দশম শ্রেণীর ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হল ঘর থেকে। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের করঞ্ছতলা গ্রামে। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে আসে হাড়োয়া থানার পুলিস (Haroa Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই চিকিৎসকেরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ছাত্রীর নাম অরুনিমা বেরা (১৬)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে ১৬ বছরের অরুনিমা বেরা। বাবা মায়ের সঙ্গে কোনওদিন কোনও অশান্তি ছিল না। এমনকি কোনও প্রেমঘটিত ব্যাপারও ছিল না অরুনিমার, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। তবে হঠাত্ এমন ঘটনায় হতবাক এলাকার স্থানীয়রাও।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফের পণের জন্য জীবন দিতে হলো এক গৃহবধূকে। বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়া থানার আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কোকিলপুর (North 24 Parganas) গ্রামের ঘটনা। ঘটনাস্থলে হাড়োয়া থানার (Haroa Police) পুলিস। পুলিস ওই বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Death) ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিস। বধূর বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে স্বামী তাপস সর্দারকে আটক করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম মেনকা সর্দার (২৩)। কোকিলপুর গ্রামের বাসিন্দা তাপস সর্দারের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় তাঁর। বধূর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই কখনও মোটা অঙ্কের টাকা, সোনা-গয়না ও নিত্যনতুন আসবাবপত্রের দাবি করতো স্বামী তাপস সর্দার। তাঁদের দাবি, বেশ কিছুদিন আগেই তাঁদের একটি সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে সে মারা যায়। তারপরেই অত্যাচারের মাত্রা যেন আরও বাড়তে থাকে। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একাধিকবার মেনকা বাপের বাড়িতে চলে আসত। তাঁদের আরও অভিযোগ, দিনের পর দিন চাহিদা মতো পণ দিতে না পারার ফলেই তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু, আদতেই এটা খুন না আত্মহত্যা, সবটাই তদন্ত করছে হাড়োয়া থানার পুলিস।