উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই ঘর থেকে উদ্ধার পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ।পড়াশোনার চাপ নাকি বাবা-মায়ের উপর রাগ, ঠিক কোন কারণে এই পথ বেছে নিল কিশোর, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ থানার স্যান্ডেল বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকড়া গ্রামের এই ঘটনা রবিবার রাতের। বাড়িতে বাবা-মা না থাকার সুযোগেই নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দেয় ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হিরণময় বিশ্বাস। জানা গিয়েছে মৃতের বয়স ১৮। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতাল পুলিস মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত ছাত্রের মা জানান, 'উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নিজের ঘরে বসেই পড়াশোনা করছিল হিরণময়। বিরিয়ানি খেতে চাওয়ার কথা বলে মাকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেয় সে। ঠিক সে সময়ে আত্মঘাতী হয় কিশোর।' মায়ের দাবি, 'গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ছেলের। সেই সম্পর্কের কারণেই আত্মহত্যা। ছেলের মৃত্যুর পিছনে হাত আছে মেয়েটির।'
হিঙ্গলগঞ্জের কনকনগর এসডি ইনস্টিটিউশনে পড়াশোনা করত মৃত ছাত্র হিরণময় বিশ্বাস। তার পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছিল হিঙ্গলগঞ্জ হাইস্কুলে। তাকে শেষবারের মতো দেখার জন্যে তার সহপা ঠীরাও এসে উপস্থিত হয় বসিরহাট হাসপাতালের সামনে।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে(HS Student) পিটিয়ে খুনের(Murder) অভিযোগ প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। সাউথ গড়িয়া অঞ্চলের নরিদানা বাগানিপাড়া এলাকার ঘটনা। ঘটনার তদন্তে বারুইপুর থানার(Baruipur Police) পুলিস। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রেমঘটিত কারণে এই ঘটনা। মৃত পরীক্ষার্থীর নাম দেবব্রত বাগানী(১৭)। মদারাট অঞ্চলের সিমলাবাদ এলাকার এক কিশোরীর(উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী)সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দেবব্রতর। দুজনে একসঙ্গে বেগমপুর জ্ঞানদাপ্রসাদ হাইস্কুলেই পড়ত। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি প্রেমিকার পরিবার।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে দেবব্রতর বাড়িতে চড়াও হয় প্রেমিকার পরিবারের লোকজন। বাড়িতে ঢুকেই দেবব্রতকে মারধর করতে শুরু করে। দেবব্রতর পরিবারের লোকজন বাধা দিতে এলে তাদেরও হুমকি দিয়ে মারধর করে আটকে রাখা হয়। এমনকি দেবব্রতকে মারধর করার পাশাপাশি খুন করে বাড়িতেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, অভিযোগ পরিবারের। তাঁরা আরও জানায়, 'বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় তাঁদের বাড়ির লোকজনের আর্তচিৎকার শুনতে পায়নি প্রতিবেশীরা। পরে প্রেমিকার বাড়ির লোকজন চলে গেলে দেবব্রতকে নিয়ে পরিবারের লোকজন বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।'
এবিষয়ে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেছেন, 'একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দু'জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ (Suicide) উদ্ধার। মহেশতলায় মোল্লার গেটে সন্তোষপুর গভর্নমেন্ট কলোনি এলাকার ঘটনা। ঘটনার তদন্তে মহেশতলা থানার(Maheshtala Police) পুলিস। শোকের ছায়া পরিবারে। জানা গিয়েছে, মৃত পরীক্ষার্থীর নাম সৌভিক অধিকারী। সৌভিক সন্তোষপুর গর্ভমেন্ট কলোনি নেতাজি সুভাষ বিদ্যালয়ের ছাত্র। এবছরই উচ্চ মাধ্যমিক দিত সৌভিক।
পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ওই পরীক্ষার্থী বাথরুমে ঢোকে। বেশ কিছুক্ষণ বাথরুম থেকে বাইরে না বেরোলে বাড়ির লোকজন দরজায় ঠোকাঠুকি করে। তাতেও কোনও সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা বাথরুমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ভিতরে ঢুকতেই সৌভিককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পরিবারের লোকজন।
তত্ক্ষনাত্ পরিবারের লোকজন স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। তাঁদের বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পরীক্ষার্থীকে মৃত বলে ঘোষণা করে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই সৌভিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় শোকের ছায়া পড়েছে পরিবারের লোকজনের মধ্যে। তবে কী কারণে সৌভিক আত্মঘাতী হলো, এই নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।