়ত প্রার্থনা করে কলেছেন। এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা বলেন, "আমার মেয়ে খানিকটা নড়াচড়া করেছে শুনেছি। এর বেশি কিছু জানি না। সবটাই শোনা কথা। নিজের চোখে দেখিনি...কিছু দেখিনি।" তিনি প্রায় ভেঙে পড়েছেন এবং বলেন,"আমি খুব মানসিক যন্ত্রণায় আছি। কী বলব জানি না। হাতটুকু নড়েছে এটাই শুনেছি। সবাই আছে হাসপাতালে। কী ভাবে দেখব মেয়েটাকে! চোখের সামনে ওভাবে পড়ে থাকতে দেখতে ইচ্ছে করছে না। তাই আমি যাইনি। এখনও উঠল না!"
এই যুদ্ধেও জয়ী হবেন ঐন্দ্রিলা, দৃঢ় বিশ্বাস তাঁর ভক্তদের। বুধবার থেকেই হাসপাতালে রয়েছেন ঐন্দ্রিলার প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। তাঁকে সুষ্ঠ করে বাড়ি নিয়ে ফিরিবেন বলে জোর গলায় বলেন তিনি।