গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (Rescue) ঘিরে চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব মোহনপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মহিলরা নাম কাবেরী হালদার (৩৫)। মৃতার পরিবারের দাবি, রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বধূ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাড়োয়া থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন কাবেরী হালদার। এর আগেও নাকি শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। যদিও তখন সেই সময় তাঁর ছেলেমেয়ে বাড়িতে থাকায় তাঁকে বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু এবার বাড়িতে কেউ না থাকায় যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বধূ। খবর দেওয়া হয় হাড়োয়া থানায়। এরপর পুলিস এসে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কাবেরী হালদারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
যদিও পুলিস জানিয়েছেন, ময়না তদন্তের পরেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। ইতিমধ্যে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিস। পারিবারিক বিবাদ নাকি রোগের যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছেন ওই বধূ। নাকি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা জানতে পুরো বিষয়টি নজরে রেখেছে তদন্তকারীরা।
হাড়োয়ার (Haroa) শালীপুর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে (Explosion) মৃত্যু ১ ব্যক্তির। পুলিস (Police) জানিয়েছে, বিস্ফোরণে মৃত ব্যক্তির নাম পরিতোষ মন্ডল। হাড়োয়া থানার পুলিস মৃতদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সূত্রের খবর গতকাল গভীর রাতে একটি বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ওই ঘটনায় আরও এক ব্যক্তি গুরুতর আহত। যদিও এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফ থেকে পরিতোষকে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে।
এই ঘটনা পরিতোষের স্ত্রী সুষমা মণ্ডলের দাবি, পরিতোষ রবিবার সোনাপুকুর শঙ্করপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী বীথিকা মন্ডলের হয়ে প্রচার করছিলেন। তখনই তৃণমূলের আরেক পক্ষ ওই এলাকায় বোমাবাজি করে। এবং পরিতোষ মন্ডলকে খুন করার চেষ্টা করে। পরিতোষের স্ত্রী সুষমার আরও দাবি, শালীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে দেহ উদ্ধার হয় পরিতোষের। তাঁর পরিবারের আরও অভিযোগ, পরিতোষের মৃতদেহের কোন জামাকাপড় ছিল না, পকেট থেকে ৫ হাজার টাকাও লুঠ করা হয়। এমনকি দুহাত কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী। এই ঘটনায় আপাতভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করছে পরিতোষের পরিবার।
যদিও এ ঘটনায় পুলিস তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ মানতে নারাজ। এ বিষয়ে এসডিপিও মিনাখা, সিএন- ডিজিটালকে বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তের পর একটি বোম বিস্ফোরণের ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। সেখানে একজন মৃত ও একজন আহত। এখানে তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিংবা বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনও প্রমাণ বা তথ্য মেলেনি।
দশম শ্রেণীর ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হল ঘর থেকে। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের করঞ্ছতলা গ্রামে। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে আসে হাড়োয়া থানার পুলিস (Haroa Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই চিকিৎসকেরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ছাত্রীর নাম অরুনিমা বেরা (১৬)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে ১৬ বছরের অরুনিমা বেরা। বাবা মায়ের সঙ্গে কোনওদিন কোনও অশান্তি ছিল না। এমনকি কোনও প্রেমঘটিত ব্যাপারও ছিল না অরুনিমার, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। তবে হঠাত্ এমন ঘটনায় হতবাক এলাকার স্থানীয়রাও।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
হাড়োয়ায় (Haroa) জন্মদিনের দিনই মর্মান্তিক মৃত্যু (Death) হল কর্তব্যরত এক পুলিস কর্মীর। মৃত পুলিস (Police) কর্মীর নাম লক্ষীকান্ত রঞ্জন, বয়স ৫৯ বছর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি এলাকার বাসিন্দা তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার রাতে হাড়োয়ার মোটাআল এলাকায় বেড়াচাঁপা-হাড়োয়া রোডের উপর। জানা গিয়েছে, দ্রুত গতির এক মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর।
শনিবার ছিল রঞ্জনের ৫৯ তম জন্মদিন। তিনি কনষ্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। সেদিন রাতে ছিল তাঁর নাইট ডিউটি। মোটাআল এলাকায় সহ কর্মীদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করছিলেন তিনি। এক টুকরো কেক মুখ নিয়ে তিনি রাস্তায় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সে সময় বেড়াচাঁপার দিক থেকে আসা একটি দ্রুত গতির মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে সজোরে ধাক্কা মারে।
প্রায় ১০০ ফুট দূরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে নয়নজলিতে গিয়ে ছিটকে পড়ে। ঘটনায় তাঁর হাত-পা ভেঙে যায়, মাথায় গুরুতর চোট পান। সহ কর্মীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে, দ্রুত নিয়ে যান হাড়োয়া গ্ৰামীণ হাসপাতালে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন হাড়োয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ অন্যান্য পুলিস কর্মীরা। অবস্থা আশঙ্খাজনক হতেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার ভোরে এসএসকেএম হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। তদন্তে নেমে পুলিস দুই বাইক আরোহীকে গ্ৰেফতার করার পাশাপাশি ঘাতক মোটরবাইটি আটক করেছে।
ফের পণের জন্য জীবন দিতে হলো এক গৃহবধূকে। বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়া থানার আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কোকিলপুর (North 24 Parganas) গ্রামের ঘটনা। ঘটনাস্থলে হাড়োয়া থানার (Haroa Police) পুলিস। পুলিস ওই বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Death) ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিস। বধূর বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে স্বামী তাপস সর্দারকে আটক করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম মেনকা সর্দার (২৩)। কোকিলপুর গ্রামের বাসিন্দা তাপস সর্দারের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় তাঁর। বধূর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই কখনও মোটা অঙ্কের টাকা, সোনা-গয়না ও নিত্যনতুন আসবাবপত্রের দাবি করতো স্বামী তাপস সর্দার। তাঁদের দাবি, বেশ কিছুদিন আগেই তাঁদের একটি সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে সে মারা যায়। তারপরেই অত্যাচারের মাত্রা যেন আরও বাড়তে থাকে। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একাধিকবার মেনকা বাপের বাড়িতে চলে আসত। তাঁদের আরও অভিযোগ, দিনের পর দিন চাহিদা মতো পণ দিতে না পারার ফলেই তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু, আদতেই এটা খুন না আত্মহত্যা, সবটাই তদন্ত করছে হাড়োয়া থানার পুলিস।