গ্রামে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র (Sub Health Center) তৈরী করার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Demonstration) দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে মালদহের (Malda) চাঁচলে। বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামের পুরুষ, মহিলা সকলেই।
শুক্রবার সকালে মালদহের চাঁচল-১ ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত পানপাড়া গ্রামে। বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামের নারী, পুরুষ সকলেই। তারা রাস্তায় খড় জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এছাড়াও কাঁধে তীর-ধনুক ও হাতে ধামসা, মাদল বিক্ষোভ দেখায় তারা। এই বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। এরফলে আটকে পড়ে বহু মানুষ।
গ্রামবাসীদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরী করার কথা প্রশাসনকে জানালে তারা কোনও গুরুত্ব দেয়নি। তাই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Health Center) পাখার অভাব। তাই ভ্যাবসা গরমে ত্রাহি ত্রাহি রব রোগীদের। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের ক্ষীরপাই (Khirpai) স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। এমনকি এই করুণ দশার পোস্টারও লাগানো রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দেওয়ালে। আর সেই পোস্টারকে ঘিরেই শুরু হয়েছে শোরগোল। পোস্টারে লেখা রয়েছে, 'ক্ষীরপাই গ্রামীণ স্বস্থ্য কেন্দ্রের করুণ দশা। রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে ফ্যান বা পাখা আনিবেন।' তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে এমন পোস্টার কে বা কারা লাগিয়েছে তার খবর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
তীব্র গরমের মাঝে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই বেহাল ছবি। তীব্র গরমে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাখা না থাকার কারণে গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন রোগীরা। বাড়ি থেকে পাখা এনে কাজ চালাতে হচ্ছে রোগীদের এমনি অভিযোগ রোগীদের পরিবারের। এক রোগীর পরিবারের দাবি, যে রোগীরা বাড়ি থেকে পাখা নিতে পারেনি, তাঁরা এই গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
যদিও এবিষয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ নিরঞ্জন কুতি বলেন, 'দ্রুততার সহিত পাখার ব্যবস্থা করা হবে।' চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, 'বিষয়টি আমি শুনেছি বিএমওএইচকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যতগুলি পাখার অ্যারেঞ্জমেন্ট করা আছে সেগুলিতে পাখা লাগানো রয়েছে। তবে যেখানে পাখার হওয়া পৌঁছয় না সেখানে দ্রুত দেওয়াল পাখার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।'
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে মহিলা চিকিৎসকের (Woman Doctor) মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি রবিবার ওড়িশার (Odisha Incident) কেওনঝড় জোডা এলাকার এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসক মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Woman Death) বলে ঘোষণা করেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলা চিকিৎসকের নাম শুভশ্রী কর। স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই দোতলায় থাকতেন তিনি। আর নীচের তলায় রোগী দেখতেন শুভশ্রী। নববর্ষের দিন রোগী আসলেও তিনি নীচে নামেননি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তখনই তাঁদের মধ্যে সন্দেহ জাগে। কিন্তু যোগাযোগ করতে পারেননি। এরপরই তাঁরা পুলিসের দ্বারস্থ হন।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখে ওই চিকিৎসক যে ঘরে থাকতেন, সেই ঘরের দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এর পরই দরজা ভাঙা হয়।
ঘরের মধ্যে বিছানায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায় চিকিৎসককে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, কীভাবে মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছে। তবে প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা। যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। মৃতার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।