সম্প্রতি সুপ্রীতি সাহা নামে এক পশুপ্রেমীকে বেধড়ক মারধর করেন প্রতিবেশী এক মহিলা।নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সুপ্রীতিকে মারধর করা হয়েছে। অভিযুক্ত পাপিয়া নন্দী এবং তার দুই মেয়ে ঐশিকা নন্দী ও ঈশিকা নন্দী ২০২৩-এর অগাস্ট মাসেও তাকে মারধর করে। এমনকি প্রাণে মারার হুমকিও দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের চাঁদার ভিলেজ এলাকায়। কুকুরকে প্রতিদিন খাওয়ানোই তার অপরাধ, ২এমনটাই দাবি নির্যাতিতার।
বিষয়টি হরিদেবপুর থানার পুলিসকে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। এরপর নির্যাতিতার পরিবার মানবাধিকার কমিশনের মহিলা সেলের দ্বারস্থ হন। মহিলা সেলের প্রতিনিধিদের তরফে দোষীদের শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করা হয়। পুলিস এবিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেন তারা। এত বড় অপরাধের পরেও প্রশাসন নিশ্চুপ কেন, উঠছে প্রশ্ন।
রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বারবার আঙ্গুল উঠছে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে। সোমবার গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা নিয়ে হরিদেবপুরের বড়দা সরণিতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মঙ্গলবার সকালে রাস্তায় নর্দমার পাশে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম ফাল্গুনী দত্ত। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন ফাল্গুনী বাবু। তবে মঙ্গলবার সকালেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয় হরিদেবপুরের বড়দা সরণির রাস্তার ধরে নর্দমার পাশ থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎ সকালে উঠেই সেখানে ফাল্গুনী বাবুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরেই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
তবে বছর ৫৬-এর ফাল্গুনী বাবুর এমন আচমকা মৃত্যুর তদন্তভার নিয়েছে হরিদেবপুর থানার পুলিস। দেহ উদ্ধার করে তা পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্যও। তবে, এই মৃত্যু ঘিরে একটা জল্পনা যেমন থেকে যাচ্ছে, তেমনই ওই এলাকার নিরাপত্তা বলয় নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
নিজের বাড়িতেই এক তরুণীকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এরপর ওই যুবকও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের সোদপুর রামকৃষ্ণপল্লিতে। অভিযুক্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গিয়েছে মৃত তরুণীর নাম কৃষ্ণা দে। এক বছর আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় শুভেন্দু দাস নামে এক যুবকের। পেশায় তিনি অটোচালক। বিয়ের পর থেকেই একাধিক বিষয়ে দুজনের মধ্যে সমস্যা হচ্ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সেকারণেই কৃষ্ণাকে খুন করেছে শুভেন্দু। তাঁকে বেশ কয়েকবার কোপানো হয়েছে। গলাতেও আঘাত করা হয়।
দুজনের মধ্যে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হলেও কৃষ্ণার বাড়ির তরফে এই বিয়ে মেনে নেয়নি। বিচ্ছেদের মামলাও চলছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
খাস কলকাতায় (Kolkata) বোমাতঙ্ক (Bomb)। রবিবার সাতসকালে হরিদেবপুর (Haridevpur) থানা এলাকার ব্যানার্জি পাড়ায় একটি ভ্যাট থেকে উদ্ধার হল টাইম বোমা জাতীয় একটি বস্তু। পুলিস এসে বোমাটি উদ্ধার করে জলের বালতিতে রাখে। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে (Bomb Squad)। কিছুদিন আগেও হরিদেবপুর এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। পরপর একই এলাকা থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বস্তুটা বোম কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে পুলিসের তরফ থেকে।
রবিবার সকালে প্রতিদিনের মতোই কলকাতা পুরসভার সাফাই কর্মীরা ভ্যাট পরিস্কার করতে এসেছিলেন। তখনই ভ্যাটের মধ্যে তার জড়ানো অবস্থায় বোমার মতো দেখতে একটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর স্থানীয়রা কাউন্সিলরকে তারযুক্ত টাইম বোমা দেখতে পেয়েছেন বলে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে হরিদেবপুর থানায় খবর যায়। পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে জলের বালতি রেখে বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেয়। বম্ব স্কোয়াড এসে পরীক্ষানিরীক্ষার পর বালির মধ্যে করে বস্তুটিকে নিয়ে চলে যায়। সন্দেহজনক বস্তুটি কি আদৌ বিস্ফোরক নাকি অন্য় কিছু তা খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হরিদেবপুর থেকে বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিস। আবারও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ভয়ে রয়েছেন এলাকাবাসীও।
স্কুলের ভিতরে দিনের পর দিন ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন অসহায় দৃষ্টিহীন নাবালিকাদের উপর। শহরের উপকণ্ঠে দৃষ্টিহীন নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল হরিদেবপুরের একটি হোমের। নির্যাতনের শিকার হওয়া ২ নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিল হোমের ৩ সদস্য। শনিবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে ছিল এই মামলার শুনানি। গতবারের শুনানিতে ৩৭৬ ধারা এবং পকসো ৬ ধারায় মামলা হয়েছিল ধৃতদের বিরুদ্ধে। শনিবার ধৃতদের ফের পেশ করা হয় বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এজলাসে। শুনানিতে ধৃত ৩ ব্যক্তির ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারী। তবে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, ধৃতরা এই বিষয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়। বিষয়টি প্রিন্সিপালকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বিষয়টি গোপন করা হয়।
এদিন আইনজীবী শিবনাথ অধিকারীর আরও দাবি, নির্যাতিতা নাবালিকারা বর্তমানে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নির্যাতিতাদের জবানবন্দি ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণের সত্যতা উপস্থাপিত করা যাবে না। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের জামিন দিলে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সবদিক বিচার বিশ্লেষণ করেই ধৃতদের পুলিসি হেফাজতের আবেদন সরকারি আইনজীবীর।
বাদী-বিবাদী পক্ষের মতামতের উপর ভিত্তি করে আগামী দিনে হয়তো আদালতের তরফে মিলবে সুবিচার। দোষীরা পাবে শাস্তি। কিন্ত অসহায় দৃষ্টিহীন নির্যাতিতারা কি ভুলতে পারবে সেই বিভীষিকাময় দিনগুলি? বাস্তবে তাদের প্রতি এই সমাজের কি নেই কোনও দায়িত্ব? প্রশ্নটা থেকেই যায়।
হরিদেবপুরের দৃষ্টিহীনদের একটি হোমে ৩ নাবালিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে হোমের মালিক ও সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় রাধুনিকেও।
হরিদেবপুরের ওই হোমে দৃষ্টিহীন নাবালিকাদের বাস। পাশাপাশি হোমে তাঁদের শিক্ষাদানও করা হয়। অভিযোগ, ওই হোমের বেশ কয়েকজন নাবালিকা নির্যাতনের শিকার হন। পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে দুই নাবালিকা। এফআইআর-এ প্রিন্সিপাল ও সেক্রেটারির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে এই নির্যাতন চলে বলে অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সেক্রেটারির নাম জীবেশ দত্ত। প্রিন্সিপাল মহিলা। তাই তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আরও কয়েকজন জড়িয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাফিক সার্জনকেও ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুরগি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বুধবার হরিদেবপুর এলাকার ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী সহ সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করার। সূত্রের খবর, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিস। আহত পুলিস আধিকারিককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ভিকি চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ভিকি স্কুটিতে চড়ে মুরগি নিয়ে দোকানে যাচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় এক সিভিক ভলান্টিয়র এসে তার পথ আটকায়। যার জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটি নিয়ে পড়ে যায় সে। এরপর মাটি থেকে উঠে কোনও কথা না বলেই সোজা মারধর করতে থাকে সিভিক ভলান্টিয়রকে এমনটাই অভিযোগ। ভিকি থামাতে এগিয়ে আসেন কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট অনিরুদ্ধ বিশ্বাস।
অভিযোগ, তাঁকেও মারধর করে অভিযুক্ত। ঘুষি মেরে ওই পুলিশ আধিকারিকের নাক ফাটিয়ে সে। এই ঘটনার খবর পেয়ে পরবর্তীকালে এলাকায় আসে হরিদেবপুর থানার পুলিশ ফোর্স। তারা ভিকি চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে।
রাস্তার উপর পড়ে রয়েছে একের পর এক কুকুর বাচ্চার দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে জোকার জেনেক্স ভ্যালি আবাসনে। ওই কুকুর ছানাদের বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই হরিদেবপুর থানায় (Haridevpur Police Station) অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এমন অমানবিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা আবাসনে। জানা গিয়েছে, একটি কুকুরের ছটি বাচ্চা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে আবাসনের মধ্যেই ঘোরাঘুরি করত ছোট্ট ছানাগুলি। তার মধ্যে হঠাৎই বৃহস্পতিবার সকালে কুকুরের একটি বাচ্চাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় আবাসনের সিকিউরিটি ম্যানেজার।
অপর আরেকটি বাচ্চাকেও অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। স্থানীয়দের বক্তব্য, 'ছ'টি বাচ্চাকেই বিষ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চারটি মরে যাওয়ার পর তাদেরকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এখনও একটি বাচ্চা আবাসনের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ও অপর বাচ্চাটির অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।'
ইতিমধ্যেই হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। কে বা কারা এই ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড করেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
পণের (Dowry Issue) দাবিতে অত্যাচার এবং গৃহবধূর আত্মহত্যায় হরিদেবপুরে গ্রেফতার শ্বশুরবাড়ির লোক। খাস কলকাতায় এহেন ঘটনায় (Suicide in Kolkata) রীতিমতো চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, ২৬ শে জানুয়ারি হরিদেবপুরের বধূ মাম্পি দাস গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সাত বছর আগে মালদহের ইংরেজবাজারের তরুণী মাম্পির বিয়ে হয় হরিদেবপুরে। অভিযোগ, বিয়ে হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় পণের জন্য অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শুধু মানসিক নির্যাতন নয়, মাম্পিকে শারীরিক নিগ্রহ (Physical Assault) করা হত বলে অভিযোগ।
এতেই ২৬ শে জানুয়ারি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মাম্পি। এরপরেই মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, মৃতার শ্বশুরবাড়ির অন্যরা পলাতক। গ্রেফতার মহেশতলার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডল মৃতের স্বামীর বোনের বর।
নিমন্ত্রণ করে বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা কিশোরীকে। শুধু তাই নয়, ছেলের এই কুকীর্তিতে পরোপুরি সঙ্গ দিয়েছেন খোদ মা! তাও আবার নিজের হাতে নাবালিকা কিশোরীর খাবারের সঙ্গে অচৈতন্য করার ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে হরিদেবপুর (Haridevpur) এলাকায়। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত যুবক এবং তার মা কে গ্রেফতার করেছে পুলিস। শনিবার (Saturday) অভিযুক্ত ছেলে ও মাকে তোলা হয় আলিপুর আদালতে (Alipur Court)।
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছর কালীপুজোর রাতে। বাঁশদ্রোনির নাবালিকাকে সেদিন বাড়িতে পুজো উপলক্ষে নিমন্ত্রণ করেছিলেন অভিযুক্ত মা অনুশ্রী কোঠারি ও ছেলে কুণাল কোঠারি। অনুশ্রীর সঙ্গে বিউটিশিয়ান কোর্স করত এই নাবালিকা। সেদিন খাবারের সঙ্গে মাদক জাতীয় কোনও অজ্ঞান করে দেওয়ার জিনিস মিশিয়ে দেওয়া হয় এবং তারপর সেটি খেয়ে নাবালিকা অচৈতন্য হয়ে পড়লে কুণাল তাকে যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। তবে খবর, এই একবারই নয়, বাড়িতে আটকে রেখে টানা তিনদিন ধরে চলে নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন। অবশেষে সে পালিয়ে বাড়ি ফিরে পরিজনের কাছে সব ঘটনা বলে। তবে প্রথমে লজ্জায় ধর্ষণের কথা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি নাবালিকা এবং তার পরিবার।
কিন্তু অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে নির্যাতিতার কাকা জানিয়েছেন, তাঁর ভাইঝিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্তের পরিবার। কিন্তু নাবালিকা তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকিও দেওয়া হয় এবং সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে এই কুকীর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে 'উকিল বলতে বারণ করেছে' এই কথা বলে গোটা ঘটনার কিছুই তাঁরা জানেন না বলে মন্তব্য অভিযুক্তর পরিবারের।
জঙ্গির দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য হরিদেবপুরে (Haridevpur)। বাংলাদেশের কুখ্যাত জঙ্গি (terrorist) তমাল রায় চৌধুরী ওরফে ম্যাক্সন নামক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবার। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ডানলপ (Dunlop) এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি (CID)। এরপর ৮ এপ্রিল সে ছাড়া পায়। পরবর্তীকালে জীবনের মূল স্রোতে ফেরার চেষ্টাও করেছিল সে। অর্পিতা হাজরা নামে এক মহিলাকে বিয়েও করে। হরিদেবপুর থানা অন্তর্গত মতিলাল গুপ্ত রোডে ভাড়া নিয়ে থাকাও শুরু করে তারা। এরপর বৃহস্পতিবার তার দেহ উদ্ধার (deadbody) ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। খুন নাকি আত্মহত্যা? খুন হলে কী কারণে তাকে খুন হতে হল? তার মৃত্যুর নেপথ্যে আদতে কার বা কাদের হাত রয়েছে? সব মিলিয়েই শুরু হয়েছে ধোয়াশা।
পুলিস সূত্রে খবর, এর আগে সিআইডি তাকে গ্রেফতার (arrest) করেছিল বাংলাদেশের একটি জঙ্গি দলের সঙ্গে সে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল সে কারণে। তবে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সে জীবনের মূল স্রোতে ফেরার চেষ্টা করেছিল। স্থানীয়দের বক্তব্য, এই ফ্ল্যাটে অনেকেরই যাতাযাত ছিল। এই ম্যাক্সন নামক ব্যক্তি তার পার্টনারকে নিয়েই থাকত। তবে দুজনেই বিবাহিত ছিল। সেই নিয়ে মাঝে মধ্যেই গণ্ডগোল হতো। ম্যাক্সনের পার্টনারের গায়ে মারের দাগ দেখা যেত। তবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে যথেষ্ট ভালো ব্যবহার ছিল তার। কিন্তু হাতে কোনও কাজ ছিল না ম্যাক্সনের।
বৃহস্পতিবার তার পার্টনার বাজার যান, বাড়ি ফিরে এসে দেখেন ম্যাক্সনের ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিস। তার পার্টনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত বিষয়।
এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব (Indecent to Woman) দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড হরিদেবপুর থানার সাব ইনস্পেক্টর (Police SI) আইনুল হক। সেই মহিলার ১০০ ডায়ালে (100 Dial) অভিযোগ পেয়ে তা খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার (Lalbazar)। জানা গিয়েছে, সম্পত্তিগত বিবাদের অভিযোগ জানাতে হরিদেবপুর থানায় (haridevpur PS) যান ওই মহিলা। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযুক্ত এসআই ওই মহিলার বাড়িতে যান। সেখানেই তাঁকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি অভব্য আচরণের অভিযোগ ওঠে এসআইয়ের বিরুদ্ধে।
সঙ্গে সঙ্গেই ওই মহিলা ১০০ ডায়ালে ফোন করে এসআই-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। অভিযোগ খতিয়ে দেখেই আইনুল হককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। এদিকে, রক্ষকের এভাবে ভক্ষক হয়ে ওঠার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই নাগরিক সমাজে চাঞ্চল্য। এখন দেখার সাসপেনশন ছাড়াও বিভাগীয় তদন্ত শেষে আর কতটা শাস্তি অপেক্ষা করছে ওই এসআই-য়ের।
হরিদেবপুরে (Haridevpur Murder) অয়ন মণ্ডল হত্যাকাণ্ডে ডায়মন্ডহারবার হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্তের (Post Mortem) প্রাথমিক রিপোর্ট হরিদেবপুর থানার কাছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ ভারী ও ভোঁতা বস্তুর আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু অয়নের। রিপোর্টে উল্লেখ ময়না তদন্ত হওয়ার ৩০ ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে অয়নের (Ayan Mondal)। এদিকে এই ঘটনায় পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতকে অয়নের মৃতদেহ লোপাটের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। মাগুর পুকুরের কাটাখালের নির্জন স্থানে ছোট হাতি গাড়ি করে অয়নের দেহ আনা হয়েছিল।
এই গাড়িটি কবরডাঙ্গা থেকে নেপালগঞ্জ হয়ে উচ্ছেখালির মোড় থেকে মাগুর পুকুরে এসেছিল। তারা যে সময়টা বেছেছিল, সেটা ঠিক ভোরের সময় কারণ। উচ্ছেখালি এলাকায় মধ্যরাত পর্যন্ত ঠাকুর বিসর্জন চলছিল। সেই ভাসান দেখতে সাধারণ মানুষের যেমন ভিড় ছিল, তেমনি পুলিস প্রশাসন সজাগ ও সতর্ক ছিল।
ফলে তাঁদের চোখ এড়িয়ে মাগুর পুকুরের নির্জন স্থানে প্রমাণ লোপাটের কারণে ঝোপের মধ্যে রেখে দিয়ে তারা আবার নেপালগঞ্জ দিয়ে কবরডাঙ্গার দিকে এগোয়। যেটা পুলিস সূত্রে খবর, যে অয়নের মোবাইল তারা নেপালগঞ্জের দিকে ফেলেছিল। সেই সূত্রে একটা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ক্যালকাটা নিউজের হাতে এসেছে, যেখানে শুনশান রাস্তায় একটা ছোট হাটি গাড়ি ধরা পড়েছে। যদিও সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেন সিএন নিউজ।
ক্রমশই ঘণীভূত হচ্ছে হরিদেবপুরে (Haridevpur) অয়ন মণ্ডল (Ayan Mondal) খুনের রহস্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস (police) সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল- দীপক জানা (বাবা), রুমা জানা (মা), প্রীতি জানা (বান্ধবী), বিবেক জানা (বান্ধবীর নাবাল ভাই), রাহুল রায় (ভাইয়ের বন্ধু), সুজিত রায় (মেটোডোর ডাইভার), দীপজ্যোতি সাহু (ভাইয়ের বন্ধু)। ধৃতদের উড়িশা থেকে গ্রেফতার (arrest) করে নিয়ে আসা হয় হরিদেবপুর থানায়।
খুনের (murder) ঘটনায় বান্ধবী, মা, বাবা, ভাই এদেরকে শুক্রবার দুপুর বেলা বাড়ি থেকে হরিদেবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল জিজ্ঞাসা করার জন্য। এরপরই তাদের গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তিতে উড়িশা থেকে অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের এই বন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিস।
প্রসঙ্গত, নিহত যুবক অয়নের হত্যার চক্রান্তে অভিযুক্ত প্রেমিকার ভাই ও ড্রাইভারকে শনিবার হরিদেবপুর স্পেশাল পুলিস টিম ও মগরাহাট থানার পুলিসের সহায়তায় যে জায়গায় অয়নের দেহ পড়েছিল, তার শনাক্ত করতে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় দুজনকে নিয়ে এসে। পাশাপাশি মগরাহাট ও হরিদেবপুর পুলিস কোথায় মারা হয়, কীভাবে মারা হয়, কারা ছিল ঘটনাস্থলে, কীভাবে রাখা হয় অয়নের দেহ, কোন দিক দিয়ে আসা হয়েছিল, এই সমস্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বাগুইহাটি-কাণ্ডের (Baguiati Case) ছায়া হরিদেবপুরে। এখানেও পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ। দশমীর দিন থেকে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার মগরাহাটে। আর এই ঘটনায় কাঠগড়ায় যুবকের বান্ধবী এবং পরিবার। জানা গিয়েছে দশমীর দিন বান্ধবীর বাড়িতে দেখা করতে বেড়িয়ে নিখোঁজ যুবক অয়ন মণ্ডলের দেহ উদ্ধার শুক্রবার। ঘটনাস্থল হরিদেবপুরের (Haridevpur Incident) কেওড়াপুকুর। প্রায় ৪৮ ঘণ্টার নিখোঁজ থাকার পর সেই যুবকের (Youth Body) দেহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার অন্তর্গত মাগুরপুকুর পুলিস ক্যাম্পের পাশ থেকে থেকে উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয় থানার পুলিস তাঁর দেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। শুক্রবার এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে পুলিস প্রশাসন। কলকাতা পুলিস নিখোঁজ যুবকের পরিবারকে মগরাহাটের ওই ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। মৃতের পরিবার অয়নের দেহ শনাক্ত করেন। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্ত বান্ধবী এবং তাঁর বাবা মাকে হরিদেবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধেই খুনের (murder) অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, দশমীর দিন রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে বের হয়েছিল অয়ন। তিনি সারারাত বাড়ি ফেরেনি। বান্ধবী বাড়ি চলে গেলেও এই যুবকের কোনও পাত্তা নেই এমনটাই বলছেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর থানায় ডায়রি করা হলেও কোনওরকম স্টেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিল পরিবার। পুলিসের বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক গাফিলতির প্রশ্ন।
তাঁর বন্ধুদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, দশমীর দিন তাঁর বান্ধবী বাড়িতে একা ছিল। সেই সময়ে অয়ন তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তারপর হঠাৎই তাঁর বাবা-মা চলে আসে, ভয়েতে তখন অয়ন ছাদের উপর চলে যায়। শেষ বন্ধুকে কল করেছিল রাত ৩টের দিকে। তিনি ফোনে তাঁর বন্ধুকে জানান, মেয়েটির মা অয়নকে বুকে ঘুসি এবং বেধড়ক মারধর করেছে। বন্ধুরা তখন অয়নকে বলে, "আমরা গিয়ে তোকে নিয়ে আসছি।" কিন্তু অয়ন বলে, "না। আমি একাই চলে আসবো তোদের আসতে হবে না।" পরিবার এবং স্থানীয় লোকের বক্তব্য, স্থানীয় থানা হরিদেবপুর কোনও এফআইআর নেয়নি প্রথমে। শুধুমাত্র মিসিং ডায়েরি নিয়েছিল আর সেই জন্য অয়নের বাবা লালবাজারের দ্বারস্থ হন। এরপর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ। এমনকি পরিবারকে থানা থেকে বলা হয়েছিল, নিজেরা ছেলেকে খুঁজে নিন। এমনকি একদিন সকাল ১১টা-রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল অয়নের পরিবারকে। এই অভিযোগও সংবাদ মাধ্যমের সামনে করেছে অয়নের পরিবার।
তবে অভিযুক্ত সেই বান্ধবী এবং তাঁর বাবা-মাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। কিন্তু পুলিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে হরিদেবপুর থানা ঘেরাও স্থানীয়দের। গোটা ঘটনার দায় নিয়ে পুলিসকে জবাবদিহি করতে হবে। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।